সাবিত আল হাসান, নারায়ণগঞ্জ
নারায়ণগঞ্জের মধ্য দিয়ে প্রবহমান নদীগুলোর মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ শীতলক্ষ্যা। বলা যায়, নারায়ণগঞ্জকে সমৃদ্ধ করেছে এই নদীটি। ব্যবসা-বাণিজ্য থেকে শুরু করে অর্থনীতিতে এর অবদান অনস্বীকার্য। এই নদীকে দখল আর দূষণের দিকে ঠেলে দেওয়ার খবর বেশ পুরোনো। নতুন করে নদীতে চলা বাল্কহেড ও জাহাজগুলোর সঙ্গে নৌকা-ট্রলারের সংঘর্ষে প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা। এর বাইরেও আনাড়ি চালকদের হাতে নৌকা ও ট্রলার পরিচালিত হওয়ায় প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে নদী পার হচ্ছে যাত্রীরা।
পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, শুষ্ক মৌসুমে এই নদীতে দুর্ঘটনার হার বেশি। অর্থাৎ নদী যখন সংকুচিত হয়ে আসে তখনই দুর্ঘটনা বেশি ঘটে। যদিও বেপরোয়া বাল্কহেড ও জাহাজ চলাচলের কারণে সারা বছরই আতঙ্কে থাকে যাত্রীরা। তার ওপর অধিক যাত্রী পরিবহনের কারণে ট্রলার ও নৌকাচালকদের নিয়েও থাকে ব্যাপক অসন্তোষ।
তবে একের পর এক দুর্ঘটনা ঘটলেও এর কোনোটিই স্থায়ী সমাধান এনে দিতে পারেননি প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিরা। সারা বছর নদীর শহর-বন্দর অংশে নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির কার্যক্রম থাকলেও তাদের বিরুদ্ধে রয়েছে চাঁদাবাজির অভিযোগ। নদীতে বাল্কহেড আটক, জরিমানা কিংবা অবৈধ পণ্য জব্দের মতো ঘটনা ঘটছেই। দিনে দিনে শীতলক্ষ্যার নৌপথ অনিরাপদ হয়ে উঠলেও পুলিশের ভূমিকা একেবারেই নির্বিকার বলে অভিযোগ অনেকের।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গত বছর থেকে চলতি বছরের মার্চ পর্যন্ত শীতলক্ষ্যা নদীর শুধু শহর-বন্দর অংশে নৌ দুর্ঘটনা ঘটেছে ৮টি। এর কোনোটি প্রাণহানি আবার কোনোটি প্রাণহানি সম্ভাব্য দুর্ঘটনা ছিল।
২০২১ সালের ১৮ জানুয়ারি হাজীগঞ্জ নবীগঞ্জ ট্রলার ঘাটে বেপরোয়া গতিতে ট্রলার ঘোরানোর সময় সাদ্দাম হোসেন নামে এক পোশাকশ্রমিক পানিতে তলিয়ে যান। পানিতে তলিয়ে যাওয়ার আগে ট্রলারের পাখার সঙ্গে তাঁর মাথায় আঘাত লাগে। পরে তাঁর মরদেহ শীতলক্ষ্যা থেকে উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল।
একই মাসের ২৭ জানুয়ারি নবীগঞ্জ ঘাটে ভারসাম্য হারিয়ে ফেলে যাত্রীবাহী ট্রলার। এ সময় বেশ কয়েকজন যাত্রী ট্রলার থেকে ছিটকে নদীতে পড়ে যায়। পানিতে পড়ে কয়েকজন যাত্রী আহত হলেও সেই যাত্রায় কেউ মারা যায়নি।
গত বছরের ৪ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যায় নৌ দুর্ঘটনার দুঃখজনক ইতিহাস রচিত হয়। এদিন সন্ধ্যায় শীতলক্ষ্যার কয়লাঘাট এলাকায় মুন্সিগঞ্জগামী যাত্রীবাহী লঞ্চ সাবিত আল হাসানকে ধাক্কা দিয়ে ডুবিয়ে দেয় কার্গো জাহাজ এসকেএল ৩। এই দুর্ঘটনায় পতিত হয়ে ৩৪ জন যাত্রী মারা যায়। ঘটনার পর একাধিক তদন্ত কমিটি গঠিত হয় এবং সেসব কমিটি স্ব-স্ব দপ্তরে প্রতিবেদন জমা দেয়। সেখানে বেশ কয়েকটি সুপারিশ করা হলেও তা আজ পর্যন্ত আলোর মুখ দেখেনি।
গত বছরের ২৪ মে সেন্ট্রাল খেয়াঘাট থেকে ছেড়ে আসা একটি ট্রলারকে ধাক্কা দিয়ে ডুবিয়ে দেয় বাল্কহেড। এ ঘটনায় ডুবে যায় যাত্রীবাহী ট্রলারটি। প্রায় ৩০-৩৫ জন যাত্রী নিয়ে পারাপার হওয়া ট্রলারের সব যাত্রী নদীতে পড়ে গেলেও সেই যাত্রায় প্রাণহানির ঘটনা ঘটেনি।
একই বছরের ১৪ আগস্ট শীতলক্ষ্যার হাজীগঞ্জ নবীগঞ্জ ফেরি রুটে ফেরিকে ধাক্কা দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। বালুবাহী বাল্কহেড মেরাজ ৩ নামের একটি বাল্কহেড ফেরিকে ধাক্কা দিয়ে তার ইঞ্জিন রুম ক্ষতিগ্রস্ত করে। এ ঘটনায় বড় কোনো ক্ষতি না হলেও ফেরিতে থাকা বেশ কয়েকটি মোটরসাইকেল নিচে পড়ে যায়। যাত্রীরা হয়ে পড়ে আতঙ্কিত।
বছরের ২৭ অক্টোবর সন্ধ্যায় শীতলক্ষ্যার হাজীগঞ্জ নবীগঞ্জ খেয়াঘাটে জাহাজের ধাক্কায় যাত্রীবাহী নৌকাডুবির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় আহত হন ৪ জন। দুর্ঘটনার শিকার কনিকা বলেন, ‘রাতে নবীগঞ্জ থেকে ইঞ্জিনচালিত নৌকায় করে নদীর পশ্চিম দিকে হাজীগঞ্জ ঘাটে ফিরছিলাম। এ সময় বেপরোয়া গতির একটি জাহাজ ধাক্কা দিয়ে নৌকাটি ডুবিয়ে দেয়। এতে মাঝিসহ আমরা সবাই নদীতে পড়ে যাই। আমাদের অনেকে সাঁতার না জানলেও দ্রুত আশপাশের ট্রলার নৌকা এগিয়ে আসায় প্রাণে বেঁচে যাই।’
গত ১৬ নভেম্বর সেন্ট্রাল খেয়াঘাট এলাকায় দুই নৌকার বেপরোয়া চলাচলের কারণে মাঝনদীতে ধাক্কা লেগে নদীতে ছিটকে পড়েন দুই যাত্রী। এ ঘটনায় আতঙ্কে জ্ঞান হারান একজন যাত্রী। ঘটনার বিবরণ দিয়ে যাত্রী নাসরিন বলেন, ‘আমি চাষাঢ়া থেকে ডাক্তার দেখিয়ে বন্দরে ফিরছিলাম। নদী পারাপারের সময় দ্রুতগতিতে আসা একটি নৌকা মাঝনদীতে আমাদের ধাক্কা দেয়। আমি ধাক্কায় ব্যালান্স হারিয়ে পড়ে যাই। সাঁতার না জানলেও আশপাশের নৌকা দ্রুত আমাকে উদ্ধার করে। যদি তারা না তুলত তাহলে আজকে কী হতো জানি না।’
সবশেষ চলতি বছরের ৫ মার্চ বাল্কহেডের ধাক্কায় দুইটি নৌকাডুবির ঘটনা ঘটে। এতে প্রায় ২০-২৫ জন যাত্রী নদীতে পড়ে যায়। আশপাশের নৌকা ও ট্রলারের মাধ্যমে যাত্রীরা রক্ষা পেলেও রাহিমা আক্তার (১৭) নামে এক যাত্রী নিখোঁজ হয়। পরে সোমবার তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় বাল্কহেডের বিরুদ্ধে মামলা করলে চারজনকে গ্রেপ্তার করে নৌ-পুলিশ।
একের পর এক দুর্ঘটনা বেড়ে চলার কারণ জানতে চাইলে নৌ-পুলিশের পরিদর্শক মনিরুজ্জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সত্য বলতে নদীটা অনেক বেশি সংকুচিত হয়ে পড়েছে। তা ছাড়া শুষ্ক মৌসুমে নদীর প্রস্থ কমে যাওয়ায় মাঝনদীতে চাপ বেড়েছে। এ ছাড়া বাল্কহেডগুলো দ্রুতগতিতে চলে। কিন্তু আমাদের কাছে গতি পরিমাপক যন্ত্র নেই যে, আমরা পরিমাপ করব নৌযানগুলো কত নটিক্যাল মাইলে চলছে। তবে এমন পরিস্থিতিতে আমরা বাল্কহেড মালিক সমিতির সঙ্গে বৈঠক করছি, যাতে এই অংশে ধীরে ধীরে নৌযান চালায়।’
নারায়ণগঞ্জের মধ্য দিয়ে প্রবহমান নদীগুলোর মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ শীতলক্ষ্যা। বলা যায়, নারায়ণগঞ্জকে সমৃদ্ধ করেছে এই নদীটি। ব্যবসা-বাণিজ্য থেকে শুরু করে অর্থনীতিতে এর অবদান অনস্বীকার্য। এই নদীকে দখল আর দূষণের দিকে ঠেলে দেওয়ার খবর বেশ পুরোনো। নতুন করে নদীতে চলা বাল্কহেড ও জাহাজগুলোর সঙ্গে নৌকা-ট্রলারের সংঘর্ষে প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা। এর বাইরেও আনাড়ি চালকদের হাতে নৌকা ও ট্রলার পরিচালিত হওয়ায় প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে নদী পার হচ্ছে যাত্রীরা।
পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, শুষ্ক মৌসুমে এই নদীতে দুর্ঘটনার হার বেশি। অর্থাৎ নদী যখন সংকুচিত হয়ে আসে তখনই দুর্ঘটনা বেশি ঘটে। যদিও বেপরোয়া বাল্কহেড ও জাহাজ চলাচলের কারণে সারা বছরই আতঙ্কে থাকে যাত্রীরা। তার ওপর অধিক যাত্রী পরিবহনের কারণে ট্রলার ও নৌকাচালকদের নিয়েও থাকে ব্যাপক অসন্তোষ।
তবে একের পর এক দুর্ঘটনা ঘটলেও এর কোনোটিই স্থায়ী সমাধান এনে দিতে পারেননি প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিরা। সারা বছর নদীর শহর-বন্দর অংশে নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির কার্যক্রম থাকলেও তাদের বিরুদ্ধে রয়েছে চাঁদাবাজির অভিযোগ। নদীতে বাল্কহেড আটক, জরিমানা কিংবা অবৈধ পণ্য জব্দের মতো ঘটনা ঘটছেই। দিনে দিনে শীতলক্ষ্যার নৌপথ অনিরাপদ হয়ে উঠলেও পুলিশের ভূমিকা একেবারেই নির্বিকার বলে অভিযোগ অনেকের।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গত বছর থেকে চলতি বছরের মার্চ পর্যন্ত শীতলক্ষ্যা নদীর শুধু শহর-বন্দর অংশে নৌ দুর্ঘটনা ঘটেছে ৮টি। এর কোনোটি প্রাণহানি আবার কোনোটি প্রাণহানি সম্ভাব্য দুর্ঘটনা ছিল।
২০২১ সালের ১৮ জানুয়ারি হাজীগঞ্জ নবীগঞ্জ ট্রলার ঘাটে বেপরোয়া গতিতে ট্রলার ঘোরানোর সময় সাদ্দাম হোসেন নামে এক পোশাকশ্রমিক পানিতে তলিয়ে যান। পানিতে তলিয়ে যাওয়ার আগে ট্রলারের পাখার সঙ্গে তাঁর মাথায় আঘাত লাগে। পরে তাঁর মরদেহ শীতলক্ষ্যা থেকে উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল।
একই মাসের ২৭ জানুয়ারি নবীগঞ্জ ঘাটে ভারসাম্য হারিয়ে ফেলে যাত্রীবাহী ট্রলার। এ সময় বেশ কয়েকজন যাত্রী ট্রলার থেকে ছিটকে নদীতে পড়ে যায়। পানিতে পড়ে কয়েকজন যাত্রী আহত হলেও সেই যাত্রায় কেউ মারা যায়নি।
গত বছরের ৪ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যায় নৌ দুর্ঘটনার দুঃখজনক ইতিহাস রচিত হয়। এদিন সন্ধ্যায় শীতলক্ষ্যার কয়লাঘাট এলাকায় মুন্সিগঞ্জগামী যাত্রীবাহী লঞ্চ সাবিত আল হাসানকে ধাক্কা দিয়ে ডুবিয়ে দেয় কার্গো জাহাজ এসকেএল ৩। এই দুর্ঘটনায় পতিত হয়ে ৩৪ জন যাত্রী মারা যায়। ঘটনার পর একাধিক তদন্ত কমিটি গঠিত হয় এবং সেসব কমিটি স্ব-স্ব দপ্তরে প্রতিবেদন জমা দেয়। সেখানে বেশ কয়েকটি সুপারিশ করা হলেও তা আজ পর্যন্ত আলোর মুখ দেখেনি।
গত বছরের ২৪ মে সেন্ট্রাল খেয়াঘাট থেকে ছেড়ে আসা একটি ট্রলারকে ধাক্কা দিয়ে ডুবিয়ে দেয় বাল্কহেড। এ ঘটনায় ডুবে যায় যাত্রীবাহী ট্রলারটি। প্রায় ৩০-৩৫ জন যাত্রী নিয়ে পারাপার হওয়া ট্রলারের সব যাত্রী নদীতে পড়ে গেলেও সেই যাত্রায় প্রাণহানির ঘটনা ঘটেনি।
একই বছরের ১৪ আগস্ট শীতলক্ষ্যার হাজীগঞ্জ নবীগঞ্জ ফেরি রুটে ফেরিকে ধাক্কা দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। বালুবাহী বাল্কহেড মেরাজ ৩ নামের একটি বাল্কহেড ফেরিকে ধাক্কা দিয়ে তার ইঞ্জিন রুম ক্ষতিগ্রস্ত করে। এ ঘটনায় বড় কোনো ক্ষতি না হলেও ফেরিতে থাকা বেশ কয়েকটি মোটরসাইকেল নিচে পড়ে যায়। যাত্রীরা হয়ে পড়ে আতঙ্কিত।
বছরের ২৭ অক্টোবর সন্ধ্যায় শীতলক্ষ্যার হাজীগঞ্জ নবীগঞ্জ খেয়াঘাটে জাহাজের ধাক্কায় যাত্রীবাহী নৌকাডুবির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় আহত হন ৪ জন। দুর্ঘটনার শিকার কনিকা বলেন, ‘রাতে নবীগঞ্জ থেকে ইঞ্জিনচালিত নৌকায় করে নদীর পশ্চিম দিকে হাজীগঞ্জ ঘাটে ফিরছিলাম। এ সময় বেপরোয়া গতির একটি জাহাজ ধাক্কা দিয়ে নৌকাটি ডুবিয়ে দেয়। এতে মাঝিসহ আমরা সবাই নদীতে পড়ে যাই। আমাদের অনেকে সাঁতার না জানলেও দ্রুত আশপাশের ট্রলার নৌকা এগিয়ে আসায় প্রাণে বেঁচে যাই।’
গত ১৬ নভেম্বর সেন্ট্রাল খেয়াঘাট এলাকায় দুই নৌকার বেপরোয়া চলাচলের কারণে মাঝনদীতে ধাক্কা লেগে নদীতে ছিটকে পড়েন দুই যাত্রী। এ ঘটনায় আতঙ্কে জ্ঞান হারান একজন যাত্রী। ঘটনার বিবরণ দিয়ে যাত্রী নাসরিন বলেন, ‘আমি চাষাঢ়া থেকে ডাক্তার দেখিয়ে বন্দরে ফিরছিলাম। নদী পারাপারের সময় দ্রুতগতিতে আসা একটি নৌকা মাঝনদীতে আমাদের ধাক্কা দেয়। আমি ধাক্কায় ব্যালান্স হারিয়ে পড়ে যাই। সাঁতার না জানলেও আশপাশের নৌকা দ্রুত আমাকে উদ্ধার করে। যদি তারা না তুলত তাহলে আজকে কী হতো জানি না।’
সবশেষ চলতি বছরের ৫ মার্চ বাল্কহেডের ধাক্কায় দুইটি নৌকাডুবির ঘটনা ঘটে। এতে প্রায় ২০-২৫ জন যাত্রী নদীতে পড়ে যায়। আশপাশের নৌকা ও ট্রলারের মাধ্যমে যাত্রীরা রক্ষা পেলেও রাহিমা আক্তার (১৭) নামে এক যাত্রী নিখোঁজ হয়। পরে সোমবার তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় বাল্কহেডের বিরুদ্ধে মামলা করলে চারজনকে গ্রেপ্তার করে নৌ-পুলিশ।
একের পর এক দুর্ঘটনা বেড়ে চলার কারণ জানতে চাইলে নৌ-পুলিশের পরিদর্শক মনিরুজ্জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সত্য বলতে নদীটা অনেক বেশি সংকুচিত হয়ে পড়েছে। তা ছাড়া শুষ্ক মৌসুমে নদীর প্রস্থ কমে যাওয়ায় মাঝনদীতে চাপ বেড়েছে। এ ছাড়া বাল্কহেডগুলো দ্রুতগতিতে চলে। কিন্তু আমাদের কাছে গতি পরিমাপক যন্ত্র নেই যে, আমরা পরিমাপ করব নৌযানগুলো কত নটিক্যাল মাইলে চলছে। তবে এমন পরিস্থিতিতে আমরা বাল্কহেড মালিক সমিতির সঙ্গে বৈঠক করছি, যাতে এই অংশে ধীরে ধীরে নৌযান চালায়।’
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
১ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৯ দিন আগে