মাসুদ পারভেজ রুবেল, ডিমলা (নীলফামারী)
বাংলাদেশ অংশে তিস্তা নদী শুকিয়ে অনেকটা মরা খালে পরিণত হয়েছে। পর্যাপ্ত পানি না থাকায় সংকটে পড়েছে দেশের বৃহত্তম তিস্তা ব্যারাজ সেচ প্রকল্প। সেচের লক্ষ্যমাত্রার ৫০ শতাংশও পূরণ করা সম্ভব হচ্ছে না। এতে ১৫ হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্পের সেচসুবিধা থেকে বঞ্চিত নীলফামারী, রংপুর ও দিনাজপুর জেলার লাখো কৃষক। দ্বিগুণ খরচে বিকল্প উপায়ে খেতে সেচ দিতে হচ্ছে।
পাউবো সূত্র বলছে, তিস্তা ব্যারাজের উজানে ১০০০-১৫০০ কিউসেক পানি পাওয়া যাচ্ছে। তবে ব্যারাজের ভাটিতে প্রায় ১১০ কিলোমিটার তিস্তায় ১০০ কিউসেক পানিও সরবরাহ নেই।
তিস্তা ব্যারাজ থেকে শুরু হয়ে সেচ প্রকল্পের খাল নীলফামারী, রংপুর ও দিনাজপুর জেলার ১২ উপজেলায় বিস্তৃত। এর দৈর্ঘ্য ৭৬৬ কিলোমিটার। মূল খাল থেকে টারশিয়ারি ও সেকেন্ডারি নালার মাধ্যমে পানি পৌঁছায় কৃষকের জমি পর্যন্ত। কিন্তু পানি না পাওয়া ও দেরি হওয়ার অভিযোগ করেছেন প্রকল্প এলাকার অনেক কৃষক।
সেচ প্রকল্পের সুবিধাভোগীরা বলছেন, নদীতে পানি না থাকায় তাঁরা আবাদ নিয়ে বেকায়দায় আছেন। পানির প্রবাহ নিশ্চিত না করায় বেশির ভাগ সেচনালা কোনো কাজেই আসছে না।
প্রকল্পসংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ১৯৭৯ সালে দেশের শস্যভান্ডারখ্যাত উত্তর জনপদের ৮ জেলায় ৫ লাখ ৪০ হাজার হেক্টর জমিতে সেচ দেওয়ার লক্ষ্য নিয়ে ১৫ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে তিস্তা সেচ প্রকল্পের কাজ শুরু হয়। কিন্তু ব্যারাজের উজানে ভারত বাঁধ নির্মাণ করে পানি প্রত্যাহার করায় প্রকল্প বাধাগ্রস্ত হয়। পরে নীলফামারী, রংপুর ও দিনাজপুরের ১ লাখ ১১ হাজার হেক্টর জমিতে সেচ দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে ১৯৯৩ সালে তিস্তা সেচ প্রকল্পের অপারেশনাল কার্যক্রম চালু করা হয়। তবে এতেও কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়নি।
পাউবো সূত্র জানায়, প্রকল্পের আওতায় ২০১৬ সালে ১০ হাজার, ২০১৭ সালে ৮ হাজার, ২০১৮ সালে ৩৫ হাজার, ২০১৯ সালে ৪০ হাজার, ২০২০ সালে ৪১ হাজার এবং ২০২১ ও ২২ সালে ৫৩ হাজার, ২০২৩ সালে ৪৫ হাজার হেক্টর জমিতে সেচ দেওয়া হয়। আর চলতি বছর সেচ দেওয়া হচ্ছে ৪৫ হাজার হেক্টর জমিতে।
তবে প্রকল্প এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, লক্ষ্যমাত্রা শুধু কাগজে-কলমে, বাস্তবে অর্ধেক জমিতেও সেচ দিতে পারছে না পাউবো।
পাউবো ও প্রকল্প সূত্র জানায়, জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তিস্তা নদীতে ৬০-৬৫ হাজার কিউসেক পানিপ্রবাহ থাকে। অক্টোবর থেকে পানি কমতে শুরু করে। ডিসেম্বরে তিস্তা শুকিয়ে যায়। জানুয়ারি থেকে মে পর্যন্ত তিস্তায় ৭০০-১৫০০ কিউসেক পানি থাকে। সে সময় সেচের জন্য তিস্তায় কমপক্ষে ৫ হাজার কিউসেক পানি থাকা দরকার।
সরেজমিনে দেখা যায়, তিস্তা ব্যারাজের উজানে সামান্য কিছু পানি থাকলেও ভাটিতে কোনো পানিই নেই। নদীর বুকে জেগে উঠেছে মাইলের পর মাইল বালুচর।
সেচ প্রকল্পের আওতাভুক্ত নীলফামারী জেলার বিভিন্ন গ্রামের ফসলি জমি ঘুরে দেখা গেছে, যেসব এলাকার কৃষকেরা আগে সেচের পানি পেতেন, তাঁরা ডিজেলচালিত শ্যালোপাম্প বসিয়ে জমিতে সেচ দিচ্ছেন।
কৃষকেরা জানান, প্রতি বিঘা জমিতে পুরো মৌসুমের জন্য সেচ প্রকল্প থেকে পানি নেওয়া হলে খরচ পড়ে ২০০ টাকার মতো। কিন্তু বিদ্যুৎ-চালিত সেচপাম্প থেকে পানি নিতে ব্যয় হয় এক থেকে দেড় হাজার টাকা। ডিজেলচালিত শ্যালো মেশিনের পানির খরচ আরও বেশি।
ডিমলার সোনাখুলি গ্রামের কৃষক সাফিন, আফতাবসহ কয়েকজন জানান, দুর্বল ব্যবস্থাপনা, রক্ষণাবেক্ষণ ও পরিকল্পনার অভাবে পাঁচ-ছয় বছর ধরে সেচখাল থেকে পানি পাচ্ছেন না তাঁরা। নালার পানি আসতে আসতে আবাদ শেষ। বাধ্য হয়ে যন্ত্রের মাধ্যমে সেচ দিতে হচ্ছে কৃষকদের। এতে প্রতি বিঘায় ৩-৪ হাজার টাকা খরচ হচ্ছে। সেচযন্ত্র বসাতে গিয়েও খরচ হয় ৮-১০ হাজার টাকা। পানির খরচ কমাতে প্রকল্প এলাকার বেশির ভাগ কৃষক তাঁদের বোরো ধানের জমিতে ভুট্টা লাগিয়েছেন।
নীলফামারীর ইটাখোলা ডাঙ্গাপাড়া এলাকার বাসিন্দা আব্দুল গফুর বলেন, বোরো রোপণের সময় ক্যানেলে পানিই থাকে না। আবার পানি আসে অসময়ে। ফলে ফসল ডুবে নষ্ট হয়।
ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আসফাউদদৌলা জানান, প্রকল্প এলাকা বাড়াতে সেচখাল সংস্কার ও সম্প্রসারণের কাজ চলছে। কাজ শেষ হলে ১ লাখ হেক্টর কৃষিজমিতে সেচ দেওয়া সম্ভব হবে।
তিস্তা বাঁচাও নদী বাঁচাও আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সদস্য সোহেল হাসান বলেন, যেখানে তিস্তার পানিই অনিশ্চিত, সেখানে বিপুল পরিমাণ অর্থ খরচ করে সেচখাল সংস্কার করলেও তা কাজে আসবে না।
পাউবোর রংপুর বিভাগের প্রধান নির্বাহী প্রকৌশলী মাহবুবর রহমান বলেন, প্রকল্প এলাকার কৃষকেরা ফেব্রুয়ারি মাসে বোরো রোপণ করেন। এ সময় নদীতে পানি থাকে না। আবার ভুট্টা লাগানো হয় অক্টোবর-নভেম্বর মাসে। তখন পর্যাপ্ত পানি থাকে। কিন্তু মাঠে রবিশস্য থাকায় ক্যানেলে পানি ছাড়া সম্ভব হয় না।
বাংলাদেশ অংশে তিস্তা নদী শুকিয়ে অনেকটা মরা খালে পরিণত হয়েছে। পর্যাপ্ত পানি না থাকায় সংকটে পড়েছে দেশের বৃহত্তম তিস্তা ব্যারাজ সেচ প্রকল্প। সেচের লক্ষ্যমাত্রার ৫০ শতাংশও পূরণ করা সম্ভব হচ্ছে না। এতে ১৫ হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্পের সেচসুবিধা থেকে বঞ্চিত নীলফামারী, রংপুর ও দিনাজপুর জেলার লাখো কৃষক। দ্বিগুণ খরচে বিকল্প উপায়ে খেতে সেচ দিতে হচ্ছে।
পাউবো সূত্র বলছে, তিস্তা ব্যারাজের উজানে ১০০০-১৫০০ কিউসেক পানি পাওয়া যাচ্ছে। তবে ব্যারাজের ভাটিতে প্রায় ১১০ কিলোমিটার তিস্তায় ১০০ কিউসেক পানিও সরবরাহ নেই।
তিস্তা ব্যারাজ থেকে শুরু হয়ে সেচ প্রকল্পের খাল নীলফামারী, রংপুর ও দিনাজপুর জেলার ১২ উপজেলায় বিস্তৃত। এর দৈর্ঘ্য ৭৬৬ কিলোমিটার। মূল খাল থেকে টারশিয়ারি ও সেকেন্ডারি নালার মাধ্যমে পানি পৌঁছায় কৃষকের জমি পর্যন্ত। কিন্তু পানি না পাওয়া ও দেরি হওয়ার অভিযোগ করেছেন প্রকল্প এলাকার অনেক কৃষক।
সেচ প্রকল্পের সুবিধাভোগীরা বলছেন, নদীতে পানি না থাকায় তাঁরা আবাদ নিয়ে বেকায়দায় আছেন। পানির প্রবাহ নিশ্চিত না করায় বেশির ভাগ সেচনালা কোনো কাজেই আসছে না।
প্রকল্পসংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ১৯৭৯ সালে দেশের শস্যভান্ডারখ্যাত উত্তর জনপদের ৮ জেলায় ৫ লাখ ৪০ হাজার হেক্টর জমিতে সেচ দেওয়ার লক্ষ্য নিয়ে ১৫ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে তিস্তা সেচ প্রকল্পের কাজ শুরু হয়। কিন্তু ব্যারাজের উজানে ভারত বাঁধ নির্মাণ করে পানি প্রত্যাহার করায় প্রকল্প বাধাগ্রস্ত হয়। পরে নীলফামারী, রংপুর ও দিনাজপুরের ১ লাখ ১১ হাজার হেক্টর জমিতে সেচ দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে ১৯৯৩ সালে তিস্তা সেচ প্রকল্পের অপারেশনাল কার্যক্রম চালু করা হয়। তবে এতেও কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়নি।
পাউবো সূত্র জানায়, প্রকল্পের আওতায় ২০১৬ সালে ১০ হাজার, ২০১৭ সালে ৮ হাজার, ২০১৮ সালে ৩৫ হাজার, ২০১৯ সালে ৪০ হাজার, ২০২০ সালে ৪১ হাজার এবং ২০২১ ও ২২ সালে ৫৩ হাজার, ২০২৩ সালে ৪৫ হাজার হেক্টর জমিতে সেচ দেওয়া হয়। আর চলতি বছর সেচ দেওয়া হচ্ছে ৪৫ হাজার হেক্টর জমিতে।
তবে প্রকল্প এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, লক্ষ্যমাত্রা শুধু কাগজে-কলমে, বাস্তবে অর্ধেক জমিতেও সেচ দিতে পারছে না পাউবো।
পাউবো ও প্রকল্প সূত্র জানায়, জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তিস্তা নদীতে ৬০-৬৫ হাজার কিউসেক পানিপ্রবাহ থাকে। অক্টোবর থেকে পানি কমতে শুরু করে। ডিসেম্বরে তিস্তা শুকিয়ে যায়। জানুয়ারি থেকে মে পর্যন্ত তিস্তায় ৭০০-১৫০০ কিউসেক পানি থাকে। সে সময় সেচের জন্য তিস্তায় কমপক্ষে ৫ হাজার কিউসেক পানি থাকা দরকার।
সরেজমিনে দেখা যায়, তিস্তা ব্যারাজের উজানে সামান্য কিছু পানি থাকলেও ভাটিতে কোনো পানিই নেই। নদীর বুকে জেগে উঠেছে মাইলের পর মাইল বালুচর।
সেচ প্রকল্পের আওতাভুক্ত নীলফামারী জেলার বিভিন্ন গ্রামের ফসলি জমি ঘুরে দেখা গেছে, যেসব এলাকার কৃষকেরা আগে সেচের পানি পেতেন, তাঁরা ডিজেলচালিত শ্যালোপাম্প বসিয়ে জমিতে সেচ দিচ্ছেন।
কৃষকেরা জানান, প্রতি বিঘা জমিতে পুরো মৌসুমের জন্য সেচ প্রকল্প থেকে পানি নেওয়া হলে খরচ পড়ে ২০০ টাকার মতো। কিন্তু বিদ্যুৎ-চালিত সেচপাম্প থেকে পানি নিতে ব্যয় হয় এক থেকে দেড় হাজার টাকা। ডিজেলচালিত শ্যালো মেশিনের পানির খরচ আরও বেশি।
ডিমলার সোনাখুলি গ্রামের কৃষক সাফিন, আফতাবসহ কয়েকজন জানান, দুর্বল ব্যবস্থাপনা, রক্ষণাবেক্ষণ ও পরিকল্পনার অভাবে পাঁচ-ছয় বছর ধরে সেচখাল থেকে পানি পাচ্ছেন না তাঁরা। নালার পানি আসতে আসতে আবাদ শেষ। বাধ্য হয়ে যন্ত্রের মাধ্যমে সেচ দিতে হচ্ছে কৃষকদের। এতে প্রতি বিঘায় ৩-৪ হাজার টাকা খরচ হচ্ছে। সেচযন্ত্র বসাতে গিয়েও খরচ হয় ৮-১০ হাজার টাকা। পানির খরচ কমাতে প্রকল্প এলাকার বেশির ভাগ কৃষক তাঁদের বোরো ধানের জমিতে ভুট্টা লাগিয়েছেন।
নীলফামারীর ইটাখোলা ডাঙ্গাপাড়া এলাকার বাসিন্দা আব্দুল গফুর বলেন, বোরো রোপণের সময় ক্যানেলে পানিই থাকে না। আবার পানি আসে অসময়ে। ফলে ফসল ডুবে নষ্ট হয়।
ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আসফাউদদৌলা জানান, প্রকল্প এলাকা বাড়াতে সেচখাল সংস্কার ও সম্প্রসারণের কাজ চলছে। কাজ শেষ হলে ১ লাখ হেক্টর কৃষিজমিতে সেচ দেওয়া সম্ভব হবে।
তিস্তা বাঁচাও নদী বাঁচাও আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সদস্য সোহেল হাসান বলেন, যেখানে তিস্তার পানিই অনিশ্চিত, সেখানে বিপুল পরিমাণ অর্থ খরচ করে সেচখাল সংস্কার করলেও তা কাজে আসবে না।
পাউবোর রংপুর বিভাগের প্রধান নির্বাহী প্রকৌশলী মাহবুবর রহমান বলেন, প্রকল্প এলাকার কৃষকেরা ফেব্রুয়ারি মাসে বোরো রোপণ করেন। এ সময় নদীতে পানি থাকে না। আবার ভুট্টা লাগানো হয় অক্টোবর-নভেম্বর মাসে। তখন পর্যাপ্ত পানি থাকে। কিন্তু মাঠে রবিশস্য থাকায় ক্যানেলে পানি ছাড়া সম্ভব হয় না।
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
২ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৯ দিন আগে