চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি
চাঁপাইনবাবগঞ্জ আধুনিক সদর হাসপাতাল ১০০ থেকে ২৫০ শয্যায় উন্নীত হয়েছে তিন বছর আগে। ৩৬ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা হয়েছে হাসপাতালের আটতলা ভবন। কিন্তু সেবার সক্ষমতা বাড়েনি। জটিল রোগের চিকিৎসা নিতে গিয়ে নানামুখী সংকটে পড়ছে রোগীরা।
২৫০ শয্যার চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা হাসপাতালে ১৫টি কেবিন ব্লক ও পাঁচটি অস্ত্রোপচার কক্ষ (ওটি) থাকার কথা। এ ছাড়া নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র (আইসিইউ), এসডিইউ বিভাগ, করোনারি কেয়ার ইউনিট (সিসিইউ), সিটিস্ক্যান ব্যবস্থাসহ অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতিও থাকার কথা।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, যন্ত্রপাতির অভাবে এ হাসপাতালে গুরুত্বপূর্ণ রোগ শনাক্ত ও চিকিৎসাসেবা ব্যাহত হচ্ছে। কিছু কিছু সরঞ্জাম থাকলেও সচল না থাকায় চিকিৎসাসেবা দেওয়া যাচ্ছে না। ব্যবহার হচ্ছে না হরমোন অ্যানালাইসিস মেশিন। নেই আইসিইউ। অর্থোপেডিক বিভাগের সি-আর্ম মেশিন চালানোর লোক নেই। রেডিওলজি ও ইমেজিং বিভাগে সিটিস্ক্যান ও এমআরআই মেশিন নেই। ফলে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার মানুষ কাঙ্ক্ষিত চিকিৎসাসেবা থেকে বঞ্চিত হয়ে ছোটে বিভাগীয় শহর রাজশাহীতে।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, শয্যা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বেড়েছে রোগীও। প্রতিদিন ১ হাজার ৫০০ থেকে ১ হাজার ৮০০ রোগী এ হাসপাতালের বহির্বিভাগে চিকিৎসা নিতে আসে। এর মধ্যে জটিল রোগীও থাকে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) মান অনুযায়ী, হাসপাতালে মোট শয্যার ১০ শতাংশ নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র (আইসিইউ) শয্যা থাকতে হয়। তবে ৪ শতাংশকে ন্যূনতম হিসাবে ধরা হয়।
এ হিসাবে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা হাসপাতালে আইসিইউতে শয্যা থাকার কথা ২৫টি। ন্যূনতম ধরলেও প্রয়োজন ১০টি। কিন্তু নেই একটিও।
সম্প্রতি হাসপাতালে গিয়ে রোগীদের দীর্ঘ লাইন দেখা গেছে। বিশেষ করে নারীদের লাইন হাসপাতালের বারান্দা পেরিয়ে প্রধান ফটকের সামনে গিয়ে পৌঁছেছে।
হাসপাতালের সেবা প্রসঙ্গে নাগরিক কমিটির সদস্যসচিব মো. মনিরুজ্জামান বলেন, ২৫০ শয্যার জেলা হাসপাতালে যে সেবা দেওয়ার কথা, তা জনগণ এখনো পাচ্ছে না। সরকারি এ হাসপাতালে সেবায় মানুষের আস্থা নেই। লোকবল ও যন্ত্রপাতির অভাব রয়েছে। এ জেলার মানুষের চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করতে সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ প্রয়োজন।
এ বিষয়ে হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মাসুদ পারভেজ বলেন, ‘কিডনি ডায়ালাইসিস ইউনিটের ভৌত অবকাঠামো সম্পন্ন হয়েছে। কিন্তু যন্ত্রপাতি ও জনবল পাইনি। ১০ শয্যার আইসিইউ ইউনিটের অবকাঠামো নির্মাণকাজ চলছে। প্রায় দুই বছর আগে হরমোন অ্যানালাইসিস মেশিন আনা হলেও কারিগরি ত্রুটির কারণে ইনস্টল সম্ভব হচ্ছিল না। গত মাস থেকে এটি সচল হয়েছে। তবে রি-এজেন্ট না থাকায় পরীক্ষা সম্ভব হচ্ছে না।’
এ কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘অর্থোপেডিকস বিভাগের সি-আর্ম মেশিন চালানোর লোক নেই। আমাদের ওয়ার্ড বয়রা এটা চালায়। অপারেশনে এটা ব্যবহার হয়, সমস্যা হয় না। সিটিস্ক্যান ও এমআরআই মেশিন এই হাসপাতালে নেই। এগুলো মেডিকেল কলেজে থাকার কথা, জেলা হাসপাতালে থাকে কি না আমার জানা নেই।’
চাঁপাইনবাবগঞ্জ আধুনিক সদর হাসপাতাল ১০০ থেকে ২৫০ শয্যায় উন্নীত হয়েছে তিন বছর আগে। ৩৬ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা হয়েছে হাসপাতালের আটতলা ভবন। কিন্তু সেবার সক্ষমতা বাড়েনি। জটিল রোগের চিকিৎসা নিতে গিয়ে নানামুখী সংকটে পড়ছে রোগীরা।
২৫০ শয্যার চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা হাসপাতালে ১৫টি কেবিন ব্লক ও পাঁচটি অস্ত্রোপচার কক্ষ (ওটি) থাকার কথা। এ ছাড়া নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র (আইসিইউ), এসডিইউ বিভাগ, করোনারি কেয়ার ইউনিট (সিসিইউ), সিটিস্ক্যান ব্যবস্থাসহ অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতিও থাকার কথা।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, যন্ত্রপাতির অভাবে এ হাসপাতালে গুরুত্বপূর্ণ রোগ শনাক্ত ও চিকিৎসাসেবা ব্যাহত হচ্ছে। কিছু কিছু সরঞ্জাম থাকলেও সচল না থাকায় চিকিৎসাসেবা দেওয়া যাচ্ছে না। ব্যবহার হচ্ছে না হরমোন অ্যানালাইসিস মেশিন। নেই আইসিইউ। অর্থোপেডিক বিভাগের সি-আর্ম মেশিন চালানোর লোক নেই। রেডিওলজি ও ইমেজিং বিভাগে সিটিস্ক্যান ও এমআরআই মেশিন নেই। ফলে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার মানুষ কাঙ্ক্ষিত চিকিৎসাসেবা থেকে বঞ্চিত হয়ে ছোটে বিভাগীয় শহর রাজশাহীতে।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, শয্যা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বেড়েছে রোগীও। প্রতিদিন ১ হাজার ৫০০ থেকে ১ হাজার ৮০০ রোগী এ হাসপাতালের বহির্বিভাগে চিকিৎসা নিতে আসে। এর মধ্যে জটিল রোগীও থাকে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) মান অনুযায়ী, হাসপাতালে মোট শয্যার ১০ শতাংশ নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র (আইসিইউ) শয্যা থাকতে হয়। তবে ৪ শতাংশকে ন্যূনতম হিসাবে ধরা হয়।
এ হিসাবে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা হাসপাতালে আইসিইউতে শয্যা থাকার কথা ২৫টি। ন্যূনতম ধরলেও প্রয়োজন ১০টি। কিন্তু নেই একটিও।
সম্প্রতি হাসপাতালে গিয়ে রোগীদের দীর্ঘ লাইন দেখা গেছে। বিশেষ করে নারীদের লাইন হাসপাতালের বারান্দা পেরিয়ে প্রধান ফটকের সামনে গিয়ে পৌঁছেছে।
হাসপাতালের সেবা প্রসঙ্গে নাগরিক কমিটির সদস্যসচিব মো. মনিরুজ্জামান বলেন, ২৫০ শয্যার জেলা হাসপাতালে যে সেবা দেওয়ার কথা, তা জনগণ এখনো পাচ্ছে না। সরকারি এ হাসপাতালে সেবায় মানুষের আস্থা নেই। লোকবল ও যন্ত্রপাতির অভাব রয়েছে। এ জেলার মানুষের চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করতে সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ প্রয়োজন।
এ বিষয়ে হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মাসুদ পারভেজ বলেন, ‘কিডনি ডায়ালাইসিস ইউনিটের ভৌত অবকাঠামো সম্পন্ন হয়েছে। কিন্তু যন্ত্রপাতি ও জনবল পাইনি। ১০ শয্যার আইসিইউ ইউনিটের অবকাঠামো নির্মাণকাজ চলছে। প্রায় দুই বছর আগে হরমোন অ্যানালাইসিস মেশিন আনা হলেও কারিগরি ত্রুটির কারণে ইনস্টল সম্ভব হচ্ছিল না। গত মাস থেকে এটি সচল হয়েছে। তবে রি-এজেন্ট না থাকায় পরীক্ষা সম্ভব হচ্ছে না।’
এ কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘অর্থোপেডিকস বিভাগের সি-আর্ম মেশিন চালানোর লোক নেই। আমাদের ওয়ার্ড বয়রা এটা চালায়। অপারেশনে এটা ব্যবহার হয়, সমস্যা হয় না। সিটিস্ক্যান ও এমআরআই মেশিন এই হাসপাতালে নেই। এগুলো মেডিকেল কলেজে থাকার কথা, জেলা হাসপাতালে থাকে কি না আমার জানা নেই।’
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
১ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৮ দিন আগে