সাহিদ রহমান অরিন, ঢাকা
দলকে এক সুতোয় গাঁথা, সামনে থেকে নেতৃত্ব দেওয়া, গোলবন্যা বইয়ে দলের জয়ে বিশেষ অবদান রাখা—সাবিনা খাতুন আক্ষরিক অর্থেই দেখিয়ে দিয়েছেন ‘যে রাঁধে, সে ফুটবল মাঠও কাঁপায়’। আসলে বাংলাদেশ নারী দলের অধিনায়কের ভূমিকা সীমাহীন!
২০০৭ সালে ভিশন এশিয়া প্রোগ্রামের আওতাধীন একটি টুর্নামেন্ট দিয়ে ফুটবলের সঙ্গে পরিচয় হয় বাংলাদেশের নারীদের। এরপর স্কুল ফুটবল, জেলা পর্যায়ের টুর্নামেন্টে সাফল্য পাওয়াদের নিয়ে জাতীয় দল গঠন। ১৫ বছরের মধ্যে সেই দলটাই আজ সাফের চ্যাম্পিয়ন।
দেশকে দক্ষিণ এশিয়ার সেরা বানানোর এ বন্ধুর পথের প্রায় প্রতিটি ধাপের সাক্ষী সাবিনা। ২০১৫ সালে অংম্রাচিং মারমা দায়িত্ব ছাড়লে অধিনায়কের বাহুবন্ধনী ওঠে তাঁর হাতে। তখন থেকেই কোচ গোলাম রব্বানী ছোটনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অস্ত্র তিনি।
দেশের ফুটবল ইতিহাসে সর্বোচ্চ গোল, ক্লাব ফুটবলে শীর্ষ গোলদাতা, প্রথম বাংলাদেশি নারী ফুটবলার হিসেবে একাধিক বিদেশি লিগে (মালদ্বীপ ও ভারতে) খেলার সুযোগ—সব রেকর্ডই লুটিয়ে পড়েছে সাবিনার পায়ে। তাঁর ব্যক্তিগত নৈপুণ্যে দলও হয়েছে সাফল্যমণ্ডিত। ২০১০ সালে দক্ষিণ এশিয়ান (এসএ) গেমসে ব্রোঞ্জ জয়ী দলের গর্বিত সদস্য তিনি। ৬ বছর পর তাঁর নেতৃত্বেই সাফে রানার্সআপ হয় বাংলাদেশ। কিন্তু দলকে সাফল্যের চূড়ায় তোলা হচ্ছিল না কিছুতেই।
২০১৬ সালে শিলিগুড়ির ফাইনালে ভারতের কাছে হেরে শিরোপার খুব কাছ থেকে ফিরে আসা। ২০১৯ সালের সেমিফাইনালে সেই ভারতের কাছেই আরেক দফা নাকাল হওয়া। ওই ব্যর্থতাগুলোই বোধ হয় তাতিয়ে দিয়েছিল সাবিনাকে। কাঠমাণ্ডুর দশরথে যেন তাই ‘একাই এক শ’ হওয়ার অভিযানে নেমেছিলেন এই ফরোয়ার্ড।
প্রথমবার নারী সাফ জিতে বাংলাদেশ পেয়েছে ক্রীড়াঙ্গনে এই দশকের সেরা সাফল্য। ৮ গোল করে সাবিনা জিতে নিয়েছেন সর্বোচ্চ গোলদাতা (গোল্ডেন বুট) ও টুর্নামেন্ট-সেরার খেতাব। আসরে বাংলাদেশ গোল করেছে ২৩টি; যার এক-তৃতীয়াংশেরও বেশি করেছেন সাবিনা একাই! দলের শ্রেষ্ঠত্বের মঞ্চে নেওয়ার পথে দুই-দুইবার পেয়েছেন হ্যাটট্রিকের দেখা। গতকালে ফাইনালে নেপালের জাল খুঁজে নিতে না পারলেও একটি গোলে অবদান রেখেছেন তিনি।
সব মিলিয়ে এবারের টুর্নামেন্টকে নির্দ্বিধায় ‘সাবিনার সাফ’ বলাই যায়। তবে গৌরবোজ্জ্বল সাফল্যের ভাগীদার হয়েও আত্মতুষ্টিতে ভুগছেন না তিনি। শিরোপা নিয়ে দেশে ফেরার অপেক্ষায় থাকা অধিনায়ক ম্যাচ শেষে তীব্র উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন দেশবাসীর জন্য, ‘দীর্ঘ ১২-১৩ বছরের অপেক্ষা শেষ হয়েছে। দেশবাসীর দোয়া ছিল। সবাই ট্রফি ঘরে নিয়ে আসতে বলেছিল। এই ট্রফি দেশের মানুষের।’
ব্যক্তিগত অর্জন নিয়ে সাবিনা বলেছেন, ‘আমি সর্বোচ্চ গোলদাতার পুরস্কার ও আসরের সবচেয়ে মূল্যবান খেলোয়াড়ের পুরস্কারও জিতেছি। শিরোপা জেতার সঙ্গে এটা অনেক বড় অর্জন। এটাই আমার জীবনের সেরা দিন।’
দলকে এক সুতোয় গাঁথা, সামনে থেকে নেতৃত্ব দেওয়া, গোলবন্যা বইয়ে দলের জয়ে বিশেষ অবদান রাখা—সাবিনা খাতুন আক্ষরিক অর্থেই দেখিয়ে দিয়েছেন ‘যে রাঁধে, সে ফুটবল মাঠও কাঁপায়’। আসলে বাংলাদেশ নারী দলের অধিনায়কের ভূমিকা সীমাহীন!
২০০৭ সালে ভিশন এশিয়া প্রোগ্রামের আওতাধীন একটি টুর্নামেন্ট দিয়ে ফুটবলের সঙ্গে পরিচয় হয় বাংলাদেশের নারীদের। এরপর স্কুল ফুটবল, জেলা পর্যায়ের টুর্নামেন্টে সাফল্য পাওয়াদের নিয়ে জাতীয় দল গঠন। ১৫ বছরের মধ্যে সেই দলটাই আজ সাফের চ্যাম্পিয়ন।
দেশকে দক্ষিণ এশিয়ার সেরা বানানোর এ বন্ধুর পথের প্রায় প্রতিটি ধাপের সাক্ষী সাবিনা। ২০১৫ সালে অংম্রাচিং মারমা দায়িত্ব ছাড়লে অধিনায়কের বাহুবন্ধনী ওঠে তাঁর হাতে। তখন থেকেই কোচ গোলাম রব্বানী ছোটনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অস্ত্র তিনি।
দেশের ফুটবল ইতিহাসে সর্বোচ্চ গোল, ক্লাব ফুটবলে শীর্ষ গোলদাতা, প্রথম বাংলাদেশি নারী ফুটবলার হিসেবে একাধিক বিদেশি লিগে (মালদ্বীপ ও ভারতে) খেলার সুযোগ—সব রেকর্ডই লুটিয়ে পড়েছে সাবিনার পায়ে। তাঁর ব্যক্তিগত নৈপুণ্যে দলও হয়েছে সাফল্যমণ্ডিত। ২০১০ সালে দক্ষিণ এশিয়ান (এসএ) গেমসে ব্রোঞ্জ জয়ী দলের গর্বিত সদস্য তিনি। ৬ বছর পর তাঁর নেতৃত্বেই সাফে রানার্সআপ হয় বাংলাদেশ। কিন্তু দলকে সাফল্যের চূড়ায় তোলা হচ্ছিল না কিছুতেই।
২০১৬ সালে শিলিগুড়ির ফাইনালে ভারতের কাছে হেরে শিরোপার খুব কাছ থেকে ফিরে আসা। ২০১৯ সালের সেমিফাইনালে সেই ভারতের কাছেই আরেক দফা নাকাল হওয়া। ওই ব্যর্থতাগুলোই বোধ হয় তাতিয়ে দিয়েছিল সাবিনাকে। কাঠমাণ্ডুর দশরথে যেন তাই ‘একাই এক শ’ হওয়ার অভিযানে নেমেছিলেন এই ফরোয়ার্ড।
প্রথমবার নারী সাফ জিতে বাংলাদেশ পেয়েছে ক্রীড়াঙ্গনে এই দশকের সেরা সাফল্য। ৮ গোল করে সাবিনা জিতে নিয়েছেন সর্বোচ্চ গোলদাতা (গোল্ডেন বুট) ও টুর্নামেন্ট-সেরার খেতাব। আসরে বাংলাদেশ গোল করেছে ২৩টি; যার এক-তৃতীয়াংশেরও বেশি করেছেন সাবিনা একাই! দলের শ্রেষ্ঠত্বের মঞ্চে নেওয়ার পথে দুই-দুইবার পেয়েছেন হ্যাটট্রিকের দেখা। গতকালে ফাইনালে নেপালের জাল খুঁজে নিতে না পারলেও একটি গোলে অবদান রেখেছেন তিনি।
সব মিলিয়ে এবারের টুর্নামেন্টকে নির্দ্বিধায় ‘সাবিনার সাফ’ বলাই যায়। তবে গৌরবোজ্জ্বল সাফল্যের ভাগীদার হয়েও আত্মতুষ্টিতে ভুগছেন না তিনি। শিরোপা নিয়ে দেশে ফেরার অপেক্ষায় থাকা অধিনায়ক ম্যাচ শেষে তীব্র উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন দেশবাসীর জন্য, ‘দীর্ঘ ১২-১৩ বছরের অপেক্ষা শেষ হয়েছে। দেশবাসীর দোয়া ছিল। সবাই ট্রফি ঘরে নিয়ে আসতে বলেছিল। এই ট্রফি দেশের মানুষের।’
ব্যক্তিগত অর্জন নিয়ে সাবিনা বলেছেন, ‘আমি সর্বোচ্চ গোলদাতার পুরস্কার ও আসরের সবচেয়ে মূল্যবান খেলোয়াড়ের পুরস্কারও জিতেছি। শিরোপা জেতার সঙ্গে এটা অনেক বড় অর্জন। এটাই আমার জীবনের সেরা দিন।’
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
১ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৯ দিন আগে