নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে ভোট গণনা নিয়ে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনায় সহযোগী সংগঠন যুবলীগের নাম আসায় বিব্রত ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। দলটির নেতারা বলছেন, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ ভোট গ্রহণের পর ফল প্রকাশ নিয়ে যুবলীগের কর্মকাণ্ড ভালোভাবে নেয়নি দলের হাইকমান্ড।
ভোট গণনাকে কেন্দ্র করে মারামারির ঘটনায় তিন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেলের (এএজি) নিয়োগ বাতিল করে গতকাল অব্যাহতি দিয়েছে আইন মন্ত্রণালয়। তাঁরা হলেন মো. জাকির হোসেন, কাজী বশির আহমেদ ও শ্যামা আক্তার। তাঁরা সম্পাদক পদে স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে ছিলেন।
সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচনের ভোট গণনার বিশৃঙ্খলার বিষয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের গতকাল সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমি যুবলীগ, আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ বুঝি না। অপরাধী অপরাধ করেছে। অপরাধী যেই হোক, ছাড় দেওয়া হবে না। প্রধানমন্ত্রী এ ব্যাপারে অত্যন্ত কঠোর।’
৬ ও ৭ মার্চ এই নির্বাচনে ভোট গ্রহণ হয়। নির্বাচনে বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদ-সমর্থিত সাদা প্যানেল এবং বিএনপি-জামায়াত-সমর্থিত জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ঐক্য (নীল) প্যানেল অংশ নেয়। এ দুই প্যানেলের বাইরে সভাপতি পদে দুজন ও সম্পাদক পদে দুজন প্রার্থী হন। সম্পাদক পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী ছিলেন নাহিদ সুলতানা যুথী। তিনি যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশের স্ত্রী।
৭ মার্চ রাতে ভোট গণনাকে কেন্দ্র করে সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে বিশৃঙ্খলা হয়। সূত্রগুলো বলেছে, গণনা নিয়ে হট্টগোলের একপর্যায়ে রাত ২টার দিকে যুবলীগের একদল নেতা-কর্মী ভোট গণনা কক্ষে ঢুকে পড়েন। তাঁরা একজন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেলসহ কয়েকজনকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেন এবং যুথীকে বিজয়ী ঘোষণা করতে নির্বাচন কমিশনের ওপর চাপ সৃষ্টি করে লিখিতও নিয়ে নেন।
পরে যুবলীগের নেতা-কর্মীরা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে যুথীকে অভিনন্দন জানান। তবে ভোট গণনা শেষে সম্পাদকসহ ১১টি পদে আওয়ামী লীগ-সমর্থিত আইনজীবীরা এবং সভাপতি ও তিনটি সদস্য পদে বিএনপি-জামায়াত-সমর্থিত প্রার্থীরা বিজয়ী হয়েছেন।
বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের আহ্বায়ক ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘যে ঘটনা ঘটেছে, সেটা সুপ্রিম কোর্টের ভাবমূর্তিকে স্পর্শ করেছে। এটা খুব দুঃখজনক ও মর্মান্তিক।’
পাবনার মেয়ে যুথী রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ছাত্রী ছিলেন। তিনি সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির কোষাধ্যক্ষও ছিলেন। বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদ থেকে সম্পাদক পদে মনোনয়ন না পেয়ে তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হন। আগেরবারও তিনি প্রার্থী হতে চেয়েছিলেন। সূত্র জানায়, এবার তাঁর পক্ষে কাজ করেন যুবলীগের নেতা-কর্মীরা। ভোটের দুই দিন যুবলীগের শতাধিক কর্মী আইনজীবীদের মতো সাদা শার্ট পরে সুপ্রিম কোর্ট এলাকায় ছিলেন।
যুবলীগের নেতা-কর্মীদের বিশৃঙ্খলায় আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা বিব্রত। তবে তাঁরা প্রকাশ্যে মন্তব্য করতে চান না। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আওয়ামী লীগের সম্পাদকমণ্ডলীর এক নেতা বলেন, যুথীকে নির্বাচন থেকে আগেই সরানো গেলে এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হতো না।
ওই ঘটনায় আওয়ামী লীগের হাইকমান্ডও বিব্রত। পদক্ষেপও নেওয়া হয়েছে। গত শুক্রবার যুথীর বাসায় ডিবি পুলিশ অভিযান চালিয়ে চারজনকে আটক করে। এর আগে যুথীকে ১ নম্বর আসামি করে মামলা করেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল সাইফুর রহমান সিদ্দিকী (সাইফ)। মামলায় বিএনপির প্যানেলের সম্পাদক ছাড়াও যুবলীগের কয়েকজন নেতাকে আসামি করা হয়। এ পর্যন্ত যুথীর সমর্থক সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল কাজী বশির আহমেদসহ ছয়জনকে গ্রেপ্তার করে রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে।
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও জ্যেষ্ঠ আইনজীবী কামরুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, যারা এ ধরনের ঘটনা ঘটায় তারা দলের ভাবমূর্তি নষ্ট করে।
তিন আইন কর্মকর্তাকে অব্যাহতি
ওই ভোট গণনাকে কেন্দ্র করে মারামারির ঘটনায় তিন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মো. জাকির হোসেন, কাজী বশির আহমেদ ও শ্যামা আক্তারের নিয়োগ বাতিল করে তাঁদের অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। গতকাল আইন মন্ত্রণালয়ের সলিসিটর অনুবিভাগের বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়। তবে কী কারণে তাঁদের নিয়োগের আদেশ বাতিল করা হয়েছে, সে বিষয়ে বিজ্ঞপ্তিতে কিছু বলা হয়নি।
আরও পড়ুন:
সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে ভোট গণনা নিয়ে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনায় সহযোগী সংগঠন যুবলীগের নাম আসায় বিব্রত ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। দলটির নেতারা বলছেন, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ ভোট গ্রহণের পর ফল প্রকাশ নিয়ে যুবলীগের কর্মকাণ্ড ভালোভাবে নেয়নি দলের হাইকমান্ড।
ভোট গণনাকে কেন্দ্র করে মারামারির ঘটনায় তিন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেলের (এএজি) নিয়োগ বাতিল করে গতকাল অব্যাহতি দিয়েছে আইন মন্ত্রণালয়। তাঁরা হলেন মো. জাকির হোসেন, কাজী বশির আহমেদ ও শ্যামা আক্তার। তাঁরা সম্পাদক পদে স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে ছিলেন।
সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচনের ভোট গণনার বিশৃঙ্খলার বিষয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের গতকাল সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমি যুবলীগ, আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ বুঝি না। অপরাধী অপরাধ করেছে। অপরাধী যেই হোক, ছাড় দেওয়া হবে না। প্রধানমন্ত্রী এ ব্যাপারে অত্যন্ত কঠোর।’
৬ ও ৭ মার্চ এই নির্বাচনে ভোট গ্রহণ হয়। নির্বাচনে বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদ-সমর্থিত সাদা প্যানেল এবং বিএনপি-জামায়াত-সমর্থিত জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ঐক্য (নীল) প্যানেল অংশ নেয়। এ দুই প্যানেলের বাইরে সভাপতি পদে দুজন ও সম্পাদক পদে দুজন প্রার্থী হন। সম্পাদক পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী ছিলেন নাহিদ সুলতানা যুথী। তিনি যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশের স্ত্রী।
৭ মার্চ রাতে ভোট গণনাকে কেন্দ্র করে সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে বিশৃঙ্খলা হয়। সূত্রগুলো বলেছে, গণনা নিয়ে হট্টগোলের একপর্যায়ে রাত ২টার দিকে যুবলীগের একদল নেতা-কর্মী ভোট গণনা কক্ষে ঢুকে পড়েন। তাঁরা একজন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেলসহ কয়েকজনকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেন এবং যুথীকে বিজয়ী ঘোষণা করতে নির্বাচন কমিশনের ওপর চাপ সৃষ্টি করে লিখিতও নিয়ে নেন।
পরে যুবলীগের নেতা-কর্মীরা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে যুথীকে অভিনন্দন জানান। তবে ভোট গণনা শেষে সম্পাদকসহ ১১টি পদে আওয়ামী লীগ-সমর্থিত আইনজীবীরা এবং সভাপতি ও তিনটি সদস্য পদে বিএনপি-জামায়াত-সমর্থিত প্রার্থীরা বিজয়ী হয়েছেন।
বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের আহ্বায়ক ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘যে ঘটনা ঘটেছে, সেটা সুপ্রিম কোর্টের ভাবমূর্তিকে স্পর্শ করেছে। এটা খুব দুঃখজনক ও মর্মান্তিক।’
পাবনার মেয়ে যুথী রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ছাত্রী ছিলেন। তিনি সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির কোষাধ্যক্ষও ছিলেন। বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদ থেকে সম্পাদক পদে মনোনয়ন না পেয়ে তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হন। আগেরবারও তিনি প্রার্থী হতে চেয়েছিলেন। সূত্র জানায়, এবার তাঁর পক্ষে কাজ করেন যুবলীগের নেতা-কর্মীরা। ভোটের দুই দিন যুবলীগের শতাধিক কর্মী আইনজীবীদের মতো সাদা শার্ট পরে সুপ্রিম কোর্ট এলাকায় ছিলেন।
যুবলীগের নেতা-কর্মীদের বিশৃঙ্খলায় আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা বিব্রত। তবে তাঁরা প্রকাশ্যে মন্তব্য করতে চান না। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আওয়ামী লীগের সম্পাদকমণ্ডলীর এক নেতা বলেন, যুথীকে নির্বাচন থেকে আগেই সরানো গেলে এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হতো না।
ওই ঘটনায় আওয়ামী লীগের হাইকমান্ডও বিব্রত। পদক্ষেপও নেওয়া হয়েছে। গত শুক্রবার যুথীর বাসায় ডিবি পুলিশ অভিযান চালিয়ে চারজনকে আটক করে। এর আগে যুথীকে ১ নম্বর আসামি করে মামলা করেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল সাইফুর রহমান সিদ্দিকী (সাইফ)। মামলায় বিএনপির প্যানেলের সম্পাদক ছাড়াও যুবলীগের কয়েকজন নেতাকে আসামি করা হয়। এ পর্যন্ত যুথীর সমর্থক সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল কাজী বশির আহমেদসহ ছয়জনকে গ্রেপ্তার করে রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে।
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও জ্যেষ্ঠ আইনজীবী কামরুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, যারা এ ধরনের ঘটনা ঘটায় তারা দলের ভাবমূর্তি নষ্ট করে।
তিন আইন কর্মকর্তাকে অব্যাহতি
ওই ভোট গণনাকে কেন্দ্র করে মারামারির ঘটনায় তিন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মো. জাকির হোসেন, কাজী বশির আহমেদ ও শ্যামা আক্তারের নিয়োগ বাতিল করে তাঁদের অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। গতকাল আইন মন্ত্রণালয়ের সলিসিটর অনুবিভাগের বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়। তবে কী কারণে তাঁদের নিয়োগের আদেশ বাতিল করা হয়েছে, সে বিষয়ে বিজ্ঞপ্তিতে কিছু বলা হয়নি।
আরও পড়ুন:
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
১ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৮ দিন আগে