করোনার অতিমারির সময় টিকার প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার জন্য হুমড়ি খেয়ে পড়ার মতো অবস্থা ছিল। টিকার জন্য ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে অপেক্ষার চিত্রও দেখা গেছে সে সময়। কিন্তু করোনার প্রকোপ না থাকায় চট্টগ্রামে সেই দৃশ্য পাল্টে গেছে। এখন টিকার চতুর্থ ডোজ দেওয়ার জন্য গ্রহীতা খুঁজে পাওয়া দুষ্কর হয়ে পড়েছে।

স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, টিকার প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজের সময় পুরুষ ও নারীর পৃথক লাইনে ১০০ থেকে ২০০ জন দাঁড়িয়ে থাকতেন। তৃতীয় ডোজের সময় সেই আগ্রহে কিছুটা ভাটা পড়ে। এখন চতুর্থ ডোজে সাড়া আরও কমে গেছে। বলা যায়, একেবারে আবেদনহীন। গত দুই দিনে চট্টগ্রামে টিকা গ্রহীতাদের ভিড় একেবারেই নেই বললেই চলে।

চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে প্রাপ্ত তথ্যমতে, গত মঙ্গলবার থেকে সারা দেশের মতো চট্টগ্রামেও করোনার টিকার চতুর্থ ডোজ দেওয়া শুরু হয়। প্রথম দিন চট্টগ্রাম নগর ও ১৫ উপজেলায় মোট টিকা নিয়েছেন মাত্র ৩৭০ জন। এর মধ্যে পুরুষ ২৩০ এবং নারী ১৪০ জন। ১৫ উপজেলায় টিকা নিয়েছেন মাত্র ১০২ জন।

গতকাল বুধবার জেলায় মোট টিকা গ্রহণের সংখ্যা আরও কমে গেছে। এদিন টিকা নিয়েছেন ২৭৪ জন। এর মধ্যে পুরুষ ১৫৫ এবং নারী ১১৯ জন।

স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, চট্টগ্রামে করোনায় মোট আক্রান্ত হন ১ লাখ ২৯ হাজার ৫১৭ জন। এর মধ্যে মহানগরে ৯৪ হাজার ৪৩৮ জন এবং ১৫ উপজেলায় ৩৫ হাজার ৭৯ জন। ইতিমধ্যে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ১ হাজার ৩৬৯ জন। এই সংক্রমণ ও মৃত্যু নিয়ন্ত্রণে রাখতে গত বছরের ২৮ ডিসেম্বর থেকে করোনার টিকার বুস্টার ডোজ দেওয়া শুরু হয়। বর্তমানে সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সারা দেশে চতুর্থ ডোজ দেওয়া হচ্ছে।

চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন মো. ইলিয়াছ চৌধুরী বলেন, ‘চট্টগ্রামে উপজেলা পর্যায়ে করোনার টিকার চতুর্থ ডোজ দেওয়া শুরু হয়েছে। তবে প্রথম প্রথম মানুষ একটু কম আসছে। টিকার প্রতি অনেকের আগ্রহ কমে গেছে। আশা করছি,  আস্তে আস্তে সবাই টিকা নিতে আসবে।