জাহিদ হাসান, যশোর
যশোর-৪ (বাঘারপাড়া-অভয়নগর) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) রনজিত কুমার রায়। টানা তিন মেয়াদে সংসদ সদস্য ছিলেন তিনি। এই সময়ে তাঁর চোখ ছিল জালিয়াতির মাধ্যমে অন্যের জমি দখলে। শ্মশানের নামে, চাকরি দেওয়ার কথা বলে; এমনকি মনোনয়ন বাগানোর কথা বলে জমি লিখে নিয়েছেন সাবেক এমপি।
৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর আত্মগোপনে চলে গেছেন সাবেক এমপি রনজিত। এরপর মুখ খুলতে শুরু করেছেন ভুক্তভোগীরা। সম্প্রতি রনজিতের অবৈধ সম্পদ অর্জন ও দুর্নীতির অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
সনাতন ধর্মের নেতারা জানান, বাঘারপাড়া উপজেলার ধান্যকুড়া মৌজায় অবস্থিত খাজুরা কেন্দ্রীয় শ্মশান সরকারি জমিতে অবস্থিত। একপর্যায়ে এলাকার মানুষের কাছ থেকে চাঁদা তুলে চিত্রা নদের পাড়ে শ্মশান-সংলগ্ন ৭৭ শতক জমি কেনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ৩৫ নম্বর ধান্যকুড়া মৌজায় ১৪৩ দাগের ৭ শতক ও ১৩৭ দাগের ২৪ শতক—মোট ৩১ শতক জমি ২০২০ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর কেনা হয়।
কিন্তু আল আমীন মন্ডলের ছয় ওয়ারিশের কাছ থেকে রনজিত রায়ের নামে তা লিখে নেওয়া হয়। একই মৌজার ১৩৬ নম্বর দাগের ৪৬ শতক জমি ২০২০ সালের ১২ অক্টোবর কাজী রবিউল ইসলাম ও তাঁর মা, বাকি সাত ভাই-বোন রনজিত রায়ের নামে লিখে দিয়েছেন।
শ্মশানের পাশে কেনা ওই জমি বর্গা নেওয়া জাকির হোসেন বলেন, ‘জমির আগের মালিকের কাছ থেকে বর্গা নিয়ে চাষ করতেন। এখন এমপির লোকের কাছ থেকে বছরে ২০ হাজার টাকার চুক্তিতে বর্গা চাষ করছেন।’
ধান্যখোলা গ্রামের পুরোহিত জয়দেব ব্যানার্জি বলেন, শ্মশানের জন্য সাত গ্রামের হিন্দুদের চাঁদার টাকায় ৭৭ শতক জমি কেনা হয়েছে। কিন্তু সেই জমি শ্মশানের নামে রেজিস্ট্রি হয়নি। রনজিত কুমার রায়ের নামে রেজিস্ট্রি করা হয়েছে।
একই এলাকার তেলিধান্য গ্রামের বাসিন্দা গোবিন্দ বিশ্বাস বলেন, ‘সাধারণ মানুষের চাঁদার টাকায় কেনা শ্মশানের জমি এমপির নামে রেজিস্ট্রি হয়েছে। এটা শুনে সবাই ক্ষুব্ধ হলেও প্রতিবাদ করার সাহস পায়নি।’
স্থানীয় বাসিন্দা প্রশান্ত কুমার রায় বলেন, রেজিস্ট্রির সময় বলা হয়, জমি শ্মশানের নামে রেজিস্ট্রি করলে ডিসির নামে চলে যাবে। নিজেদের কেনা জমি সরকারের নামে দেওয়া যাবে না। এমপি রনজিতের নামে রেজিস্ট্রি করলে ভালো হবে। সেই হিসেবে তাঁর নামে রেজিস্ট্রি করা হয়।
স্কুলশিক্ষকের জমি দখল, পরিবার দেশছাড়া
এ ছাড়া বাঘারপাড়া উপজেলার চাপাতলা গ্রামে সনাতন ধর্মাবলম্বী স্কুলশিক্ষক সুশীল কুমার মল্লিকের প্রায় ৪ একর জমি লিখে নিয়েছেন সাবেক এমপি রনজিত কুমার রায়।
সম্প্রতি সেই বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, সুশীল কুমার মল্লিকের বাড়িতে এক মুসলিম পরিবার বসবাস করছে। ভিটে জমি তারা কিনেছে। একই মৌজার প্রায় ৪ একর বাগান ও ফসলি জমি রেজিস্ট্রি করে নিয়েছে। কিন্তু সুশীল মাস্টারকে জমির টাকা দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ রয়েছে। বছর দুই আগে তিনি মারা যান। তাঁর স্ত্রীকেও প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয়। তিনি দীর্ঘদিন পলাতক রয়েছেন।
সুশীল মল্লিকের ভাতিজা শ্যামল মল্লিক জানান, তাঁর কাকা হাইস্কুলের শিক্ষক ও কাকিমা স্বাস্থ্যকর্মীর চাকরি করতেন। দুই সন্তান আগেই ভারতে চলে গেছেন। কাকা একসঙ্গে ৪ একর জমি বিক্রির সিদ্ধান্ত নেন। কিন্তু এলাকায় একসঙ্গে এত জমি কেনার লোক ছিল না। সাবেক এমপি রনজিত রায় ওই জমি কিনে নেন।
এ বিষয়ে বন্দবিলা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান সবদুল হোসেন খান বলেন, ‘সাবেক এমপি রনজিত রায় জোরপূর্বক সুশীল মাস্টারের জমি লিখে নেন। তাঁকে জমির টাকা দেননি। সুশীল মাস্টারের স্ত্রীকেও ভয়ভীতি দেখিয়ে এলাকাছাড়া করেছেন। কোনো প্রতিকার না পেয়ে তাঁরা ভারতে চলে গেছেন।’
চাকরির নামে জমি
এদিকে বাঘারপাড়ার মথুরাপুর মৌজায় জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের পানি সরবরাহ প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য ২০১৮ সালে তিন শতক জমি দেন মোহাম্মদ আবদুল্লাহ নামের এক যুবক। কিন্তু সেই জমি তৎকালীন এমপি রনজিত কুমার রায় নিজের নামে লিখে নিয়েছেন।
শর্ত ছিল, আবদুল্লাহকে চাকরি দেওয়া হবে। কিন্তু ৬ কোটি টাকার ওই প্রকল্প লুটপাট হওয়ায় কাজ ভালো হয়নি। এ জন্য স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ সেটি বুঝে নেয়নি। এখন চাকরিও নেই, জমিও নেই আবদুল্লাহর। তিনি বলেন, ‘সরল বিশ্বাসে প্রকল্পের জন্য জমি দিয়েছিলাম। কিন্তু এমপি সাহেব নিজের নামে লিখে নিয়েছেন।’
মনোনয়নের নামে জমি
বাঘারপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের তৎকালীন যুগ্ম সম্পাদক হাসান আলীকে (বর্তমান সাধারণ সম্পাদক) পঞ্চম উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে নৌকার মনোনয়ন এনে দেওয়ার কথা বলে ৫ বিঘা জমি নিজের অনুসারীর নামে লিখে নেন রনজিত রায়। নির্বাচনে পরাজিত হন হাসান আলী। এরপর তখনকার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অভিযোগ করেন তিনি। সেখান থেকে চাপ দেওয়ায় সেই জমি হাসান আলীকে ফিরিয়ে দিতে বাধ্য হন রনজিত।
এ বিষয়ে হাসান আলী বলেন, ‘দল ক্ষমতায় থাকতে রনজিত রায়ের অপকর্ম নিয়ে অনেক কথা বলেছি। এখন কোনো মন্তব্য করতে চাই না।’
এ বিষয়ে বাঘারপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক নজরুল ইসলাম বলেন, রনজিত রায় এমপি থাকাকালীন আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা বঞ্চিত ও নির্যাতিত হয়েছেন। হিন্দুরাও তাঁর কাছে নিরাপদ ছিলেন না। অবৈধভাবে অর্থ উপার্জনে মরিয়া হয়ে উঠেছিলেন। তাঁর অপকর্মের দায়ভার এখন আওয়ামী লীগের ত্যাগী ও সাধারণ নেতা-কর্মীদের ওপর বর্তাচ্ছে।
আত্মগোপনে থাকা রনজিত রায়ের মোবাইল ফোন নম্বরে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তা বন্ধ পাওয়া গেছে। এ কারণে তাঁর বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
যশোর-৪ (বাঘারপাড়া-অভয়নগর) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) রনজিত কুমার রায়। টানা তিন মেয়াদে সংসদ সদস্য ছিলেন তিনি। এই সময়ে তাঁর চোখ ছিল জালিয়াতির মাধ্যমে অন্যের জমি দখলে। শ্মশানের নামে, চাকরি দেওয়ার কথা বলে; এমনকি মনোনয়ন বাগানোর কথা বলে জমি লিখে নিয়েছেন সাবেক এমপি।
৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর আত্মগোপনে চলে গেছেন সাবেক এমপি রনজিত। এরপর মুখ খুলতে শুরু করেছেন ভুক্তভোগীরা। সম্প্রতি রনজিতের অবৈধ সম্পদ অর্জন ও দুর্নীতির অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
সনাতন ধর্মের নেতারা জানান, বাঘারপাড়া উপজেলার ধান্যকুড়া মৌজায় অবস্থিত খাজুরা কেন্দ্রীয় শ্মশান সরকারি জমিতে অবস্থিত। একপর্যায়ে এলাকার মানুষের কাছ থেকে চাঁদা তুলে চিত্রা নদের পাড়ে শ্মশান-সংলগ্ন ৭৭ শতক জমি কেনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ৩৫ নম্বর ধান্যকুড়া মৌজায় ১৪৩ দাগের ৭ শতক ও ১৩৭ দাগের ২৪ শতক—মোট ৩১ শতক জমি ২০২০ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর কেনা হয়।
কিন্তু আল আমীন মন্ডলের ছয় ওয়ারিশের কাছ থেকে রনজিত রায়ের নামে তা লিখে নেওয়া হয়। একই মৌজার ১৩৬ নম্বর দাগের ৪৬ শতক জমি ২০২০ সালের ১২ অক্টোবর কাজী রবিউল ইসলাম ও তাঁর মা, বাকি সাত ভাই-বোন রনজিত রায়ের নামে লিখে দিয়েছেন।
শ্মশানের পাশে কেনা ওই জমি বর্গা নেওয়া জাকির হোসেন বলেন, ‘জমির আগের মালিকের কাছ থেকে বর্গা নিয়ে চাষ করতেন। এখন এমপির লোকের কাছ থেকে বছরে ২০ হাজার টাকার চুক্তিতে বর্গা চাষ করছেন।’
ধান্যখোলা গ্রামের পুরোহিত জয়দেব ব্যানার্জি বলেন, শ্মশানের জন্য সাত গ্রামের হিন্দুদের চাঁদার টাকায় ৭৭ শতক জমি কেনা হয়েছে। কিন্তু সেই জমি শ্মশানের নামে রেজিস্ট্রি হয়নি। রনজিত কুমার রায়ের নামে রেজিস্ট্রি করা হয়েছে।
একই এলাকার তেলিধান্য গ্রামের বাসিন্দা গোবিন্দ বিশ্বাস বলেন, ‘সাধারণ মানুষের চাঁদার টাকায় কেনা শ্মশানের জমি এমপির নামে রেজিস্ট্রি হয়েছে। এটা শুনে সবাই ক্ষুব্ধ হলেও প্রতিবাদ করার সাহস পায়নি।’
স্থানীয় বাসিন্দা প্রশান্ত কুমার রায় বলেন, রেজিস্ট্রির সময় বলা হয়, জমি শ্মশানের নামে রেজিস্ট্রি করলে ডিসির নামে চলে যাবে। নিজেদের কেনা জমি সরকারের নামে দেওয়া যাবে না। এমপি রনজিতের নামে রেজিস্ট্রি করলে ভালো হবে। সেই হিসেবে তাঁর নামে রেজিস্ট্রি করা হয়।
স্কুলশিক্ষকের জমি দখল, পরিবার দেশছাড়া
এ ছাড়া বাঘারপাড়া উপজেলার চাপাতলা গ্রামে সনাতন ধর্মাবলম্বী স্কুলশিক্ষক সুশীল কুমার মল্লিকের প্রায় ৪ একর জমি লিখে নিয়েছেন সাবেক এমপি রনজিত কুমার রায়।
সম্প্রতি সেই বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, সুশীল কুমার মল্লিকের বাড়িতে এক মুসলিম পরিবার বসবাস করছে। ভিটে জমি তারা কিনেছে। একই মৌজার প্রায় ৪ একর বাগান ও ফসলি জমি রেজিস্ট্রি করে নিয়েছে। কিন্তু সুশীল মাস্টারকে জমির টাকা দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ রয়েছে। বছর দুই আগে তিনি মারা যান। তাঁর স্ত্রীকেও প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয়। তিনি দীর্ঘদিন পলাতক রয়েছেন।
সুশীল মল্লিকের ভাতিজা শ্যামল মল্লিক জানান, তাঁর কাকা হাইস্কুলের শিক্ষক ও কাকিমা স্বাস্থ্যকর্মীর চাকরি করতেন। দুই সন্তান আগেই ভারতে চলে গেছেন। কাকা একসঙ্গে ৪ একর জমি বিক্রির সিদ্ধান্ত নেন। কিন্তু এলাকায় একসঙ্গে এত জমি কেনার লোক ছিল না। সাবেক এমপি রনজিত রায় ওই জমি কিনে নেন।
এ বিষয়ে বন্দবিলা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান সবদুল হোসেন খান বলেন, ‘সাবেক এমপি রনজিত রায় জোরপূর্বক সুশীল মাস্টারের জমি লিখে নেন। তাঁকে জমির টাকা দেননি। সুশীল মাস্টারের স্ত্রীকেও ভয়ভীতি দেখিয়ে এলাকাছাড়া করেছেন। কোনো প্রতিকার না পেয়ে তাঁরা ভারতে চলে গেছেন।’
চাকরির নামে জমি
এদিকে বাঘারপাড়ার মথুরাপুর মৌজায় জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের পানি সরবরাহ প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য ২০১৮ সালে তিন শতক জমি দেন মোহাম্মদ আবদুল্লাহ নামের এক যুবক। কিন্তু সেই জমি তৎকালীন এমপি রনজিত কুমার রায় নিজের নামে লিখে নিয়েছেন।
শর্ত ছিল, আবদুল্লাহকে চাকরি দেওয়া হবে। কিন্তু ৬ কোটি টাকার ওই প্রকল্প লুটপাট হওয়ায় কাজ ভালো হয়নি। এ জন্য স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ সেটি বুঝে নেয়নি। এখন চাকরিও নেই, জমিও নেই আবদুল্লাহর। তিনি বলেন, ‘সরল বিশ্বাসে প্রকল্পের জন্য জমি দিয়েছিলাম। কিন্তু এমপি সাহেব নিজের নামে লিখে নিয়েছেন।’
মনোনয়নের নামে জমি
বাঘারপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের তৎকালীন যুগ্ম সম্পাদক হাসান আলীকে (বর্তমান সাধারণ সম্পাদক) পঞ্চম উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে নৌকার মনোনয়ন এনে দেওয়ার কথা বলে ৫ বিঘা জমি নিজের অনুসারীর নামে লিখে নেন রনজিত রায়। নির্বাচনে পরাজিত হন হাসান আলী। এরপর তখনকার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অভিযোগ করেন তিনি। সেখান থেকে চাপ দেওয়ায় সেই জমি হাসান আলীকে ফিরিয়ে দিতে বাধ্য হন রনজিত।
এ বিষয়ে হাসান আলী বলেন, ‘দল ক্ষমতায় থাকতে রনজিত রায়ের অপকর্ম নিয়ে অনেক কথা বলেছি। এখন কোনো মন্তব্য করতে চাই না।’
এ বিষয়ে বাঘারপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক নজরুল ইসলাম বলেন, রনজিত রায় এমপি থাকাকালীন আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা বঞ্চিত ও নির্যাতিত হয়েছেন। হিন্দুরাও তাঁর কাছে নিরাপদ ছিলেন না। অবৈধভাবে অর্থ উপার্জনে মরিয়া হয়ে উঠেছিলেন। তাঁর অপকর্মের দায়ভার এখন আওয়ামী লীগের ত্যাগী ও সাধারণ নেতা-কর্মীদের ওপর বর্তাচ্ছে।
আত্মগোপনে থাকা রনজিত রায়ের মোবাইল ফোন নম্বরে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তা বন্ধ পাওয়া গেছে। এ কারণে তাঁর বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
১ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৪ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৪ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৮ দিন আগে