মিরাজ হোসেন, দৌলতখান (ভোলা)
ভোলার দৌলতখান উপজেলায় মেঘনা নদীর ভাঙনে হাজীপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবন বিলীন হওয়ায় শিক্ষার্থীরা ক্লাস করছে খোলা মাঠে। কাঠফাটা রোদেও চলে পাঠদান। তবে বৃষ্টি হলে ছুটি দিতে বাধ্য হন বিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা। এতে ব্যাহত হচ্ছে বিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম।
রোদে পুড়ে, বৃষ্টিতে ভিজে পাঠদান করানোর কারণে অভিভাবকেরা ওই বিদ্যালয়ে সন্তানদের পাঠাতে রাজি হন না। বরং অনেকে পাশের বিদ্যালয়ে সন্তানদের পাঠাচ্ছেন।
এদিকে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা বলছেন, দ্রুত বিদ্যালয়ের ভবন নির্মাণের ব্যবস্থা করতে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ পদক্ষেপ নেবে।
জানা গেছে, মেঘনার ভাঙনে গত বছরের শেষের দিকে উপজেলার মধ্য হাজীপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি বিলীন হয়ে যায়। এরপর বিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধের উপক্রম হয়। পরে দৌলতখানের চরখলিফা ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের এক শিক্ষানুরাগী বিদ্যালয়ের জন্য জমি দান করেন। সেখানে টিনের একচালা একটি ঘর নির্মাণ করা হয়। সেই ছোট্ট টিনের ঘরে পাঠদান করেন শিক্ষকেরা। কিন্তু একটি ঘরে বিদ্যালয়ের ৬০ জনের বেশি শিক্ষার্থীদের পাঠদান সম্ভব হয় না। ফলে বাধ্য হয়ে শিক্ষা কার্যক্রম চালু রাখতে খোলা আকাশের নিচে পাঠ দান করা হয়। এখানেও বিপত্তি। প্রচণ্ড গরম ও রোদে পুড়ে ক্লাস করতে হয় শিক্ষার্থীদের। নিয়ম অনুযায়ী সকাল ১০ থেকে ৪টা পর্যন্ত চলে পাঠদান। তবে বৃষ্টি হলে ক্লাস বন্ধ থাকে। এতে শিক্ষার্থী ও শিক্ষকেরা পড়েছেন বিপাকে। অনেকে আবার অন্য বিদ্যালয়ে ভর্তি করাচ্ছেন সন্তানদের।
তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী জুনায়েদ ও দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী মারজান জানায়, স্কুলের ভবন নদীভাঙনে বিলীন হয়ে গেছে। শ্রেণিকক্ষ না থাকায় সামান্য বাতাসে ধুলাবালিতে চোখ-মুখ ভরে যায়। এ ছাড়া বই-খাতা বাতাসে উড়ে যায়। মাটিতে নিচু হয়ে লেখা যায় না। স্কুলে আসতে মন চায় না। তারপরও বাধ্য হয়ে আসতে হয়।’
একাধিক অভিভাবক জানান, সরকার দ্রুত বিদ্যালয়ের ভবন নির্মাণ করে দিলে শিক্ষার্থীরা উপকৃত হবে। তাদের কষ্ট করে খোলা আকাশের নিচে রোদে পুড়ে ও গরমের মধ্যে ক্লাস করতে হবে না। এ ছাড়া বৃষ্টির কারণে বিদ্যালয় বন্ধ রাখতেও হবে না। আর এভাবে ছেলে-মেয়েরা স্কুলে যেতেও চায় না। সব মিলিয়ে শিক্ষার্থীদের শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে।’
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. গোলাম রহমান বলেন, ‘মধ্য হাজীপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি ১৯২০ সালে নলডুগি বৈকুণ্ঠপুর গ্রামে প্রতিষ্ঠিত হয়। পরবর্তীতে উপজেলার হাজীপুর ইউনিয়নে সরকারিভাবে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য তিনতলার একটি পাকা ভবন নির্মাণ করা হয়। কিন্তু গত বছরের শেষের দিকে মেঘনার ভাঙনে ভবনটি বিলীন হয়ে যায়। এতে শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত হয়ে পড়ে। বিদ্যালয়টিতে বিদ্যুৎ সংযোগও নেই। ফলে গরমের মধ্যে খোলা আকাশের নিচে ক্লাস করতে হচ্ছে শিক্ষার্থীদের।’
দৌলতখান উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোহাম্মদ হোসেন বলেন, ‘কর্তৃপক্ষ দ্রুত এই বিদ্যালয়ের একটি ভবন নির্মাণ করে দেবে বলে আশ্বাস দিয়েছে। দ্রুতই বাজেট বরাদ্দ দরকার।’
ভোলার দৌলতখান উপজেলায় মেঘনা নদীর ভাঙনে হাজীপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবন বিলীন হওয়ায় শিক্ষার্থীরা ক্লাস করছে খোলা মাঠে। কাঠফাটা রোদেও চলে পাঠদান। তবে বৃষ্টি হলে ছুটি দিতে বাধ্য হন বিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা। এতে ব্যাহত হচ্ছে বিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম।
রোদে পুড়ে, বৃষ্টিতে ভিজে পাঠদান করানোর কারণে অভিভাবকেরা ওই বিদ্যালয়ে সন্তানদের পাঠাতে রাজি হন না। বরং অনেকে পাশের বিদ্যালয়ে সন্তানদের পাঠাচ্ছেন।
এদিকে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা বলছেন, দ্রুত বিদ্যালয়ের ভবন নির্মাণের ব্যবস্থা করতে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ পদক্ষেপ নেবে।
জানা গেছে, মেঘনার ভাঙনে গত বছরের শেষের দিকে উপজেলার মধ্য হাজীপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি বিলীন হয়ে যায়। এরপর বিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধের উপক্রম হয়। পরে দৌলতখানের চরখলিফা ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের এক শিক্ষানুরাগী বিদ্যালয়ের জন্য জমি দান করেন। সেখানে টিনের একচালা একটি ঘর নির্মাণ করা হয়। সেই ছোট্ট টিনের ঘরে পাঠদান করেন শিক্ষকেরা। কিন্তু একটি ঘরে বিদ্যালয়ের ৬০ জনের বেশি শিক্ষার্থীদের পাঠদান সম্ভব হয় না। ফলে বাধ্য হয়ে শিক্ষা কার্যক্রম চালু রাখতে খোলা আকাশের নিচে পাঠ দান করা হয়। এখানেও বিপত্তি। প্রচণ্ড গরম ও রোদে পুড়ে ক্লাস করতে হয় শিক্ষার্থীদের। নিয়ম অনুযায়ী সকাল ১০ থেকে ৪টা পর্যন্ত চলে পাঠদান। তবে বৃষ্টি হলে ক্লাস বন্ধ থাকে। এতে শিক্ষার্থী ও শিক্ষকেরা পড়েছেন বিপাকে। অনেকে আবার অন্য বিদ্যালয়ে ভর্তি করাচ্ছেন সন্তানদের।
তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী জুনায়েদ ও দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী মারজান জানায়, স্কুলের ভবন নদীভাঙনে বিলীন হয়ে গেছে। শ্রেণিকক্ষ না থাকায় সামান্য বাতাসে ধুলাবালিতে চোখ-মুখ ভরে যায়। এ ছাড়া বই-খাতা বাতাসে উড়ে যায়। মাটিতে নিচু হয়ে লেখা যায় না। স্কুলে আসতে মন চায় না। তারপরও বাধ্য হয়ে আসতে হয়।’
একাধিক অভিভাবক জানান, সরকার দ্রুত বিদ্যালয়ের ভবন নির্মাণ করে দিলে শিক্ষার্থীরা উপকৃত হবে। তাদের কষ্ট করে খোলা আকাশের নিচে রোদে পুড়ে ও গরমের মধ্যে ক্লাস করতে হবে না। এ ছাড়া বৃষ্টির কারণে বিদ্যালয় বন্ধ রাখতেও হবে না। আর এভাবে ছেলে-মেয়েরা স্কুলে যেতেও চায় না। সব মিলিয়ে শিক্ষার্থীদের শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে।’
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. গোলাম রহমান বলেন, ‘মধ্য হাজীপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি ১৯২০ সালে নলডুগি বৈকুণ্ঠপুর গ্রামে প্রতিষ্ঠিত হয়। পরবর্তীতে উপজেলার হাজীপুর ইউনিয়নে সরকারিভাবে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য তিনতলার একটি পাকা ভবন নির্মাণ করা হয়। কিন্তু গত বছরের শেষের দিকে মেঘনার ভাঙনে ভবনটি বিলীন হয়ে যায়। এতে শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত হয়ে পড়ে। বিদ্যালয়টিতে বিদ্যুৎ সংযোগও নেই। ফলে গরমের মধ্যে খোলা আকাশের নিচে ক্লাস করতে হচ্ছে শিক্ষার্থীদের।’
দৌলতখান উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোহাম্মদ হোসেন বলেন, ‘কর্তৃপক্ষ দ্রুত এই বিদ্যালয়ের একটি ভবন নির্মাণ করে দেবে বলে আশ্বাস দিয়েছে। দ্রুতই বাজেট বরাদ্দ দরকার।’
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
১ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৯ দিন আগে