এস এম নূর মোহাম্মদ, ঢাকা
মুক্তিযুদ্ধের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারের জন্য ২০১০ সালের ২৫ মার্চ গঠন করা হয় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। দেখতে দেখতে এক যুগ পার করছে মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারকাজ। এক যুগে ৪৪টি মামলার রায় দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল। দীর্ঘ সময়ের কাজের প্রাপ্তিতে সন্তুষ্ট বিচারকাজের সঙ্গে যুক্ত তদন্ত সংস্থা ও প্রসিকিউশনের সদস্যরা। যদিও বর্তমানে বিচারকাজ চলছে কিছুটা ধীরগতিতে।
ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর মুখলেছুর রহমান বাদল বলেন, ‘এক যুগে ৪৪টি মামলার রায় হয়েছে। আপিল বিভাগে বেশ কয়েকটি মামলা নিষ্পত্তি করে রায়ও কার্যকর করা হয়েছে। তাই এই অর্জনে আমরা খুবই সন্তুষ্ট। আমাদের কোনো হতাশা নেই। প্রত্যাশা অনুযায়ী প্রাপ্তি অনেক।’ বিচারে ধীরগতির বিষয়ে তিনি বলেন, করোনার সময় একজন বিচারপতি মারা গেছেন। এরপর ট্রাইব্যুনাল পুনর্গঠন হতে সময় লেগেছে। তাতে একটু ধীরগতি ছিল। তবে সামনে বিচারকাজ আরও বাড়বে।
ট্রাইব্যুনালে বিচারপ্রক্রিয়া শুরুর পর প্রথম রায় আসে ২০১৩ সালের ২১ জানুয়ারি। মামলার সংখ্যা বাড়ায় ২০১২ সালের ২২ মার্চ ট্রাইব্যুনাল-২ নামে আরেকটি ট্রাইব্যুনাল গঠন করা হয়। তবে ২০১৫ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর থেকে একটি ট্রাইব্যুনাল সক্রিয় রয়েছে। গত এক যুগে দুই ট্রাইব্যুনাল থেকে মোট ৪৪টি মামলার রায় এসেছে। ট্রাইব্যুনাল-১ থেকে এসেছে ৩২টি এবং ট্রাইব্যুনাল-২ থেকে এসেছে ১২টি মামলার রায়। এর মধ্যে ২০১৩ সালে ৯টি, ২০১৪ সালে ৬টি, ২০১৫ সালে ৬টি, ২০১৬ সালে ৬টি, ২০১৭ সালে ২টি, ২০১৮ সালে ৬টি, ২০১৯ সালে ৬টি, ২০২১ সালে ২টি এবং চলতি বছরে গতকাল একটি মামলার রায় ঘোষণা করা হয়। বর্তমানে ট্রাইব্যুনালে বিচার চলছে ৪০টি মামলার।
এদিকে ট্রাইব্যুনালে রায়ের পর ৯টি মামলা চূড়ান্ত নিষ্পত্তি হয়েছে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে। আর আপিল নিষ্পত্তির পর ফাঁসি কার্যকর করা হয়েছে ছয় আসামির। তাঁরা হলেন জামায়াত নেতা আবদুল কাদের মোল্লা, মুহাম্মদ কামারুজ্জামান, আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ, মতিউর রহমান নিজামী, মীর কাসেম আলী এবং বিএনপির নেতা সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী। আর বর্তমানে ২৭ আসামির করা আপিল নিষ্পত্তির অপেক্ষায় রয়েছে সর্বোচ্চ আদালতে।
গত এক যুগে ৮১টি মামলার তদন্ত শেষ করেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা। বর্তমানে তদন্ত চলছে ২৪টি মামলার। এ ছাড়া আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের আইনে পড়ে না এমন ১৪৯টি অভিযোগ তালিকাভুক্ত করা হয়। যেগুলোতে মামলা করার মতো কোনো উপাদান খুঁজে পায়নি তদন্ত সংস্থা।
বিচার শেষ হয়েছে এবং তদন্ত ও বিচার চলছে এ রকম ১৬২ আসামি এখনো পলাতক। এর মধ্যে ৩৭ জন মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত। যদিও পলাতক অবস্থায় অনেকের মারা যাওয়ার খবর পাওয়া যায় মাঝেমধ্যে। ২০১৫ সালে ট্রাইব্যুনালের নির্দেশের পর পলাতক আসামিদের ধরতে মনিটরিং সেল গঠন করা হয়। তবে সেল গঠন হলেও এখনো কাউকেই গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি। বারবার নির্দেশ দেওয়ার পরও পলাতক ব্যক্তিদের গ্রেপ্তারে সফলতা না থাকায় স্বয়ং ট্রাইব্যুনালও একাধিকবার উষ্মা প্রকাশ করেছেন।
জানতে চাইলে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থার প্রধান সমন্বয়ক এম সানাউল হক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘পলাতকদের ধরতে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয় ট্রাইব্যুনাল থেকে। পরোয়ানা কার্যকরের দায়িত্ব আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর। কোনো আসামিকে সরাসরি গ্রেপ্তারের ক্ষমতা আমাদের নেই। সেল হলেও কোনো গ্রেপ্তার নেই–এতে কিছুটা গাফিলতি তো আছেই। তাদের এই বিষয়ে উৎসাহের অভাব।’ তিনি বলেন, ‘সফলতা কতটুকু, সেটা জনগণ বিচার করবে। তবে আমাদের চেষ্টার কোনো ত্রুটি ছিল না। প্রাপ্তিতে আমরা খুশি, হতাশা নেই।’ এর মধ্য দিয়ে বিচারহীনতার সংস্কৃতি থেকে বের হয়ে আসা সম্ভব হয়েছে বলেও মনে করেন তিনি।
প্রসিকিউটর সুলতান মাহমুদ সীমন বলেন, সবচেয়ে বড় অর্জন–‘আমরা মুক্তিযুদ্ধের হারিয়ে যাওয়া ইতিহাস নতুন করে আবিষ্কার করেছি বিচারিক প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে।’ কাজের গতি কমে যাওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, বিচারকেরা অসুস্থ ছিলেন। একজন বিচারক মারা গেছেন। প্রসিকিউটরদের মধ্যেও অনেকে করোনায় আক্রান্ত ছিলেন। একজন প্রসিকিউটর মারাও গেছেন। করোনার সময়ে সবকিছু স্থবির ছিল। এই বিচার ভার্চুয়ালি করা সম্ভব ছিল না। তাই কাজের একটু ধীরগতি হয়েছে। তবে সামনে গতি বাড়বে।
মুক্তিযুদ্ধের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারের জন্য ২০১০ সালের ২৫ মার্চ গঠন করা হয় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। দেখতে দেখতে এক যুগ পার করছে মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারকাজ। এক যুগে ৪৪টি মামলার রায় দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল। দীর্ঘ সময়ের কাজের প্রাপ্তিতে সন্তুষ্ট বিচারকাজের সঙ্গে যুক্ত তদন্ত সংস্থা ও প্রসিকিউশনের সদস্যরা। যদিও বর্তমানে বিচারকাজ চলছে কিছুটা ধীরগতিতে।
ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর মুখলেছুর রহমান বাদল বলেন, ‘এক যুগে ৪৪টি মামলার রায় হয়েছে। আপিল বিভাগে বেশ কয়েকটি মামলা নিষ্পত্তি করে রায়ও কার্যকর করা হয়েছে। তাই এই অর্জনে আমরা খুবই সন্তুষ্ট। আমাদের কোনো হতাশা নেই। প্রত্যাশা অনুযায়ী প্রাপ্তি অনেক।’ বিচারে ধীরগতির বিষয়ে তিনি বলেন, করোনার সময় একজন বিচারপতি মারা গেছেন। এরপর ট্রাইব্যুনাল পুনর্গঠন হতে সময় লেগেছে। তাতে একটু ধীরগতি ছিল। তবে সামনে বিচারকাজ আরও বাড়বে।
ট্রাইব্যুনালে বিচারপ্রক্রিয়া শুরুর পর প্রথম রায় আসে ২০১৩ সালের ২১ জানুয়ারি। মামলার সংখ্যা বাড়ায় ২০১২ সালের ২২ মার্চ ট্রাইব্যুনাল-২ নামে আরেকটি ট্রাইব্যুনাল গঠন করা হয়। তবে ২০১৫ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর থেকে একটি ট্রাইব্যুনাল সক্রিয় রয়েছে। গত এক যুগে দুই ট্রাইব্যুনাল থেকে মোট ৪৪টি মামলার রায় এসেছে। ট্রাইব্যুনাল-১ থেকে এসেছে ৩২টি এবং ট্রাইব্যুনাল-২ থেকে এসেছে ১২টি মামলার রায়। এর মধ্যে ২০১৩ সালে ৯টি, ২০১৪ সালে ৬টি, ২০১৫ সালে ৬টি, ২০১৬ সালে ৬টি, ২০১৭ সালে ২টি, ২০১৮ সালে ৬টি, ২০১৯ সালে ৬টি, ২০২১ সালে ২টি এবং চলতি বছরে গতকাল একটি মামলার রায় ঘোষণা করা হয়। বর্তমানে ট্রাইব্যুনালে বিচার চলছে ৪০টি মামলার।
এদিকে ট্রাইব্যুনালে রায়ের পর ৯টি মামলা চূড়ান্ত নিষ্পত্তি হয়েছে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে। আর আপিল নিষ্পত্তির পর ফাঁসি কার্যকর করা হয়েছে ছয় আসামির। তাঁরা হলেন জামায়াত নেতা আবদুল কাদের মোল্লা, মুহাম্মদ কামারুজ্জামান, আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ, মতিউর রহমান নিজামী, মীর কাসেম আলী এবং বিএনপির নেতা সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী। আর বর্তমানে ২৭ আসামির করা আপিল নিষ্পত্তির অপেক্ষায় রয়েছে সর্বোচ্চ আদালতে।
গত এক যুগে ৮১টি মামলার তদন্ত শেষ করেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা। বর্তমানে তদন্ত চলছে ২৪টি মামলার। এ ছাড়া আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের আইনে পড়ে না এমন ১৪৯টি অভিযোগ তালিকাভুক্ত করা হয়। যেগুলোতে মামলা করার মতো কোনো উপাদান খুঁজে পায়নি তদন্ত সংস্থা।
বিচার শেষ হয়েছে এবং তদন্ত ও বিচার চলছে এ রকম ১৬২ আসামি এখনো পলাতক। এর মধ্যে ৩৭ জন মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত। যদিও পলাতক অবস্থায় অনেকের মারা যাওয়ার খবর পাওয়া যায় মাঝেমধ্যে। ২০১৫ সালে ট্রাইব্যুনালের নির্দেশের পর পলাতক আসামিদের ধরতে মনিটরিং সেল গঠন করা হয়। তবে সেল গঠন হলেও এখনো কাউকেই গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি। বারবার নির্দেশ দেওয়ার পরও পলাতক ব্যক্তিদের গ্রেপ্তারে সফলতা না থাকায় স্বয়ং ট্রাইব্যুনালও একাধিকবার উষ্মা প্রকাশ করেছেন।
জানতে চাইলে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থার প্রধান সমন্বয়ক এম সানাউল হক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘পলাতকদের ধরতে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয় ট্রাইব্যুনাল থেকে। পরোয়ানা কার্যকরের দায়িত্ব আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর। কোনো আসামিকে সরাসরি গ্রেপ্তারের ক্ষমতা আমাদের নেই। সেল হলেও কোনো গ্রেপ্তার নেই–এতে কিছুটা গাফিলতি তো আছেই। তাদের এই বিষয়ে উৎসাহের অভাব।’ তিনি বলেন, ‘সফলতা কতটুকু, সেটা জনগণ বিচার করবে। তবে আমাদের চেষ্টার কোনো ত্রুটি ছিল না। প্রাপ্তিতে আমরা খুশি, হতাশা নেই।’ এর মধ্য দিয়ে বিচারহীনতার সংস্কৃতি থেকে বের হয়ে আসা সম্ভব হয়েছে বলেও মনে করেন তিনি।
প্রসিকিউটর সুলতান মাহমুদ সীমন বলেন, সবচেয়ে বড় অর্জন–‘আমরা মুক্তিযুদ্ধের হারিয়ে যাওয়া ইতিহাস নতুন করে আবিষ্কার করেছি বিচারিক প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে।’ কাজের গতি কমে যাওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, বিচারকেরা অসুস্থ ছিলেন। একজন বিচারক মারা গেছেন। প্রসিকিউটরদের মধ্যেও অনেকে করোনায় আক্রান্ত ছিলেন। একজন প্রসিকিউটর মারাও গেছেন। করোনার সময়ে সবকিছু স্থবির ছিল। এই বিচার ভার্চুয়ালি করা সম্ভব ছিল না। তাই কাজের একটু ধীরগতি হয়েছে। তবে সামনে গতি বাড়বে।
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
১ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৮ দিন আগে