দাকোপ প্রতিনিধি
খাল খননের উপকার পেতে শুরু করেছেন দাকোপের তিলডাঙ্গা ও পানখালী ইউনিয়নের চাষিরা। খননের ফলে খালগুলোতে পর্যাপ্ত পানি থাকায় এ বছর সেচের পানির সংকটে পড়তে হয়নি তাঁদের। এতে উপজেলার অন্যান্য এলাকার তুলনায় এ দুই ইউনিয়নে অধিকাংশ ফসলের ফলন অনেক ভালো হয়েছে বলে জানিয়েছেন কৃষকেরা।
তবে যেসব এলাকায় এখনো খাল খনন করা হয়নি সেসব এলাকার অবস্থা ভিন্ন। ওই সব এলাকার ছোট নদী ও খালগুলো পলি পড়ে ভরাট হয়ে পানি শুকিয়ে গেছে। এতে এসব এলাকায় সেচের পানির তীব্র সংকট এখনো বিদ্যমান। শিগগিরই এসব এলাকার খাল খননের দাবি জানিয়েছেন চাষিরা।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দাকোপের প্রধান ফসল হলো আমন ধান। একটা সময় এ এলাকায় শুধু আমন ধানের চাষ করা হতো এবং বছরের বাকি সময় সব জমি পতিত অবস্থায় পড়ে থাকত। গত কয়েক বছর আগে এ অঞ্চলের চাষিরা রবি শস্যের চাষ শুরু করেন। কিন্তু শুষ্ক মৌসুমে এলাকার অধিকাংশ ছোট নদী, খাল, পুকুর শুকিয়ে যাওয়ায় সেচের পানির তীব্র সংকটতে পড়তেন চাষিরা। এতে ধান বাদে অন্য ফসলের আশানুরূপ ফলন না পেয়ে লোকসান গুনতে হতো তাঁদের। সেচের পানির অভাব দূর করতে দীর্ঘদিন খাল খনন ও ইজরা দেওয়া বন্ধের দাবি জানিয়ে আসছিলেন উপজেলার কৃষকেরা। তাঁদের দাবি-দাওয়ায় পরিপ্রেক্ষিতে গত বছর উপজেলার পানখালী, তিলডাঙ্গাসহ বেশ কয়েকটি ইউনিয়নে খাল খননের উদ্যোগ নেয় উপজেলা মৎস্য অধিদপ্তর।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য বলছে, গত বছর উপজেলার ৯টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভায় ৩ হাজার ৪০৭ হেক্টর জমিতে তরমুজের আবাদ হয়েছিল। এবার চাষ হয়েছে ৭ হাজার ৬০৫ হেক্টরে। এ ছাড়া এবার ২১৫ হেক্টর জমিতে বোরো ধান, ৩ হেক্টরে তিল, ৪ হেক্টরে মুগডাল, ১৫ হেক্টরে বাঙ্গি ও ৫০ হেক্টর জমিতে শাকসবজির চাষ হয়েছে।
সরেজমিন উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে, যে সব এলাকায় খাল খনন করা হয়েছে সে সব জায়গায় খাল থেকে পাম্পের মাধ্যমে পানি নিয়ে জমিতে সেচ দিচ্ছেন চাষিরা। এতে এসব এলাকার কৃষকেরা সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। বেশির ভাগ জমিতে তরমুজ গাছ অনেক বড় হয়ে গেছে। গাছে ফুল ও ফল আসা শুরু করেছে। কিছু খেতে আবার তরমুজ বড় হয়ে উঠেছে। অধিকাংশ খেতে সার ও কীটনাশক ছিটানোয় ব্যস্ত সময় পার করছেন নারী-পুরুষেরা।
তিলডাঙ্গার কৃষক সুবর্ণ সরদার বলেন, ‘এ বছর ৮ বিঘা জমিতে তরমুজ চাষ করেছি। ফলন মোটামুটি ভালো হয়েছে। বাড়ির পাশের খালটি খনন করায় এ বছর পানির সমস্যা হয়নি। এলাকার সব কৃষক তাঁদের প্রয়োজন মতো পানি খাল থেকে নিতে পেরেছেন। এতে সবার খেতের ফসল বেশ ভালো হয়েছে।
মৌখালী এলাকার কৃষক শামিম শেখ বলেন, ‘এ বছর ১৫ বিঘা জমিতে তরমুজ ও ধানের চাষ করেছি। ফলন খুবই ভালো হয়েছে। খাল খননের ফলে এ বছর আর পানি সংকট হয়নি। বড় ধরনের কোনো দুর্যোগ না হলে ভালো লাভ পাব।
ধোপাদি গ্রামের কৃষক শেখর মণ্ডল জানান, তিনি এ বছর ১০ বিঘা জমিতে ধান ও তরমুজের আবাদ করেছেন। প্রথম দিকে ছোট ছোট কুয়ো কেটে খেতে সেচ দিয়েছেন। এখন সেখানে পানি প্রায় শুকিয়ে গেছে। তা ছাড়া খরার কারণে খালগুলোর পানিও সম্পূর্ণ শুকিয়ে গেছে। বর্তমানে কলসিতে করে পানি নিয়ে গাছের গোড়ায় এক মগ করে পানি দিয়ে কোনো রকমে তরমুজের গাছগুলো বাঁচিয়ে রেখেছেন। সেচের পানির অভাবে তাঁর ব্যাপক লোকসান হতে পারে। আর লোকসান হলে ধার-দেনা শোধ করতে না পেরে পথে বসতে হবে তাঁর।
শেখর মণ্ডল আরও বলেন, উপজেলার সব ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকার অধিকাংশ খাল, সরকারি জলাশয়গুলোতে অবৈধ দখলদার ও ইজারাদারেরা ঘন ঘন টোনাজাল, নেট পাটা দেওয়ার কারণে পলি পড়ে গভীরতা কমে পানি শুকিয়ে গেছে। এতে লোকসানের শঙ্কায় রয়েছেন এলাকার শত শত কৃষক। তিনি শিগগিরই ভরাট হয়ে যাওয়া খালগুলো খননের দাবি জানান।
উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা সেলিম সুলতান জানান, গত বছর উপজেলার মানুষের উপকারের কথা চিন্তা করে পানখালী, তিলডাঙ্গাসহ কয়েকটি ইউনিয়নে মৎস্য অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে বেশ কয়েকটি খাল খনন করা হয়। বর্তমানে এর সুফল ভোগ করছেন এলাকাবাসী।
উপজেলা জ্যেষ্ঠ কৃষি কর্মকর্তা মেহেদী হাসান খান জানান, ইতিমধ্যে উপজেলার বেশ কয়েকটি খাল খনন করা হয়েছে। বাকি খাল ও জলাশয়গুলোতে পলি পড়ে গভীরতা কমে যাওয়ায় পানি শুকিয়ে যাচ্ছে। দীর্ঘদিন বৃষ্টি না হওয়ায় এমন অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। অন্যদিকে নদীর পানিতে অনেক লবণ থাকায় তা ব্যবহার করতে পারছেন না কৃষকেরা। বেশ কিছু খাল খননের জন্য কৃষি উন্নয়ন করপোরেশন (বিএডিসি) বরাবর প্রস্তাব পাঠানো রয়েছে। সব খাল খনন করতে পারলে কৃষকদের সেচের পানির সংকট কিছুটা হলেও লাঘব হবে।
খাল খননের উপকার পেতে শুরু করেছেন দাকোপের তিলডাঙ্গা ও পানখালী ইউনিয়নের চাষিরা। খননের ফলে খালগুলোতে পর্যাপ্ত পানি থাকায় এ বছর সেচের পানির সংকটে পড়তে হয়নি তাঁদের। এতে উপজেলার অন্যান্য এলাকার তুলনায় এ দুই ইউনিয়নে অধিকাংশ ফসলের ফলন অনেক ভালো হয়েছে বলে জানিয়েছেন কৃষকেরা।
তবে যেসব এলাকায় এখনো খাল খনন করা হয়নি সেসব এলাকার অবস্থা ভিন্ন। ওই সব এলাকার ছোট নদী ও খালগুলো পলি পড়ে ভরাট হয়ে পানি শুকিয়ে গেছে। এতে এসব এলাকায় সেচের পানির তীব্র সংকট এখনো বিদ্যমান। শিগগিরই এসব এলাকার খাল খননের দাবি জানিয়েছেন চাষিরা।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দাকোপের প্রধান ফসল হলো আমন ধান। একটা সময় এ এলাকায় শুধু আমন ধানের চাষ করা হতো এবং বছরের বাকি সময় সব জমি পতিত অবস্থায় পড়ে থাকত। গত কয়েক বছর আগে এ অঞ্চলের চাষিরা রবি শস্যের চাষ শুরু করেন। কিন্তু শুষ্ক মৌসুমে এলাকার অধিকাংশ ছোট নদী, খাল, পুকুর শুকিয়ে যাওয়ায় সেচের পানির তীব্র সংকটতে পড়তেন চাষিরা। এতে ধান বাদে অন্য ফসলের আশানুরূপ ফলন না পেয়ে লোকসান গুনতে হতো তাঁদের। সেচের পানির অভাব দূর করতে দীর্ঘদিন খাল খনন ও ইজরা দেওয়া বন্ধের দাবি জানিয়ে আসছিলেন উপজেলার কৃষকেরা। তাঁদের দাবি-দাওয়ায় পরিপ্রেক্ষিতে গত বছর উপজেলার পানখালী, তিলডাঙ্গাসহ বেশ কয়েকটি ইউনিয়নে খাল খননের উদ্যোগ নেয় উপজেলা মৎস্য অধিদপ্তর।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য বলছে, গত বছর উপজেলার ৯টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভায় ৩ হাজার ৪০৭ হেক্টর জমিতে তরমুজের আবাদ হয়েছিল। এবার চাষ হয়েছে ৭ হাজার ৬০৫ হেক্টরে। এ ছাড়া এবার ২১৫ হেক্টর জমিতে বোরো ধান, ৩ হেক্টরে তিল, ৪ হেক্টরে মুগডাল, ১৫ হেক্টরে বাঙ্গি ও ৫০ হেক্টর জমিতে শাকসবজির চাষ হয়েছে।
সরেজমিন উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে, যে সব এলাকায় খাল খনন করা হয়েছে সে সব জায়গায় খাল থেকে পাম্পের মাধ্যমে পানি নিয়ে জমিতে সেচ দিচ্ছেন চাষিরা। এতে এসব এলাকার কৃষকেরা সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। বেশির ভাগ জমিতে তরমুজ গাছ অনেক বড় হয়ে গেছে। গাছে ফুল ও ফল আসা শুরু করেছে। কিছু খেতে আবার তরমুজ বড় হয়ে উঠেছে। অধিকাংশ খেতে সার ও কীটনাশক ছিটানোয় ব্যস্ত সময় পার করছেন নারী-পুরুষেরা।
তিলডাঙ্গার কৃষক সুবর্ণ সরদার বলেন, ‘এ বছর ৮ বিঘা জমিতে তরমুজ চাষ করেছি। ফলন মোটামুটি ভালো হয়েছে। বাড়ির পাশের খালটি খনন করায় এ বছর পানির সমস্যা হয়নি। এলাকার সব কৃষক তাঁদের প্রয়োজন মতো পানি খাল থেকে নিতে পেরেছেন। এতে সবার খেতের ফসল বেশ ভালো হয়েছে।
মৌখালী এলাকার কৃষক শামিম শেখ বলেন, ‘এ বছর ১৫ বিঘা জমিতে তরমুজ ও ধানের চাষ করেছি। ফলন খুবই ভালো হয়েছে। খাল খননের ফলে এ বছর আর পানি সংকট হয়নি। বড় ধরনের কোনো দুর্যোগ না হলে ভালো লাভ পাব।
ধোপাদি গ্রামের কৃষক শেখর মণ্ডল জানান, তিনি এ বছর ১০ বিঘা জমিতে ধান ও তরমুজের আবাদ করেছেন। প্রথম দিকে ছোট ছোট কুয়ো কেটে খেতে সেচ দিয়েছেন। এখন সেখানে পানি প্রায় শুকিয়ে গেছে। তা ছাড়া খরার কারণে খালগুলোর পানিও সম্পূর্ণ শুকিয়ে গেছে। বর্তমানে কলসিতে করে পানি নিয়ে গাছের গোড়ায় এক মগ করে পানি দিয়ে কোনো রকমে তরমুজের গাছগুলো বাঁচিয়ে রেখেছেন। সেচের পানির অভাবে তাঁর ব্যাপক লোকসান হতে পারে। আর লোকসান হলে ধার-দেনা শোধ করতে না পেরে পথে বসতে হবে তাঁর।
শেখর মণ্ডল আরও বলেন, উপজেলার সব ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকার অধিকাংশ খাল, সরকারি জলাশয়গুলোতে অবৈধ দখলদার ও ইজারাদারেরা ঘন ঘন টোনাজাল, নেট পাটা দেওয়ার কারণে পলি পড়ে গভীরতা কমে পানি শুকিয়ে গেছে। এতে লোকসানের শঙ্কায় রয়েছেন এলাকার শত শত কৃষক। তিনি শিগগিরই ভরাট হয়ে যাওয়া খালগুলো খননের দাবি জানান।
উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা সেলিম সুলতান জানান, গত বছর উপজেলার মানুষের উপকারের কথা চিন্তা করে পানখালী, তিলডাঙ্গাসহ কয়েকটি ইউনিয়নে মৎস্য অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে বেশ কয়েকটি খাল খনন করা হয়। বর্তমানে এর সুফল ভোগ করছেন এলাকাবাসী।
উপজেলা জ্যেষ্ঠ কৃষি কর্মকর্তা মেহেদী হাসান খান জানান, ইতিমধ্যে উপজেলার বেশ কয়েকটি খাল খনন করা হয়েছে। বাকি খাল ও জলাশয়গুলোতে পলি পড়ে গভীরতা কমে যাওয়ায় পানি শুকিয়ে যাচ্ছে। দীর্ঘদিন বৃষ্টি না হওয়ায় এমন অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। অন্যদিকে নদীর পানিতে অনেক লবণ থাকায় তা ব্যবহার করতে পারছেন না কৃষকেরা। বেশ কিছু খাল খননের জন্য কৃষি উন্নয়ন করপোরেশন (বিএডিসি) বরাবর প্রস্তাব পাঠানো রয়েছে। সব খাল খনন করতে পারলে কৃষকদের সেচের পানির সংকট কিছুটা হলেও লাঘব হবে।
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
১ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৮ দিন আগে