শাহরিয়ার হাসান, ঢাকা
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের (ডিএনসি) কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পোশাক (ইউনিফর্ম) আবার বদলানো হয়েছে। এ নিয়ে তিনবার পোশাক বদল হলো। সর্বশেষ ৪ জুন পোশাকের রংসহ পরিধানের সব বিষয় চূড়ান্ত করে গেজেট প্রকাশ করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
তবে ওই পোশাক নিয়ে এবার আপত্তি তুলেছেন মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। তাঁরা বলছেন, ওই রঙের পোশাক একসময় পুলিশের স্পেশাল সিকিউরিটি অ্যান্ড প্রটেকশন ব্যাটালিয়ন (এসপিবিএন) ব্যবহার করলেও একটি বাহিনীর আপত্তিতে বাদ দেওয়া হয়েছে। তাদের পরার ক্ষেত্রেও আপত্তি আসতে পারে। এ ছাড়া বারবার পোশাক বদল করা হলে অধিদপ্তরের সদস্যদের পরিচয় নিয়ে মানুষের মধ্যে বিভ্রান্তি তৈরি হবে।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরে ৩ হাজার ৫৯ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী রয়েছেন। সূত্র বলেছে, তাঁদের জন্য নতুন পোশাক বানাতে প্রায় ১০ কোটি টাকা খরচ হতে পারে।
অধিদপ্তরের পুরুষ কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বর্তমানে টার্কিশ ব্লু রঙের সেলুলার কাপড়ের ফুল ও হাফহাতা শার্ট, ডিপ নেভি ব্লু রঙের প্যান্ট এবং অধিদপ্তরের লোগোসংবলিত টুপি পরছেন। নারী কর্মকর্তা-কর্মচারীরা পরছেন টার্কিশ ব্লু রঙের বুশ শার্ট ও ডিপ নেভি ব্লু রঙের প্যান্ট। নতুন নির্ধারণ করা পোশাকে রয়েছে আইভরি বেইজ রঙের সেলুলার কাপড়ের ফুল ও হাফহাতা শার্ট, কালো ড্রিল কাপড়ের ফুলপ্যান্ট এবং অধিদপ্তরের অনুমোদিত লোগোসংবলিত ব্ল্যাক ব্যারেট টুপি।
বাংলাদেশ নারকোটিকস কন্ট্রোল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আবুল হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, কোনো ধরনের ভেটিং ছাড়াই পোশাক নির্ধারণ করা হয়েছে। আগেরবার ভেটিং করেও পুলিশের পোশাকের সঙ্গে কিছুটা মিল থাকায় আপত্তি উঠেছে। এবার পোশাকের যে রং নির্ধারণ করা হয়েছে, তা একটি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অনিয়মিত পোশাক।
অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা জানান, তাঁরা এখন যে পোশাক পরছেন, তা চালু হয়েছে গত বছরের ১ সেপ্টেম্বর। কিন্তু ওই মাসেই পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা তাঁদের পোশাকের সঙ্গে ওই পোশাকের মিল থাকায় এ নিয়ে আপত্তি জানান। মূলত এই আপত্তির কারণে অধিদপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পোশাক আবার বদলানো হচ্ছে।
নথি পর্যালোচনায় দেখা যায়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় চলতি বছরের ১৪ মার্চ মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরকে পোশাকের রং পরিবর্তনের জন্য চিঠি দেয়। চিঠিতে বলা হয়, তাঁদের পোশাকের সঙ্গে অন্য সংস্থার পোশাকের রঙে কিছুটা মিল থাকায় রং পরিবর্তনের প্রয়োজনীয়তা দেখা দিয়েছে। চিঠি পাওয়ার পর পাঁচ সদস্যের একটি কমিটি করে অধিদপ্তর। অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক আজিজুল ইসলামের নেতৃত্বে এই কমিটি নতুন পোশাকের রং ঠিক করতে কয়েক দফা বৈঠক করে। ৪ জুন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় নতুন পোশাক নির্ধারণের পর গেজেট প্রকাশ করে। এতে বলা হয়, অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক পর্যন্ত সব কর্মকর্তা-কর্মচারীর জন্য এই পোশাক প্রযোজ্য হবে।
২০১৪ সাল থেকে অধিদপ্তরের সিপাহি থেকে পরিদর্শক পদের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা খাকি রঙের পোশাক পরতেন। ওই রং নিয়ে অসন্তোষ দেখা দিলে পোশাক বদলের আলোচনা হয়। পরে গত বছরের সেপ্টেম্বরে গাড়িচালক থেকে অতিরিক্ত পরিচালক পদের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য বর্তমান পোশাক চালু হয়।
অধিদপ্তরের পরিদর্শক, সহকারী পরিচালক ও উপপরিচালক পদমর্যাদার কয়েকজন কর্মকর্তা বলেন, বারবার পোশাক বদলে একদিকে সরকারি অর্থ অপচয় হচ্ছে, অন্যদিকে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অসন্তোষ তৈরি হচ্ছে। তাঁরা নিজেদের অবহেলার পাত্র মনে করছেন।
অবশ্য মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের পরিচালক (অপারেশন) তানভীর মমতাজ আজকের পত্রিকাকে বলেন, নতুন পোশাকের রঙের পোশাক এসপিবিএন ব্যবহার করত। এখন তো করে না। তাই এ নিয়ে অধিদপ্তরের সদস্যদের আপত্তি থাকার প্রশ্ন উঠছে না।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের (ডিএনসি) কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পোশাক (ইউনিফর্ম) আবার বদলানো হয়েছে। এ নিয়ে তিনবার পোশাক বদল হলো। সর্বশেষ ৪ জুন পোশাকের রংসহ পরিধানের সব বিষয় চূড়ান্ত করে গেজেট প্রকাশ করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
তবে ওই পোশাক নিয়ে এবার আপত্তি তুলেছেন মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। তাঁরা বলছেন, ওই রঙের পোশাক একসময় পুলিশের স্পেশাল সিকিউরিটি অ্যান্ড প্রটেকশন ব্যাটালিয়ন (এসপিবিএন) ব্যবহার করলেও একটি বাহিনীর আপত্তিতে বাদ দেওয়া হয়েছে। তাদের পরার ক্ষেত্রেও আপত্তি আসতে পারে। এ ছাড়া বারবার পোশাক বদল করা হলে অধিদপ্তরের সদস্যদের পরিচয় নিয়ে মানুষের মধ্যে বিভ্রান্তি তৈরি হবে।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরে ৩ হাজার ৫৯ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী রয়েছেন। সূত্র বলেছে, তাঁদের জন্য নতুন পোশাক বানাতে প্রায় ১০ কোটি টাকা খরচ হতে পারে।
অধিদপ্তরের পুরুষ কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বর্তমানে টার্কিশ ব্লু রঙের সেলুলার কাপড়ের ফুল ও হাফহাতা শার্ট, ডিপ নেভি ব্লু রঙের প্যান্ট এবং অধিদপ্তরের লোগোসংবলিত টুপি পরছেন। নারী কর্মকর্তা-কর্মচারীরা পরছেন টার্কিশ ব্লু রঙের বুশ শার্ট ও ডিপ নেভি ব্লু রঙের প্যান্ট। নতুন নির্ধারণ করা পোশাকে রয়েছে আইভরি বেইজ রঙের সেলুলার কাপড়ের ফুল ও হাফহাতা শার্ট, কালো ড্রিল কাপড়ের ফুলপ্যান্ট এবং অধিদপ্তরের অনুমোদিত লোগোসংবলিত ব্ল্যাক ব্যারেট টুপি।
বাংলাদেশ নারকোটিকস কন্ট্রোল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আবুল হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, কোনো ধরনের ভেটিং ছাড়াই পোশাক নির্ধারণ করা হয়েছে। আগেরবার ভেটিং করেও পুলিশের পোশাকের সঙ্গে কিছুটা মিল থাকায় আপত্তি উঠেছে। এবার পোশাকের যে রং নির্ধারণ করা হয়েছে, তা একটি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অনিয়মিত পোশাক।
অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা জানান, তাঁরা এখন যে পোশাক পরছেন, তা চালু হয়েছে গত বছরের ১ সেপ্টেম্বর। কিন্তু ওই মাসেই পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা তাঁদের পোশাকের সঙ্গে ওই পোশাকের মিল থাকায় এ নিয়ে আপত্তি জানান। মূলত এই আপত্তির কারণে অধিদপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পোশাক আবার বদলানো হচ্ছে।
নথি পর্যালোচনায় দেখা যায়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় চলতি বছরের ১৪ মার্চ মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরকে পোশাকের রং পরিবর্তনের জন্য চিঠি দেয়। চিঠিতে বলা হয়, তাঁদের পোশাকের সঙ্গে অন্য সংস্থার পোশাকের রঙে কিছুটা মিল থাকায় রং পরিবর্তনের প্রয়োজনীয়তা দেখা দিয়েছে। চিঠি পাওয়ার পর পাঁচ সদস্যের একটি কমিটি করে অধিদপ্তর। অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক আজিজুল ইসলামের নেতৃত্বে এই কমিটি নতুন পোশাকের রং ঠিক করতে কয়েক দফা বৈঠক করে। ৪ জুন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় নতুন পোশাক নির্ধারণের পর গেজেট প্রকাশ করে। এতে বলা হয়, অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক পর্যন্ত সব কর্মকর্তা-কর্মচারীর জন্য এই পোশাক প্রযোজ্য হবে।
২০১৪ সাল থেকে অধিদপ্তরের সিপাহি থেকে পরিদর্শক পদের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা খাকি রঙের পোশাক পরতেন। ওই রং নিয়ে অসন্তোষ দেখা দিলে পোশাক বদলের আলোচনা হয়। পরে গত বছরের সেপ্টেম্বরে গাড়িচালক থেকে অতিরিক্ত পরিচালক পদের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য বর্তমান পোশাক চালু হয়।
অধিদপ্তরের পরিদর্শক, সহকারী পরিচালক ও উপপরিচালক পদমর্যাদার কয়েকজন কর্মকর্তা বলেন, বারবার পোশাক বদলে একদিকে সরকারি অর্থ অপচয় হচ্ছে, অন্যদিকে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অসন্তোষ তৈরি হচ্ছে। তাঁরা নিজেদের অবহেলার পাত্র মনে করছেন।
অবশ্য মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের পরিচালক (অপারেশন) তানভীর মমতাজ আজকের পত্রিকাকে বলেন, নতুন পোশাকের রঙের পোশাক এসপিবিএন ব্যবহার করত। এখন তো করে না। তাই এ নিয়ে অধিদপ্তরের সদস্যদের আপত্তি থাকার প্রশ্ন উঠছে না।
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
১ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৮ দিন আগে