খান রফিক, বরিশাল
তিন ভাই মিলেমিশে একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয় দখল করে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এক ভাই এমপিওবিহীন প্রধান শিক্ষক, অন্য দুই ভাই পালাক্রমে থাকছেন সভাপতি।
শেষ পর্যন্ত তাঁরা স্থাপনের ২৫ বছর পর বিদ্যালয় ক্যাম্পাস স্থানান্তর করে নিয়ে গেছেন নিজেদের বাড়ির দরজায়।
মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি) এই স্থানান্তর অবৈধ ঘোষণা করে তিন কার্যদিবসের মধ্যে স্কুলটি আগের নির্ধারিত স্থানে ফিরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দেয়। কিন্তু প্রধান শিক্ষক মামলা দেওয়ায় মাউশির এ সিদ্ধান্ত আটকে গেছে।
অপরদিকে স্কুলটির ম্যানেজিং কমিটি অবৈধ হওয়ায় শিক্ষা বোর্ড স্থগিত করলেও সেখানেও মামলা করা হয়েছে। বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলার ঐতিহ্যবাহী জিপিএস মাধ্যমিক বিদ্যালয়টি এভাবে পারিবারিক প্রতিষ্ঠানে পরিণত হওয়ায় এখানকার শিক্ষা কার্যক্রম ধ্বংসের মুখে পড়েছে বলে দাবি স্থানীয় বাসিন্দাদের।
জানা যায়, ১৯৯৭ সালে বাকেরগঞ্জের দুধল ইউপির সুন্দরকাঠী গ্রামে স্থাপন করা হয় জিপিএস মাধ্যমিক বিদ্যালয়। ২০১৯ সালে এটি এমপিওভুক্ত হলেও কর্তৃপক্ষের অবহেলায় জরাজীর্ণ টিনের ঘরে পাঠদান চলছিল। এর মধ্যে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আহসান হাবিব মোল্লা ও তাঁর ভাইয়েরা স্কুল ক্যাম্পাস স্থানান্তর করে গোমা এলাকায় নিজেদের বাড়ির পাশে ভবন করে নতুন ক্যাম্পাস করেন। চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে সেখানে পাঠদান শুরু হলেও সরকারের অনুমতি নেওয়া হয়নি। এর পরিপ্রেক্ষিতে গত ২২ ফেব্রুয়ারি মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক স্বাক্ষরিত এক পত্রে উল্লেখ করা হয়, ‘জিপিএস মাধ্যমিক বিদ্যালয়টি প্রধান শিক্ষক কর্তৃক অবৈধভাবে স্থানান্তর করায় তিন কার্যদিবসের মধ্যে পূর্বের নির্ধারিত স্থানে স্থানান্তর ও শ্রেণি পাঠদান পরিচালনার নির্দেশ দেওয়া হলো।’ মাউশির এ আদেশ উচ্চ আদালতে রিট করে স্থগিত করেন প্রধান শিক্ষক।
বরিশাল শিক্ষা বোর্ডের সদ্য সাবেক চেয়ারম্যান প্রফেসর মোহাম্মদ ইউনুস বলেন, জিপিএস মাধ্যমিক বিদ্যালয়টির ক্যাম্পাস অনুমতি না নিয়েই স্থানান্তর করেন প্রধান শিক্ষক। প্রতিষ্ঠানের সভাপতিও তাঁর ভাইয়েরা। শিক্ষাগত যোগ্যতায় ত্রুটি থাকায় প্রধান শিক্ষকের এমপিও হয়নি। মাউশি তিন কার্যদিবসের মধ্যে স্কুল মূল ক্যাম্পাসে নিয়ে আসতে বললে উচ্চ আদালতে মামলা করা হয়েছে। ম্যানেজিং কমিটিতেও অনিয়ম করায় বোর্ড তা স্থগিত করে। তবে এ ক্ষেত্রেও মামলা করা হয়েছে।
প্রধান শিক্ষক মো. আহসান হাবিব মোল্লা জানান, চলতি বছরের জানুয়ারিতে তাঁরা প্রতিষ্ঠানের ক্যাম্পাস স্থানান্তর করে গোমায় তাঁর পারিবারিক জমিতে এনেছেন। প্রথম ক্যাম্পাসের দাতা জমি কম দেওয়ায় এটি স্থানান্তর করতে হয়েছে। মাউশি যে নির্দেশনা দিয়েছিল তা উচ্চ আদালত স্থগিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘স্কুল আমরাই প্রতিষ্ঠা করছি। তাহলে ভাইয়েরা মিলে পরিচালনা করব না, কে করবেন?’ ম্যানেজিং কমিটি শিক্ষা বোর্ডের বাতিল করা প্রসঙ্গে জানান, এ ক্ষেত্রেও উচ্চ আদালতে গিয়েছেন। রিট করায় তাঁরও এমপিও হয়ে যাবে।
মূল ক্যাম্পাসের দাতা সদস্য অলি আহাদ জানান, তাঁদের ক্যাম্পাসের জমি রয়েছে প্রায় দেড় একর।
প্রস্তাবিত কমিটির সভাপতি ও প্রধান শিক্ষকর ছোট ভাই মো. মহসীন মোল্লা জানিয়েছেন, প্রথম ক্যাম্পাসে জমি ছিল ২৫ শতাংশ। সেখানে গরুর হাট বসে। তাঁরা বাড়ির সামনে স্কুলের নামে জমি দান করেছেন। মাউশির আদেশের বিরুদ্ধে আদালতে রিট করেছেন। বিদ্যালয়ের অ্যাডহক কমিটির সভাপতি ছিলেন বড় ভাই আনোয়ার হোসেন মোল্লা।
ইউপি সদস্য কামরুল ইসলাম জানান, জিপিএস মাধ্যমিক বিদ্যালয়টির নামকরণ করা হয়েছে তিনটি এলাকা যথাক্রমে গোমা, পিলখানা, সুন্দরকাঠী নিয়ে। এলাকাবাসীর উদ্যোগে স্কুলটি সুন্দরকাঠীতে প্রতিষ্ঠিত হয়। সরকার এখানেই এর এমপিও স্বীকৃতি দিয়েছে। প্রধান শিক্ষক এটিকে গায়ের জোরে নিজের বাড়ির পাশে স্থানান্তর করায় ছাত্রছাত্রী কমছে।
বাকেরগঞ্জের ইউএনও সজল চন্দ্র শীলকে ফোন দেওয়া হলেও ধরেননি।
তিন ভাই মিলেমিশে একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয় দখল করে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এক ভাই এমপিওবিহীন প্রধান শিক্ষক, অন্য দুই ভাই পালাক্রমে থাকছেন সভাপতি।
শেষ পর্যন্ত তাঁরা স্থাপনের ২৫ বছর পর বিদ্যালয় ক্যাম্পাস স্থানান্তর করে নিয়ে গেছেন নিজেদের বাড়ির দরজায়।
মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি) এই স্থানান্তর অবৈধ ঘোষণা করে তিন কার্যদিবসের মধ্যে স্কুলটি আগের নির্ধারিত স্থানে ফিরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দেয়। কিন্তু প্রধান শিক্ষক মামলা দেওয়ায় মাউশির এ সিদ্ধান্ত আটকে গেছে।
অপরদিকে স্কুলটির ম্যানেজিং কমিটি অবৈধ হওয়ায় শিক্ষা বোর্ড স্থগিত করলেও সেখানেও মামলা করা হয়েছে। বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলার ঐতিহ্যবাহী জিপিএস মাধ্যমিক বিদ্যালয়টি এভাবে পারিবারিক প্রতিষ্ঠানে পরিণত হওয়ায় এখানকার শিক্ষা কার্যক্রম ধ্বংসের মুখে পড়েছে বলে দাবি স্থানীয় বাসিন্দাদের।
জানা যায়, ১৯৯৭ সালে বাকেরগঞ্জের দুধল ইউপির সুন্দরকাঠী গ্রামে স্থাপন করা হয় জিপিএস মাধ্যমিক বিদ্যালয়। ২০১৯ সালে এটি এমপিওভুক্ত হলেও কর্তৃপক্ষের অবহেলায় জরাজীর্ণ টিনের ঘরে পাঠদান চলছিল। এর মধ্যে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আহসান হাবিব মোল্লা ও তাঁর ভাইয়েরা স্কুল ক্যাম্পাস স্থানান্তর করে গোমা এলাকায় নিজেদের বাড়ির পাশে ভবন করে নতুন ক্যাম্পাস করেন। চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে সেখানে পাঠদান শুরু হলেও সরকারের অনুমতি নেওয়া হয়নি। এর পরিপ্রেক্ষিতে গত ২২ ফেব্রুয়ারি মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক স্বাক্ষরিত এক পত্রে উল্লেখ করা হয়, ‘জিপিএস মাধ্যমিক বিদ্যালয়টি প্রধান শিক্ষক কর্তৃক অবৈধভাবে স্থানান্তর করায় তিন কার্যদিবসের মধ্যে পূর্বের নির্ধারিত স্থানে স্থানান্তর ও শ্রেণি পাঠদান পরিচালনার নির্দেশ দেওয়া হলো।’ মাউশির এ আদেশ উচ্চ আদালতে রিট করে স্থগিত করেন প্রধান শিক্ষক।
বরিশাল শিক্ষা বোর্ডের সদ্য সাবেক চেয়ারম্যান প্রফেসর মোহাম্মদ ইউনুস বলেন, জিপিএস মাধ্যমিক বিদ্যালয়টির ক্যাম্পাস অনুমতি না নিয়েই স্থানান্তর করেন প্রধান শিক্ষক। প্রতিষ্ঠানের সভাপতিও তাঁর ভাইয়েরা। শিক্ষাগত যোগ্যতায় ত্রুটি থাকায় প্রধান শিক্ষকের এমপিও হয়নি। মাউশি তিন কার্যদিবসের মধ্যে স্কুল মূল ক্যাম্পাসে নিয়ে আসতে বললে উচ্চ আদালতে মামলা করা হয়েছে। ম্যানেজিং কমিটিতেও অনিয়ম করায় বোর্ড তা স্থগিত করে। তবে এ ক্ষেত্রেও মামলা করা হয়েছে।
প্রধান শিক্ষক মো. আহসান হাবিব মোল্লা জানান, চলতি বছরের জানুয়ারিতে তাঁরা প্রতিষ্ঠানের ক্যাম্পাস স্থানান্তর করে গোমায় তাঁর পারিবারিক জমিতে এনেছেন। প্রথম ক্যাম্পাসের দাতা জমি কম দেওয়ায় এটি স্থানান্তর করতে হয়েছে। মাউশি যে নির্দেশনা দিয়েছিল তা উচ্চ আদালত স্থগিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘স্কুল আমরাই প্রতিষ্ঠা করছি। তাহলে ভাইয়েরা মিলে পরিচালনা করব না, কে করবেন?’ ম্যানেজিং কমিটি শিক্ষা বোর্ডের বাতিল করা প্রসঙ্গে জানান, এ ক্ষেত্রেও উচ্চ আদালতে গিয়েছেন। রিট করায় তাঁরও এমপিও হয়ে যাবে।
মূল ক্যাম্পাসের দাতা সদস্য অলি আহাদ জানান, তাঁদের ক্যাম্পাসের জমি রয়েছে প্রায় দেড় একর।
প্রস্তাবিত কমিটির সভাপতি ও প্রধান শিক্ষকর ছোট ভাই মো. মহসীন মোল্লা জানিয়েছেন, প্রথম ক্যাম্পাসে জমি ছিল ২৫ শতাংশ। সেখানে গরুর হাট বসে। তাঁরা বাড়ির সামনে স্কুলের নামে জমি দান করেছেন। মাউশির আদেশের বিরুদ্ধে আদালতে রিট করেছেন। বিদ্যালয়ের অ্যাডহক কমিটির সভাপতি ছিলেন বড় ভাই আনোয়ার হোসেন মোল্লা।
ইউপি সদস্য কামরুল ইসলাম জানান, জিপিএস মাধ্যমিক বিদ্যালয়টির নামকরণ করা হয়েছে তিনটি এলাকা যথাক্রমে গোমা, পিলখানা, সুন্দরকাঠী নিয়ে। এলাকাবাসীর উদ্যোগে স্কুলটি সুন্দরকাঠীতে প্রতিষ্ঠিত হয়। সরকার এখানেই এর এমপিও স্বীকৃতি দিয়েছে। প্রধান শিক্ষক এটিকে গায়ের জোরে নিজের বাড়ির পাশে স্থানান্তর করায় ছাত্রছাত্রী কমছে।
বাকেরগঞ্জের ইউএনও সজল চন্দ্র শীলকে ফোন দেওয়া হলেও ধরেননি।
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
২ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৯ দিন আগে