সাইরুল ইসলাম, ঢাকা
ঘুম থেকে উঠে ওপরের দিকে তাকিয়ে দেখলেন সিলিংয়ে বিছানা পাতা। তাতে রয়েছে বালিশও। পাশে রাখা বিরক্তিকর অ্যালার্ম ঘড়িটাও। কিছু বুঝে ওঠার আগেই পাশে তাকিয়ে দেখলেন, দেয়ালে টাঙানো ছবিগুলো উল্টে আছে। ঘড়ির কাঁটা ঠিকই ঘুরছে, কিন্তু উল্টো দিকে।
এ অবস্থায় অনেকেই ভাবতে পারেন স্বপ্নের রাজ্যে আছেন। মহাশূন্য এবং আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন নিয়ে যাদের জানাশোনা আছে, তাঁরা হয়তো ভাবতে পারেন, ‘মহাকাশেই চলে এলাম নাকি!’ নির্মাতা ও অভিনেতা চার্লি চ্যাপলিনের ‘দ্য গ্রেট ডিক্টেটর’ (১৯৪০) সিনেমার কথাও মনে হতে পারে কারও কারও। ওই ছবিতে উড়োজাহাজে থাকা দুজন দেখতে পান, তাঁদের নিচের দিকে আকাশ, আর ওপরের দিকে পৃথিবী।
স্বপ্নের রাজ্য কিংবা মহাকাশ নয়, পৃথিবীতেই এমন দৃশ্যের মুখোমুখি হতে হবে। কলম্বিয়ার গুয়েতাভিতায় রয়েছে এমন একটি বাড়ি, যা উল্টো করে বানানো। বাইরে থেকে দেখলে মনে হবে, বাড়িটা হয়তো পরম যত্নে কেউ উল্টে দিয়েছে। বাড়ির সামনের গাড়িটা অবশ্য সোজাই রয়েছে।
বাড়ির ভেতরে আরও বিস্ময় অপেক্ষা করছে। ঘরে ঢোকার পরই মনে হবে, আপনি সিলিংয়ের দিকে দাঁড়িয়ে আছেন। ক্রিস্টোফার নোলানের ‘ইনসেপশন’ (২০১০) সিনেমার মতো দেয়াল দিয়ে হেঁটে বেড়াচ্ছেন। আর ওপরের দিকে রয়েছে সোফা, চেয়ার, টেবিল।
মহামারির এ বিরক্তিকর সময়ে কলম্বিয়ার রাজধানী বোগোতার অদূরে ‘কাসা লকা’ নামক এ বাড়িতে ক্ষণিকের জন্য হলেও বিমোহিত হওয়ার স্বাদ পাচ্ছেন পর্যটকেরা। এর নকশা করেছেন অস্ট্রিয়ার ফ্রিজ শল। তিনি এখন পরিবারসহ কলম্বিয়াতেই থাকেন। ‘কাসা লকা’ একটি স্প্যানিশ শব্দ, যার অর্থ ‘পাগলাটে বাড়ি’।
সৃষ্টিশীল এ মানুষটি বলেন, ‘ঘর নিয়ে আমার পরিকল্পনা জানার পর সবাই আমার দিকে এমনভাবে তাকিয়েছিল, যেন আমি একটা পাগল। বাড়ির প্রতিটি আসবাব কিনতে গিয়ে বেশ বেগ পেতে হয়েছে। প্রতিটি জিনিস সাজাতে হয়েছে উল্টোভাবে। ফলে কর্মীদেরও কাজ করতে কিছুটা সমস্যা হয়েছিল।’
২০১৫ সালে নাতি-নাতনিদের নিয়ে অস্ট্রিয়ায় ঘুরতে গিয়েছিলেন শল। তখন এমন একটি বাড়ি দেখেছিলেন তিনি। সেখান থেকেই অনুপ্রেরণা পান। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরেই চলছিল বাড়ির কাজ। কিন্তু লকডাউনের কারণে দেরি হচ্ছিল। চলতি বছরের প্রথম দিকে কাজ শেষ হলে দর্শকদের জন্য খুলে দেওয়া হয় বাড়িটি। এরপর শুরু হয় দর্শনার্থীদের ভিড়। দর্শনার্থী লিনা গুতিয়েরেজ বলেন, ‘মনে হচ্ছে মহামারি থেকে সরাসরি সুখের কোনো রাজ্যে এসে দাঁড়িয়েছি। লকডাউন নামক একটা ফাঁদ থেকে বেরিয়ে দীর্ঘশ্বাস ছাড়ার পর আনন্দের খোরাক পেয়েছি।’
রয়টার্সের প্রকাশিত ছবি ও ভিডিওতে দেখা মেলে এ উল্টো আনন্দ বাড়ির। বাড়ির সামনে ভিড় করে আছেন অনেকেই। আড্ডা দিচ্ছেন কিংবা ছবি তুলছেন। দল বেঁধে গান গাইছেন। ভেতরে উল্টো করে রাখা সিঁড়িতে হাঁটছেন কেউ কেউ। তবে বাথরুমের দিকে গিয়ে থমকে যেতে হয়। কমোডের নিচে গিয়ে দাঁড়ানোর আগে ভাবতে হচ্ছে। তবে একজন গিয়ে ঠিকই দাঁড়িয়ে বলেন, ‘আরে! এতে ময়লা নেই তো।’
ঘুম থেকে উঠে ওপরের দিকে তাকিয়ে দেখলেন সিলিংয়ে বিছানা পাতা। তাতে রয়েছে বালিশও। পাশে রাখা বিরক্তিকর অ্যালার্ম ঘড়িটাও। কিছু বুঝে ওঠার আগেই পাশে তাকিয়ে দেখলেন, দেয়ালে টাঙানো ছবিগুলো উল্টে আছে। ঘড়ির কাঁটা ঠিকই ঘুরছে, কিন্তু উল্টো দিকে।
এ অবস্থায় অনেকেই ভাবতে পারেন স্বপ্নের রাজ্যে আছেন। মহাশূন্য এবং আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন নিয়ে যাদের জানাশোনা আছে, তাঁরা হয়তো ভাবতে পারেন, ‘মহাকাশেই চলে এলাম নাকি!’ নির্মাতা ও অভিনেতা চার্লি চ্যাপলিনের ‘দ্য গ্রেট ডিক্টেটর’ (১৯৪০) সিনেমার কথাও মনে হতে পারে কারও কারও। ওই ছবিতে উড়োজাহাজে থাকা দুজন দেখতে পান, তাঁদের নিচের দিকে আকাশ, আর ওপরের দিকে পৃথিবী।
স্বপ্নের রাজ্য কিংবা মহাকাশ নয়, পৃথিবীতেই এমন দৃশ্যের মুখোমুখি হতে হবে। কলম্বিয়ার গুয়েতাভিতায় রয়েছে এমন একটি বাড়ি, যা উল্টো করে বানানো। বাইরে থেকে দেখলে মনে হবে, বাড়িটা হয়তো পরম যত্নে কেউ উল্টে দিয়েছে। বাড়ির সামনের গাড়িটা অবশ্য সোজাই রয়েছে।
বাড়ির ভেতরে আরও বিস্ময় অপেক্ষা করছে। ঘরে ঢোকার পরই মনে হবে, আপনি সিলিংয়ের দিকে দাঁড়িয়ে আছেন। ক্রিস্টোফার নোলানের ‘ইনসেপশন’ (২০১০) সিনেমার মতো দেয়াল দিয়ে হেঁটে বেড়াচ্ছেন। আর ওপরের দিকে রয়েছে সোফা, চেয়ার, টেবিল।
মহামারির এ বিরক্তিকর সময়ে কলম্বিয়ার রাজধানী বোগোতার অদূরে ‘কাসা লকা’ নামক এ বাড়িতে ক্ষণিকের জন্য হলেও বিমোহিত হওয়ার স্বাদ পাচ্ছেন পর্যটকেরা। এর নকশা করেছেন অস্ট্রিয়ার ফ্রিজ শল। তিনি এখন পরিবারসহ কলম্বিয়াতেই থাকেন। ‘কাসা লকা’ একটি স্প্যানিশ শব্দ, যার অর্থ ‘পাগলাটে বাড়ি’।
সৃষ্টিশীল এ মানুষটি বলেন, ‘ঘর নিয়ে আমার পরিকল্পনা জানার পর সবাই আমার দিকে এমনভাবে তাকিয়েছিল, যেন আমি একটা পাগল। বাড়ির প্রতিটি আসবাব কিনতে গিয়ে বেশ বেগ পেতে হয়েছে। প্রতিটি জিনিস সাজাতে হয়েছে উল্টোভাবে। ফলে কর্মীদেরও কাজ করতে কিছুটা সমস্যা হয়েছিল।’
২০১৫ সালে নাতি-নাতনিদের নিয়ে অস্ট্রিয়ায় ঘুরতে গিয়েছিলেন শল। তখন এমন একটি বাড়ি দেখেছিলেন তিনি। সেখান থেকেই অনুপ্রেরণা পান। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরেই চলছিল বাড়ির কাজ। কিন্তু লকডাউনের কারণে দেরি হচ্ছিল। চলতি বছরের প্রথম দিকে কাজ শেষ হলে দর্শকদের জন্য খুলে দেওয়া হয় বাড়িটি। এরপর শুরু হয় দর্শনার্থীদের ভিড়। দর্শনার্থী লিনা গুতিয়েরেজ বলেন, ‘মনে হচ্ছে মহামারি থেকে সরাসরি সুখের কোনো রাজ্যে এসে দাঁড়িয়েছি। লকডাউন নামক একটা ফাঁদ থেকে বেরিয়ে দীর্ঘশ্বাস ছাড়ার পর আনন্দের খোরাক পেয়েছি।’
রয়টার্সের প্রকাশিত ছবি ও ভিডিওতে দেখা মেলে এ উল্টো আনন্দ বাড়ির। বাড়ির সামনে ভিড় করে আছেন অনেকেই। আড্ডা দিচ্ছেন কিংবা ছবি তুলছেন। দল বেঁধে গান গাইছেন। ভেতরে উল্টো করে রাখা সিঁড়িতে হাঁটছেন কেউ কেউ। তবে বাথরুমের দিকে গিয়ে থমকে যেতে হয়। কমোডের নিচে গিয়ে দাঁড়ানোর আগে ভাবতে হচ্ছে। তবে একজন গিয়ে ঠিকই দাঁড়িয়ে বলেন, ‘আরে! এতে ময়লা নেই তো।’
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
১ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৮ দিন আগে