পঞ্চগড় প্রতিনিধি
পঞ্চগড় চিনিকলের আখমাড়াই দুই বছর ধরে স্থগিত থাকলেও উৎপাদিত ৭৮০ মেট্রিক টন চিটাগুড় এখনো বিক্রি হয়নি। এতে গুড়ের মান নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এদিকে এ চিনিকলের কর্মচারী ও শ্রমিকেরা তিন মাস ধরে বেতন পাচ্ছেন না।
২০১৯-২০ মাড়াই মৌসুমে উৎপাদিত হওয়া ১ হাজার ৪০২ মেট্রিক টন চিটাগুড়ের মধ্যে ৭৮০ টন গুড় সরকার নির্ধারিত দাম না পাওয়ায় অবিক্রীত রয়েছে। ওই গুড় চিনিকলটির তিনটি স্টিল ট্যাংকে মজুত রয়েছে।
এদিকে চিনি মজুত না থাকা, চিটাগুড় বিক্রি করতে না পারাসহ চিনিকলের আয়ের তেমন কোনো উৎস নেই। কর্মকর্তা, শ্রমিক-কর্মচারীদের বেতন ও অবসরপ্রাপ্তদের বিশেষ ভাতার টাকা পরিশোধ করতে পারছে না কর্তৃপক্ষ। এমনকি চিনিকলটির নিজস্ব ২২৪ কোটি টাকা ঋণের বিপরীতে প্রতিবছর সুদ গুনতে হচ্ছে প্রায় ২০ কোটি টাকা।
পঞ্চগড় চিনিকল সূত্রে জানা গেছে, ১৯৬৫-৬৯ সালে তৎকালীন সরকারের সময় পঞ্চগড়ের ধাক্কামারা এলাকায় ১৯৮ দশমিক ৪৬ একর জমির ওপর স্থাপন করা হয় চিনিকলটি। এটিতে সাড়ে ৩ শতাংশ চিটাগুড় উৎপাদন হতো। সরকার নির্ধারিত দাম অনুয়ায়ী দরপত্রের মাধ্যমে প্রতি মেট্রিক টন চিটাগুড় ৩২ হাজার ২০০ টাকা দরে বিক্রি করত। তবে সর্বশেষ ২০১৯-২০ অর্থবছরে মাড়াই মৌসুমে উৎপাদন হওয়া ১ হাজার ৪০২ টন চিটাগুড়ের মধ্যে এখনো অবিক্রীত আছে ৭৮০ টন। সঠিক দামের ক্রেতাসংকটে সময়মতো এই চিটাগুড় বিক্রি করা না গেলে গুণগত মান হারাবে বলে বলছেন চিনিকলের কর্মকর্তারা।
সংশ্লিষ্টরা জানান, চিনিকলের মাড়াই স্থগিত হওয়ায় মৌসুমি শ্রমিকদের ছাঁটাই এবং স্থায়ী কর্মকর্তা, কর্মচারী ও শ্রমিকদের বেশির ভাগকে দেশের বিভিন্ন চিনিকলে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। বর্তমানে চিনিকলটিতে ৬২ জন স্থায়ী কর্মকর্তা, কর্মচারী ও শ্রমিক রয়েছেন। এ ছাড়া নিরাপত্তাপ্রহরী হিসেবে ৩২ জন চুক্তিভিত্তিক কর্মচারী রয়েছেন। চিনিকলটির আওতায় একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ও চলে। এতে বর্তমানে চিনিকলটির কর্মকর্তা, কর্মচারী ও শ্রমিক এবং বিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা বাবদ প্রতি মাসে ২৮ লাখ টাকা প্রয়োজন।
এ ছাড়া চিনিকলটির কর্মকর্তা, কর্মচারী ও শ্রমিকদের তিন মাস ধরে বেতন বকেয়া রয়েছে। এ ছাড়া অবসর নেওয়া ২৯১ জন কর্মকর্তা, কর্মচারী ও শ্রমিকের ১২ কোটি ৪৫ লাখ বিশেষ ভাতার টাকা বকেয়া রয়েছে।
পঞ্চগড় চিনিকলের কর্মচারী আবুল বাসার বলেন, ‘এই চিনিকলটি পঞ্চগড়ের একমাত্র ভারী শিল্প ছিল। প্রতিষ্ঠানটি বন্ধ হওয়ার কারণে এখানে কর্মরত শ্রমিক-কর্মচারীরা অনিশ্চয়তার মধ্যে রয়েছেন। আমরা শ্রমিক-কর্মচারীরা তিন মাস ধরে বেতন পাচ্ছি না।’
পঞ্চগড় চিনিকলের ব্যবস্থাপক (প্রশাসন) মো. ইউসুফ আলী বলেন, ‘দুই বছর আগে মাড়াই স্থগিত থাকা এই চিনিকলের আবাদি জমি নিয়ম অনুযায়ী লিজ দেওয়া এবং মজুত করা চিটাগুড় বিক্রি করা ছাড়া আর কোনো আয়ের উৎস নেই। কিন্তু চিটাগুড় বিক্রির জন্য দরপত্র আহ্বান করেও সরকার নির্ধারিত দাম না পাওয়ায় বিক্রি করতে পারছি না।’
পঞ্চগড় চিনিকলের আখমাড়াই দুই বছর ধরে স্থগিত থাকলেও উৎপাদিত ৭৮০ মেট্রিক টন চিটাগুড় এখনো বিক্রি হয়নি। এতে গুড়ের মান নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এদিকে এ চিনিকলের কর্মচারী ও শ্রমিকেরা তিন মাস ধরে বেতন পাচ্ছেন না।
২০১৯-২০ মাড়াই মৌসুমে উৎপাদিত হওয়া ১ হাজার ৪০২ মেট্রিক টন চিটাগুড়ের মধ্যে ৭৮০ টন গুড় সরকার নির্ধারিত দাম না পাওয়ায় অবিক্রীত রয়েছে। ওই গুড় চিনিকলটির তিনটি স্টিল ট্যাংকে মজুত রয়েছে।
এদিকে চিনি মজুত না থাকা, চিটাগুড় বিক্রি করতে না পারাসহ চিনিকলের আয়ের তেমন কোনো উৎস নেই। কর্মকর্তা, শ্রমিক-কর্মচারীদের বেতন ও অবসরপ্রাপ্তদের বিশেষ ভাতার টাকা পরিশোধ করতে পারছে না কর্তৃপক্ষ। এমনকি চিনিকলটির নিজস্ব ২২৪ কোটি টাকা ঋণের বিপরীতে প্রতিবছর সুদ গুনতে হচ্ছে প্রায় ২০ কোটি টাকা।
পঞ্চগড় চিনিকল সূত্রে জানা গেছে, ১৯৬৫-৬৯ সালে তৎকালীন সরকারের সময় পঞ্চগড়ের ধাক্কামারা এলাকায় ১৯৮ দশমিক ৪৬ একর জমির ওপর স্থাপন করা হয় চিনিকলটি। এটিতে সাড়ে ৩ শতাংশ চিটাগুড় উৎপাদন হতো। সরকার নির্ধারিত দাম অনুয়ায়ী দরপত্রের মাধ্যমে প্রতি মেট্রিক টন চিটাগুড় ৩২ হাজার ২০০ টাকা দরে বিক্রি করত। তবে সর্বশেষ ২০১৯-২০ অর্থবছরে মাড়াই মৌসুমে উৎপাদন হওয়া ১ হাজার ৪০২ টন চিটাগুড়ের মধ্যে এখনো অবিক্রীত আছে ৭৮০ টন। সঠিক দামের ক্রেতাসংকটে সময়মতো এই চিটাগুড় বিক্রি করা না গেলে গুণগত মান হারাবে বলে বলছেন চিনিকলের কর্মকর্তারা।
সংশ্লিষ্টরা জানান, চিনিকলের মাড়াই স্থগিত হওয়ায় মৌসুমি শ্রমিকদের ছাঁটাই এবং স্থায়ী কর্মকর্তা, কর্মচারী ও শ্রমিকদের বেশির ভাগকে দেশের বিভিন্ন চিনিকলে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। বর্তমানে চিনিকলটিতে ৬২ জন স্থায়ী কর্মকর্তা, কর্মচারী ও শ্রমিক রয়েছেন। এ ছাড়া নিরাপত্তাপ্রহরী হিসেবে ৩২ জন চুক্তিভিত্তিক কর্মচারী রয়েছেন। চিনিকলটির আওতায় একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ও চলে। এতে বর্তমানে চিনিকলটির কর্মকর্তা, কর্মচারী ও শ্রমিক এবং বিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা বাবদ প্রতি মাসে ২৮ লাখ টাকা প্রয়োজন।
এ ছাড়া চিনিকলটির কর্মকর্তা, কর্মচারী ও শ্রমিকদের তিন মাস ধরে বেতন বকেয়া রয়েছে। এ ছাড়া অবসর নেওয়া ২৯১ জন কর্মকর্তা, কর্মচারী ও শ্রমিকের ১২ কোটি ৪৫ লাখ বিশেষ ভাতার টাকা বকেয়া রয়েছে।
পঞ্চগড় চিনিকলের কর্মচারী আবুল বাসার বলেন, ‘এই চিনিকলটি পঞ্চগড়ের একমাত্র ভারী শিল্প ছিল। প্রতিষ্ঠানটি বন্ধ হওয়ার কারণে এখানে কর্মরত শ্রমিক-কর্মচারীরা অনিশ্চয়তার মধ্যে রয়েছেন। আমরা শ্রমিক-কর্মচারীরা তিন মাস ধরে বেতন পাচ্ছি না।’
পঞ্চগড় চিনিকলের ব্যবস্থাপক (প্রশাসন) মো. ইউসুফ আলী বলেন, ‘দুই বছর আগে মাড়াই স্থগিত থাকা এই চিনিকলের আবাদি জমি নিয়ম অনুযায়ী লিজ দেওয়া এবং মজুত করা চিটাগুড় বিক্রি করা ছাড়া আর কোনো আয়ের উৎস নেই। কিন্তু চিটাগুড় বিক্রির জন্য দরপত্র আহ্বান করেও সরকার নির্ধারিত দাম না পাওয়ায় বিক্রি করতে পারছি না।’
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
১ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৮ দিন আগে