সম্পাদকীয়
সবকিছুরই একটি নিয়ম থাকে। নিয়মের বাইরে কিছু হওয়ার কথা নয়। কিন্তু বাংলাদেশকে বলা হয় ‘সব সম্ভবের দেশ’। এখানে সব সময় সবকিছু নিয়ম মেনে হয় না। এখানে কিছু কিছু জিনিস হয় যা কোনো কারণ কিংবা যুক্তি দিয়ে বোঝানো কঠিন।
এর মধ্যে একটি হলো জিনিসপত্রের দাম। কিছু মানুষের মর্জির ওপর এখানে পণ্যমূল্য নির্ধারণ করা হয়। দাম বাড়ার যুক্তিসংগত কারণ হয়তো কখনো কখনো থাকে, কিন্তু বেশির ভাগ সময়ই দাম বাড়ে অকারণে, মুনাফা শিকারি ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের ইচ্ছায়।
বলা হয়ে থাকে ‘সরকারের হাত অনেক লম্বা’। চাইলে সরকারের হাত পৌঁছাতে পারে না এমন কোনো জায়গা থাকার কথা নয়। অথচ আমাদের দেশে জিনিসপত্রের দাম বাড়া-কমার বিষয়টি সরকার কোনোভাবেই নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না। ওটা নিয়ন্ত্রণ করছে ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট। এ ক্ষেত্রে সরকারের হাতের চেয়ে সিন্ডিকেটের হাত বড় বলে দেখা যাচ্ছে
এ কথাগুলো বলা হলো শুক্রবার আজকের পত্রিকায় ‘আমদানি ও সরবরাহে ঘাটতি নেই, তবু দাম লাগামহীন’ শিরোনামে প্রকাশিত খবর পড়ে। চাহিদার তুলনায় বাজারে পণ্য আমদানি ও সরবরাহ কম থাকলে দাম বাড়তে পারে। কিন্তু এসব ক্ষেত্রে ঘাটতি না থাকা সত্ত্বেও দাম লাগামহীন করা শুধু বাংলাদেশেই সম্ভব। নতুন সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণের কথা বলে এলেও বাজারে এর কোনো প্রতিফলন নেই। কোনো কিছুরই দাম কমে না; বরং লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ে।
প্রকাশিত খবরে বলা হয়েছে, রমজানের চাহিদা সামনে রেখে গত তিন মাসে দেশে ভোজ্যতেল, চিনি, ছোলা ও খেজুরের পর্যাপ্ত আমদানি হয়েছে। আমদানিকারকেরাও বলেছেন, রমজানে পণ্যের কোনো ঘাটতি হবে না, দামও বাড়বে না; কিন্তু তাঁদের এ কথার প্রতিফলন নেই বাজারে। বরাবরের মতো এবারও রোজা শুরুর আগেই বাজারে সক্রিয় হয়ে উঠেছে অতিমুনাফালোভী চক্র। বাড়তে শুরু করেছে চিনি, ছোলা, খেজুরসহ প্রায় সব নিত্যপ্রয়োজনীয় ভোগ্যপণ্যের দাম।
চিনির দাম কেজিপ্রতি ১৫ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। কেন বাড়ল? ব্যবসায়ীদের ইচ্ছে হয়েছে রোজা সামনে রেখে বেশি মুনাফা করার। তাই এই মূল্যবৃদ্ধি। চিনি ছাড়াও ভোজ্যতেল, ছোলা, খেজুর ইত্যাদির দামও অকারণেই বাড়ছে।
ভোজ্যতেল ও চিনির অন্যতম শীর্ষ আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান সিটি গ্রুপের পরিচালক বিশ্বজিৎ সাহা আজকের পত্রিকাকে বলেছেন, ‘রমজান ঘিরে চিনি ও ভোজ্যতেলের যে চাহিদা তার চেয়ে বেশিই মজুত আছে আমাদের। সুতরাং রমজান ঘিরে দাম বাড়ার কোনো কারণ নেই।’
কারণ ছাড়াও দাম বাড়িয়ে যাঁরা মুনাফা লাভের পথ তৈরি করছেন, তাঁদের প্রতি কোনো ধরনের অনুকম্পা দেখানো ঠিক হবে না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একাধিক বক্তৃতায় মজুতদার, মুনাফাখোরদের কোনো ধরনের ছাড় না দেওয়ার কথাই বলেছেন।
আমরা দেখতে চাই, সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা যাঁরা কারসাজি করে বাজারে অস্থিরতা সৃষ্টি করে মানুষের কষ্ট বাড়াচ্ছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নিতে কোনো শৈথিল্য দেখাবেন না।
সবকিছুরই একটি নিয়ম থাকে। নিয়মের বাইরে কিছু হওয়ার কথা নয়। কিন্তু বাংলাদেশকে বলা হয় ‘সব সম্ভবের দেশ’। এখানে সব সময় সবকিছু নিয়ম মেনে হয় না। এখানে কিছু কিছু জিনিস হয় যা কোনো কারণ কিংবা যুক্তি দিয়ে বোঝানো কঠিন।
এর মধ্যে একটি হলো জিনিসপত্রের দাম। কিছু মানুষের মর্জির ওপর এখানে পণ্যমূল্য নির্ধারণ করা হয়। দাম বাড়ার যুক্তিসংগত কারণ হয়তো কখনো কখনো থাকে, কিন্তু বেশির ভাগ সময়ই দাম বাড়ে অকারণে, মুনাফা শিকারি ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের ইচ্ছায়।
বলা হয়ে থাকে ‘সরকারের হাত অনেক লম্বা’। চাইলে সরকারের হাত পৌঁছাতে পারে না এমন কোনো জায়গা থাকার কথা নয়। অথচ আমাদের দেশে জিনিসপত্রের দাম বাড়া-কমার বিষয়টি সরকার কোনোভাবেই নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না। ওটা নিয়ন্ত্রণ করছে ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট। এ ক্ষেত্রে সরকারের হাতের চেয়ে সিন্ডিকেটের হাত বড় বলে দেখা যাচ্ছে
এ কথাগুলো বলা হলো শুক্রবার আজকের পত্রিকায় ‘আমদানি ও সরবরাহে ঘাটতি নেই, তবু দাম লাগামহীন’ শিরোনামে প্রকাশিত খবর পড়ে। চাহিদার তুলনায় বাজারে পণ্য আমদানি ও সরবরাহ কম থাকলে দাম বাড়তে পারে। কিন্তু এসব ক্ষেত্রে ঘাটতি না থাকা সত্ত্বেও দাম লাগামহীন করা শুধু বাংলাদেশেই সম্ভব। নতুন সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণের কথা বলে এলেও বাজারে এর কোনো প্রতিফলন নেই। কোনো কিছুরই দাম কমে না; বরং লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ে।
প্রকাশিত খবরে বলা হয়েছে, রমজানের চাহিদা সামনে রেখে গত তিন মাসে দেশে ভোজ্যতেল, চিনি, ছোলা ও খেজুরের পর্যাপ্ত আমদানি হয়েছে। আমদানিকারকেরাও বলেছেন, রমজানে পণ্যের কোনো ঘাটতি হবে না, দামও বাড়বে না; কিন্তু তাঁদের এ কথার প্রতিফলন নেই বাজারে। বরাবরের মতো এবারও রোজা শুরুর আগেই বাজারে সক্রিয় হয়ে উঠেছে অতিমুনাফালোভী চক্র। বাড়তে শুরু করেছে চিনি, ছোলা, খেজুরসহ প্রায় সব নিত্যপ্রয়োজনীয় ভোগ্যপণ্যের দাম।
চিনির দাম কেজিপ্রতি ১৫ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। কেন বাড়ল? ব্যবসায়ীদের ইচ্ছে হয়েছে রোজা সামনে রেখে বেশি মুনাফা করার। তাই এই মূল্যবৃদ্ধি। চিনি ছাড়াও ভোজ্যতেল, ছোলা, খেজুর ইত্যাদির দামও অকারণেই বাড়ছে।
ভোজ্যতেল ও চিনির অন্যতম শীর্ষ আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান সিটি গ্রুপের পরিচালক বিশ্বজিৎ সাহা আজকের পত্রিকাকে বলেছেন, ‘রমজান ঘিরে চিনি ও ভোজ্যতেলের যে চাহিদা তার চেয়ে বেশিই মজুত আছে আমাদের। সুতরাং রমজান ঘিরে দাম বাড়ার কোনো কারণ নেই।’
কারণ ছাড়াও দাম বাড়িয়ে যাঁরা মুনাফা লাভের পথ তৈরি করছেন, তাঁদের প্রতি কোনো ধরনের অনুকম্পা দেখানো ঠিক হবে না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একাধিক বক্তৃতায় মজুতদার, মুনাফাখোরদের কোনো ধরনের ছাড় না দেওয়ার কথাই বলেছেন।
আমরা দেখতে চাই, সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা যাঁরা কারসাজি করে বাজারে অস্থিরতা সৃষ্টি করে মানুষের কষ্ট বাড়াচ্ছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নিতে কোনো শৈথিল্য দেখাবেন না।
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
২১ ঘণ্টা আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৪ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৪ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৮ দিন আগে