নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
রোজা এলেই নগরবাসীর নজর ঘুরে যায় পুরান ঢাকার চকবাজারে। মুখরোচক সব কাবাব, শরবতসহ এতিহ্যবাহী ও বৈচিত্র্যময় ইফতারির স্বাদ নিতে দূরদূরান্ত থেকে সেখানে ভিড় করেন ভোজনরসিকেরা। এবারও তার ব্যতিক্রম ঘটেনি। রমজানের প্রথম দিন গতকাল মঙ্গলবার জমে উঠেছে চকবাজারের ইফতারি বাজার।
এর ঠিক উল্টো চিত্র বেইলি রোডের ইফতারি বাজারে। রমজান মাসে ইফতারের সময় যে রেস্টুরেন্ট আর দোকানগুলোতে ঠেলাঠেলি পড়ে যায়, সেখানে এবার কেমন যেন শূন্যতা। দোকানে কিছু ক্রেতা থাকলেও বেচাকেনা জমজমাট নয়। সপ্তাহ দুয়েক আগে এখানেই এক ভবনে রেস্তোরাঁয় খেতে গিয়ে আগুনে পুড়ে প্রাণ গেছে ৪৬ জনের। বেইলি রোডের ইফতারি বাজারে যেন সেই বিষাদের ছায়া।
চক সার্কুলার রোডে দুপুর থেকেই রাস্তার দুই পাশে পসরা সাজিয়ে বসতে দেখা যায় বিক্রেতাদের। আসরের নামাজের পর শুরু হয় মূল কেনাকাটা। প্রথম রমজানে ক্রেতার ভিড়ে শাহি মসজিদের সামনের ইফতারি বাজারে পা ফেলারও জায়গা মিলছিল না। শতাধিক ইফতারসামগ্রী বিক্রির অস্থায়ী দোকান বসেছে সেখানে। হরেক রকমের কাবাব, জিলাপি, শরবত, রুটি, পরোটাসহ নানা রকমের খাবারের ক্রেতার পাশাপাশি দর্শনার্থীও ছিল চোখে পড়ার মতো। বিক্রেতারা জানান, পরোটা আর রুটির মধ্যে শাহি পরোটা, শাহি তন্দুরি, দুধ নান বেশি বিক্রি হচ্ছে।
খাবারের দাম সম্পর্কে জানতে চাইলে সাদমান রাফি নামের এক বিক্রেতা বলেন, মিষ্টি শাহি পরোটা ৪০ টাকা, গরুর পুর দেওয়া শাহি পরোটা ৮০ টাকা, খাসির পুর দেওয়া শাহি পরোটা ১০০ টাকা আর মুরগির পুর দেওয়া পরোটা ৭০ টাকা করে বিক্রি করছেন।
শাহি মসজিদের সামনে ৪০ বছর ধরে ইফতারসামগ্রী বিক্রি করছেন নবী। গরুর মাংসের আচার, মুরগির মাংসের আচার, শাহি তন্দুরি আর দুধ নানের পসরা সাজিয়ে বসেছেন তিনি। দাম সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সবকিছুর দাম এখন বেশি। তাই না চাইলেও দাম বাড়াতে হয়। শাহি তন্দুরি ১২০ টাকা, দুধ নান ১০০ টাকা, মুরগির আচার ছোট এক বক্স ১৩০ টাকা এবং গরুর আচার ১৫০ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে।
শাহি মসজিদের ২ নম্বর গেটের সামনে বিক্রেতা হাজি মোহাম্মদ নূর হোসেন জানালেন ৩৫ বছর ধরে তিনি খাসি আর গরুর মাংসের সুতি কাবাব বিক্রি করছেন। এ বছর খাসির মাংসের সুতি কাবাব কেজিপ্রতি ১ হাজার ৮০০ টাকা ও গরুর মাংসের সুতি কাবাব ১ হাজার ৬০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
চকবাজার এলাকার জনপ্রিয় আরেক খাবার ‘বড় বাপের পোলায় খায়’। আহমেদ হোসেন আর মোহাম্মদ হোসেন নামের দুই ভাই জানালেন, কয়েক দশক ধরে তাঁরা এই খাবার বিক্রি করছেন। এ বছর এই খাবার ৮০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
চকবাজারে শাহি জিলাপি পাওয়া যাচ্ছে ৩৫০ টাকা, বোম্বে জিলাপি ৩০০ এবং রেশমি জিলাপি ২৫০ টাকা কেজি। দইবড়া বিক্রি হচ্ছে ৫টি ১০০ টাকা, কোয়েলের রোস্ট ১০০ টাকা, মুরগির রোস্ট ৩৫০ টাকা, মোরগের রোস্ট ৪৫০ টাকা। মোহাব্বতে শরবত মিলছে লিটারপ্রতি ২০০ টাকায়।
চকবাজারে ইফতারি কিনতে আসা সামসুল ইসলাম বলেন, এই এলাকার খাবারের নাম হয়ে গেছে। কিন্তু স্বাদ দিন দিন কমছে। সবাই টাকার পেছনে ছুটছে। ভেজাল মেশাচ্ছে। মানের প্রতি তাদের আরও যত্নবান হওয়া উচিত।
বেইলি রোডে উল্টো চিত্র
রমজানের প্রথম দিনে চকবাজারের একেবারের উল্টো চিত্র ছিল বেইলি রোডে। প্রতিবছর বেইলি রোডের রাস্তার দুই পাশে ফুটপাতে ইফতারসামগ্রীর পসরা বসলেও এবার সে রকম দেখা যায়নি। রেস্টুরেন্টগুলো ছিল একেবারেই ক্রেতাশূন্য।
এই এলাকার বড় ইফতারি বাজারগুলোর মধ্যে অন্যতম ‘ক্যাপিটাল ইফতার বাজার’। সেখানে দেখা যায়, ‘প্রতিবছরের তুলনায় খাবারের পদ এবার কম। ক্যাপিটাল ইফতার বাজারের অন্যতম স্বত্বাধিকারী মোহাম্মদ এহসান উদ্দিন বলেন, গ্রিন কোজি কটেজে অগ্নিকাণ্ডের প্রভাব কিছুটা হলেও এবারের ইফতারির বাজারে পড়েছে। প্রতিবছর শতাধিক আইটেম থাকে আমাদের। এবার ৬০টির মতো আছে।’ দ্রব্যমূল্যও ক্রেতা কম থাকার অন্যতম কারণ বলে জানান তিনি।
বেইলি রোডে ইফতারি কিনতে আসা জনতা ব্যাংকের কর্মকর্তা কামরুন্নাহার বলেন, দাম অনেক বেশি। ২৫০ গ্রাম জিলাপি কিনলাম ১০০ টাকায়। ক্রেতা আসবে কীভাবে।
রোজা এলেই নগরবাসীর নজর ঘুরে যায় পুরান ঢাকার চকবাজারে। মুখরোচক সব কাবাব, শরবতসহ এতিহ্যবাহী ও বৈচিত্র্যময় ইফতারির স্বাদ নিতে দূরদূরান্ত থেকে সেখানে ভিড় করেন ভোজনরসিকেরা। এবারও তার ব্যতিক্রম ঘটেনি। রমজানের প্রথম দিন গতকাল মঙ্গলবার জমে উঠেছে চকবাজারের ইফতারি বাজার।
এর ঠিক উল্টো চিত্র বেইলি রোডের ইফতারি বাজারে। রমজান মাসে ইফতারের সময় যে রেস্টুরেন্ট আর দোকানগুলোতে ঠেলাঠেলি পড়ে যায়, সেখানে এবার কেমন যেন শূন্যতা। দোকানে কিছু ক্রেতা থাকলেও বেচাকেনা জমজমাট নয়। সপ্তাহ দুয়েক আগে এখানেই এক ভবনে রেস্তোরাঁয় খেতে গিয়ে আগুনে পুড়ে প্রাণ গেছে ৪৬ জনের। বেইলি রোডের ইফতারি বাজারে যেন সেই বিষাদের ছায়া।
চক সার্কুলার রোডে দুপুর থেকেই রাস্তার দুই পাশে পসরা সাজিয়ে বসতে দেখা যায় বিক্রেতাদের। আসরের নামাজের পর শুরু হয় মূল কেনাকাটা। প্রথম রমজানে ক্রেতার ভিড়ে শাহি মসজিদের সামনের ইফতারি বাজারে পা ফেলারও জায়গা মিলছিল না। শতাধিক ইফতারসামগ্রী বিক্রির অস্থায়ী দোকান বসেছে সেখানে। হরেক রকমের কাবাব, জিলাপি, শরবত, রুটি, পরোটাসহ নানা রকমের খাবারের ক্রেতার পাশাপাশি দর্শনার্থীও ছিল চোখে পড়ার মতো। বিক্রেতারা জানান, পরোটা আর রুটির মধ্যে শাহি পরোটা, শাহি তন্দুরি, দুধ নান বেশি বিক্রি হচ্ছে।
খাবারের দাম সম্পর্কে জানতে চাইলে সাদমান রাফি নামের এক বিক্রেতা বলেন, মিষ্টি শাহি পরোটা ৪০ টাকা, গরুর পুর দেওয়া শাহি পরোটা ৮০ টাকা, খাসির পুর দেওয়া শাহি পরোটা ১০০ টাকা আর মুরগির পুর দেওয়া পরোটা ৭০ টাকা করে বিক্রি করছেন।
শাহি মসজিদের সামনে ৪০ বছর ধরে ইফতারসামগ্রী বিক্রি করছেন নবী। গরুর মাংসের আচার, মুরগির মাংসের আচার, শাহি তন্দুরি আর দুধ নানের পসরা সাজিয়ে বসেছেন তিনি। দাম সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সবকিছুর দাম এখন বেশি। তাই না চাইলেও দাম বাড়াতে হয়। শাহি তন্দুরি ১২০ টাকা, দুধ নান ১০০ টাকা, মুরগির আচার ছোট এক বক্স ১৩০ টাকা এবং গরুর আচার ১৫০ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে।
শাহি মসজিদের ২ নম্বর গেটের সামনে বিক্রেতা হাজি মোহাম্মদ নূর হোসেন জানালেন ৩৫ বছর ধরে তিনি খাসি আর গরুর মাংসের সুতি কাবাব বিক্রি করছেন। এ বছর খাসির মাংসের সুতি কাবাব কেজিপ্রতি ১ হাজার ৮০০ টাকা ও গরুর মাংসের সুতি কাবাব ১ হাজার ৬০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
চকবাজার এলাকার জনপ্রিয় আরেক খাবার ‘বড় বাপের পোলায় খায়’। আহমেদ হোসেন আর মোহাম্মদ হোসেন নামের দুই ভাই জানালেন, কয়েক দশক ধরে তাঁরা এই খাবার বিক্রি করছেন। এ বছর এই খাবার ৮০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
চকবাজারে শাহি জিলাপি পাওয়া যাচ্ছে ৩৫০ টাকা, বোম্বে জিলাপি ৩০০ এবং রেশমি জিলাপি ২৫০ টাকা কেজি। দইবড়া বিক্রি হচ্ছে ৫টি ১০০ টাকা, কোয়েলের রোস্ট ১০০ টাকা, মুরগির রোস্ট ৩৫০ টাকা, মোরগের রোস্ট ৪৫০ টাকা। মোহাব্বতে শরবত মিলছে লিটারপ্রতি ২০০ টাকায়।
চকবাজারে ইফতারি কিনতে আসা সামসুল ইসলাম বলেন, এই এলাকার খাবারের নাম হয়ে গেছে। কিন্তু স্বাদ দিন দিন কমছে। সবাই টাকার পেছনে ছুটছে। ভেজাল মেশাচ্ছে। মানের প্রতি তাদের আরও যত্নবান হওয়া উচিত।
বেইলি রোডে উল্টো চিত্র
রমজানের প্রথম দিনে চকবাজারের একেবারের উল্টো চিত্র ছিল বেইলি রোডে। প্রতিবছর বেইলি রোডের রাস্তার দুই পাশে ফুটপাতে ইফতারসামগ্রীর পসরা বসলেও এবার সে রকম দেখা যায়নি। রেস্টুরেন্টগুলো ছিল একেবারেই ক্রেতাশূন্য।
এই এলাকার বড় ইফতারি বাজারগুলোর মধ্যে অন্যতম ‘ক্যাপিটাল ইফতার বাজার’। সেখানে দেখা যায়, ‘প্রতিবছরের তুলনায় খাবারের পদ এবার কম। ক্যাপিটাল ইফতার বাজারের অন্যতম স্বত্বাধিকারী মোহাম্মদ এহসান উদ্দিন বলেন, গ্রিন কোজি কটেজে অগ্নিকাণ্ডের প্রভাব কিছুটা হলেও এবারের ইফতারির বাজারে পড়েছে। প্রতিবছর শতাধিক আইটেম থাকে আমাদের। এবার ৬০টির মতো আছে।’ দ্রব্যমূল্যও ক্রেতা কম থাকার অন্যতম কারণ বলে জানান তিনি।
বেইলি রোডে ইফতারি কিনতে আসা জনতা ব্যাংকের কর্মকর্তা কামরুন্নাহার বলেন, দাম অনেক বেশি। ২৫০ গ্রাম জিলাপি কিনলাম ১০০ টাকায়। ক্রেতা আসবে কীভাবে।
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
২১ ঘণ্টা আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৪ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৪ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৮ দিন আগে