তাজরুল ইসলাম, পীরগাছা (রংপুর)
রংপুরের পীরগাছা ও মিঠাপুকুর উপজেলার সীমান্তবর্তী ঘাঘট নদের ত্রিমোহিনী ঘাটে এখনো নির্মাণ করা হয়নি কোনো সেতু। আশপাশের ১৫ গ্রামের বাসিন্দাদের নদী পার হওয়ার একমাত্র ভরসা খেয়ানৌকা। প্রতিদিন ২ হাজারের বেশি মানুষ বিভিন্ন যানবাহন নিয়ে নৌকায় করে এ ঘাটে ঝুঁকিপূর্ণভাবে চলাচল করেন।
পীরগাছার ত্রিমোহিনী এবং মিঠাপুকুরের বেনিপুরের মাঝখানে ঘাটটির অবস্থান। সেখান থেকে মিঠাপুকুর উপজেলা শহরের দূরত্ব প্রায় ৩০ কিলোমিটার, আর ৫ কিলোমিটারের মধ্যে রয়েছে পীরগাছা উপজেলা শহর। ফলে আশপাশের গ্রামের মানুষকে যাতায়াতের জন্য ঘাট পার হয়ে পীরগাছাসহ বিভিন্ন স্থানে যাতায়াত করতে হয়।
নদের মিঠাপুকুর অংশে বেনিপুর পর্যন্ত সড়ক পাকা থাকলেও পীরগাছায় বকসীর দীঘি থেকে ত্রিমোহিনী ঘাট পর্যন্ত পাকাকরণের কাজ চলমান রয়েছে। এই সড়কে চলাচল করা মানুষ ঘাটে দুটি নৌকা জোড়া দিয়ে তাতে রিকশা, সাইকেল, মোটরসাইকেলসহ নানা যানবাহন পারাপার করেন।
বেনিপুরের কলেজছাত্রী হাবিবা আক্তার হ্যাপি প্রতিদিন ঘাট পার হয়ে পীরগাছা সরকারি কলেজে পড়তে যায়। সে বলে, ‘সরকার আসে, সরকার যায়। তবুও আমাদের এ ঘাটে ব্রিজ হচ্ছে না। আমরা চরম ভোগান্তিতে আছি।’ স্থানীয় দেবী চৌধুরাণী অটিজম ও বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি শাহ মো. শাহেদ ফারুক বলেন, রাতে রোগী বা জরুরি প্রয়োজনে পারাপার হওয়া খুবই কষ্টসাধ্য। ঘাটে লোক থাকে না। নৌকা অপর প্রান্তে থাকলে আরও সমস্যা বেশি। ডাকাতি-ছিনতাইয়ের ভয় বেড়ে যায়।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, নদের দুই পাশে ভালো সড়ক থাকলেও সেতুর অভাবে দ্রুত যাতায়াত করা যাচ্ছে না। এ ছাড়া প্রতিবছর নদের ভাঙনে ঘাট এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় সরানো হচ্ছে।
স্কুলশিক্ষক খোরশেদ আলম বলেন, অনেক সময় এসে দেখি নৌকা অপর প্রান্তে আছে। ফলে দীর্ঘক্ষণ রোদ-বৃষ্টিতে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। প্রতিবছর এ ঘাট থেকে সরকার ৩ লাখ টাকার বেশি রাজস্ব আয় করলেও ব্রিজ হচ্ছে না। ঘাটের ইজারাদার আনারুল ইসলাম জানান, খেয়ানৌকায় পারাপারের জন্য মোটরসাইকেল ২০, বাইসাইকেল ১০, ভ্যান-রিকশা ২০ ও মানুষের জন্য ৫ টাকা করে নেওয়া হয়।
এ নিয়ে কথা হলে কৈকুড়ী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান নুর আলম মিয়া বলেন, ‘দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে মানুষ চলাচল করে না, এমন স্থানে ব্রিজ থাকলেও জনগুরুত্বপূর্ণ এ ঘাটে আজও ব্রিজ না হওয়াটা দুঃখজনক। মানুষের কষ্ট লাঘবে অতিদ্রুত ত্রিমোহিনী ঘাটে ব্রিজ নির্মাণ জরুরি বলে আমি মনে করি।’
যোগাযোগ করা হলে পীরগাছা উপজেলা প্রকৌশলী মনিরুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ঘাঘট নদের ত্রিমোহিনী ঘাটে ব্রিজ নির্মাণের জন্য মিঠাপুকুর আসনের সংসদ সদস্যের ডিও লেটার সংযুক্ত করে মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। বরাদ্দ পেলে মিঠাপুকুর উপজেলা থেকে ব্রিজ নির্মাণ করা হবে।
রংপুরের পীরগাছা ও মিঠাপুকুর উপজেলার সীমান্তবর্তী ঘাঘট নদের ত্রিমোহিনী ঘাটে এখনো নির্মাণ করা হয়নি কোনো সেতু। আশপাশের ১৫ গ্রামের বাসিন্দাদের নদী পার হওয়ার একমাত্র ভরসা খেয়ানৌকা। প্রতিদিন ২ হাজারের বেশি মানুষ বিভিন্ন যানবাহন নিয়ে নৌকায় করে এ ঘাটে ঝুঁকিপূর্ণভাবে চলাচল করেন।
পীরগাছার ত্রিমোহিনী এবং মিঠাপুকুরের বেনিপুরের মাঝখানে ঘাটটির অবস্থান। সেখান থেকে মিঠাপুকুর উপজেলা শহরের দূরত্ব প্রায় ৩০ কিলোমিটার, আর ৫ কিলোমিটারের মধ্যে রয়েছে পীরগাছা উপজেলা শহর। ফলে আশপাশের গ্রামের মানুষকে যাতায়াতের জন্য ঘাট পার হয়ে পীরগাছাসহ বিভিন্ন স্থানে যাতায়াত করতে হয়।
নদের মিঠাপুকুর অংশে বেনিপুর পর্যন্ত সড়ক পাকা থাকলেও পীরগাছায় বকসীর দীঘি থেকে ত্রিমোহিনী ঘাট পর্যন্ত পাকাকরণের কাজ চলমান রয়েছে। এই সড়কে চলাচল করা মানুষ ঘাটে দুটি নৌকা জোড়া দিয়ে তাতে রিকশা, সাইকেল, মোটরসাইকেলসহ নানা যানবাহন পারাপার করেন।
বেনিপুরের কলেজছাত্রী হাবিবা আক্তার হ্যাপি প্রতিদিন ঘাট পার হয়ে পীরগাছা সরকারি কলেজে পড়তে যায়। সে বলে, ‘সরকার আসে, সরকার যায়। তবুও আমাদের এ ঘাটে ব্রিজ হচ্ছে না। আমরা চরম ভোগান্তিতে আছি।’ স্থানীয় দেবী চৌধুরাণী অটিজম ও বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি শাহ মো. শাহেদ ফারুক বলেন, রাতে রোগী বা জরুরি প্রয়োজনে পারাপার হওয়া খুবই কষ্টসাধ্য। ঘাটে লোক থাকে না। নৌকা অপর প্রান্তে থাকলে আরও সমস্যা বেশি। ডাকাতি-ছিনতাইয়ের ভয় বেড়ে যায়।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, নদের দুই পাশে ভালো সড়ক থাকলেও সেতুর অভাবে দ্রুত যাতায়াত করা যাচ্ছে না। এ ছাড়া প্রতিবছর নদের ভাঙনে ঘাট এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় সরানো হচ্ছে।
স্কুলশিক্ষক খোরশেদ আলম বলেন, অনেক সময় এসে দেখি নৌকা অপর প্রান্তে আছে। ফলে দীর্ঘক্ষণ রোদ-বৃষ্টিতে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। প্রতিবছর এ ঘাট থেকে সরকার ৩ লাখ টাকার বেশি রাজস্ব আয় করলেও ব্রিজ হচ্ছে না। ঘাটের ইজারাদার আনারুল ইসলাম জানান, খেয়ানৌকায় পারাপারের জন্য মোটরসাইকেল ২০, বাইসাইকেল ১০, ভ্যান-রিকশা ২০ ও মানুষের জন্য ৫ টাকা করে নেওয়া হয়।
এ নিয়ে কথা হলে কৈকুড়ী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান নুর আলম মিয়া বলেন, ‘দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে মানুষ চলাচল করে না, এমন স্থানে ব্রিজ থাকলেও জনগুরুত্বপূর্ণ এ ঘাটে আজও ব্রিজ না হওয়াটা দুঃখজনক। মানুষের কষ্ট লাঘবে অতিদ্রুত ত্রিমোহিনী ঘাটে ব্রিজ নির্মাণ জরুরি বলে আমি মনে করি।’
যোগাযোগ করা হলে পীরগাছা উপজেলা প্রকৌশলী মনিরুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ঘাঘট নদের ত্রিমোহিনী ঘাটে ব্রিজ নির্মাণের জন্য মিঠাপুকুর আসনের সংসদ সদস্যের ডিও লেটার সংযুক্ত করে মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। বরাদ্দ পেলে মিঠাপুকুর উপজেলা থেকে ব্রিজ নির্মাণ করা হবে।
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
১ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৪ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৪ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৮ দিন আগে