খুলনা ও তেরখাদা প্রতিনিধি
ভোজ্যতেল সয়াবিনের দাম লিটারে এক লাফে ৩৮ টাকা বাড়ানোয় চরম ক্ষুব্ধ সাধারণ মানুষ। এই সুযোগে সব ধরনের নিত্যপণ্যের দাম বাড়াতে তৎপর হয়ে উঠেছে তেরখাদার ব্যবসায়ীরা। তাঁরা সয়াবিনের দাম বৃদ্ধির সুযোগে ধাপে ধাপে বাড়াচ্ছে চাল, ডাল, পেঁয়াজ, চিনিসহ বিভিন্ন পণ্যের দাম। গত তিন দিনের ব্যবধানে পেঁয়াজের দাম বেড়েছে কেজিতে ১০ টাকা। হঠাৎ এ দাম বেড়ে যাওয়ায় ক্রেতারা রয়েছেন উৎকণ্ঠায়।
ঈদের আমেজ না কাটতেই সয়াবিন তেলসহ নিত্যপণ্যের দাম বাড়ছে। এতে চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন এলাকার সাধারণ মানুষ। বিক্রেতারা বলছেন, ঈদের ছুটির কারণে পর্যাপ্ত সরবরাহ না থাকায় দাম বেড়েছে সব ধরনের সবজির। তবে দোকানে তেলের মূল্য আকাশছোঁয়া। দু-একটি দোকানে পাঁচ লিটারের বোতলজাত তেল পাওয়া গেলেও ইচ্ছেমতো দাম নিচ্ছেন দোকানিরা। এদিকে বাজারে বাড়তে শুরু করেছে চালের দাম।
অভিযোগ উঠেছে, কিছু অসাধু ব্যবসায়ী চালের বাজার অস্থিতিশীল করার পাঁয়তারা করছেন। বাজারে চাহিদা কম এমন অজুহাত দেখিয়ে মোটা চালের উৎপাদন কমিয়ে দিয়েছে। মোটা চালের কেজি ৪-৫ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। মিনিকেটের দামও বেড়েছে। বাজারে প্রতি কেজি চিনি বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা। এ ছাড়া প্যাকেট চিনি ৮৫ টাকা। ঈদের সময় বেড়ে গিয়েছিল গরুর মাংসের দাম। সেই দাম এখনো কমেনি। এখন গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭০০ টাকায়। খাসির মাংস ৮৫০ টাকা। ৫০ টাকার নিচে কোনো সবজি পাওয়া যাচ্ছে না।
উপজেলা সদরের কাটেঙ্গা, জয়সেনা ও তেরখাদা বাজার ঘুরে দেখা গেছে ঢ্যাঁড়শ ৫০ টাকা, পটোল ৫০, বেগুন ৬০ থেকে ৮০, শসা ৪০ থেকে ৫০, কাঁকরোল ৬০ থেকে ৭০, বরবটি ৫০ থেকে ৬০, টমেটো ৫০, করলা ৬০ থেকে ৭০ ও কাঁচামরিচের কেজি ৮০ থেকে ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
উপজেলার পানতিতা এলাকা থেকে কাটেঙ্গা বাজারে বাজার করতে এসেছেন গাড়িচালক মিরাজ। তিনি বলেন, ঈদের পর প্রথম বাজারে এলাম। কিন্তু বাজারে এসে দেখি সব পণ্যের দাম বেশি। প্রতিটি সবজির দাম আগের চেয়ে বেড়েছে। বেশি অবাক লাগছে পেঁপের কেজি দাম ৬০ থেকে ৭০ টাকা শুনে। এখন আধা কেজি করে সবজি কিনতে হচ্ছে।
সবজির দাম বিষয়ে কাটেঙ্গা বাজারের বিক্রেতা শহিদুল শেখ বলেন, সবজির দাম কিছুটা বাড়তি। ঈদের সময় মালামাল নিয়ে গাড়ি কম এলেও ভাড়া বেশি। সব মিলিয়ে সবজির দাম একটু বাড়তি যাচ্ছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আসাদুজ্জামান বলেন, যদি কোনো ব্যবসায়ী কৃত্রিম দাম বৃদ্ধি করেন, তাহলে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এদিকে খুলনা নগরীর কয়েকটি দোকান ঘুরে দেখা গেছে, প্রতি কেজি পেঁয়াজ বর্তমানে ব্যবসায়ীরা বিক্রি করছেন ৪০-৪৫ টাকা। অথচ তিন-চার দিন আগেও ছিল ৩০ টাকা। সরবরাহে ঘাটতির কথা বলে দাম বাড়ানো হলেও বাস্তবচিত্র ছিল ভিন্ন। নগরীর সোনাডাঙ্গার পাইকারি বাজারের ব্যবসায়ী সালাম বলেন, কয়েক দিন ধরে বন্ধ রয়েছে এলসি। তা ছাড়া ফরিদপুরের মোকামগুলোতে রয়েছে সংকট; যা আসছে তা বিক্রি করে দেওয়া হচ্ছে। ঈদভাঙা বাজারে পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে।
ময়লাপোতা সান্ধ্য বাজারের কয়েকজন ব্যবসায়ীর সঙ্গে কথা হলে তাঁরা জানান, পাইকারি মোকামগুলোতে পেঁয়াজের দাম বেড়েছে। তাঁদের বেশি দরে কিনে এটি বিক্রি করতে হচ্ছে। এ দামের কমে বিক্রি করলে তাঁদের লোকসান হবে বলে এ প্রতিবেদককে জানিয়েছেন।
এদিকে দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় উৎকণ্ঠা বেড়েছে সাধারণ ক্রেতাদের মধ্যে। এ ব্যাপারে মো. আলাউদ্দিন হক নামে এক ক্রেতা বলেন, গত তিন দিনে প্রতি কেজি পেঁয়াজে ১০ টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে। বর্তমানে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকার বেশি দামে। এভাবে দাম বাড়লে সাধারণ মানুষ বাঁচবে কীভাবে।
কাপড় ব্যবসায়ী সালাম হোসেন বলেন, তেলের বাজার এমনিতে গরম। তারপর আবারও পেঁয়াজের বাজরে গরম শুরু হয়েছে। করোনা-পরবর্তীতে ব্যবসা ভালো না। এভাবে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম বাড়তে থাকলে আমাদের মতো মানুষের কী উপায় হবে। আমরা তো কারও কাছে হাত পাততে পারব না। সিনিয়র কৃষি বিপণন কর্মকর্তা (দা.প্রা.) শাহরিয়ার আকুঞ্জী বলেন, পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধির কোনো কারণ নেই। কেউ অতিরিক্ত দামে বিক্রি করলে তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ভোজ্যতেল সয়াবিনের দাম লিটারে এক লাফে ৩৮ টাকা বাড়ানোয় চরম ক্ষুব্ধ সাধারণ মানুষ। এই সুযোগে সব ধরনের নিত্যপণ্যের দাম বাড়াতে তৎপর হয়ে উঠেছে তেরখাদার ব্যবসায়ীরা। তাঁরা সয়াবিনের দাম বৃদ্ধির সুযোগে ধাপে ধাপে বাড়াচ্ছে চাল, ডাল, পেঁয়াজ, চিনিসহ বিভিন্ন পণ্যের দাম। গত তিন দিনের ব্যবধানে পেঁয়াজের দাম বেড়েছে কেজিতে ১০ টাকা। হঠাৎ এ দাম বেড়ে যাওয়ায় ক্রেতারা রয়েছেন উৎকণ্ঠায়।
ঈদের আমেজ না কাটতেই সয়াবিন তেলসহ নিত্যপণ্যের দাম বাড়ছে। এতে চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন এলাকার সাধারণ মানুষ। বিক্রেতারা বলছেন, ঈদের ছুটির কারণে পর্যাপ্ত সরবরাহ না থাকায় দাম বেড়েছে সব ধরনের সবজির। তবে দোকানে তেলের মূল্য আকাশছোঁয়া। দু-একটি দোকানে পাঁচ লিটারের বোতলজাত তেল পাওয়া গেলেও ইচ্ছেমতো দাম নিচ্ছেন দোকানিরা। এদিকে বাজারে বাড়তে শুরু করেছে চালের দাম।
অভিযোগ উঠেছে, কিছু অসাধু ব্যবসায়ী চালের বাজার অস্থিতিশীল করার পাঁয়তারা করছেন। বাজারে চাহিদা কম এমন অজুহাত দেখিয়ে মোটা চালের উৎপাদন কমিয়ে দিয়েছে। মোটা চালের কেজি ৪-৫ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। মিনিকেটের দামও বেড়েছে। বাজারে প্রতি কেজি চিনি বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা। এ ছাড়া প্যাকেট চিনি ৮৫ টাকা। ঈদের সময় বেড়ে গিয়েছিল গরুর মাংসের দাম। সেই দাম এখনো কমেনি। এখন গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭০০ টাকায়। খাসির মাংস ৮৫০ টাকা। ৫০ টাকার নিচে কোনো সবজি পাওয়া যাচ্ছে না।
উপজেলা সদরের কাটেঙ্গা, জয়সেনা ও তেরখাদা বাজার ঘুরে দেখা গেছে ঢ্যাঁড়শ ৫০ টাকা, পটোল ৫০, বেগুন ৬০ থেকে ৮০, শসা ৪০ থেকে ৫০, কাঁকরোল ৬০ থেকে ৭০, বরবটি ৫০ থেকে ৬০, টমেটো ৫০, করলা ৬০ থেকে ৭০ ও কাঁচামরিচের কেজি ৮০ থেকে ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
উপজেলার পানতিতা এলাকা থেকে কাটেঙ্গা বাজারে বাজার করতে এসেছেন গাড়িচালক মিরাজ। তিনি বলেন, ঈদের পর প্রথম বাজারে এলাম। কিন্তু বাজারে এসে দেখি সব পণ্যের দাম বেশি। প্রতিটি সবজির দাম আগের চেয়ে বেড়েছে। বেশি অবাক লাগছে পেঁপের কেজি দাম ৬০ থেকে ৭০ টাকা শুনে। এখন আধা কেজি করে সবজি কিনতে হচ্ছে।
সবজির দাম বিষয়ে কাটেঙ্গা বাজারের বিক্রেতা শহিদুল শেখ বলেন, সবজির দাম কিছুটা বাড়তি। ঈদের সময় মালামাল নিয়ে গাড়ি কম এলেও ভাড়া বেশি। সব মিলিয়ে সবজির দাম একটু বাড়তি যাচ্ছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আসাদুজ্জামান বলেন, যদি কোনো ব্যবসায়ী কৃত্রিম দাম বৃদ্ধি করেন, তাহলে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এদিকে খুলনা নগরীর কয়েকটি দোকান ঘুরে দেখা গেছে, প্রতি কেজি পেঁয়াজ বর্তমানে ব্যবসায়ীরা বিক্রি করছেন ৪০-৪৫ টাকা। অথচ তিন-চার দিন আগেও ছিল ৩০ টাকা। সরবরাহে ঘাটতির কথা বলে দাম বাড়ানো হলেও বাস্তবচিত্র ছিল ভিন্ন। নগরীর সোনাডাঙ্গার পাইকারি বাজারের ব্যবসায়ী সালাম বলেন, কয়েক দিন ধরে বন্ধ রয়েছে এলসি। তা ছাড়া ফরিদপুরের মোকামগুলোতে রয়েছে সংকট; যা আসছে তা বিক্রি করে দেওয়া হচ্ছে। ঈদভাঙা বাজারে পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে।
ময়লাপোতা সান্ধ্য বাজারের কয়েকজন ব্যবসায়ীর সঙ্গে কথা হলে তাঁরা জানান, পাইকারি মোকামগুলোতে পেঁয়াজের দাম বেড়েছে। তাঁদের বেশি দরে কিনে এটি বিক্রি করতে হচ্ছে। এ দামের কমে বিক্রি করলে তাঁদের লোকসান হবে বলে এ প্রতিবেদককে জানিয়েছেন।
এদিকে দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় উৎকণ্ঠা বেড়েছে সাধারণ ক্রেতাদের মধ্যে। এ ব্যাপারে মো. আলাউদ্দিন হক নামে এক ক্রেতা বলেন, গত তিন দিনে প্রতি কেজি পেঁয়াজে ১০ টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে। বর্তমানে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকার বেশি দামে। এভাবে দাম বাড়লে সাধারণ মানুষ বাঁচবে কীভাবে।
কাপড় ব্যবসায়ী সালাম হোসেন বলেন, তেলের বাজার এমনিতে গরম। তারপর আবারও পেঁয়াজের বাজরে গরম শুরু হয়েছে। করোনা-পরবর্তীতে ব্যবসা ভালো না। এভাবে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম বাড়তে থাকলে আমাদের মতো মানুষের কী উপায় হবে। আমরা তো কারও কাছে হাত পাততে পারব না। সিনিয়র কৃষি বিপণন কর্মকর্তা (দা.প্রা.) শাহরিয়ার আকুঞ্জী বলেন, পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধির কোনো কারণ নেই। কেউ অতিরিক্ত দামে বিক্রি করলে তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
১ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৯ দিন আগে