আনিসুল ইসলাম কাপাসিয়া (গাজীপুর)
তখন ব্রিটিশরা ভারতবর্ষ শাসন করত। এ দেশ থেকে নীল চাষ করে নিয়ে যেত ব্রিটেনে। কৃষকদের বাধ্য করা হতো নীল চাষ করতে। না করলে তাঁদের ওপর নেমে আসত অবর্ণনীয় নির্যাতন। ব্রিটিশদের এ অত্যাচারের বাস্তব চিত্র তুলে ধরা হয়েছে দীনবন্ধু মিত্রের ‘নীল দর্পণ’ নাটকে।
ব্রিটিশ শোষণের চিহ্ন আজও রয়েছে গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলার রানীগঞ্জে। কেউ বলে কুঠিবাড়ি, কেউ বা বলে নীলকুঠি; দুই নামেই উপজেলাজুড়ে রয়েছে এর পরিচিতি। কয়েক শ বছর ধরে টিকে আছে বাড়িটি।
ভারতবর্ষে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির রাজত্বের সময় নির্মিত হয়েছে রানীগঞ্জের নীলকুঠি। উপজেলার দুর্গাপুর ইউনিয়নের ঐতিহাসিক রানীগঞ্জ বাজার ও রানীগঞ্জ হাইস্কুলের উত্তর পাশের শীতলক্ষ্যা নদীর পশ্চিম তীরে কালের সাক্ষী হয়ে রয়েছে এই নীলকুঠি।
রানীগঞ্জ হাইস্কুলের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিষয়ের সিনিয়র শিক্ষক আবদুল ওহাব জানান, এখানে এখনো নীল তৈরি করার একটি চুলার কিছু অংশ রয়েছে। এই চুলায় জাল দিয়ে নীল তৈরি করা হতো। পরে শীতলক্ষ্যার নদীপথে ব্রিটেনে পাঠানো হতো। নরসিংদীর লাখপুর ও কাপাসিয়ার রানীগঞ্জের নদীর পূর্ব পাশের এলাকাজুড়ে তখনকার সময় নীল চাষ হতো। এই নীলকুঠি ছিল এই এলাকার কেন্দ্রস্থল।
জানা যায়, মণি সিং নামের এক ভারতীয় থাকতেন এখানে। তাঁর তত্ত্বাবধানে পরিচালিত হতো সব কার্যক্রম। তখনকার সময় পুরো এলাকাটি ছিল ভারতবর্ষের অধীনে। নীলকুঠিটি লোহা, কাঠ ও পোড়ামাটি দিয়ে তৈরি করা হয়েছে, যার বয়স ২৫০ বছরেরও বেশি। তখনকার সময়ের একটি পালঙ্ক ও চৌকি রয়েছে, যা এখনো ব্যবহার করা যায়। কিছু অংশ ছাড়া বাকি সব অংশই অক্ষত। দোতলা বাড়িটির নির্মাণশৈলী দৃষ্টিনন্দন। তখনকার সময় যেভাবে বানানো, এখনো তেমনই আছে। বাড়িটির চারপাশজুড়ে চার বিঘার ওপরে জমি রয়েছে, সেই জমিতে রয়েছে লিচুবাগান। কিছু লিচুগাছ শত বছরের বেশি বয়সী। লিচুগাছগুলো এখনো ফল দেয়।
রানীগঞ্জ হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক মো. আলী মনসুর জানান, রানীগঞ্জের নীলকুঠির বাড়িটি একসময় এই স্কুলের ছাত্রাবাস হিসেবে ব্যবহার করা হতো। দূরের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা এই কুঠিবাড়িতে থাকত। স্কুলের বিভিন্ন অনুষ্ঠান হলে জিনিসপত্র রাখা হতো, থাকত লোকজন। আধুনিক ব্যবস্থার মধ্যে বিদ্যুৎ, পানি, রান্নাঘরসহ সব ব্যবস্থা রয়েছে। তবে একটু অংশও সংস্কার করা জরুরি। পোড়ামাটি দিয়ে তৈরি হওয়াতে ইট-সিমেন্ট দিয়ে সংস্কার করা যাচ্ছে না। তা সংস্কার করতে গেলে পোড়ামাটির কাজ যাঁরা পারেন, তাঁদের দিয়ে করতে হবে। সুরকি ব্যবহার করে এই বাড়িটি তৈরি করা হয়েছে। এ ধরনের কাজ জানা আছে এমন কাউকে দিয়ে মেরামত করা হলে আগের সৌন্দর্য ফিরিয়ে আনা যাবে।
সংস্কারের অভাবে পরিত্যক্ত হওয়ার পথে ঐতিহাসিক এই নিদর্শন। কাপাসিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এ কে এম গোলাম মোর্শেদ খান বলেন, ‘বহু বছর আগে নির্মিত এই কুঠিবাড়ির কথা আমি শুনেছি। আমি পরিদর্শনে যাব এবং কুঠিবাড়িটি সংস্কারের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
তখন ব্রিটিশরা ভারতবর্ষ শাসন করত। এ দেশ থেকে নীল চাষ করে নিয়ে যেত ব্রিটেনে। কৃষকদের বাধ্য করা হতো নীল চাষ করতে। না করলে তাঁদের ওপর নেমে আসত অবর্ণনীয় নির্যাতন। ব্রিটিশদের এ অত্যাচারের বাস্তব চিত্র তুলে ধরা হয়েছে দীনবন্ধু মিত্রের ‘নীল দর্পণ’ নাটকে।
ব্রিটিশ শোষণের চিহ্ন আজও রয়েছে গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলার রানীগঞ্জে। কেউ বলে কুঠিবাড়ি, কেউ বা বলে নীলকুঠি; দুই নামেই উপজেলাজুড়ে রয়েছে এর পরিচিতি। কয়েক শ বছর ধরে টিকে আছে বাড়িটি।
ভারতবর্ষে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির রাজত্বের সময় নির্মিত হয়েছে রানীগঞ্জের নীলকুঠি। উপজেলার দুর্গাপুর ইউনিয়নের ঐতিহাসিক রানীগঞ্জ বাজার ও রানীগঞ্জ হাইস্কুলের উত্তর পাশের শীতলক্ষ্যা নদীর পশ্চিম তীরে কালের সাক্ষী হয়ে রয়েছে এই নীলকুঠি।
রানীগঞ্জ হাইস্কুলের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিষয়ের সিনিয়র শিক্ষক আবদুল ওহাব জানান, এখানে এখনো নীল তৈরি করার একটি চুলার কিছু অংশ রয়েছে। এই চুলায় জাল দিয়ে নীল তৈরি করা হতো। পরে শীতলক্ষ্যার নদীপথে ব্রিটেনে পাঠানো হতো। নরসিংদীর লাখপুর ও কাপাসিয়ার রানীগঞ্জের নদীর পূর্ব পাশের এলাকাজুড়ে তখনকার সময় নীল চাষ হতো। এই নীলকুঠি ছিল এই এলাকার কেন্দ্রস্থল।
জানা যায়, মণি সিং নামের এক ভারতীয় থাকতেন এখানে। তাঁর তত্ত্বাবধানে পরিচালিত হতো সব কার্যক্রম। তখনকার সময় পুরো এলাকাটি ছিল ভারতবর্ষের অধীনে। নীলকুঠিটি লোহা, কাঠ ও পোড়ামাটি দিয়ে তৈরি করা হয়েছে, যার বয়স ২৫০ বছরেরও বেশি। তখনকার সময়ের একটি পালঙ্ক ও চৌকি রয়েছে, যা এখনো ব্যবহার করা যায়। কিছু অংশ ছাড়া বাকি সব অংশই অক্ষত। দোতলা বাড়িটির নির্মাণশৈলী দৃষ্টিনন্দন। তখনকার সময় যেভাবে বানানো, এখনো তেমনই আছে। বাড়িটির চারপাশজুড়ে চার বিঘার ওপরে জমি রয়েছে, সেই জমিতে রয়েছে লিচুবাগান। কিছু লিচুগাছ শত বছরের বেশি বয়সী। লিচুগাছগুলো এখনো ফল দেয়।
রানীগঞ্জ হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক মো. আলী মনসুর জানান, রানীগঞ্জের নীলকুঠির বাড়িটি একসময় এই স্কুলের ছাত্রাবাস হিসেবে ব্যবহার করা হতো। দূরের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা এই কুঠিবাড়িতে থাকত। স্কুলের বিভিন্ন অনুষ্ঠান হলে জিনিসপত্র রাখা হতো, থাকত লোকজন। আধুনিক ব্যবস্থার মধ্যে বিদ্যুৎ, পানি, রান্নাঘরসহ সব ব্যবস্থা রয়েছে। তবে একটু অংশও সংস্কার করা জরুরি। পোড়ামাটি দিয়ে তৈরি হওয়াতে ইট-সিমেন্ট দিয়ে সংস্কার করা যাচ্ছে না। তা সংস্কার করতে গেলে পোড়ামাটির কাজ যাঁরা পারেন, তাঁদের দিয়ে করতে হবে। সুরকি ব্যবহার করে এই বাড়িটি তৈরি করা হয়েছে। এ ধরনের কাজ জানা আছে এমন কাউকে দিয়ে মেরামত করা হলে আগের সৌন্দর্য ফিরিয়ে আনা যাবে।
সংস্কারের অভাবে পরিত্যক্ত হওয়ার পথে ঐতিহাসিক এই নিদর্শন। কাপাসিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এ কে এম গোলাম মোর্শেদ খান বলেন, ‘বহু বছর আগে নির্মিত এই কুঠিবাড়ির কথা আমি শুনেছি। আমি পরিদর্শনে যাব এবং কুঠিবাড়িটি সংস্কারের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
১ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৯ দিন আগে