রাহুল শর্মা, ঢাকা
নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস রোধে ব্যবস্থাপনায় বড় ধরনের পরিবর্তন আনছে সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)। এর অংশ হিসেবে পিএসসি কর্মকর্তাদের মডারেশন কক্ষে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা, পাসওয়ার্ড-সংবলিত অত্যাধুনিক ট্রাঙ্ক ব্যবহার, ডিজিটালি রুম বন্ধ করা ইত্যাদি পদক্ষেপ নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
গত সোমবার আজকের পত্রিকা’কে এসব তথ্য জানান পিএসসির চেয়ারম্যান মো. সোহরাব হোসাইন। তিনি বলেন, ‘প্রশ্নপত্র ফাঁস রোধে বিদ্যমান ব্যবস্থা যথাযথ কি না এবং তা আরও কীভাবে সুরক্ষিত করা যায়, এসব বিষয়ে পর্যালোচনা হচ্ছে। এর অংশ হিসেবে আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, যাঁরা প্রশ্নপত্র মডারেশন করবেন, তাঁরাও কক্ষে মোবাইল ফোন নিয়ে ঢুকতে পারবেন না। একই সঙ্গে পিএসসির কোনো কর্মকর্তাও প্রশ্ন মডারেশনের সময় কক্ষে প্রবেশ করতে পারবেন না।’
৫ জুলাই অনুষ্ঠিত রেলওয়ের উপসহকারী প্রকৌশলী পদের নিয়োগ পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ ওঠে। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে পিএসসির দুই উপপরিচালক, একজন সহকারী পরিচালকসহ ১৭ জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের মধ্যে পাঁচ কর্মকর্তা-কর্মচারীকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত এবং তাঁদের অবৈধ অর্থের উৎস অনুসন্ধানে তদন্ত করতে দুর্নীতি দমন কমিশনকে নির্দেশনাও দিয়েছে পিএসসি।
পিএসসির চেয়ারম্যান বলেন, এ ঘটনার পর থেকে প্রতিদিনই বিকেল ৪টায় কমিশন সভা করে পুরো প্রক্রিয়ার চুলচেরা বিশ্লেষণ করছেন এবং সে অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে।
এ ছাড়া প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগের ঘটনা তদন্তে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করেছে পিএসসি। এই কমিটির আহ্বায়ক পিএসসির যুগ্ম সচিব আব্দুল আলীম খান। এ ছাড়া পিএসসির পরিচালক মোহাম্মদ আজিজুল হককে কমিটির সদস্যসচিব এবং আরেক পরিচালক দিলাওয়েজ দুরদানাকে তদন্ত কমিটির সদস্য করা হয়েছে। কমিটিকে ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দিতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
পিএসসির চেয়ারম্যান জানান, প্রশ্নপত্র মডারেশন শেষে মডারেটরই যথারীতি অধিক সতর্কতার সঙ্গে তা সিলগালা করবেন। এরপর মডারেটররাই তা সরাসরি দায়িত্বপ্রাপ্ত পিএসসির সদস্যের হাতে তুলে দেবেন। পিএসসির দায়িত্বপ্রাপ্ত সদস্যসহ সংশ্লিষ্টদের উপস্থিতিতে তা ট্রাঙ্কে রেখে সিলগালা করা হবে। এরপর ট্রাঙ্কটি সরাসরি চলে যাবে সুরক্ষিত ভল্ট কক্ষে। সেখানে সার্বক্ষণিক পুলিশি পাহারা ও সিসিটিভি ক্যামেরা রয়েছে। ফলে পিএসসির কোনো সদস্যের কক্ষে প্রশ্নপত্র রাখার প্রয়োজন হবে না।
পিএসসির চেয়ারম্যান আরও বলেন, যে ট্রাঙ্কগুলো এখন ব্যবহার করা হচ্ছে, সেগুলো পরিবর্তন করা হবে। এ ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হবে অত্যাধুনিক ট্রাঙ্ক, যা হবে ডিজিটালি পাসওয়ার্ড-নির্ভর। আর পাসওয়ার্ড দিয়ে যাবেন মডারেটরই। এরপর তাঁরা আলাদা কাগজে পাসওয়ার্ড লিখে তা সরাসরি পিএসসির দায়িত্বপ্রাপ্ত সদস্যের হাতে তুলে দেবেন। পাসওয়ার্ডের কাগজটিও থাকবে সিলগালা। এর ফলে প্রশ্ন ব্যবস্থাপনায় পিএসসির কোনো কর্মকর্তার সরাসরি সংশ্লিষ্টতা থাকবে না। দায়িত্বপ্রাপ্ত পিএসসির সদস্যরা একেবারে শেষ মুহূর্তে অনুমোদন সাপেক্ষে পাসওয়ার্ডের খামটি খুলে পরবর্তী পদক্ষেপ নেবেন। এ ছাড়া ডিজিটালি রুম বন্ধ করার মতো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এর বাইরে আরও কী কী পদক্ষেপ নেওয়া যায়, সেসব বিষয়েও চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে।
অভিযুক্তদের বিষয়ে আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে জানিয়ে সোহরাব হোসাইন বলেন, ইতিমধ্যে গ্রেপ্তার হওয়া পাঁচ কর্মকর্তা-কর্মচারীকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে এবং তাঁদের অবৈধ অর্থ অনুসন্ধানে দুর্নীতি দমন কমিশনকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া কোচিং ব্যবসায় জড়িত থাকার অভিযোগে চার কর্মকর্তা-কর্মচারী শোকজ করা হয়েছে। আরও কয়েকজন আছেন সন্দেহের তালিকায়। কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ পেলে বা কাউকে সন্দেহ হলে তদন্ত সাপেক্ষে দ্রুত শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অসাধু কাউকেই ছাড় দেওয়া হবে না।
রেলওয়ের উপসহকারী প্রকৌশলী পদের নিয়োগ পরীক্ষা বাতিল করা হবে কি না, এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, এ বিষয়ে তদন্ত করা হচ্ছে। তদন্তাধীন কোনো বিষয়ে মন্তব্য করা ঠিক হবে না।
আরও খবর পড়ুন:
নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস রোধে ব্যবস্থাপনায় বড় ধরনের পরিবর্তন আনছে সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)। এর অংশ হিসেবে পিএসসি কর্মকর্তাদের মডারেশন কক্ষে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা, পাসওয়ার্ড-সংবলিত অত্যাধুনিক ট্রাঙ্ক ব্যবহার, ডিজিটালি রুম বন্ধ করা ইত্যাদি পদক্ষেপ নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
গত সোমবার আজকের পত্রিকা’কে এসব তথ্য জানান পিএসসির চেয়ারম্যান মো. সোহরাব হোসাইন। তিনি বলেন, ‘প্রশ্নপত্র ফাঁস রোধে বিদ্যমান ব্যবস্থা যথাযথ কি না এবং তা আরও কীভাবে সুরক্ষিত করা যায়, এসব বিষয়ে পর্যালোচনা হচ্ছে। এর অংশ হিসেবে আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, যাঁরা প্রশ্নপত্র মডারেশন করবেন, তাঁরাও কক্ষে মোবাইল ফোন নিয়ে ঢুকতে পারবেন না। একই সঙ্গে পিএসসির কোনো কর্মকর্তাও প্রশ্ন মডারেশনের সময় কক্ষে প্রবেশ করতে পারবেন না।’
৫ জুলাই অনুষ্ঠিত রেলওয়ের উপসহকারী প্রকৌশলী পদের নিয়োগ পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ ওঠে। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে পিএসসির দুই উপপরিচালক, একজন সহকারী পরিচালকসহ ১৭ জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের মধ্যে পাঁচ কর্মকর্তা-কর্মচারীকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত এবং তাঁদের অবৈধ অর্থের উৎস অনুসন্ধানে তদন্ত করতে দুর্নীতি দমন কমিশনকে নির্দেশনাও দিয়েছে পিএসসি।
পিএসসির চেয়ারম্যান বলেন, এ ঘটনার পর থেকে প্রতিদিনই বিকেল ৪টায় কমিশন সভা করে পুরো প্রক্রিয়ার চুলচেরা বিশ্লেষণ করছেন এবং সে অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে।
এ ছাড়া প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগের ঘটনা তদন্তে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করেছে পিএসসি। এই কমিটির আহ্বায়ক পিএসসির যুগ্ম সচিব আব্দুল আলীম খান। এ ছাড়া পিএসসির পরিচালক মোহাম্মদ আজিজুল হককে কমিটির সদস্যসচিব এবং আরেক পরিচালক দিলাওয়েজ দুরদানাকে তদন্ত কমিটির সদস্য করা হয়েছে। কমিটিকে ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দিতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
পিএসসির চেয়ারম্যান জানান, প্রশ্নপত্র মডারেশন শেষে মডারেটরই যথারীতি অধিক সতর্কতার সঙ্গে তা সিলগালা করবেন। এরপর মডারেটররাই তা সরাসরি দায়িত্বপ্রাপ্ত পিএসসির সদস্যের হাতে তুলে দেবেন। পিএসসির দায়িত্বপ্রাপ্ত সদস্যসহ সংশ্লিষ্টদের উপস্থিতিতে তা ট্রাঙ্কে রেখে সিলগালা করা হবে। এরপর ট্রাঙ্কটি সরাসরি চলে যাবে সুরক্ষিত ভল্ট কক্ষে। সেখানে সার্বক্ষণিক পুলিশি পাহারা ও সিসিটিভি ক্যামেরা রয়েছে। ফলে পিএসসির কোনো সদস্যের কক্ষে প্রশ্নপত্র রাখার প্রয়োজন হবে না।
পিএসসির চেয়ারম্যান আরও বলেন, যে ট্রাঙ্কগুলো এখন ব্যবহার করা হচ্ছে, সেগুলো পরিবর্তন করা হবে। এ ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হবে অত্যাধুনিক ট্রাঙ্ক, যা হবে ডিজিটালি পাসওয়ার্ড-নির্ভর। আর পাসওয়ার্ড দিয়ে যাবেন মডারেটরই। এরপর তাঁরা আলাদা কাগজে পাসওয়ার্ড লিখে তা সরাসরি পিএসসির দায়িত্বপ্রাপ্ত সদস্যের হাতে তুলে দেবেন। পাসওয়ার্ডের কাগজটিও থাকবে সিলগালা। এর ফলে প্রশ্ন ব্যবস্থাপনায় পিএসসির কোনো কর্মকর্তার সরাসরি সংশ্লিষ্টতা থাকবে না। দায়িত্বপ্রাপ্ত পিএসসির সদস্যরা একেবারে শেষ মুহূর্তে অনুমোদন সাপেক্ষে পাসওয়ার্ডের খামটি খুলে পরবর্তী পদক্ষেপ নেবেন। এ ছাড়া ডিজিটালি রুম বন্ধ করার মতো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এর বাইরে আরও কী কী পদক্ষেপ নেওয়া যায়, সেসব বিষয়েও চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে।
অভিযুক্তদের বিষয়ে আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে জানিয়ে সোহরাব হোসাইন বলেন, ইতিমধ্যে গ্রেপ্তার হওয়া পাঁচ কর্মকর্তা-কর্মচারীকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে এবং তাঁদের অবৈধ অর্থ অনুসন্ধানে দুর্নীতি দমন কমিশনকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া কোচিং ব্যবসায় জড়িত থাকার অভিযোগে চার কর্মকর্তা-কর্মচারী শোকজ করা হয়েছে। আরও কয়েকজন আছেন সন্দেহের তালিকায়। কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ পেলে বা কাউকে সন্দেহ হলে তদন্ত সাপেক্ষে দ্রুত শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অসাধু কাউকেই ছাড় দেওয়া হবে না।
রেলওয়ের উপসহকারী প্রকৌশলী পদের নিয়োগ পরীক্ষা বাতিল করা হবে কি না, এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, এ বিষয়ে তদন্ত করা হচ্ছে। তদন্তাধীন কোনো বিষয়ে মন্তব্য করা ঠিক হবে না।
আরও খবর পড়ুন:
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
২১ ঘণ্টা আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৪ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৪ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৮ দিন আগে