ভোলার দৌলতখানে ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনের প্রচার মাঠে দুই সদস্য পদপ্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় উভয় পক্ষের নারীসহ অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় উভয় পক্ষের ৮টি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করা হয়েছে। গত শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে চরপাতা ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের দুই সদস্য পদপ্রার্থী সেলিম ও নুরে আলমের সমর্থকদের মধ্যে কেরানী বাজারে এই সংঘর্ষ হয়।

ইউপি সদস্য পদপ্রার্থী সেলিমের সমর্থকদের মধ্যে আহতরা হলেন-আজিজুল, আবদুল মালেক, বসু ব্যাপারী, রাব্বি, নুর নবী, বেলায়েত, ঈমন, আজিজুল ইসলাম, রহিম, কবির ও সোহেল। আরেক সদস্য পদপ্রার্থী নুরে আলমের সমর্থকদের মধ্যে আহতরা হলেন-রাবেয়া, মো. ইউনুস, শাহবোরনী, বিবি জুলেখা ও জামাল। তাঁরা দৌলতখান হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত সদস্য প্রার্থী নুরে আলমের বাহিনীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে সদস্য প্রার্থী সেলিম রাত ৯টার দিকে এক জরুরি সংবাদ সম্মেলন করেছেন। সংবাদ সম্মেলনে সদস্য পদপ্রার্থী সেলিম অভিযোগ করেন, নির্বাচনী প্রচারের অংশ হিসেবে প্রতিদিনের মতো একটি বাড়িতে উঠান বৈঠক করছেন তাঁরা। হঠাৎ করে তাঁর প্রতিপক্ষ নুরে আলম লোকজন নিয়ে সেলিমের সাধারণ ভোটার ও নেতা-কর্মীদের চোখে মরিচের গুঁড়া মেরে অতর্কিত হামলা চালিয়ে অফিস ভাঙচুর করে। এ সময় তাঁর ১৫ জন নেতা-কর্মী আহত হন। এর মধ্যে ৬ জন ভোলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। বাকিরা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাড়িতে আছেন।’

পাল্টা অভিযোগ এনে ফুটবল প্রতীকের প্রার্থী নুরে আলম বলেন, ‘প্রতিদিনের মতো আমি আমার নির্বাচনী অফিসে আলাপচারিতার একপর্যায়ে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী সেলিম হাওলাদার দলবলসহ হামলা চালিয়ে তাঁর ৫ কর্মীকে পিটিয়ে আহত করে ও মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে। তিনি এ ঘটনার বিচার দাবি করেন।’

দৌলতখান থানার ওসি বজলার রহমান বলেন, ‘উভয় পক্ষই থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’