শাকিলা ববি, সিলেট
সিলেট সদর উপজেলার হাটখোলা ইউনিয়নের মো. শামিম আহমদ (৩৪)। ৭ বছর বয়সে তিনি বাবাকে হারান। ফলে আর্থিক সংকটে পড়ে পরিবার। কোনো উপায় না পেয়ে ১৯৯৩ সালে তাঁকে সিলেট শিশু পরিবারে ভর্তি করা হয়। এরপর থেকে তাঁর নতুন জীবনের শুরু হয়।
শিশু পরিবারে থাকাকালে এইচএসসি পর্যন্ত লেখাপড়া করেন। এরপর ২০১৩ সালে সমাজসেবা অফিসে চাকরি হয়। বর্তমানে বিশ্বনাথে ইউনিয়ন সমাজকর্মী হিসেবে কর্মরত আছেন। মা, স্ত্রী, দুই সন্তান ও পরিবারে অন্য সদস্যদের নিয়ে সুখে-শান্তিতে জীবনযাপন করছেন।
শামিমের মতো সিলেট জেলা সমাজসেবার অফিসের অধীনে গরিব ও অসহায় প্রায় ৭ হাজার ছেলে-মেয়ে বেড়ে উঠেছেন। তাঁদের অনেককেই পুনর্বাসন করেছেন সমাজসেবা কার্যালয়। এখন কেউ ব্যবসা করছেন, কেউ সরকারি চাকরি করছেন। অনেকেই সরকারের উচ্চপদে আসীন।
শামিম আহমদ বলেন, ‘শিশু পরিবারের একজন সদস্য হিসেবে আমি গর্বিত। এই পরিবার আমার জীবন পাল্টে দিয়েছে। বাবার মৃত্যুর পর এখানে আমাকে ভর্তি করানো হয়। পরিবারে থাকলে হয়তো লেখাপড়াই করা হতো না। আর ভালো চাকরিও হতো না। আমি সমাজসেবা কার্যালয়ের আছে কৃতজ্ঞ। কারণ তারা অনেক মানুষের জীবনকে সুন্দর করতে কাজ করছে।’
সিলেট সমাজসেবা কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, বাগবাড়ি এলাকায় সরকারি শিশু পরিবারের (বালক) কার্যক্রম শুরু ১৯৫৬ সালে। এরপর বিভিন্ন সময় সরকারি শিশু পরিবার (বালিকা), ছোটমণি নিবাস, শিশু-কিশোরীদের নিরাপদ আবাসন (সেফহোম), প্রতিবন্ধী মেয়েদের প্রশিক্ষণ ও পুনর্বাসনকেন্দ্র, সরকারি বাক্-শ্রবণ প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়, শেখ রাসেল শিশু-কিশোর প্রশিক্ষণ ও পুনর্বাসনকেন্দ্র (বালক), শেখ রাসেল শিশু-কিশোর প্রশিক্ষণ ও পুনর্বাসনকেন্দ্র (বালিকা) প্রতিষ্ঠিত হয়।
এসব প্রতিষ্ঠানে এখন পর্যন্ত নিবন্ধিত হয়েছে ৬ হাজার ৭৮৭ জন। এসব প্রতিষ্ঠানে বর্তমানে ৬০১ জন আছে। এখানে ১ দিন থেকে ১৮ বছর বয়স পর্যন্ত ছেলে-মেয়েদের রাখা হয়। পর্যায়ক্রমে তাদের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে পুনর্বাসিত করা হয়। ১৮ বছর হয়ে গেলেও যাদের যাওয়ার আর কোনো জায়গা থাকে না। সমাজসেবা কার্যালয়ের কর্মকর্তারা তাঁদের বিভিন্ন প্রশিক্ষণের মাধ্যমে পুনর্বাসন করে থাকেন।
এই প্রতিষ্ঠানের নিবাসীদের নির্দিষ্ট বয়স পূর্ণ হওয়ার আগেই কম্পিউটার প্রশিক্ষণ, সেলাই, ড্রাইভিং প্রশিক্ষণ, হোটেল ম্যানেজমেন্ট প্রশিক্ষণ, কারিগরি প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। সর্বশেষ প্রতিষ্ঠানটিতে প্রফেশনাল ক্রিকেট দলের কার্যক্রম শুরু হয়। এই দলের অনেকেই সিলেটসহ ঢাকায় খেলছেন। এর বাইরে সমাজসেবা অফিসের অধীনে প্রবীণ নিবাস (বৃদ্ধাশ্রম) আছে পুরুষ ও মহিলাদের জন্য। দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য আছে সমন্বিত দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী শিক্ষা কার্যক্রম (বালক)।
এ ব্যাপারে জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের উপপরিচালক নিবাস রঞ্জন দাশ বলেন, ‘সমাজসেবা অধিদপ্তরের মাধ্যমে গরিব, অসহায়, নির্যাতিত ছেলে-মেয়েরা বেড়ে উঠছে। তারা যেন এখন থেকে বেড়িয়ে উপার্জন করতে ও পরিবারে ফিরে যেতে পারে, আমরা সেই চেষ্টা করি। এখানে অনেকেই মেধা আর যোগ্যতা দিয়ে সরকারি চাকরিও করছেন।’
নিবাস রঞ্জন আরও বলেন, ‘সমাজসেবা কার্যালয়ের ভালো কাজগুলোর মধ্যে আবাসিক প্রতিষ্ঠানগুলো অন্যতম। এসব প্রতিষ্ঠানে নির্দিষ্ট একটা সময় পর্যন্ত এসব শিশুর লালন-পালন করা হয়। আমাদের লক্ষ্য থাকে এরপর যাতে তারা সমাজে প্রতিষ্ঠিত হতে পারে। মূল ধারায় ফিরে যেতে পারে। সে জন্য আমরা বিভিন্ন প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করে থাকি।’
সিলেট সদর উপজেলার হাটখোলা ইউনিয়নের মো. শামিম আহমদ (৩৪)। ৭ বছর বয়সে তিনি বাবাকে হারান। ফলে আর্থিক সংকটে পড়ে পরিবার। কোনো উপায় না পেয়ে ১৯৯৩ সালে তাঁকে সিলেট শিশু পরিবারে ভর্তি করা হয়। এরপর থেকে তাঁর নতুন জীবনের শুরু হয়।
শিশু পরিবারে থাকাকালে এইচএসসি পর্যন্ত লেখাপড়া করেন। এরপর ২০১৩ সালে সমাজসেবা অফিসে চাকরি হয়। বর্তমানে বিশ্বনাথে ইউনিয়ন সমাজকর্মী হিসেবে কর্মরত আছেন। মা, স্ত্রী, দুই সন্তান ও পরিবারে অন্য সদস্যদের নিয়ে সুখে-শান্তিতে জীবনযাপন করছেন।
শামিমের মতো সিলেট জেলা সমাজসেবার অফিসের অধীনে গরিব ও অসহায় প্রায় ৭ হাজার ছেলে-মেয়ে বেড়ে উঠেছেন। তাঁদের অনেককেই পুনর্বাসন করেছেন সমাজসেবা কার্যালয়। এখন কেউ ব্যবসা করছেন, কেউ সরকারি চাকরি করছেন। অনেকেই সরকারের উচ্চপদে আসীন।
শামিম আহমদ বলেন, ‘শিশু পরিবারের একজন সদস্য হিসেবে আমি গর্বিত। এই পরিবার আমার জীবন পাল্টে দিয়েছে। বাবার মৃত্যুর পর এখানে আমাকে ভর্তি করানো হয়। পরিবারে থাকলে হয়তো লেখাপড়াই করা হতো না। আর ভালো চাকরিও হতো না। আমি সমাজসেবা কার্যালয়ের আছে কৃতজ্ঞ। কারণ তারা অনেক মানুষের জীবনকে সুন্দর করতে কাজ করছে।’
সিলেট সমাজসেবা কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, বাগবাড়ি এলাকায় সরকারি শিশু পরিবারের (বালক) কার্যক্রম শুরু ১৯৫৬ সালে। এরপর বিভিন্ন সময় সরকারি শিশু পরিবার (বালিকা), ছোটমণি নিবাস, শিশু-কিশোরীদের নিরাপদ আবাসন (সেফহোম), প্রতিবন্ধী মেয়েদের প্রশিক্ষণ ও পুনর্বাসনকেন্দ্র, সরকারি বাক্-শ্রবণ প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়, শেখ রাসেল শিশু-কিশোর প্রশিক্ষণ ও পুনর্বাসনকেন্দ্র (বালক), শেখ রাসেল শিশু-কিশোর প্রশিক্ষণ ও পুনর্বাসনকেন্দ্র (বালিকা) প্রতিষ্ঠিত হয়।
এসব প্রতিষ্ঠানে এখন পর্যন্ত নিবন্ধিত হয়েছে ৬ হাজার ৭৮৭ জন। এসব প্রতিষ্ঠানে বর্তমানে ৬০১ জন আছে। এখানে ১ দিন থেকে ১৮ বছর বয়স পর্যন্ত ছেলে-মেয়েদের রাখা হয়। পর্যায়ক্রমে তাদের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে পুনর্বাসিত করা হয়। ১৮ বছর হয়ে গেলেও যাদের যাওয়ার আর কোনো জায়গা থাকে না। সমাজসেবা কার্যালয়ের কর্মকর্তারা তাঁদের বিভিন্ন প্রশিক্ষণের মাধ্যমে পুনর্বাসন করে থাকেন।
এই প্রতিষ্ঠানের নিবাসীদের নির্দিষ্ট বয়স পূর্ণ হওয়ার আগেই কম্পিউটার প্রশিক্ষণ, সেলাই, ড্রাইভিং প্রশিক্ষণ, হোটেল ম্যানেজমেন্ট প্রশিক্ষণ, কারিগরি প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। সর্বশেষ প্রতিষ্ঠানটিতে প্রফেশনাল ক্রিকেট দলের কার্যক্রম শুরু হয়। এই দলের অনেকেই সিলেটসহ ঢাকায় খেলছেন। এর বাইরে সমাজসেবা অফিসের অধীনে প্রবীণ নিবাস (বৃদ্ধাশ্রম) আছে পুরুষ ও মহিলাদের জন্য। দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য আছে সমন্বিত দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী শিক্ষা কার্যক্রম (বালক)।
এ ব্যাপারে জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের উপপরিচালক নিবাস রঞ্জন দাশ বলেন, ‘সমাজসেবা অধিদপ্তরের মাধ্যমে গরিব, অসহায়, নির্যাতিত ছেলে-মেয়েরা বেড়ে উঠছে। তারা যেন এখন থেকে বেড়িয়ে উপার্জন করতে ও পরিবারে ফিরে যেতে পারে, আমরা সেই চেষ্টা করি। এখানে অনেকেই মেধা আর যোগ্যতা দিয়ে সরকারি চাকরিও করছেন।’
নিবাস রঞ্জন আরও বলেন, ‘সমাজসেবা কার্যালয়ের ভালো কাজগুলোর মধ্যে আবাসিক প্রতিষ্ঠানগুলো অন্যতম। এসব প্রতিষ্ঠানে নির্দিষ্ট একটা সময় পর্যন্ত এসব শিশুর লালন-পালন করা হয়। আমাদের লক্ষ্য থাকে এরপর যাতে তারা সমাজে প্রতিষ্ঠিত হতে পারে। মূল ধারায় ফিরে যেতে পারে। সে জন্য আমরা বিভিন্ন প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করে থাকি।’
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৫ ঘণ্টা আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৫ ঘণ্টা আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৫ ঘণ্টা আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
৬ ঘণ্টা আগে