হাসান আলী
মস্তিষ্কের স্বাভাবিক কার্যকারিতা নষ্ট হয়ে স্মৃতি বিকৃতি ঘটলে সেটাকে ডিমেনশিয়া বলে। ডিমেনশিয়া স্মরণশক্তি, চিন্তাশক্তি, আচার-আচরণ, বিচার-বিবেচনা, চলাফেরা, খাওয়া-দাওয়া, স্থান-কাল, অনুভূতিতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে।
বেশ কিছু রোগের কারণে মস্তিষ্কের পরিবর্তন ঘটে, যা শেষ পর্যন্ত স্নায়ুকোষের ক্ষতি করে ডিমেনশিয়ার সৃষ্টি হয়। আমরা সাধারণত চার ধরনের ডিমেনশিয়া সম্পর্কে জানি। চারটি ধরন হলো আলঝেইমার্স রোগ, ভাসকুলার ডিমেনশিয়া, লিউবডি ডিমেনশিয়া, ফ্রন্টো টেম্পোরাল ডিমেনশিয়া। ডিমেনশিয়ার সবচেয়ে বড় কারণ হচ্ছে আলঝেইমার্স। এটা মস্তিষ্কের বিভিন্ন কোষ ও স্নায়ুতন্ত্রের ধ্বংস করে স্মৃতিশক্তির বিকৃতি ঘটায়।
আলঝেইমার্স রোগের শুরুর দিকে পরিবার-পরিজন, আত্মীয়স্বজন, বন্ধুবান্ধবরা প্রায়ই বলতে থাকেন যে এটা বার্ধক্যজনিত সমস্যা, তেমন কিছু না! এই বয়সে এমনটা হওয়া স্বাভাবিক। যেকোনো বয়সে আলঝেইমার্স রোগ হতে পারে, তবে ৬৫ বছরের অধিক বয়সী লোকদের বেশি আক্রান্ত হতে দেখা যায়। আবার পুরুষের তুলনায় নারীর মধ্যে এই রোগ হওয়ার সংখ্যা তুলনামূলকভাবে বেশি।
এ রোগ থেকে রক্ষা পেতে হার্টের যত্ন নিন, ফলমূল, শাকসবজি, পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ করতে হবে, উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। ধূমপান বন্ধ করতে হবে, মস্তিষ্কের ব্যবহার বাড়িয়ে তুলুন এবং নতুন কাজ নিয়ে ভাবুন, ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখুন, হাসিখুশি থাকার চেষ্টা করতে হবে, সামাজিক যোগাযোগ রাখবেন এবং সামাজিক কাজে অংশগ্রহণ বাড়িয়ে দিন। নিজেকে সক্রিয় রাখুন, শুয়ে-বসে অলস সময় কাটাবেন না। সপ্তাহে ১৪ ইউনিটের বেশি অ্যালকোহল গ্রহণ করা যাবে না।
আলঝেইমার্স রোগের চিকিৎসা এখন পর্যন্ত আবিষ্কার হয়নি। তবে রোগীর অস্থিরতা, বিষণ্নতা, কোষ্ঠকাঠিন্য, হরমোনের সমস্যা ইত্যাদি থেকে মুক্ত রাখতে চিকিৎসকেরা ওষুধ দিয়ে থাকেন। আলঝেইমার্স রোগীর সঙ্গে বসবাস এবং তাঁদের পরিচর্যা কেমন হবে, সে বিষয়ে আমাদের ধারণা অনেক কম। যাঁরা আলঝেইমার্স রোগীর সেবায় থাকবেন, তাঁদের কিছু বিষয় বিবেচনায় নিতে হবে।
১. সাধারণ কাজকর্ম ব্যাহত না করে একটা রুটিন প্রণয়ন।
২. স্বাধীনভাবে জীবনযাপনে সহায়তা করুন। ৩. আত্মমর্যাদা রক্ষায় সহায়তা করুন। ৪. হাসিখুশি থাকুন এবং রাখুন। ৫. দৈনন্দিন কাজগুলো সহজতর করা। ৬. দৈহিক নিরাপত্তাকে গুরুত্ব দিন।
৭. শারীরিক ও মানসিক ক্ষমতাকে দীর্ঘ করার চেষ্টা। ৮. বর্তমান কার্যক্ষমতাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া। ৯. ব্যক্তিগত যোগাযোগ অব্যাহত রাখুন। ১০. গান শুনতে দিন, স্মৃতিচারণা করুন।
১১. পোষা প্রাণীর সঙ্গে খেলতে দিন। ১২. সম্ভব হলে শিশুদের সঙ্গে কিছু সময় অতিবাহিত করার সুযোগ করে দিন।
সেবাকর্মীকে নিচের বিষয়গুলো বিবেচনায় নিতে হবে।
১. রোগীর মতামত নিয়ে তাঁর পছন্দমতো গোসল করাতে হবে। সম্ভব না হলে ভেজা কাপড় দিয়ে গা মুছিয়ে দিতে হবে।
২. ঝামেলামুক্ত সহজ পোশাক-পরিচ্ছদ তাঁর সামনে রাখতে হবে। তিনি যেটা পছন্দ করেন সেটা পরিধানে সহায়তা করতে হবে।
৩. অপিচ্ছিল রাবার সোলের জুতা পরতে দিন। ৪. শৌচকর্ম ও মলমূত্রের বেগ নিয়ন্ত্রণ করতে না পারলে দিনের নির্দিষ্ট একটা সময়ে পায়খানা করানোর চেষ্টা করতে হবে। না করাতে পারলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। ৫. রোগীর রান্নাবান্নার শখ থাকলে সহযোগিতা করুন। রান্নার কাজটি আনন্দদায়ক করার চেষ্টা করলে ভালো হবে। ধারালো ছুরি-কাঁচি দূরে সরিয়ে রাখুন। ৬. খাদ্য গ্রহণে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। রোগী কতবার খেয়েছেন, আদৌ খেয়েছেন কি না, তা নিশ্চিত হতে হবে। খাবার ঠান্ডা না গরম তা নিজের মুখে দিয়ে বুঝতে হবে। খেতে অসুবিধা হলে তাঁকে মনে করিয়ে দিতে হবে কীভাবে খাবার চিবিয়ে খায়। খাবার ছোট ছোট অংশ করে রোগীর মুখে দিতে হবে। ৭. যানবাহনে চলাচলে সতর্ক হতে হবে। রোগী নিজে চালক হলে চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া গাড়ি চালাতে দেওয়া ঠিক না। ৮. ময়লা-আবর্জনার ঝুড়ি পরিষ্কার করার সময় নিজে দাঁড়িয়ে দেখতে হবে গুরুত্বপূর্ণ কোনো কিছু ময়লার ঝুড়ির মধ্যে চলে যায় কি না। অনেক সময় রোগী নিজেই গুরুত্বপূর্ণ জিনিসপত্র ময়লার ঝুড়িতে ফেলে দেয়। ৯. রোগী যখন একই কথা বারবার বলে এবং একই কাজ বারবার করে তখন তাঁকে কৌশলে মনোযোগ অন্যদিকে সরাতে হবে। ১০. রোগীর ধূমপানের অভ্যাস থাকলে বন্ধ করতে হবে, কারণ যেকোনো সময় অগ্নিকাণ্ড ঘটতে পারে। ১১. মদ্যপানের অভ্যাস থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শে সীমিত পরিমাণে অ্যালকোহল পান করা যাবে।
সেবাকর্মীর শারীরিক ও মানসিক চাপ মোকাবিলা করার দক্ষতা খুবই জরুরি বিষয়। তাঁদের দুঃখবোধ, অপরাধবোধ, রাগ-ক্রোধ, হতবুদ্ধি ও অপ্রস্তুত হওয়া, নিঃসঙ্গতা থেকে মুক্ত থাকতে কাউন্সেলিং করাতে হবে। শরীর ঠিক রাখতে সুষম খাদ্যাভ্যাস এবং ব্যায়াম জরুরি। ডিমেনশিয়ার চিকিৎসায় সমবেদনা, যত্ন, সাহস, প্রতিশ্রুতি, যোগ্যতা এবং যোগাযোগ খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।
সেবাকর্মীর জন্য পরামর্শ হলো, শান্ত থাকুন, অনুভূতির প্রতি সাড়া দিন, ব্যক্তিকে আশ্বস্ত করুন, ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় নিজেকে সরিয়ে নিন এবং পরে ফিরে আসুন।
ডিমেনশিয়া ও আলঝেইমার্স রোগ বিষয়ে আপনার ভূমিকা যা হতে পারে তা হলো,
১. পদযাত্রা, মানববন্ধন, সেমিনার, তহবিল সংগ্রহ, ২. রোগ সম্পর্কে সচেতনতা তৈরির উদ্দেশ্যে রোগের লক্ষণ, চ্যালেঞ্জ, করণীয় বিষয়ে বন্ধুবান্ধব, আত্মীয়স্বজন, পরিবার-পরিজনকে সভা-সমাবেশে হাজির করানো কিংবা নিজেদের সামর্থ্য অনুযায়ী সভা- সমাবেশ করা। ৩. কোথায় কেয়ার গিভার পাওয়া যাবে এবং কেমন খরচ হবে, তার একটা যৌক্তিক পরিকল্পনা করা। ৪. স্বেচ্ছাসেবক তৈরি করতে অন্যদের সহযোগিতা, সমর্থন পাওয়ার চেষ্টা করুন।
৫. গবেষণার জন্য তহবিল সংগ্রহ করা জরুরি। গবেষণার মাধ্যমে প্রবীণ জীবনযাপনের নানান দিক জানা যাবে ৬. আপনার অভিজ্ঞতা, পর্যবেক্ষণ, মতামত, উপলব্ধি শেয়ার করতে পারেন।
প্রতিবছর ২১ সেপ্টেম্বর বিশ্ব আলঝেইমার দিবস পালন করা হয়।
লেখক: প্রবীণ বিষয়ে লেখক, গবেষক ও সংগঠক
মস্তিষ্কের স্বাভাবিক কার্যকারিতা নষ্ট হয়ে স্মৃতি বিকৃতি ঘটলে সেটাকে ডিমেনশিয়া বলে। ডিমেনশিয়া স্মরণশক্তি, চিন্তাশক্তি, আচার-আচরণ, বিচার-বিবেচনা, চলাফেরা, খাওয়া-দাওয়া, স্থান-কাল, অনুভূতিতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে।
বেশ কিছু রোগের কারণে মস্তিষ্কের পরিবর্তন ঘটে, যা শেষ পর্যন্ত স্নায়ুকোষের ক্ষতি করে ডিমেনশিয়ার সৃষ্টি হয়। আমরা সাধারণত চার ধরনের ডিমেনশিয়া সম্পর্কে জানি। চারটি ধরন হলো আলঝেইমার্স রোগ, ভাসকুলার ডিমেনশিয়া, লিউবডি ডিমেনশিয়া, ফ্রন্টো টেম্পোরাল ডিমেনশিয়া। ডিমেনশিয়ার সবচেয়ে বড় কারণ হচ্ছে আলঝেইমার্স। এটা মস্তিষ্কের বিভিন্ন কোষ ও স্নায়ুতন্ত্রের ধ্বংস করে স্মৃতিশক্তির বিকৃতি ঘটায়।
আলঝেইমার্স রোগের শুরুর দিকে পরিবার-পরিজন, আত্মীয়স্বজন, বন্ধুবান্ধবরা প্রায়ই বলতে থাকেন যে এটা বার্ধক্যজনিত সমস্যা, তেমন কিছু না! এই বয়সে এমনটা হওয়া স্বাভাবিক। যেকোনো বয়সে আলঝেইমার্স রোগ হতে পারে, তবে ৬৫ বছরের অধিক বয়সী লোকদের বেশি আক্রান্ত হতে দেখা যায়। আবার পুরুষের তুলনায় নারীর মধ্যে এই রোগ হওয়ার সংখ্যা তুলনামূলকভাবে বেশি।
এ রোগ থেকে রক্ষা পেতে হার্টের যত্ন নিন, ফলমূল, শাকসবজি, পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ করতে হবে, উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। ধূমপান বন্ধ করতে হবে, মস্তিষ্কের ব্যবহার বাড়িয়ে তুলুন এবং নতুন কাজ নিয়ে ভাবুন, ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখুন, হাসিখুশি থাকার চেষ্টা করতে হবে, সামাজিক যোগাযোগ রাখবেন এবং সামাজিক কাজে অংশগ্রহণ বাড়িয়ে দিন। নিজেকে সক্রিয় রাখুন, শুয়ে-বসে অলস সময় কাটাবেন না। সপ্তাহে ১৪ ইউনিটের বেশি অ্যালকোহল গ্রহণ করা যাবে না।
আলঝেইমার্স রোগের চিকিৎসা এখন পর্যন্ত আবিষ্কার হয়নি। তবে রোগীর অস্থিরতা, বিষণ্নতা, কোষ্ঠকাঠিন্য, হরমোনের সমস্যা ইত্যাদি থেকে মুক্ত রাখতে চিকিৎসকেরা ওষুধ দিয়ে থাকেন। আলঝেইমার্স রোগীর সঙ্গে বসবাস এবং তাঁদের পরিচর্যা কেমন হবে, সে বিষয়ে আমাদের ধারণা অনেক কম। যাঁরা আলঝেইমার্স রোগীর সেবায় থাকবেন, তাঁদের কিছু বিষয় বিবেচনায় নিতে হবে।
১. সাধারণ কাজকর্ম ব্যাহত না করে একটা রুটিন প্রণয়ন।
২. স্বাধীনভাবে জীবনযাপনে সহায়তা করুন। ৩. আত্মমর্যাদা রক্ষায় সহায়তা করুন। ৪. হাসিখুশি থাকুন এবং রাখুন। ৫. দৈনন্দিন কাজগুলো সহজতর করা। ৬. দৈহিক নিরাপত্তাকে গুরুত্ব দিন।
৭. শারীরিক ও মানসিক ক্ষমতাকে দীর্ঘ করার চেষ্টা। ৮. বর্তমান কার্যক্ষমতাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া। ৯. ব্যক্তিগত যোগাযোগ অব্যাহত রাখুন। ১০. গান শুনতে দিন, স্মৃতিচারণা করুন।
১১. পোষা প্রাণীর সঙ্গে খেলতে দিন। ১২. সম্ভব হলে শিশুদের সঙ্গে কিছু সময় অতিবাহিত করার সুযোগ করে দিন।
সেবাকর্মীকে নিচের বিষয়গুলো বিবেচনায় নিতে হবে।
১. রোগীর মতামত নিয়ে তাঁর পছন্দমতো গোসল করাতে হবে। সম্ভব না হলে ভেজা কাপড় দিয়ে গা মুছিয়ে দিতে হবে।
২. ঝামেলামুক্ত সহজ পোশাক-পরিচ্ছদ তাঁর সামনে রাখতে হবে। তিনি যেটা পছন্দ করেন সেটা পরিধানে সহায়তা করতে হবে।
৩. অপিচ্ছিল রাবার সোলের জুতা পরতে দিন। ৪. শৌচকর্ম ও মলমূত্রের বেগ নিয়ন্ত্রণ করতে না পারলে দিনের নির্দিষ্ট একটা সময়ে পায়খানা করানোর চেষ্টা করতে হবে। না করাতে পারলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। ৫. রোগীর রান্নাবান্নার শখ থাকলে সহযোগিতা করুন। রান্নার কাজটি আনন্দদায়ক করার চেষ্টা করলে ভালো হবে। ধারালো ছুরি-কাঁচি দূরে সরিয়ে রাখুন। ৬. খাদ্য গ্রহণে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। রোগী কতবার খেয়েছেন, আদৌ খেয়েছেন কি না, তা নিশ্চিত হতে হবে। খাবার ঠান্ডা না গরম তা নিজের মুখে দিয়ে বুঝতে হবে। খেতে অসুবিধা হলে তাঁকে মনে করিয়ে দিতে হবে কীভাবে খাবার চিবিয়ে খায়। খাবার ছোট ছোট অংশ করে রোগীর মুখে দিতে হবে। ৭. যানবাহনে চলাচলে সতর্ক হতে হবে। রোগী নিজে চালক হলে চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া গাড়ি চালাতে দেওয়া ঠিক না। ৮. ময়লা-আবর্জনার ঝুড়ি পরিষ্কার করার সময় নিজে দাঁড়িয়ে দেখতে হবে গুরুত্বপূর্ণ কোনো কিছু ময়লার ঝুড়ির মধ্যে চলে যায় কি না। অনেক সময় রোগী নিজেই গুরুত্বপূর্ণ জিনিসপত্র ময়লার ঝুড়িতে ফেলে দেয়। ৯. রোগী যখন একই কথা বারবার বলে এবং একই কাজ বারবার করে তখন তাঁকে কৌশলে মনোযোগ অন্যদিকে সরাতে হবে। ১০. রোগীর ধূমপানের অভ্যাস থাকলে বন্ধ করতে হবে, কারণ যেকোনো সময় অগ্নিকাণ্ড ঘটতে পারে। ১১. মদ্যপানের অভ্যাস থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শে সীমিত পরিমাণে অ্যালকোহল পান করা যাবে।
সেবাকর্মীর শারীরিক ও মানসিক চাপ মোকাবিলা করার দক্ষতা খুবই জরুরি বিষয়। তাঁদের দুঃখবোধ, অপরাধবোধ, রাগ-ক্রোধ, হতবুদ্ধি ও অপ্রস্তুত হওয়া, নিঃসঙ্গতা থেকে মুক্ত থাকতে কাউন্সেলিং করাতে হবে। শরীর ঠিক রাখতে সুষম খাদ্যাভ্যাস এবং ব্যায়াম জরুরি। ডিমেনশিয়ার চিকিৎসায় সমবেদনা, যত্ন, সাহস, প্রতিশ্রুতি, যোগ্যতা এবং যোগাযোগ খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।
সেবাকর্মীর জন্য পরামর্শ হলো, শান্ত থাকুন, অনুভূতির প্রতি সাড়া দিন, ব্যক্তিকে আশ্বস্ত করুন, ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় নিজেকে সরিয়ে নিন এবং পরে ফিরে আসুন।
ডিমেনশিয়া ও আলঝেইমার্স রোগ বিষয়ে আপনার ভূমিকা যা হতে পারে তা হলো,
১. পদযাত্রা, মানববন্ধন, সেমিনার, তহবিল সংগ্রহ, ২. রোগ সম্পর্কে সচেতনতা তৈরির উদ্দেশ্যে রোগের লক্ষণ, চ্যালেঞ্জ, করণীয় বিষয়ে বন্ধুবান্ধব, আত্মীয়স্বজন, পরিবার-পরিজনকে সভা-সমাবেশে হাজির করানো কিংবা নিজেদের সামর্থ্য অনুযায়ী সভা- সমাবেশ করা। ৩. কোথায় কেয়ার গিভার পাওয়া যাবে এবং কেমন খরচ হবে, তার একটা যৌক্তিক পরিকল্পনা করা। ৪. স্বেচ্ছাসেবক তৈরি করতে অন্যদের সহযোগিতা, সমর্থন পাওয়ার চেষ্টা করুন।
৫. গবেষণার জন্য তহবিল সংগ্রহ করা জরুরি। গবেষণার মাধ্যমে প্রবীণ জীবনযাপনের নানান দিক জানা যাবে ৬. আপনার অভিজ্ঞতা, পর্যবেক্ষণ, মতামত, উপলব্ধি শেয়ার করতে পারেন।
প্রতিবছর ২১ সেপ্টেম্বর বিশ্ব আলঝেইমার দিবস পালন করা হয়।
লেখক: প্রবীণ বিষয়ে লেখক, গবেষক ও সংগঠক
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
২ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৯ দিন আগে