আবু বকর ছিদ্দিক, চট্টগ্রাম
শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পরপরই আত্মগোপনে চলে গেছেন খাগড়াছড়ি ও বান্দরবান জেলা পরিষদের চেয়ারম্যানরা। আর রাঙামাটির চেয়ারম্যান পদত্যাগ করেছেন চলতি মাসে। এ ছাড়া তিন জেলা পরিষদের সদস্যরাও আত্মগোপনে। এতে তিন পার্বত্য জেলা পরিষদের কার্যক্রমে অচলাবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। এমনকি কর্মচারীদের বেতন-ভাতা পর্যন্ত পরিশোধ করা যাচ্ছে না।
এদিকে অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের পর পার্বত্য জেলা পরিষদের নতুন অন্তর্বর্তী পরিষদ গঠন করা হবে বলে পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র জানিয়েছিল। এ নিয়ে অনেকে চেয়ারম্যান ও সদস্যপদ পাওয়ার জন্য বিভিন্ন মহলে দৌড়ঝাঁপও করেন। কিন্তু দেড় মাসেও পার্বত্য তিন জেলা পরিষদের নতুন অন্তর্বর্তী পরিষদ গঠন করা হয়নি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব এ কে এম শামিমুল হক পার্বত্য তিন জেলা পরিষদের কার্যক্রমে দেড় মাস ধরে অচলাবস্থার কথা স্বীকার করেন। তিনি বলেন, ‘আমরা নতুন পরিষদ গঠনের প্রক্রিয়া শুরু করেছি। খুব শিগগির পার্বত্য চট্টগ্রামের তিন জেলা পরিষদের নতুন চেয়ারম্যান ও সদস্য পাব। এরপরই অচলাবস্থা কেটে যাবে।’
রাঙামাটি জেলা পরিষদের নির্বাহী কর্মকর্তা নুর উদ্দিন মুহাম্মদ শিবলী নোমান বলেন, ‘রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের পদ থেকে ৩ সেপ্টেম্বর অংসুই প্রু চৌধুরী পদত্যাগ করেছেন। পরিষদে চেয়ারম্যান ও সদস্যরা না থাকায় কাজে কিছুটা বিঘ্ন হচ্ছে। প্রধান নির্বাহীর স্বাক্ষরে ১০ হাজার টাকার বেশি বিল ভাউচার পরিশোধ করা যাচ্ছে না।’
উল্লেখ্য, রাঙামাটির সাবেক চেয়ারম্যান অংসুই প্রু চৌধুরী জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি। আর খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মংসুই প্রু চৌধুরী অপু এবং বান্দরবান জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ক্যশৈহ্লা কাগজে-কলমে বহাল রয়েছেন।
জেলা পরিষদ সূত্রে জানা যায়, পার্বত্য জেলা পরিষদগুলোতে নির্বাচন হওয়ার কথা থাকলেও গত তিন যুগে তা হয়নি। দল মনোনীত প্রতিনিধিদের দিয়ে চলছিল কার্যক্রম। তবে এতে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি না থাকায় মানুষের আস্থা অর্জন করতে পারেনি।
কর্মকর্তারা বলছেন, পার্বত্য চুক্তি অনুযায়ী স্থায়ী বাসিন্দাদের নিয়ে পৃথক ভোটার তালিকা প্রণয়ন এবং নির্বাচন বিধিমালা তৈরি না হওয়ায় নির্বাচন হচ্ছে না।
পাহাড়ের শাসনপদ্ধতিতে স্বচ্ছতা, গতিশীলতা ও উন্নয়ন নিশ্চিত করতে ১৯৮৯ সালে পাহাড়ি সম্প্রদায় থেকে একজনকে চেয়ারম্যান করে ৩৪ সদস্যের স্থানীয় সরকার পরিষদ গঠন করা হয়। ১৯৮৯ সালের ২৫ জুন তিন বছর মেয়াদের জন্য এসব পরিষদের একবার নির্বাচনও হয়েছিল। পরে পাঁচ বছর মেয়াদ বাড়ানো হয়। এরপর আর কোনো নির্বাচন হয়নি।
১৯৯৭ সালের ২ ডিসেম্বর পার্বত্য চুক্তি স্বাক্ষরের পর স্থানীয় সরকার পরিষদের পরিবর্তে রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবান নামে পার্বত্য জেলা পরিষদ নামকরণ করে একজন পাহাড়ি ব্যক্তিকে চেয়ারম্যান এবং চারজন সদস্য করে অন্তর্বর্তী পরিষদ গঠন হয়। তবে একই বছরে বান্দরবানের এক পাহাড়ি ব্যক্তি পরিষদগুলোতে কেন নির্বাচন হবে না, তা জানতে চেয়ে হাইকোর্টে রিট করেন। তিন মাসের মধ্যে পরিষদের নির্বাচন অথবা পরিষদের প্রথম নির্বাচিত কমিটির কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরের রায় দেন উচ্চ আদালত। কিন্তু সরকার ওই রায়ের কার্যকারিতার বিরুদ্ধে দফায় দফায় আপিল করে নির্বাচন অনুষ্ঠানের মেয়াদ বাড়ায়। ফলে যে সরকার ক্ষমতায় আসে, সেই সরকারেরই মনোনীত দলীয় লোকজন দিয়ে অন্তর্বর্তী পরিষদের কার্যক্রম চলে আসছে।
সর্বশেষ ২০১৪ সালে আইন সংশোধন করে তিন পার্বত্য জেলা পরিষদকে পুনর্গঠন করে একজন চেয়ারম্যানসহ ১৫ সদস্যের অন্তর্বর্তী পরিষদ গঠন করে সরকার। এতে আওয়ামী লীগ মনোনীত ব্যক্তিদের নিয়ে পরিষদের কার্যক্রম চলছিল।
শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পরপরই আত্মগোপনে চলে গেছেন খাগড়াছড়ি ও বান্দরবান জেলা পরিষদের চেয়ারম্যানরা। আর রাঙামাটির চেয়ারম্যান পদত্যাগ করেছেন চলতি মাসে। এ ছাড়া তিন জেলা পরিষদের সদস্যরাও আত্মগোপনে। এতে তিন পার্বত্য জেলা পরিষদের কার্যক্রমে অচলাবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। এমনকি কর্মচারীদের বেতন-ভাতা পর্যন্ত পরিশোধ করা যাচ্ছে না।
এদিকে অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের পর পার্বত্য জেলা পরিষদের নতুন অন্তর্বর্তী পরিষদ গঠন করা হবে বলে পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র জানিয়েছিল। এ নিয়ে অনেকে চেয়ারম্যান ও সদস্যপদ পাওয়ার জন্য বিভিন্ন মহলে দৌড়ঝাঁপও করেন। কিন্তু দেড় মাসেও পার্বত্য তিন জেলা পরিষদের নতুন অন্তর্বর্তী পরিষদ গঠন করা হয়নি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব এ কে এম শামিমুল হক পার্বত্য তিন জেলা পরিষদের কার্যক্রমে দেড় মাস ধরে অচলাবস্থার কথা স্বীকার করেন। তিনি বলেন, ‘আমরা নতুন পরিষদ গঠনের প্রক্রিয়া শুরু করেছি। খুব শিগগির পার্বত্য চট্টগ্রামের তিন জেলা পরিষদের নতুন চেয়ারম্যান ও সদস্য পাব। এরপরই অচলাবস্থা কেটে যাবে।’
রাঙামাটি জেলা পরিষদের নির্বাহী কর্মকর্তা নুর উদ্দিন মুহাম্মদ শিবলী নোমান বলেন, ‘রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের পদ থেকে ৩ সেপ্টেম্বর অংসুই প্রু চৌধুরী পদত্যাগ করেছেন। পরিষদে চেয়ারম্যান ও সদস্যরা না থাকায় কাজে কিছুটা বিঘ্ন হচ্ছে। প্রধান নির্বাহীর স্বাক্ষরে ১০ হাজার টাকার বেশি বিল ভাউচার পরিশোধ করা যাচ্ছে না।’
উল্লেখ্য, রাঙামাটির সাবেক চেয়ারম্যান অংসুই প্রু চৌধুরী জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি। আর খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মংসুই প্রু চৌধুরী অপু এবং বান্দরবান জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ক্যশৈহ্লা কাগজে-কলমে বহাল রয়েছেন।
জেলা পরিষদ সূত্রে জানা যায়, পার্বত্য জেলা পরিষদগুলোতে নির্বাচন হওয়ার কথা থাকলেও গত তিন যুগে তা হয়নি। দল মনোনীত প্রতিনিধিদের দিয়ে চলছিল কার্যক্রম। তবে এতে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি না থাকায় মানুষের আস্থা অর্জন করতে পারেনি।
কর্মকর্তারা বলছেন, পার্বত্য চুক্তি অনুযায়ী স্থায়ী বাসিন্দাদের নিয়ে পৃথক ভোটার তালিকা প্রণয়ন এবং নির্বাচন বিধিমালা তৈরি না হওয়ায় নির্বাচন হচ্ছে না।
পাহাড়ের শাসনপদ্ধতিতে স্বচ্ছতা, গতিশীলতা ও উন্নয়ন নিশ্চিত করতে ১৯৮৯ সালে পাহাড়ি সম্প্রদায় থেকে একজনকে চেয়ারম্যান করে ৩৪ সদস্যের স্থানীয় সরকার পরিষদ গঠন করা হয়। ১৯৮৯ সালের ২৫ জুন তিন বছর মেয়াদের জন্য এসব পরিষদের একবার নির্বাচনও হয়েছিল। পরে পাঁচ বছর মেয়াদ বাড়ানো হয়। এরপর আর কোনো নির্বাচন হয়নি।
১৯৯৭ সালের ২ ডিসেম্বর পার্বত্য চুক্তি স্বাক্ষরের পর স্থানীয় সরকার পরিষদের পরিবর্তে রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবান নামে পার্বত্য জেলা পরিষদ নামকরণ করে একজন পাহাড়ি ব্যক্তিকে চেয়ারম্যান এবং চারজন সদস্য করে অন্তর্বর্তী পরিষদ গঠন হয়। তবে একই বছরে বান্দরবানের এক পাহাড়ি ব্যক্তি পরিষদগুলোতে কেন নির্বাচন হবে না, তা জানতে চেয়ে হাইকোর্টে রিট করেন। তিন মাসের মধ্যে পরিষদের নির্বাচন অথবা পরিষদের প্রথম নির্বাচিত কমিটির কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরের রায় দেন উচ্চ আদালত। কিন্তু সরকার ওই রায়ের কার্যকারিতার বিরুদ্ধে দফায় দফায় আপিল করে নির্বাচন অনুষ্ঠানের মেয়াদ বাড়ায়। ফলে যে সরকার ক্ষমতায় আসে, সেই সরকারেরই মনোনীত দলীয় লোকজন দিয়ে অন্তর্বর্তী পরিষদের কার্যক্রম চলে আসছে।
সর্বশেষ ২০১৪ সালে আইন সংশোধন করে তিন পার্বত্য জেলা পরিষদকে পুনর্গঠন করে একজন চেয়ারম্যানসহ ১৫ সদস্যের অন্তর্বর্তী পরিষদ গঠন করে সরকার। এতে আওয়ামী লীগ মনোনীত ব্যক্তিদের নিয়ে পরিষদের কার্যক্রম চলছিল।
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
১ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৪ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৪ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৮ দিন আগে