রংপুর প্রতিনিধি
জমে উঠেছে রংপুর সিটি করপোরেশন (রসিক) নির্বাচনের প্রচার। নির্বাচনের আর বাকি সাত দিন থাকলেও প্রচারের জন্য প্রার্থীদের হাতে আছে পাঁচ দিন। তাই প্রার্থীদের চোখে ঘুম নেই। দিনে বাড়ি বাড়ি গিয়ে আর রাতে মোবাইল ফোনে তাঁরা ভোট প্রার্থনা করে যাচ্ছেন।
এদিকে রাতে মোবাইল ফোনে ভোট চাওয়ায় অনেক ভোটার বিরক্ত হচ্ছেন বলে জানিয়েছে এ প্রতিবেদককে। তবে তাঁরা ভয়ে এর প্রতিবাদ করতে পারছেন না।
গতকাল সোমবার ১৩ থেকে ২২ নম্বর ওয়ার্ডের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে ভোটারদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, প্রার্থীরা এখন দিনরাত প্রচারের জন্য দৌড়াদৌড়ি করছেন। স্থান-কাল-পাত্রভেদে কখনো দলীয় পরিচয়ে, কখনো নিজের পরিচয়ে, কখনো আত্মীয়স্বজনের পরিচয়ে ভোট চাইছেন তাঁরা। সারা দিন গণসংযোগ শেষে রাতে প্রার্থীর বাড়িতে চলছে পরদিনের প্রস্তুতির বৈঠক। এরপর মোবাইল ফোনে ভোটারদের কাছে ভোট প্রার্থনা করছেন অনেক প্রার্থী।
সকাল ১০টার দিকে ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের নিসবেতগঞ্জ এলাকার বাসিন্দা কৃষক হাবিবুর রহমান বলেন, ‘প্রার্থীরা দিনোত ঘরোত আসি হাত-পাও ধরি ভোট চাওচে, ভোট দেমো কি না রাইতো ফের ফোন করি কথা নেওচে। কন তো, এইভাবে কি বাঁচা যায়? দিনে প্রার্থী আর মাইকের জ্বালা আবার রাতে ফোনের জ্বালায় হামার নিন্দ-ঘুম হারে গেইচে।’
২২ নম্বর ওয়ার্ডের কামারপাড়া এলাকার বাসিন্দা নাহিদুজ্জামান বলেন, ‘সরাসরি তো ভোট চাচ্ছে প্রার্থীরা তারপরও রাত হলে কোনো কোনো প্রার্থী পক্ষে দু-তিনজন করে লোক ফোন করে ভোট চাচ্ছে। এটা বিরক্তিকর। রাজনৈতিক কারণে কাউকে ফোন করতে নিষেধও করা যাচ্ছে না।’
বেলা দুইটার দিকে ২০ নম্বর ওয়ার্ডের মুলাটোল মোড়ের বাসিন্দা গৃহবধূ রুমা আক্তার বলেন, ‘এক প্রার্থীর লোকজন বাসা থেকে ভোট চেয়ে বের হতেই আরেক প্রার্থীর লোকজন মোবাইল করে বলছেন, ‘ভোটটা হামাক দেন, ওমাক দেন না। এভাবে গভীর রাত পর্যন্ত কাউন্সিলর, মহিলা কাউন্সিলর, মেয়র প্রার্থীদের ফোন আসে। প্রার্থীদের কাজকারবারে অতিষ্ঠ হয়ে গেছি।’
পালপাড়া এলাকায় বিকেলে ভোটের প্রচার নিয়ে কথা হলে ১৮, ২০, ২২ নম্বর ওয়ার্ডের সংরক্ষিত আসনের মহিলা কাউন্সিলর প্রার্থী জাফরিন ইসলাম রিপা বলেন, ‘সবার কাছে পৌঁছতে না পারলে তো হবে না। তাই আত্মীয়স্বজন, বন্ধুবান্ধবকে নিয়ে কয়েক দলে বিভক্ত হয়ে বাড়ি বাড়ি, মোবাইল ফোনসহ নানা কৌশলে ভোট চাচ্ছি।’
জাপার প্রার্থী মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তফা বলেন, ‘মানুষের কাছাকাছি না গেলে, কথা না বললে তো ভোট দেবে না। তাই ভোটারদের কাছে আমার প্রতীক লাঙ্গলের কথা নানাভাবে পৌঁছে দিচ্ছি। তবে আচরণবিধির কোনো ব্যত্যয় হচ্ছে না। মানুষের কষ্ট হয় এমন কোনো কাজও করছি না।’
রংপুর সিটি করপোরেশনের দায়িত্বে থাকা রিটার্নিং কর্মকর্তা আবদুল বাতেন বলেন, ‘এখন পর্যন্ত আচরণবিধি অমান্য করে প্রার্থীদের প্রচারণা চালানোর কোনো খবর পাইনি। আশা করছি প্রার্থীরা তা করবেন না। আমরা শান্তিপূর্ণ পরিবেশে সুষ্ঠুভাবে রংপুর সিটি করপোরেশনের ভোট সম্পন্ন করতে চাই।’
জমে উঠেছে রংপুর সিটি করপোরেশন (রসিক) নির্বাচনের প্রচার। নির্বাচনের আর বাকি সাত দিন থাকলেও প্রচারের জন্য প্রার্থীদের হাতে আছে পাঁচ দিন। তাই প্রার্থীদের চোখে ঘুম নেই। দিনে বাড়ি বাড়ি গিয়ে আর রাতে মোবাইল ফোনে তাঁরা ভোট প্রার্থনা করে যাচ্ছেন।
এদিকে রাতে মোবাইল ফোনে ভোট চাওয়ায় অনেক ভোটার বিরক্ত হচ্ছেন বলে জানিয়েছে এ প্রতিবেদককে। তবে তাঁরা ভয়ে এর প্রতিবাদ করতে পারছেন না।
গতকাল সোমবার ১৩ থেকে ২২ নম্বর ওয়ার্ডের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে ভোটারদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, প্রার্থীরা এখন দিনরাত প্রচারের জন্য দৌড়াদৌড়ি করছেন। স্থান-কাল-পাত্রভেদে কখনো দলীয় পরিচয়ে, কখনো নিজের পরিচয়ে, কখনো আত্মীয়স্বজনের পরিচয়ে ভোট চাইছেন তাঁরা। সারা দিন গণসংযোগ শেষে রাতে প্রার্থীর বাড়িতে চলছে পরদিনের প্রস্তুতির বৈঠক। এরপর মোবাইল ফোনে ভোটারদের কাছে ভোট প্রার্থনা করছেন অনেক প্রার্থী।
সকাল ১০টার দিকে ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের নিসবেতগঞ্জ এলাকার বাসিন্দা কৃষক হাবিবুর রহমান বলেন, ‘প্রার্থীরা দিনোত ঘরোত আসি হাত-পাও ধরি ভোট চাওচে, ভোট দেমো কি না রাইতো ফের ফোন করি কথা নেওচে। কন তো, এইভাবে কি বাঁচা যায়? দিনে প্রার্থী আর মাইকের জ্বালা আবার রাতে ফোনের জ্বালায় হামার নিন্দ-ঘুম হারে গেইচে।’
২২ নম্বর ওয়ার্ডের কামারপাড়া এলাকার বাসিন্দা নাহিদুজ্জামান বলেন, ‘সরাসরি তো ভোট চাচ্ছে প্রার্থীরা তারপরও রাত হলে কোনো কোনো প্রার্থী পক্ষে দু-তিনজন করে লোক ফোন করে ভোট চাচ্ছে। এটা বিরক্তিকর। রাজনৈতিক কারণে কাউকে ফোন করতে নিষেধও করা যাচ্ছে না।’
বেলা দুইটার দিকে ২০ নম্বর ওয়ার্ডের মুলাটোল মোড়ের বাসিন্দা গৃহবধূ রুমা আক্তার বলেন, ‘এক প্রার্থীর লোকজন বাসা থেকে ভোট চেয়ে বের হতেই আরেক প্রার্থীর লোকজন মোবাইল করে বলছেন, ‘ভোটটা হামাক দেন, ওমাক দেন না। এভাবে গভীর রাত পর্যন্ত কাউন্সিলর, মহিলা কাউন্সিলর, মেয়র প্রার্থীদের ফোন আসে। প্রার্থীদের কাজকারবারে অতিষ্ঠ হয়ে গেছি।’
পালপাড়া এলাকায় বিকেলে ভোটের প্রচার নিয়ে কথা হলে ১৮, ২০, ২২ নম্বর ওয়ার্ডের সংরক্ষিত আসনের মহিলা কাউন্সিলর প্রার্থী জাফরিন ইসলাম রিপা বলেন, ‘সবার কাছে পৌঁছতে না পারলে তো হবে না। তাই আত্মীয়স্বজন, বন্ধুবান্ধবকে নিয়ে কয়েক দলে বিভক্ত হয়ে বাড়ি বাড়ি, মোবাইল ফোনসহ নানা কৌশলে ভোট চাচ্ছি।’
জাপার প্রার্থী মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তফা বলেন, ‘মানুষের কাছাকাছি না গেলে, কথা না বললে তো ভোট দেবে না। তাই ভোটারদের কাছে আমার প্রতীক লাঙ্গলের কথা নানাভাবে পৌঁছে দিচ্ছি। তবে আচরণবিধির কোনো ব্যত্যয় হচ্ছে না। মানুষের কষ্ট হয় এমন কোনো কাজও করছি না।’
রংপুর সিটি করপোরেশনের দায়িত্বে থাকা রিটার্নিং কর্মকর্তা আবদুল বাতেন বলেন, ‘এখন পর্যন্ত আচরণবিধি অমান্য করে প্রার্থীদের প্রচারণা চালানোর কোনো খবর পাইনি। আশা করছি প্রার্থীরা তা করবেন না। আমরা শান্তিপূর্ণ পরিবেশে সুষ্ঠুভাবে রংপুর সিটি করপোরেশনের ভোট সম্পন্ন করতে চাই।’
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
১ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৮ দিন আগে