জমির উদ্দিন, চট্টগ্রাম
কালুরঘাট সেতুর বোয়ালখালীর অংশে একটি অ্যাম্বুলেন্সের সাইরেন বাজছিল। ৩০ মিনিটের বেশি সময় অ্যাম্বুলেন্সটি আটকা। কারণ সেতুর অন্য পাশ সবে খুলে দিয়েছে। সব যানবাহন না আসা পর্যন্ত এই পাশের কোনো বাহনই যেতে পারবে না। তাই জরুরি হলেও অ্যাম্বুলেন্সটিও যেতে পারছে না। অ্যাম্বুলেন্সে থাকা রোগীর ছেলে আবুল কালাম গাড়ি থেকে নেমে বারবার সেতুতে গাড়ি ক্লিয়ার হয়েছে কী না দেখছিলেন। কারণ দ্রুত তাঁর বাবাকে হাসপাতালে নিতে হবে।
শাকপুরা ইউনিয়নে বাড়ি তাঁদের। গতকাল সোমবার সকালে হঠাৎ বুকে ব্যথা বলে অজ্ঞান হয়ে যান তাঁর বাবা। স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে বলা হয়, দ্রুত চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যেতে।
সাধারণত এই ধরনের রোগীরা দ্রুত চিকিৎসা পেলে বেঁচে যান। কিন্তু রোগী নিয়ে অ্যাম্বুলেন্সটি ৩০ মিনিটের বেশি সময় সেতুর এই পাশে কেটে গেল। হাসপাতালে পৌঁছানোর পর ওই রোগীর ভাগ্যে কী ঘটেছিল, সেটি জানা যায়নি।
চট্টগ্রামের বোয়ালখালী, পূর্ব পটিয়া, দক্ষিণ রাঙ্গুনিয়া, শহরের চান্দগাঁও ও মোহরা এলাকার প্রায় ২০ লাখ মানুষ এই কালুরঘাট সেতুর ওপর নির্ভরশীল। প্রায় প্রতিদিনই কোনো-না কোনো রোগী এই সেতু ব্যবহার করে হাসপাতালে যান। ভাগ্য ভালো থাকলে কেউ কেউ বেঁচে গেলেও, জরুরি বেশির ভাগ রোগীই হাসপাতালে নেওয়ার আগেই মারা যান। কারণ একমুখী এই সেতুর একপাশের সব যানবাহন না আসা পর্যন্ত অন্যপাশের যানবাহন চলাচল করতে পারে না। সেতু পার হতে সময় লাগে ৩০ মিনিটের বেশি।
পশ্চিম গোমদণ্ডী ইউনিয়নের বাসিন্দা সৈয়দ মো. মোরশেদ। তিনি বেসরকারি একটি এনজিওতে চাকরি করেন। আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, ‘করোনার সময় অনেক রোগী চমেকে নিতে নিতে পথেই মারা গেছেন। আমার এক খালা মারা গেছেন গত বছর। খালার হঠাৎ শ্বাসকষ্ট উঠেছিল। অ্যাম্বুলেন্সে এই পারে ৩০ মিনিট অপেক্ষা করতে হয়েছে। হাসপাতালে পৌঁছানোর আগেই মারা যান খালা। চিকিৎসকেরা বলছিলেন, কিছু সময় আগে এলে বাঁচানো যেত।’
জানা গেছে, কালুরঘাট সেতুর জায়গায় নতুন করে একটি দ্বিমুখী সড়ক ও রেলসেতু নির্মাণের দাবিতে বহু বছর ধরে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। সেতুর দাবিতে অনশনও করেন বোয়ালখালীর বীর মুক্তিযোদ্ধারা। ২০১৯ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে নতুন সেতুর বিষয়ে সুরাহা না হলে সংসদ থেকে পদত্যাগের ঘোষণাও দিয়েছিলেন প্রয়াত সাংসদ মঈন উদ্দিন খান বাদল। বোয়ালখালী আসনের সাংসদ মোছলেম উদ্দিন আহমেদ নির্বাচিত হলে নতুন কালুরঘাট সেতু নির্মাণ করে দেবেন বলে প্রতিশ্রুতিও দিয়েছিলেন। কিন্তু দুই বছর হয়ে গেল। এখনো নতুন সেতুর কাজ শুরুর সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে না।
সেতুর বর্তমান অবস্থা
সরেজমিন দেখা গেছে, ৬৩৮ মিটার দৈর্ঘ্যের এই সেতুটি নড়বড়ে হয়ে গেছে। রেললাইনের বেশির ভাগ অংশে গর্ত সৃষ্টি হয়েছে। সেতুর বিভিন্ন অংশ ফুটো হয়ে গেছে। ওই ফুটো দিয়ে নিচের নদীর পানি দেখা যাচ্ছে। সেতুর দুই পাশে থাকা কাঠের সব পাটাতনই নষ্ট। অন্তত ৪০০ মিটার পাটাতনও নেই। লোহার পাতেও মরিচা ধরেছে। কিছু ঝরে পড়ছে। এর মধ্যেই চলাচল করছে যানবাহন। এমনকি ইটবোঝাই বড় ট্রাকও। সম্প্রতি বুয়েটের পরিদর্শক দল বড় ধরনের ছয়টি ত্রুটি চিহ্নিত করেছে।
কালুরঘাট সেতুর ইজারাদার সূত্রে জানা গেছে, প্রতিদিন অন্তত ছোট-বড় মিলিয়ে দুই হাজার গাড়ি এই সেতু দিয়ে চলাচল করে। প্রতিটি টিকটিকি গাড়ি থেকে ৩০০, বাস-ট্রাক থেকে ৪০০-৫০০ টাকা সেতু পারাপারে টোল নেওয়া হয়। প্রতিদিন শুধু ইজারা হিসাবে পাওয়া যায় ৮ লাখ টাকা; যা মাসে দাঁড়ায় ২ কোটি ৪০ লাখ টাকা।
১০ বছর আগে এই সেতু মেরামতে ১০ কোটি টাকা খরচ করেছিল রেলওয়ে। ২০২০ সালেও ৫৫ লাখ টাকা ব্যয় করে সেতুটি সংস্কার করা হয়।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সেই ২০০১ সাল থেকে সংস্কারে যে পরিমাণ টাকা ব্যয় হয়েছে, তা দিয়ে এবং পারাপারের আয় দিয়ে নতুন সেতু তৈরি করা যেত।
বোয়ালখালীর বাসিন্দা ও চট্টগ্রাম জজ আদালতের আইনজীবী অ্যাডভোকেট সেলিম চৌধুরী আজকের পত্রিকাকে বলেন, সংস্কারের নামে লুটপাট চলছে। সংস্কারের টাকা ও আয় থেকে নতুন সেতু নির্মাণ করা যেত। কিন্তু ২০ লাখ মানুষের নির্ভর এই সেতু নিয়ে কারও মাথাব্যথা নেই।
কালুরঘাট সেতুর বোয়ালখালীর অংশে একটি অ্যাম্বুলেন্সের সাইরেন বাজছিল। ৩০ মিনিটের বেশি সময় অ্যাম্বুলেন্সটি আটকা। কারণ সেতুর অন্য পাশ সবে খুলে দিয়েছে। সব যানবাহন না আসা পর্যন্ত এই পাশের কোনো বাহনই যেতে পারবে না। তাই জরুরি হলেও অ্যাম্বুলেন্সটিও যেতে পারছে না। অ্যাম্বুলেন্সে থাকা রোগীর ছেলে আবুল কালাম গাড়ি থেকে নেমে বারবার সেতুতে গাড়ি ক্লিয়ার হয়েছে কী না দেখছিলেন। কারণ দ্রুত তাঁর বাবাকে হাসপাতালে নিতে হবে।
শাকপুরা ইউনিয়নে বাড়ি তাঁদের। গতকাল সোমবার সকালে হঠাৎ বুকে ব্যথা বলে অজ্ঞান হয়ে যান তাঁর বাবা। স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে বলা হয়, দ্রুত চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যেতে।
সাধারণত এই ধরনের রোগীরা দ্রুত চিকিৎসা পেলে বেঁচে যান। কিন্তু রোগী নিয়ে অ্যাম্বুলেন্সটি ৩০ মিনিটের বেশি সময় সেতুর এই পাশে কেটে গেল। হাসপাতালে পৌঁছানোর পর ওই রোগীর ভাগ্যে কী ঘটেছিল, সেটি জানা যায়নি।
চট্টগ্রামের বোয়ালখালী, পূর্ব পটিয়া, দক্ষিণ রাঙ্গুনিয়া, শহরের চান্দগাঁও ও মোহরা এলাকার প্রায় ২০ লাখ মানুষ এই কালুরঘাট সেতুর ওপর নির্ভরশীল। প্রায় প্রতিদিনই কোনো-না কোনো রোগী এই সেতু ব্যবহার করে হাসপাতালে যান। ভাগ্য ভালো থাকলে কেউ কেউ বেঁচে গেলেও, জরুরি বেশির ভাগ রোগীই হাসপাতালে নেওয়ার আগেই মারা যান। কারণ একমুখী এই সেতুর একপাশের সব যানবাহন না আসা পর্যন্ত অন্যপাশের যানবাহন চলাচল করতে পারে না। সেতু পার হতে সময় লাগে ৩০ মিনিটের বেশি।
পশ্চিম গোমদণ্ডী ইউনিয়নের বাসিন্দা সৈয়দ মো. মোরশেদ। তিনি বেসরকারি একটি এনজিওতে চাকরি করেন। আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, ‘করোনার সময় অনেক রোগী চমেকে নিতে নিতে পথেই মারা গেছেন। আমার এক খালা মারা গেছেন গত বছর। খালার হঠাৎ শ্বাসকষ্ট উঠেছিল। অ্যাম্বুলেন্সে এই পারে ৩০ মিনিট অপেক্ষা করতে হয়েছে। হাসপাতালে পৌঁছানোর আগেই মারা যান খালা। চিকিৎসকেরা বলছিলেন, কিছু সময় আগে এলে বাঁচানো যেত।’
জানা গেছে, কালুরঘাট সেতুর জায়গায় নতুন করে একটি দ্বিমুখী সড়ক ও রেলসেতু নির্মাণের দাবিতে বহু বছর ধরে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। সেতুর দাবিতে অনশনও করেন বোয়ালখালীর বীর মুক্তিযোদ্ধারা। ২০১৯ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে নতুন সেতুর বিষয়ে সুরাহা না হলে সংসদ থেকে পদত্যাগের ঘোষণাও দিয়েছিলেন প্রয়াত সাংসদ মঈন উদ্দিন খান বাদল। বোয়ালখালী আসনের সাংসদ মোছলেম উদ্দিন আহমেদ নির্বাচিত হলে নতুন কালুরঘাট সেতু নির্মাণ করে দেবেন বলে প্রতিশ্রুতিও দিয়েছিলেন। কিন্তু দুই বছর হয়ে গেল। এখনো নতুন সেতুর কাজ শুরুর সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে না।
সেতুর বর্তমান অবস্থা
সরেজমিন দেখা গেছে, ৬৩৮ মিটার দৈর্ঘ্যের এই সেতুটি নড়বড়ে হয়ে গেছে। রেললাইনের বেশির ভাগ অংশে গর্ত সৃষ্টি হয়েছে। সেতুর বিভিন্ন অংশ ফুটো হয়ে গেছে। ওই ফুটো দিয়ে নিচের নদীর পানি দেখা যাচ্ছে। সেতুর দুই পাশে থাকা কাঠের সব পাটাতনই নষ্ট। অন্তত ৪০০ মিটার পাটাতনও নেই। লোহার পাতেও মরিচা ধরেছে। কিছু ঝরে পড়ছে। এর মধ্যেই চলাচল করছে যানবাহন। এমনকি ইটবোঝাই বড় ট্রাকও। সম্প্রতি বুয়েটের পরিদর্শক দল বড় ধরনের ছয়টি ত্রুটি চিহ্নিত করেছে।
কালুরঘাট সেতুর ইজারাদার সূত্রে জানা গেছে, প্রতিদিন অন্তত ছোট-বড় মিলিয়ে দুই হাজার গাড়ি এই সেতু দিয়ে চলাচল করে। প্রতিটি টিকটিকি গাড়ি থেকে ৩০০, বাস-ট্রাক থেকে ৪০০-৫০০ টাকা সেতু পারাপারে টোল নেওয়া হয়। প্রতিদিন শুধু ইজারা হিসাবে পাওয়া যায় ৮ লাখ টাকা; যা মাসে দাঁড়ায় ২ কোটি ৪০ লাখ টাকা।
১০ বছর আগে এই সেতু মেরামতে ১০ কোটি টাকা খরচ করেছিল রেলওয়ে। ২০২০ সালেও ৫৫ লাখ টাকা ব্যয় করে সেতুটি সংস্কার করা হয়।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সেই ২০০১ সাল থেকে সংস্কারে যে পরিমাণ টাকা ব্যয় হয়েছে, তা দিয়ে এবং পারাপারের আয় দিয়ে নতুন সেতু তৈরি করা যেত।
বোয়ালখালীর বাসিন্দা ও চট্টগ্রাম জজ আদালতের আইনজীবী অ্যাডভোকেট সেলিম চৌধুরী আজকের পত্রিকাকে বলেন, সংস্কারের নামে লুটপাট চলছে। সংস্কারের টাকা ও আয় থেকে নতুন সেতু নির্মাণ করা যেত। কিন্তু ২০ লাখ মানুষের নির্ভর এই সেতু নিয়ে কারও মাথাব্যথা নেই।
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
১ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৮ দিন আগে