জহুরুল হক, লোহাগড়া (নড়াইল)
নড়াইলের লোহাগড়ায় মধুমতী নদীর ভাঙনে কবলে শালনগর ও জয়পুর ইউনিয়ন। নদীর তীব্র স্রোতে অব্যাহত ভাঙনের ফলে ওই দুই ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রাম নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। নদীর ওপারে ফরিদপুর জেলার আলফাডাঙ্গা উপজেলার টগরবন্দ ও বুড়াইচ ইউনিয়নে আশ্রয় নিয়েছেন ভাঙনকবলিত গ্রামের মানুষ।
সরেজমিনে নদী ভাঙনকবলিত এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, মধুমতী নদীর তীরবর্তী শালনগর ইউনিয়নের রামকান্তপুর, শিয়েরবর গ্রাম ও হাট, চর-আজমপুর, মণ্ডলবাগ, চর-গোপালপুর খেয়াঘাট, চাকশী, নওখোলা মিয়াপাড়া, চরশালনগর, কাশিপুর, মাকড়াইল ও চর-মাকড়াইল, রামচন্দ্রপুর এবং জয়পুর ইউনিয়নের ধানাইড়, চর আড়িয়ারা, আস্তাইল, আমডাঙা, বকজুড়ি, এলাকায় বসতবাড়ি, ফসলি জমি ও পাকা রাস্তা, স্কুল, মসজিদ, মাদ্রাসা মধুমতী নদীতে ভেঙে যাচ্ছে।
এ সব গ্রামের বসবাসকারী মানুষ নদী ভাঙনের ভয়ে তাঁদের ঘরবাড়ি ভেঙে অন্যত্র সরিয়ে নিচ্ছে। বিভিন্ন ধরনের গাছপালা কেটে কম দামে বিক্রি করে দিচ্ছেন। উপজেলার মাকড়াইল গ্রামের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একাংশ ইতিমধ্যে নদীতে ভেঙে গেছে। ওই গ্রামে মধুমতী নদীর পাড়ে অবস্থিত বাংলালিংকের মোবাইল টাওয়ারটি অন্যত্র সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। উপজেলার ঐতিহ্যবাহী শিয়েরবরের হাট রক্ষার জন্য নদীতে বালুর বস্তা (জিও ব্যাগ) ফেলে ভাঙন প্রতিরোধে ব্যবস্থা নেওয়া হলেও সম্প্রতি নদী ভাঙন তীব্র আকার ধারণ করায় ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে হাটটি। একই রকম ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে নওখোলার আল-হেরা দাখিল মাদ্রাসা, চাকশি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও রামচন্দ্রপুর গ্রামের একটি মসজিদ এবং জয়পুর ইউনিয়নের আস্তাইল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও আমডাঙা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ শতাধিক বাড়িঘর ও ফসলি জমি।
নদী ভাঙন কবলিত রামকান্তপুর গ্রামের মো. তাহের শিকদার, মাসুদ মুসল্লি, ধানাইড় গ্রামে মো. মনিরুজ্জামান মনির, মো. মতিয়ার রহমান, বলেন, এ বছর মধুমতী নদী ভেঙে গ্রামের পাকা রাস্তা, বসতবাড়ি গাছপালা ও ফসলি জমি নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। চর-খোলাবাড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা জিন্ন মিয়া, সাত্তার মিয়াসহ অনেকে জানান, ওই গ্রামসহ পাশের নওখোলা, চর-শালনগর, চর-কাশিপুর গ্রামের দুই শতাধিক পরিবার বাড়িঘর সরিয়ে নিয়ে নদীর ওপার বসবাস করছেন। উপজেলার ধানাইড় গ্রামের খন্দকার আজাদ রহমান বলেন, ধানাইড় গ্রামের একটি মসজিদ ও মাদ্রাসা নদী গর্ভে চলে গেছে। নদী ভাঙন কবলিত গ্রামগুলো রক্ষার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে এলাকার মানুষ নিঃস্ব হয়ে যাবে।
এ ব্যাপারে জয়পুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. সাইফুল ইসলাম সুমন বলেন, গত কয়েক বছর যাবৎ মধুমতী নদী ভাঙনের ফলে ইউনিয়নের ধানাইড়, চর-আড়িয়ারা, আস্তাইল, আমডাঙা, বকজুড়ি গ্রামের বেশির ভাগ মানুষ নদীর ওপার গিয়ে বসবাস শুরু করছেন। অন্য ইউনিয়নে বসবাস করায় তাঁরা সেখানকার ভোটার হয়েছেন।
এ বিষয়ে নড়াইল পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী উজ্জ্বল কুমার সেন জানান, নদী ভাঙনের ফলে মানুষ, ঘর-বাড়ী, জমি-জমাসহ জন গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাগুলো ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। সেগুলোর জন্য জরুরি ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ ছাড়া নদী ভাঙনের বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। বরাদ্দ পেলে নদী ভাঙন রোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
নড়াইলের লোহাগড়ায় মধুমতী নদীর ভাঙনে কবলে শালনগর ও জয়পুর ইউনিয়ন। নদীর তীব্র স্রোতে অব্যাহত ভাঙনের ফলে ওই দুই ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রাম নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। নদীর ওপারে ফরিদপুর জেলার আলফাডাঙ্গা উপজেলার টগরবন্দ ও বুড়াইচ ইউনিয়নে আশ্রয় নিয়েছেন ভাঙনকবলিত গ্রামের মানুষ।
সরেজমিনে নদী ভাঙনকবলিত এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, মধুমতী নদীর তীরবর্তী শালনগর ইউনিয়নের রামকান্তপুর, শিয়েরবর গ্রাম ও হাট, চর-আজমপুর, মণ্ডলবাগ, চর-গোপালপুর খেয়াঘাট, চাকশী, নওখোলা মিয়াপাড়া, চরশালনগর, কাশিপুর, মাকড়াইল ও চর-মাকড়াইল, রামচন্দ্রপুর এবং জয়পুর ইউনিয়নের ধানাইড়, চর আড়িয়ারা, আস্তাইল, আমডাঙা, বকজুড়ি, এলাকায় বসতবাড়ি, ফসলি জমি ও পাকা রাস্তা, স্কুল, মসজিদ, মাদ্রাসা মধুমতী নদীতে ভেঙে যাচ্ছে।
এ সব গ্রামের বসবাসকারী মানুষ নদী ভাঙনের ভয়ে তাঁদের ঘরবাড়ি ভেঙে অন্যত্র সরিয়ে নিচ্ছে। বিভিন্ন ধরনের গাছপালা কেটে কম দামে বিক্রি করে দিচ্ছেন। উপজেলার মাকড়াইল গ্রামের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একাংশ ইতিমধ্যে নদীতে ভেঙে গেছে। ওই গ্রামে মধুমতী নদীর পাড়ে অবস্থিত বাংলালিংকের মোবাইল টাওয়ারটি অন্যত্র সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। উপজেলার ঐতিহ্যবাহী শিয়েরবরের হাট রক্ষার জন্য নদীতে বালুর বস্তা (জিও ব্যাগ) ফেলে ভাঙন প্রতিরোধে ব্যবস্থা নেওয়া হলেও সম্প্রতি নদী ভাঙন তীব্র আকার ধারণ করায় ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে হাটটি। একই রকম ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে নওখোলার আল-হেরা দাখিল মাদ্রাসা, চাকশি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও রামচন্দ্রপুর গ্রামের একটি মসজিদ এবং জয়পুর ইউনিয়নের আস্তাইল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও আমডাঙা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ শতাধিক বাড়িঘর ও ফসলি জমি।
নদী ভাঙন কবলিত রামকান্তপুর গ্রামের মো. তাহের শিকদার, মাসুদ মুসল্লি, ধানাইড় গ্রামে মো. মনিরুজ্জামান মনির, মো. মতিয়ার রহমান, বলেন, এ বছর মধুমতী নদী ভেঙে গ্রামের পাকা রাস্তা, বসতবাড়ি গাছপালা ও ফসলি জমি নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। চর-খোলাবাড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা জিন্ন মিয়া, সাত্তার মিয়াসহ অনেকে জানান, ওই গ্রামসহ পাশের নওখোলা, চর-শালনগর, চর-কাশিপুর গ্রামের দুই শতাধিক পরিবার বাড়িঘর সরিয়ে নিয়ে নদীর ওপার বসবাস করছেন। উপজেলার ধানাইড় গ্রামের খন্দকার আজাদ রহমান বলেন, ধানাইড় গ্রামের একটি মসজিদ ও মাদ্রাসা নদী গর্ভে চলে গেছে। নদী ভাঙন কবলিত গ্রামগুলো রক্ষার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে এলাকার মানুষ নিঃস্ব হয়ে যাবে।
এ ব্যাপারে জয়পুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. সাইফুল ইসলাম সুমন বলেন, গত কয়েক বছর যাবৎ মধুমতী নদী ভাঙনের ফলে ইউনিয়নের ধানাইড়, চর-আড়িয়ারা, আস্তাইল, আমডাঙা, বকজুড়ি গ্রামের বেশির ভাগ মানুষ নদীর ওপার গিয়ে বসবাস শুরু করছেন। অন্য ইউনিয়নে বসবাস করায় তাঁরা সেখানকার ভোটার হয়েছেন।
এ বিষয়ে নড়াইল পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী উজ্জ্বল কুমার সেন জানান, নদী ভাঙনের ফলে মানুষ, ঘর-বাড়ী, জমি-জমাসহ জন গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাগুলো ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। সেগুলোর জন্য জরুরি ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ ছাড়া নদী ভাঙনের বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। বরাদ্দ পেলে নদী ভাঙন রোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
১ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৯ দিন আগে