এম কে দোলন বিশ্বাস, ইসলামপুর (জামালপুর)
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে ‘ঈদ উপহার’ হিসেবে জামালপুরের ইসলামপুর উপজেলায় অতিদরিদ্রদের সামাজিক নিরাপত্তাবেষ্টনী কার্যক্রম ভালনারেবল গ্রুপ ফিডিংয়ের (ভিজিএফ) চাল বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, ওজনে কম দেওয়া, সুবিধাভোগীদের কার্ড না দেওয়াসহ কালোবাজারে বিক্রি করার মধ্য দিয়ে নামমাত্র চাল বিতরণ করা হয়েছে। বরাদ্দের বিপুল পরিমাণ চাল কালোবাজারে বিক্রি করায় স্থানীয় সচেতন মহল ‘লুটপাটের নয়া মডেলে’ চাল বিতরণ কার্যক্রম শেষ করার অভিযোগ তুলেছেন।
ভিজিএফ কর্মসূচির আওতায় চাল বিতরণে অনিয়মের এমন অভিযোগ উঠেছে উপজেলার ১২টি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান ও মেম্বারদের বিরুদ্ধে। তবে ইউপি চেয়ারম্যানদের দাবি, অভিযোগ সঠিক নয়। মূলত নিয়মানুযায়ী চাল বিতরণ করা হয়েছে।
উপজেলা ত্রাণ শাখা সূত্রে জানা গেছে, ১২টি ইউপির অনুকূলে ঈদুল আজহা উপলক্ষে ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ের অধীনে দুর্যোগ আক্রান্ত, দুস্থ ও ভিক্ষুকসহ ৪৬ হাজার ৬১টি সুবিধাভোগী অতিদরিদ্র পরিবারের জন্য মাথাপিছু ১০ কেজি হারে মানবিক সহায়তা হিসেবে ৪৬০ টন ৬১০ কেজি চাল বরাদ্দ আসে। ১১ জুন উপজেলা খাদ্যগুদাম থেকে প্রতি ইউপি চেয়ারম্যানরা চাল উত্তোলনের পর গত সোমবার পর্যন্ত চাল বিতরণ শেষ করেন।
সরেজমিনে দেখা যায়, নিজ নিজ ইউপির কার্যালয় থেকে চাল বিতরণের কথা থাকলেও গাইবান্ধা ইউপি কার্যালয়ে চাল না নিয়ে চরদাদনা বাজার থেকে নামমাত্র বিতরণ করা হয়।
চিনাডুলীর খামারপাড়া গ্রামের বালি বেগম ও ডেবরাইপ্যাচের পারভীন আক্তার বলেন, ইউপি চেয়ারম্যানের বাড়ি থেকে মাথাপিছু আট কেজি চাল দিয়েছেন। চার ভাগের তিন ভাগ চালই বিতরণ করা হয়নি।
পাথর্শীর শশারিয়াবাড়ীর কুলছুম বেগম ও মুজাআঁটার তোফাজ্জল বলেন, চেয়ারম্যান-মেম্বাররা মিলেমিশে সরকারি অর্ধেকেরও বেশি চাল কালোবাজারে বিক্রি করে দিয়েছেন। নোয়ারপাড়ার কাঠমা গ্রামের চায়না খাতুন, সোনামুখীর আইজল, উলিয়া এলাকার হোসেন আলী বলেন, ‘আমরা আট কেজি করে চাল পেয়েছি।’
ইসলামপুর সদরের পাঁচবাড়িয়া গ্রামের হুরমুজ আলী, কাচিহারা গ্রামের বেলাল মিয়া, পচাবহলা গ্রামের আকবর বলেন, ‘শাহীন চেয়ারম্যান আমাদের সাত থেকে সাড়ে নয় কেজি হারে চাল দিয়েছেন। অধিকাংশ সুবিধাভোগীর চাল না দিয়ে কালোবাজারে বিক্রি করে দিয়েছেন।’
গোয়ালেরচরের বোলাকাপাড়া গ্রামের আসকের আলী, কাচিমার চরের পেয়ারা খাতুন, মালমারার মর্জিনা বেগম বলেন, ওজনে চাল কম দিয়েছে। চালের কার্ডও সবগুলো বিতরণ করা হয়নি।
চরগোয়ালিনীর কান্দারচর গ্রামের সুজন, ডিগ্রির চর আসমা বেগম, লক্ষ্মীপুরের আলাল, পিরোজপুরের হেনা বেগমসহ অনেকেই জানান, শহিদুল্লা চেয়ারম্যান নামমাত্র কার্ড বিতরণ করেছেন।
চরপুঁটিমারীর পেচারচর গ্রামের সীমা খাতুন, বেনুয়ারচরের জোৎস্না বেগম, চিনারচরের মুকুল শেখের অভিযোগ, চেয়ারম্যান-মেম্বাররা সুবিধাভোগীদের মধ্যে নামমাত্র কার্ড বিতরণ করেন। তাঁরা কেউই সাড়ে আট কেজির বেশি চাল পাননি।
অভিযোগের বিষয়ে চরগোয়ালিনীর ইউপি চেয়ারম্যান শহিদুল্লাহ সরকার বলেন, ‘সঠিকভাবে চাল বিতরণ করেছি।’
চরপুঁটিমারীর ইউপি চেয়ারম্যান সামছুজ্জামান সুরুজ মাস্টার বলেন, ‘অপবাদ ছড়ানো হচ্ছে। আমরা বঙ্গবন্ধুর সৈনিক। দুর্নীতি করতে আমরা জনপ্রতিনিধি হয়নি।’
সদর ইউপি চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি হাবিবুর রহমান চৌধুরী বলেন, ‘আমি বঙ্গবন্ধুর আদর্শে বিশ্বাসী। নিয়ম অনুযায়ী চাল বিতরণ করেছি। আমি দুর্নীতি করতে পারি না।’
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) মেহেদী হাসান টিটু বলেন, নিজ নিজ ইউপির চেয়ারম্যানদের নিয়ম অনুযায়ী চাল বিতরণের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
ইসলামপুর ইউএনও মু. তানভীর হাসান রোমান বলেন, ‘ভিজিএফের চাল বিতরণে অনিয়মের সত্যতা পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এস এম জামাল আব্দুন নাছের বাবুল বলেন, ‘চাল বিতরণে ব্যাপক অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। দুর্নীতিবাজরা সংঘবদ্ধ হওয়ায় অতিদরিদ্র জনগোষ্ঠীর মানুষগুলো সরকারি বরাদ্দের চালের সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে ‘ঈদ উপহার’ হিসেবে জামালপুরের ইসলামপুর উপজেলায় অতিদরিদ্রদের সামাজিক নিরাপত্তাবেষ্টনী কার্যক্রম ভালনারেবল গ্রুপ ফিডিংয়ের (ভিজিএফ) চাল বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, ওজনে কম দেওয়া, সুবিধাভোগীদের কার্ড না দেওয়াসহ কালোবাজারে বিক্রি করার মধ্য দিয়ে নামমাত্র চাল বিতরণ করা হয়েছে। বরাদ্দের বিপুল পরিমাণ চাল কালোবাজারে বিক্রি করায় স্থানীয় সচেতন মহল ‘লুটপাটের নয়া মডেলে’ চাল বিতরণ কার্যক্রম শেষ করার অভিযোগ তুলেছেন।
ভিজিএফ কর্মসূচির আওতায় চাল বিতরণে অনিয়মের এমন অভিযোগ উঠেছে উপজেলার ১২টি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান ও মেম্বারদের বিরুদ্ধে। তবে ইউপি চেয়ারম্যানদের দাবি, অভিযোগ সঠিক নয়। মূলত নিয়মানুযায়ী চাল বিতরণ করা হয়েছে।
উপজেলা ত্রাণ শাখা সূত্রে জানা গেছে, ১২টি ইউপির অনুকূলে ঈদুল আজহা উপলক্ষে ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ের অধীনে দুর্যোগ আক্রান্ত, দুস্থ ও ভিক্ষুকসহ ৪৬ হাজার ৬১টি সুবিধাভোগী অতিদরিদ্র পরিবারের জন্য মাথাপিছু ১০ কেজি হারে মানবিক সহায়তা হিসেবে ৪৬০ টন ৬১০ কেজি চাল বরাদ্দ আসে। ১১ জুন উপজেলা খাদ্যগুদাম থেকে প্রতি ইউপি চেয়ারম্যানরা চাল উত্তোলনের পর গত সোমবার পর্যন্ত চাল বিতরণ শেষ করেন।
সরেজমিনে দেখা যায়, নিজ নিজ ইউপির কার্যালয় থেকে চাল বিতরণের কথা থাকলেও গাইবান্ধা ইউপি কার্যালয়ে চাল না নিয়ে চরদাদনা বাজার থেকে নামমাত্র বিতরণ করা হয়।
চিনাডুলীর খামারপাড়া গ্রামের বালি বেগম ও ডেবরাইপ্যাচের পারভীন আক্তার বলেন, ইউপি চেয়ারম্যানের বাড়ি থেকে মাথাপিছু আট কেজি চাল দিয়েছেন। চার ভাগের তিন ভাগ চালই বিতরণ করা হয়নি।
পাথর্শীর শশারিয়াবাড়ীর কুলছুম বেগম ও মুজাআঁটার তোফাজ্জল বলেন, চেয়ারম্যান-মেম্বাররা মিলেমিশে সরকারি অর্ধেকেরও বেশি চাল কালোবাজারে বিক্রি করে দিয়েছেন। নোয়ারপাড়ার কাঠমা গ্রামের চায়না খাতুন, সোনামুখীর আইজল, উলিয়া এলাকার হোসেন আলী বলেন, ‘আমরা আট কেজি করে চাল পেয়েছি।’
ইসলামপুর সদরের পাঁচবাড়িয়া গ্রামের হুরমুজ আলী, কাচিহারা গ্রামের বেলাল মিয়া, পচাবহলা গ্রামের আকবর বলেন, ‘শাহীন চেয়ারম্যান আমাদের সাত থেকে সাড়ে নয় কেজি হারে চাল দিয়েছেন। অধিকাংশ সুবিধাভোগীর চাল না দিয়ে কালোবাজারে বিক্রি করে দিয়েছেন।’
গোয়ালেরচরের বোলাকাপাড়া গ্রামের আসকের আলী, কাচিমার চরের পেয়ারা খাতুন, মালমারার মর্জিনা বেগম বলেন, ওজনে চাল কম দিয়েছে। চালের কার্ডও সবগুলো বিতরণ করা হয়নি।
চরগোয়ালিনীর কান্দারচর গ্রামের সুজন, ডিগ্রির চর আসমা বেগম, লক্ষ্মীপুরের আলাল, পিরোজপুরের হেনা বেগমসহ অনেকেই জানান, শহিদুল্লা চেয়ারম্যান নামমাত্র কার্ড বিতরণ করেছেন।
চরপুঁটিমারীর পেচারচর গ্রামের সীমা খাতুন, বেনুয়ারচরের জোৎস্না বেগম, চিনারচরের মুকুল শেখের অভিযোগ, চেয়ারম্যান-মেম্বাররা সুবিধাভোগীদের মধ্যে নামমাত্র কার্ড বিতরণ করেন। তাঁরা কেউই সাড়ে আট কেজির বেশি চাল পাননি।
অভিযোগের বিষয়ে চরগোয়ালিনীর ইউপি চেয়ারম্যান শহিদুল্লাহ সরকার বলেন, ‘সঠিকভাবে চাল বিতরণ করেছি।’
চরপুঁটিমারীর ইউপি চেয়ারম্যান সামছুজ্জামান সুরুজ মাস্টার বলেন, ‘অপবাদ ছড়ানো হচ্ছে। আমরা বঙ্গবন্ধুর সৈনিক। দুর্নীতি করতে আমরা জনপ্রতিনিধি হয়নি।’
সদর ইউপি চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি হাবিবুর রহমান চৌধুরী বলেন, ‘আমি বঙ্গবন্ধুর আদর্শে বিশ্বাসী। নিয়ম অনুযায়ী চাল বিতরণ করেছি। আমি দুর্নীতি করতে পারি না।’
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) মেহেদী হাসান টিটু বলেন, নিজ নিজ ইউপির চেয়ারম্যানদের নিয়ম অনুযায়ী চাল বিতরণের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
ইসলামপুর ইউএনও মু. তানভীর হাসান রোমান বলেন, ‘ভিজিএফের চাল বিতরণে অনিয়মের সত্যতা পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এস এম জামাল আব্দুন নাছের বাবুল বলেন, ‘চাল বিতরণে ব্যাপক অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। দুর্নীতিবাজরা সংঘবদ্ধ হওয়ায় অতিদরিদ্র জনগোষ্ঠীর মানুষগুলো সরকারি বরাদ্দের চালের সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।’
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
২ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৯ দিন আগে