ফরিদ আহম্মেদ রুবেল, শ্রীবরদী
শেরপুরের শ্রীবরদীতে প্রথমবারের মতো ‘ব্ল্যাক রাইস’ বা ‘কালো ধান’ চাষ করে ভালো ফলনের আশা দেখছেন পাঁচ উদ্যোক্তা। দেশের বাইরে থেকে এ ধানের বীজ সংগ্রহ করে লাগিয়েছিলেন প্রায় পাঁচ একর জায়গা। এখন বাতাসে দোল খাচ্ছে সেই কালো ধান। তাঁদের ইচ্ছা, কৃষি বিভাগের মাধ্যমে এই বীজ অন্য জেলায় ছড়িয়ে দেওয়ার।
কৃষি সম্প্রসারণ অফিস থেকে বলা হয়েছে, খেতের ধান খুব ভালো হয়েছে। তাঁদের কাছ থেকে বীজ সংগ্রহ করে অন্য কৃষকদের মধ্যে ছড়িয়ে দেওয়া হবে। কৃষি বিভাগ সব সময় তাঁদের পাশে থাকবে।
জানা গেছে, শ্রীবরদী উপজেলার চককাউরিয়া গ্রামের চার বন্ধু মুক্তাদির আহম্মেদ নয়ন, স্বপন আহসান, নিশাত, শান্ত ও রাণীশিমুল ইউনিয়নের হাঁসধরা গ্রামের মো. গোলাম রসুল চীন থেকে তিন হাজার টাকা কেজি দরে ১৮ কেজি কালো ধানের বীজ সংগ্রহ করেন। পরে তাঁরা প্রথমবারের মতো পাঁচ একর জায়গাজুড়ে লাগান ব্ল্যাক রাইস বা কালো ধান। এতে সবকিছু মিলিয়ে তাঁদের খরচ হয় এক লাখ টাকা।
কৃষি বিভাগের তথ্য মতে, জেলায় প্রথমবারের মতো কালো ধানের আবাদ হয়েছে। এই ধান সৌন্দর্য ও পুষ্টিগুণে ভরপুর। এই ধানগাছের পাতা এবং কাণ্ডের রং সবুজ হলেও ধান ও চালের রং কালো। তাই এ ধানের জাতটি কালো চালের ধান নামে পরিচিত। গুণাগুণের জন্য ব্ল্যাক রাইস এই চালকে ‘ওয়ার্ল্ড সুপার ফুড’ বলা হয়। তাই এর দামও অন্য সব চালের তুলনায় অনেক বেশি। বিশ্বের ধনী দেশগুলোয় এই চালের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে।
এই ধান চাষের উদ্যোক্তা মুক্তাদির আহম্মেদ নয়ন বলেন, ‘আমরা চিন্তা করেছি, চাকরির পিছে না ঘুরে নিজেরাই কিছু করব। এই চিন্তা থেকেই আমরা চারজন মিলে ১০ কেজি ব্ল্যাক রাইস ধানের বীজ সংগ্রহ করি চীন থেকে। পরে তিন একর জায়গা ভাড়া করি। সেই ভাড়া জমিতে সবকিছু করে আমাদের মোট খরচ হয় প্রায় ১ লাখ টাকা। প্রথমে আমরা একটু চিন্তায় ছিলাম, এই ধান হবে কি হবে না। পরে কৃষি বিভাগের দেখাশোনা ও পরামর্শক্রমে আস্তে আস্তে ফলন আসতে শুরু করে। ধীরে ধীরে ধানও পাকতে শুরু করে। আমরা হিসাব করে দেখেছি এই তিন একরের খেত থেকে আমাদের প্রায় ১০ লাখ টাকা আয় হবে।’
আরেক উদ্যোক্তা স্বপন আহসান বলেন, ‘এই বীজ আমরা জেলায় ছড়িয়ে দিতে চাই। এজন্য আমাদের কৃষি বিভাগের সহযোগিতা প্রয়োজন। আমরা তিন হাজার টাকা কেজি ধরে ধান কিনলেও কৃষকদের ১ হাজার টাকা দামে বীজ দেব। কারণ, কৃষকেরা যেন খুব সহজে অল্প খরচে, বেশি লাভ ও ডায়বেটিস এবং ক্যানসার প্রতিরোধক হিসেবে এই ধান সবাই চাষ করতে পারেন।’
হাঁসধরা গ্রামের কৃষক গোলাম রসুল বলেন, ‘আমি বিদেশ থেকে এই ধানের বীজ সংগ্রহ করি। কৃষি অফিসের সহযোগিতায় আমি প্রায় দুই একর জায়গায় এ ধান চাষ করেছি। আশা করি লাভবান হব।’
উপজেলা কৃষি অফিসার মো. হুমায়ুন দিলদার বলেন, উদ্যোক্তারা বারবার আমার অফিসে এসেছেন। আমরা তাঁদের সার্বিক সহযোগিতা করেছি। এ ধান চাষে কৃষকদের আগ্রহ বাড়ানোর জন্য পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। এ ধান চাষ বাড়ালে কৃষক খুবই লাভবান হবেন।
কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপপরিচালক ডা. মুহিত কুমার দে বলেন, ‘আমরা ইতিমধ্যে ওই চার উদ্যোক্তার ধানখেত পরিদর্শন করেছি। খেতের ধান খুব ভালো হয়েছে। আমরা চাচ্ছি, তাঁদের কাছ থেকে বীজ সংগ্রহ করে জেলার অন্য কৃষকদের মধ্যে ছড়িয়ে দিতে। কৃষি বিভাগ সব সময় তাঁদের পাশে থাকবে।’
শেরপুরের শ্রীবরদীতে প্রথমবারের মতো ‘ব্ল্যাক রাইস’ বা ‘কালো ধান’ চাষ করে ভালো ফলনের আশা দেখছেন পাঁচ উদ্যোক্তা। দেশের বাইরে থেকে এ ধানের বীজ সংগ্রহ করে লাগিয়েছিলেন প্রায় পাঁচ একর জায়গা। এখন বাতাসে দোল খাচ্ছে সেই কালো ধান। তাঁদের ইচ্ছা, কৃষি বিভাগের মাধ্যমে এই বীজ অন্য জেলায় ছড়িয়ে দেওয়ার।
কৃষি সম্প্রসারণ অফিস থেকে বলা হয়েছে, খেতের ধান খুব ভালো হয়েছে। তাঁদের কাছ থেকে বীজ সংগ্রহ করে অন্য কৃষকদের মধ্যে ছড়িয়ে দেওয়া হবে। কৃষি বিভাগ সব সময় তাঁদের পাশে থাকবে।
জানা গেছে, শ্রীবরদী উপজেলার চককাউরিয়া গ্রামের চার বন্ধু মুক্তাদির আহম্মেদ নয়ন, স্বপন আহসান, নিশাত, শান্ত ও রাণীশিমুল ইউনিয়নের হাঁসধরা গ্রামের মো. গোলাম রসুল চীন থেকে তিন হাজার টাকা কেজি দরে ১৮ কেজি কালো ধানের বীজ সংগ্রহ করেন। পরে তাঁরা প্রথমবারের মতো পাঁচ একর জায়গাজুড়ে লাগান ব্ল্যাক রাইস বা কালো ধান। এতে সবকিছু মিলিয়ে তাঁদের খরচ হয় এক লাখ টাকা।
কৃষি বিভাগের তথ্য মতে, জেলায় প্রথমবারের মতো কালো ধানের আবাদ হয়েছে। এই ধান সৌন্দর্য ও পুষ্টিগুণে ভরপুর। এই ধানগাছের পাতা এবং কাণ্ডের রং সবুজ হলেও ধান ও চালের রং কালো। তাই এ ধানের জাতটি কালো চালের ধান নামে পরিচিত। গুণাগুণের জন্য ব্ল্যাক রাইস এই চালকে ‘ওয়ার্ল্ড সুপার ফুড’ বলা হয়। তাই এর দামও অন্য সব চালের তুলনায় অনেক বেশি। বিশ্বের ধনী দেশগুলোয় এই চালের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে।
এই ধান চাষের উদ্যোক্তা মুক্তাদির আহম্মেদ নয়ন বলেন, ‘আমরা চিন্তা করেছি, চাকরির পিছে না ঘুরে নিজেরাই কিছু করব। এই চিন্তা থেকেই আমরা চারজন মিলে ১০ কেজি ব্ল্যাক রাইস ধানের বীজ সংগ্রহ করি চীন থেকে। পরে তিন একর জায়গা ভাড়া করি। সেই ভাড়া জমিতে সবকিছু করে আমাদের মোট খরচ হয় প্রায় ১ লাখ টাকা। প্রথমে আমরা একটু চিন্তায় ছিলাম, এই ধান হবে কি হবে না। পরে কৃষি বিভাগের দেখাশোনা ও পরামর্শক্রমে আস্তে আস্তে ফলন আসতে শুরু করে। ধীরে ধীরে ধানও পাকতে শুরু করে। আমরা হিসাব করে দেখেছি এই তিন একরের খেত থেকে আমাদের প্রায় ১০ লাখ টাকা আয় হবে।’
আরেক উদ্যোক্তা স্বপন আহসান বলেন, ‘এই বীজ আমরা জেলায় ছড়িয়ে দিতে চাই। এজন্য আমাদের কৃষি বিভাগের সহযোগিতা প্রয়োজন। আমরা তিন হাজার টাকা কেজি ধরে ধান কিনলেও কৃষকদের ১ হাজার টাকা দামে বীজ দেব। কারণ, কৃষকেরা যেন খুব সহজে অল্প খরচে, বেশি লাভ ও ডায়বেটিস এবং ক্যানসার প্রতিরোধক হিসেবে এই ধান সবাই চাষ করতে পারেন।’
হাঁসধরা গ্রামের কৃষক গোলাম রসুল বলেন, ‘আমি বিদেশ থেকে এই ধানের বীজ সংগ্রহ করি। কৃষি অফিসের সহযোগিতায় আমি প্রায় দুই একর জায়গায় এ ধান চাষ করেছি। আশা করি লাভবান হব।’
উপজেলা কৃষি অফিসার মো. হুমায়ুন দিলদার বলেন, উদ্যোক্তারা বারবার আমার অফিসে এসেছেন। আমরা তাঁদের সার্বিক সহযোগিতা করেছি। এ ধান চাষে কৃষকদের আগ্রহ বাড়ানোর জন্য পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। এ ধান চাষ বাড়ালে কৃষক খুবই লাভবান হবেন।
কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপপরিচালক ডা. মুহিত কুমার দে বলেন, ‘আমরা ইতিমধ্যে ওই চার উদ্যোক্তার ধানখেত পরিদর্শন করেছি। খেতের ধান খুব ভালো হয়েছে। আমরা চাচ্ছি, তাঁদের কাছ থেকে বীজ সংগ্রহ করে জেলার অন্য কৃষকদের মধ্যে ছড়িয়ে দিতে। কৃষি বিভাগ সব সময় তাঁদের পাশে থাকবে।’
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
১ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৯ দিন আগে