শাকিলা ববি, সিলেট
সিলেটের ফিল্ডগুলোতে উত্তোলন বন্ধ এবং পরিবহন সমস্যার কারণে দেখা দিয়েছে জ্বালানি তেলের সংকট। এক বছরের বেশি সময় ধরে এ সমস্যা তৈরি হলেও গত এক মাসে সংকট তীব্র আকার ধারণ করেছে। জেলা প্রশাসকসহ সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক করেও কোনো সমাধান হচ্ছে না।
তাই আজ বুধবার থেকে আন্দোলনের ডাক দিয়েছে সিলেটের জ্বালানি তেল ব্যবসায়ী এবং এর সঙ্গে জড়িত পাঁচ সংগঠন। ইতিমধ্যে সিলেট নগরীতে ট্যাংকলরি মিছিলসহ বেশ কিছু কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে।
সিলেটের জ্বালানি তেল ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সিলেটে প্রতিদিন প্রায় ১০ লাখ লিটার জ্বালানি তেলের চাহিদা রয়েছে। এর মধ্যে বর্তমানে সরবরাহ আছে মাত্র ৩ থেকে সোয়া ৩ লাখ লিটার। এই তেল সিলেটের ৪টি ডিপোর মধ্যে ভাগ করে নেন ব্যবসায়ীরা। তবে কোনো কোম্পানিই তাদের গ্রাহকের চাহিদা পূরণ করতে পারে না।
সিলেটের পেট্রলপাম্পগুলোতে জ্বালানি তেল আসে চট্টগ্রাম থেকে। ফলে তেলের সরবরাহ নির্ভর করে রেলের ওয়াগনের ওপর। তাই রেল বিভাগের উদাসীনতা তেলসংকটের অন্যতম কারণ বলে জানান ব্যবসায়ীরা।
জ্বালানি তেলের ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, এক বছর আগেও সিলেটের গ্যাসফিল্ডসমূহের খনি থেকে উত্তোলিত কনডেনসেট থেকে জ্বালানি তেল উৎপাদন করে পাম্পগুলোতে সরবরাহ করা হতো। সে সময় সিলেটে কখনো জ্বালানি তেলের সংকট দেখা দেয়নি। কিন্তু ১ বছরের বেশি সময় ধরে সিলেট গ্যাসফিল্ড থেকে পাম্পে জ্বালানি সরবরাহ পুরোপুরি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এতে সিলেটের পাম্পমালিকদের ওয়াগনের মাধ্যমে চট্টগ্রাম থেকে জ্বালানি সরবরাহ করতে বাধ্য করা হচ্ছে।
নগরীর উত্তরা পেট্রোলিয়ামের পরিচালক ও ঐক্য পরিষদের আহ্বায়ক সিরাজুল হোসেন আহমদ আলমগীর বলেন, ‘আমরা সিলেট বিভাগের জ্বালানি তেল ব্যবসায়ী এবং এর সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা চরম সংকটে আছি। অকটেন আছে তো পেট্রল নেই, পেট্রল আছে তো ডিজেল নেই। এটা সিলেটের সব পাম্পে একই সমস্যা। এ জন্য আমাদের পাম্পগুলোতে গ্রাহকদের পর্যাপ্ত সেবা দিতে পারছি না। পাশাপাশি গ্যাসের লোড কম থাকা, সিএনজি পাম্পের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করায় সিএনজি পাম্পমালিকেরাও আছেন সংকটে।’
সিরাজুল হোসেন আরও বলেন, ‘এক বছরের বেশি সময় ধরে সিলেটের গ্যাসফিল্ড থেকে পাম্পে জ্বালানি সরবরাহ পুরোপুরি বন্ধ। তাই আমরা বাধ্য হয়ে ওয়াগনের মাধ্যমে চট্টগ্রাম থেকে জ্বালানি সরবরাহ করতে বাধ্য হচ্ছি। তেমনি চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ট্যাংকলরি মালিক-শ্রমিকেরা। কারণ, গাড়ির চাকা না ঘুরলে তাঁদের আয় বন্ধ। ফলে পরিবার নিয়ে বিপাকে পড়েছেন পরিবহনশ্রমিকেরা।’
এদিকে জ্বালানি তেল ব্যবসায়ীদের পাশাপাশি সিএনজি পাম্পমালিকেরাও আছেন সংকটে। গ্যাসের লোড কম থাকা, সিএনজি পাম্পের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করায় বিভিন্ন সমস্যায় পড়েছেন পাম্পমালিকেরা। পাশাপাশি সিলেটের গ্যাসফিল্ড থেকে জ্বালানি তেল উৎপাদন বন্ধ করায় বিভাগীয় ট্যাংকলরি শ্রমিকেরাও পড়েছেন বিপাকে।
তাই জ্বালানি সংকটে বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে বাংলাদেশ সিএনজি ফিলিং স্টেশন অ্যান্ড কনভারশন ওয়ার্কশপ ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন সিলেট বিভাগীয় কমিটি, বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম ডিলারস-ডিস্ট্রিবিউটরস-এজেন্টস অ্যান্ড পেট্রলপাম্প ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন সিলেট বিভাগীয় কমিটি, বাংলাদেশ ট্যাংকলরি ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন সিলেট বিভাগীয় কমিটি, বাংলাদেশ এলপিজি ফিলিং স্টেশন ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন সিলেট বিভাগীয় কমিটি এবং সিলেট বিভাগীয় ট্যাংকলরি শ্রমিক ইউনিয়নের সমন্বয়ে গঠন করা হয়েছে ‘সিলেট বিভাগীয় পেট্রলপাম্প, সিএনজি, এলপিজি, ট্যাংকলরি মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদ’।
সর্বশেষ গত ২৪ ফেব্রুয়ারি সিলেট জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে জ্বালানি তেল ব্যবসায়ী ও সংশ্লিষ্ট সংগঠনের নেতাদের সঙ্গে জেলা প্রশাসক মো. মজিবুর রহমান এক মতবিনিময় সভা করেন। ওই সভায় এক সপ্তাহের জন্য সময়সীমা বেঁধে দেন তেল ব্যবসায়ীরা। এ সময়ের মধ্যে সমস্যা সমাধানের বিষয়ে পদক্ষেপ না নিলে কঠোর আন্দোলনের ডাক দিতে বাধ্য হবেন বলে হুঁশিয়ারি দেন তাঁরা। এ সময় দ্রুত সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দেন জেলা প্রশাসক। কিন্তু বেঁধে দেওয়া সময়ের মধ্যে কোনো সমাধান না হওয়ায় এবার জ্বালানি তেল ব্যবসায়ী ও সংশ্লিষ্টরা আন্দোলনের ডাক দিয়েছেন।
সিলেটের ফিল্ডগুলোতে উত্তোলন বন্ধ এবং পরিবহন সমস্যার কারণে দেখা দিয়েছে জ্বালানি তেলের সংকট। এক বছরের বেশি সময় ধরে এ সমস্যা তৈরি হলেও গত এক মাসে সংকট তীব্র আকার ধারণ করেছে। জেলা প্রশাসকসহ সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক করেও কোনো সমাধান হচ্ছে না।
তাই আজ বুধবার থেকে আন্দোলনের ডাক দিয়েছে সিলেটের জ্বালানি তেল ব্যবসায়ী এবং এর সঙ্গে জড়িত পাঁচ সংগঠন। ইতিমধ্যে সিলেট নগরীতে ট্যাংকলরি মিছিলসহ বেশ কিছু কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে।
সিলেটের জ্বালানি তেল ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সিলেটে প্রতিদিন প্রায় ১০ লাখ লিটার জ্বালানি তেলের চাহিদা রয়েছে। এর মধ্যে বর্তমানে সরবরাহ আছে মাত্র ৩ থেকে সোয়া ৩ লাখ লিটার। এই তেল সিলেটের ৪টি ডিপোর মধ্যে ভাগ করে নেন ব্যবসায়ীরা। তবে কোনো কোম্পানিই তাদের গ্রাহকের চাহিদা পূরণ করতে পারে না।
সিলেটের পেট্রলপাম্পগুলোতে জ্বালানি তেল আসে চট্টগ্রাম থেকে। ফলে তেলের সরবরাহ নির্ভর করে রেলের ওয়াগনের ওপর। তাই রেল বিভাগের উদাসীনতা তেলসংকটের অন্যতম কারণ বলে জানান ব্যবসায়ীরা।
জ্বালানি তেলের ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, এক বছর আগেও সিলেটের গ্যাসফিল্ডসমূহের খনি থেকে উত্তোলিত কনডেনসেট থেকে জ্বালানি তেল উৎপাদন করে পাম্পগুলোতে সরবরাহ করা হতো। সে সময় সিলেটে কখনো জ্বালানি তেলের সংকট দেখা দেয়নি। কিন্তু ১ বছরের বেশি সময় ধরে সিলেট গ্যাসফিল্ড থেকে পাম্পে জ্বালানি সরবরাহ পুরোপুরি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এতে সিলেটের পাম্পমালিকদের ওয়াগনের মাধ্যমে চট্টগ্রাম থেকে জ্বালানি সরবরাহ করতে বাধ্য করা হচ্ছে।
নগরীর উত্তরা পেট্রোলিয়ামের পরিচালক ও ঐক্য পরিষদের আহ্বায়ক সিরাজুল হোসেন আহমদ আলমগীর বলেন, ‘আমরা সিলেট বিভাগের জ্বালানি তেল ব্যবসায়ী এবং এর সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা চরম সংকটে আছি। অকটেন আছে তো পেট্রল নেই, পেট্রল আছে তো ডিজেল নেই। এটা সিলেটের সব পাম্পে একই সমস্যা। এ জন্য আমাদের পাম্পগুলোতে গ্রাহকদের পর্যাপ্ত সেবা দিতে পারছি না। পাশাপাশি গ্যাসের লোড কম থাকা, সিএনজি পাম্পের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করায় সিএনজি পাম্পমালিকেরাও আছেন সংকটে।’
সিরাজুল হোসেন আরও বলেন, ‘এক বছরের বেশি সময় ধরে সিলেটের গ্যাসফিল্ড থেকে পাম্পে জ্বালানি সরবরাহ পুরোপুরি বন্ধ। তাই আমরা বাধ্য হয়ে ওয়াগনের মাধ্যমে চট্টগ্রাম থেকে জ্বালানি সরবরাহ করতে বাধ্য হচ্ছি। তেমনি চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ট্যাংকলরি মালিক-শ্রমিকেরা। কারণ, গাড়ির চাকা না ঘুরলে তাঁদের আয় বন্ধ। ফলে পরিবার নিয়ে বিপাকে পড়েছেন পরিবহনশ্রমিকেরা।’
এদিকে জ্বালানি তেল ব্যবসায়ীদের পাশাপাশি সিএনজি পাম্পমালিকেরাও আছেন সংকটে। গ্যাসের লোড কম থাকা, সিএনজি পাম্পের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করায় বিভিন্ন সমস্যায় পড়েছেন পাম্পমালিকেরা। পাশাপাশি সিলেটের গ্যাসফিল্ড থেকে জ্বালানি তেল উৎপাদন বন্ধ করায় বিভাগীয় ট্যাংকলরি শ্রমিকেরাও পড়েছেন বিপাকে।
তাই জ্বালানি সংকটে বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে বাংলাদেশ সিএনজি ফিলিং স্টেশন অ্যান্ড কনভারশন ওয়ার্কশপ ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন সিলেট বিভাগীয় কমিটি, বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম ডিলারস-ডিস্ট্রিবিউটরস-এজেন্টস অ্যান্ড পেট্রলপাম্প ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন সিলেট বিভাগীয় কমিটি, বাংলাদেশ ট্যাংকলরি ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন সিলেট বিভাগীয় কমিটি, বাংলাদেশ এলপিজি ফিলিং স্টেশন ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন সিলেট বিভাগীয় কমিটি এবং সিলেট বিভাগীয় ট্যাংকলরি শ্রমিক ইউনিয়নের সমন্বয়ে গঠন করা হয়েছে ‘সিলেট বিভাগীয় পেট্রলপাম্প, সিএনজি, এলপিজি, ট্যাংকলরি মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদ’।
সর্বশেষ গত ২৪ ফেব্রুয়ারি সিলেট জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে জ্বালানি তেল ব্যবসায়ী ও সংশ্লিষ্ট সংগঠনের নেতাদের সঙ্গে জেলা প্রশাসক মো. মজিবুর রহমান এক মতবিনিময় সভা করেন। ওই সভায় এক সপ্তাহের জন্য সময়সীমা বেঁধে দেন তেল ব্যবসায়ীরা। এ সময়ের মধ্যে সমস্যা সমাধানের বিষয়ে পদক্ষেপ না নিলে কঠোর আন্দোলনের ডাক দিতে বাধ্য হবেন বলে হুঁশিয়ারি দেন তাঁরা। এ সময় দ্রুত সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দেন জেলা প্রশাসক। কিন্তু বেঁধে দেওয়া সময়ের মধ্যে কোনো সমাধান না হওয়ায় এবার জ্বালানি তেল ব্যবসায়ী ও সংশ্লিষ্টরা আন্দোলনের ডাক দিয়েছেন।
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
৩ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৭ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৭ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
১১ দিন আগে