সাইফুল মাসুম, ঢাকা
বুড়িগঙ্গা নদী থেকে মোহাম্মদপুরের বছিলার শ্রীখণ্ড মৌজা হয়ে রায়েরবাজার বধ্যভূমি স্মৃতিসৌধসংলগ্ন কবরস্থানের মধ্য দিয়ে লাউতলা খাল ও রামচন্দ্রপুর খালের সঙ্গে ১৫ বছর আগেও যুক্ত ছিল হাইক্কার খাল। সরকারের নানা উন্নয়ন প্রকল্প ও দখলদারদের কবলে পড়ে একসময়ের প্রবহমান খালটি এখন মৃতপ্রায়। বধ্যভূমি স্মৃতিসৌধসংলগ্ন কবরস্থান উন্নয়ন প্রকল্পের মাধ্যমে খালের প্রবাহ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। ওয়াকওয়ে তৈরির মাধ্যমে খালের প্রশস্ততা আরও কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। নগর ও পরিবেশ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, উন্নয়নের নামে সরকারি সংস্থাগুলো প্রথমে প্রাণ-প্রকৃতি ধ্বংস করে দখলদারদের উৎসাহ জোগায়। পরে রাষ্ট্রের বিপুল অর্থ খরচ করে উচ্ছেদ অভিযান চালায়। এর মাধ্যমে কতিপয় ব্যক্তি লাভবান হলেও ক্ষতিগ্রস্ত হয় দেশ।
জানা গেছে, বালু ও ময়লা ফেলে খাল ভরাট করে প্লট বানানো হয়েছে। খালের জায়গায় অনেক বহুতল ভবনও বানানো হয়েছে। সম্প্রতি মোহাম্মদপুর বছিলা রোডে গিয়ে লাউতলা খাল ও বধ্যভূমির অংশে হাইক্কার খালে কালভার্টের চিহ্ন দেখা যায়। বধ্যভূমি স্মৃতিসৌধের অংশ থেকে খাল বন্ধ করায় লাউতলা অংশে দখলদারদের জন্য সুযোগ তৈরি হয়েছিল। স্মৃতিসৌধের ভেতরে ১০০ ফুট চওড়া খালটির অস্তিত্ব থাকলেও দক্ষিণের সীমানায় খালের মূল অংশ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়েছে। এতে কবরস্থানের সীমানার বাইরে খালের মুখেই একটি ১০ তলা ভবন ও দুটি দোতলা ভবনসহ কয়েকটি অবৈধ স্থাপনা গড়ে উঠেছে। খালের ঠিক মাঝখানে দুটি দোতলা ভবনের মালিক ফারুক ও কদম আলী।
তাঁদের কাউকে পাওয়া যায়নি। তবে ফারুক ফোনে দাবি করেন, দলিল দেখেই কয়েক বছর আগে তিনি জায়গাটা কিনেছেন।
দোতলা ভবনের পাশে কয়েকটি টিনের ঘর বানিয়েছেন কদম আলীর ভাতিজা কবির হোসেন। ঘরগুলো থেকে ভাড়া আদায় করেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) কর্মী শহিদুল ইসলামের স্ত্রী কুলসুমা আক্তার। একটি নির্মাণাধীন ১০ তলা ভবনের অর্ধেকের বেশি জায়গা খালের মধ্যে পড়েছে। ভবনটির মালিক ২০ প্রভাবশালী ব্যক্তি। মালিকদের একজন মাওলানা কাজী ফয়জুল্লাহ বলেন, ‘ওইটা কিয়ের খালের জায়গা? আমরা এইটা কিনছি। আঙ্গো বিল্ডিংয়ের তিন প্লট পরে খাল।’ তিনি বলেন, ‘স্থানীয় ইমরানের মাধ্যমে ভবনটি বানানো হয়েছে। তবে ভবনের মূল কারবারি জজ গোলাম রব্বানি।’ ভবন তৈরিতে স্থানীয় কাউন্সিলর খোকনের সহযোগিতা আছে বলেও তিনি জানান।
জানা গেছে, খালের জায়গায় পাকা ভবন তৈরি শুরু হয়েছে দুই বছর আগে। দখলদারদের সঙ্গে ডিএনসিসির ৩৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলরের সম্পৃক্ততার তথ্য পাওয়া গেছে। খালের একটি অংশে কাউন্সিলর নিজেই ‘মেট্রো হাউজিং প্রাথমিক বিদ্যালয়’ বানিয়েছেন। সাইনবোর্ডে ‘বাস্তবায়নে ডিএনসিসি’ লেখা।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে কাউন্সিলর শেখ মোহাম্মদ হোসেন খোকন বলেন, ‘কবরস্থানের সীমানার বাইরে যাদের জমি তারা মাটি ফেলে খালটা ভরাট করে ফেলেছে। খালের একটা অংশে স্কুল করা হয়েছে। খাল যদি বের করা না যায়, সেখানে ভালো কিছু হোক। ওই কারণে স্কুল করেছি।’ ফারুকসহ খালের দখলদারদের সঙ্গে তাঁর সম্পৃক্ততার কথা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘ফারুক নামে কাউকে চিনি না। ওখানের দখলদারদের সঙ্গে আমার সখ্য নেই।’
জানা গেছে, ২০১০ সালের জুলাই মাসে ‘রায়েরবাজার শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধসংলগ্ন কবরস্থান উন্নয়ন প্রকল্প’ নেয় ডিএনসিসি। এই প্রকল্প বাস্তবায়নের পর হাইক্কার খালের স্বাভাবিক প্রবাহ বন্ধ হয়ে যায়।
এ বিষয়ে নগর-পরিকল্পনাবিদ আদিল মুহাম্মদ খান আজকের পত্রিকাকে বলেন, উন্নয়নের চাপে ধীরে ধীরে মরতে বসেছে হাইক্কার খাল। খালগুলো হচ্ছে জীবন্ত সত্তা। উন্নয়নকাজ করতে হলে খালের প্রবাহ ঠিক রেখেই করা উচিত। দখল-উচ্ছেদ নাটক না করে খালের প্রবাহ নিশ্চিত করতে হবে।
গত ২৩ ফেব্রুয়ারি মোহাম্মদপুরের লাউতলা খালে উচ্ছেদ অভিযান শুরু করার সময় এক প্রশ্নের জবাবে ডিএনসিসির মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা খালগুলোকে নদীর সঙ্গে যুক্ত করে দেব, যাতে নৌকা চলতে পারে। এই ধরনের একটা মাস্টারপ্ল্যান আমরা নিচ্ছি। বধ্যভূমি কবরস্থানের অংশে হাইক্কার খালের সংযোগের বিষয়ে আমরা দেখব। দেখার পর সচল করার উদ্যোগ নেব।’ তিনি জানান, খাল দখল করে অবৈধ কোনো কাজ হলে কেউ রেহাই পাবে না।
জানা যায়, হাইক্কার খাল টিকিয়ে রাখতে ২০১৪ সালে বিশেষ প্রকল্পের মাধ্যমে প্রায় ২০ কোটি টাকা খরচ করে খনন ও ওয়াকওয়ে বানিয়েছিল বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)। অভিযোগ আছে, দখলদারদের অনেক জায়গা ছাড় দিয়ে খাল সংকুচিত করেই ওয়াকওয়ে বানানো হয়। তখন বিআইডব্লিউটিএ খালের দুই পাশে সীমানা পিলারও বসায়। সম্প্রতি গিয়ে দেখা যায়, ওয়াকওয়ের ওপরেও অনেক ভবনের দেয়াল। প্লটের আড়ালে হারিয়ে গেছে বেশির ভাগ সীমানা পিলার। এখন বুড়িগঙ্গার পাড়ে নতুন ওয়াকওয়ে নির্মাণের ফলে খালের মুখও সংকুচিত করা হচ্ছে।
বছিলার স্থানীয় বাসিন্দা মো. মানিক বলেন, বুড়িগঙ্গা ও হাইক্কার খালের সংযোগস্থলে এখন ওয়াকওয়ে তৈরির জন্য মাটি ফেলা হচ্ছে। এখানে খাল সংকুচিত করে ব্রিজ বানালে খালের অবস্থা আরও শোচনীয় হবে।
এ বিষয়ে বিআইডব্লিউটিএর প্রকৌশলী ফয়জুল্লাহ বলেন, বুড়িগঙ্গার পাড়ে ওয়াকওয়ের অংশ হিসেবে হাইক্কার খালের মুখে ব্রিজ করা হবে। তাঁর দাবি, খালের প্রশস্ততা ঠিক রেখেই সেতু তৈরির পরিকল্পনা রয়েছে। তবে হাইক্কার খালের পাড়ের ওয়াকওয়ে নিয়ে তাঁর কাছে কোনো তথ্য নেই।
যাদের অবহেলায় হাইক্কার খাল মরতে বসেছে তাদের শাস্তির আওতায় আনা উচিত বলে মনে করেন ওয়াটার কিপার্স বাংলাদেশের সমন্বয়ক শরীফ জামিল। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘হাইক্কার খাল প্লাবন অঞ্চলের অংশ। বড় এই খালটি ধীরে ধীরে দখল হয়েছে। স্যাটেলাইট ইমেজে ১৫ বছর আগেও এর পানি প্রবাহের চিত্র পাবেন। ওয়াকওয়েসহ অপরিকল্পিত উন্নয়ন বন্ধ করে হাইক্কার খালকে আগের অবস্থায় ফিরিয়ে দিতে হবে।’
বুড়িগঙ্গা নদী থেকে মোহাম্মদপুরের বছিলার শ্রীখণ্ড মৌজা হয়ে রায়েরবাজার বধ্যভূমি স্মৃতিসৌধসংলগ্ন কবরস্থানের মধ্য দিয়ে লাউতলা খাল ও রামচন্দ্রপুর খালের সঙ্গে ১৫ বছর আগেও যুক্ত ছিল হাইক্কার খাল। সরকারের নানা উন্নয়ন প্রকল্প ও দখলদারদের কবলে পড়ে একসময়ের প্রবহমান খালটি এখন মৃতপ্রায়। বধ্যভূমি স্মৃতিসৌধসংলগ্ন কবরস্থান উন্নয়ন প্রকল্পের মাধ্যমে খালের প্রবাহ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। ওয়াকওয়ে তৈরির মাধ্যমে খালের প্রশস্ততা আরও কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। নগর ও পরিবেশ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, উন্নয়নের নামে সরকারি সংস্থাগুলো প্রথমে প্রাণ-প্রকৃতি ধ্বংস করে দখলদারদের উৎসাহ জোগায়। পরে রাষ্ট্রের বিপুল অর্থ খরচ করে উচ্ছেদ অভিযান চালায়। এর মাধ্যমে কতিপয় ব্যক্তি লাভবান হলেও ক্ষতিগ্রস্ত হয় দেশ।
জানা গেছে, বালু ও ময়লা ফেলে খাল ভরাট করে প্লট বানানো হয়েছে। খালের জায়গায় অনেক বহুতল ভবনও বানানো হয়েছে। সম্প্রতি মোহাম্মদপুর বছিলা রোডে গিয়ে লাউতলা খাল ও বধ্যভূমির অংশে হাইক্কার খালে কালভার্টের চিহ্ন দেখা যায়। বধ্যভূমি স্মৃতিসৌধের অংশ থেকে খাল বন্ধ করায় লাউতলা অংশে দখলদারদের জন্য সুযোগ তৈরি হয়েছিল। স্মৃতিসৌধের ভেতরে ১০০ ফুট চওড়া খালটির অস্তিত্ব থাকলেও দক্ষিণের সীমানায় খালের মূল অংশ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়েছে। এতে কবরস্থানের সীমানার বাইরে খালের মুখেই একটি ১০ তলা ভবন ও দুটি দোতলা ভবনসহ কয়েকটি অবৈধ স্থাপনা গড়ে উঠেছে। খালের ঠিক মাঝখানে দুটি দোতলা ভবনের মালিক ফারুক ও কদম আলী।
তাঁদের কাউকে পাওয়া যায়নি। তবে ফারুক ফোনে দাবি করেন, দলিল দেখেই কয়েক বছর আগে তিনি জায়গাটা কিনেছেন।
দোতলা ভবনের পাশে কয়েকটি টিনের ঘর বানিয়েছেন কদম আলীর ভাতিজা কবির হোসেন। ঘরগুলো থেকে ভাড়া আদায় করেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) কর্মী শহিদুল ইসলামের স্ত্রী কুলসুমা আক্তার। একটি নির্মাণাধীন ১০ তলা ভবনের অর্ধেকের বেশি জায়গা খালের মধ্যে পড়েছে। ভবনটির মালিক ২০ প্রভাবশালী ব্যক্তি। মালিকদের একজন মাওলানা কাজী ফয়জুল্লাহ বলেন, ‘ওইটা কিয়ের খালের জায়গা? আমরা এইটা কিনছি। আঙ্গো বিল্ডিংয়ের তিন প্লট পরে খাল।’ তিনি বলেন, ‘স্থানীয় ইমরানের মাধ্যমে ভবনটি বানানো হয়েছে। তবে ভবনের মূল কারবারি জজ গোলাম রব্বানি।’ ভবন তৈরিতে স্থানীয় কাউন্সিলর খোকনের সহযোগিতা আছে বলেও তিনি জানান।
জানা গেছে, খালের জায়গায় পাকা ভবন তৈরি শুরু হয়েছে দুই বছর আগে। দখলদারদের সঙ্গে ডিএনসিসির ৩৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলরের সম্পৃক্ততার তথ্য পাওয়া গেছে। খালের একটি অংশে কাউন্সিলর নিজেই ‘মেট্রো হাউজিং প্রাথমিক বিদ্যালয়’ বানিয়েছেন। সাইনবোর্ডে ‘বাস্তবায়নে ডিএনসিসি’ লেখা।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে কাউন্সিলর শেখ মোহাম্মদ হোসেন খোকন বলেন, ‘কবরস্থানের সীমানার বাইরে যাদের জমি তারা মাটি ফেলে খালটা ভরাট করে ফেলেছে। খালের একটা অংশে স্কুল করা হয়েছে। খাল যদি বের করা না যায়, সেখানে ভালো কিছু হোক। ওই কারণে স্কুল করেছি।’ ফারুকসহ খালের দখলদারদের সঙ্গে তাঁর সম্পৃক্ততার কথা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘ফারুক নামে কাউকে চিনি না। ওখানের দখলদারদের সঙ্গে আমার সখ্য নেই।’
জানা গেছে, ২০১০ সালের জুলাই মাসে ‘রায়েরবাজার শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধসংলগ্ন কবরস্থান উন্নয়ন প্রকল্প’ নেয় ডিএনসিসি। এই প্রকল্প বাস্তবায়নের পর হাইক্কার খালের স্বাভাবিক প্রবাহ বন্ধ হয়ে যায়।
এ বিষয়ে নগর-পরিকল্পনাবিদ আদিল মুহাম্মদ খান আজকের পত্রিকাকে বলেন, উন্নয়নের চাপে ধীরে ধীরে মরতে বসেছে হাইক্কার খাল। খালগুলো হচ্ছে জীবন্ত সত্তা। উন্নয়নকাজ করতে হলে খালের প্রবাহ ঠিক রেখেই করা উচিত। দখল-উচ্ছেদ নাটক না করে খালের প্রবাহ নিশ্চিত করতে হবে।
গত ২৩ ফেব্রুয়ারি মোহাম্মদপুরের লাউতলা খালে উচ্ছেদ অভিযান শুরু করার সময় এক প্রশ্নের জবাবে ডিএনসিসির মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা খালগুলোকে নদীর সঙ্গে যুক্ত করে দেব, যাতে নৌকা চলতে পারে। এই ধরনের একটা মাস্টারপ্ল্যান আমরা নিচ্ছি। বধ্যভূমি কবরস্থানের অংশে হাইক্কার খালের সংযোগের বিষয়ে আমরা দেখব। দেখার পর সচল করার উদ্যোগ নেব।’ তিনি জানান, খাল দখল করে অবৈধ কোনো কাজ হলে কেউ রেহাই পাবে না।
জানা যায়, হাইক্কার খাল টিকিয়ে রাখতে ২০১৪ সালে বিশেষ প্রকল্পের মাধ্যমে প্রায় ২০ কোটি টাকা খরচ করে খনন ও ওয়াকওয়ে বানিয়েছিল বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)। অভিযোগ আছে, দখলদারদের অনেক জায়গা ছাড় দিয়ে খাল সংকুচিত করেই ওয়াকওয়ে বানানো হয়। তখন বিআইডব্লিউটিএ খালের দুই পাশে সীমানা পিলারও বসায়। সম্প্রতি গিয়ে দেখা যায়, ওয়াকওয়ের ওপরেও অনেক ভবনের দেয়াল। প্লটের আড়ালে হারিয়ে গেছে বেশির ভাগ সীমানা পিলার। এখন বুড়িগঙ্গার পাড়ে নতুন ওয়াকওয়ে নির্মাণের ফলে খালের মুখও সংকুচিত করা হচ্ছে।
বছিলার স্থানীয় বাসিন্দা মো. মানিক বলেন, বুড়িগঙ্গা ও হাইক্কার খালের সংযোগস্থলে এখন ওয়াকওয়ে তৈরির জন্য মাটি ফেলা হচ্ছে। এখানে খাল সংকুচিত করে ব্রিজ বানালে খালের অবস্থা আরও শোচনীয় হবে।
এ বিষয়ে বিআইডব্লিউটিএর প্রকৌশলী ফয়জুল্লাহ বলেন, বুড়িগঙ্গার পাড়ে ওয়াকওয়ের অংশ হিসেবে হাইক্কার খালের মুখে ব্রিজ করা হবে। তাঁর দাবি, খালের প্রশস্ততা ঠিক রেখেই সেতু তৈরির পরিকল্পনা রয়েছে। তবে হাইক্কার খালের পাড়ের ওয়াকওয়ে নিয়ে তাঁর কাছে কোনো তথ্য নেই।
যাদের অবহেলায় হাইক্কার খাল মরতে বসেছে তাদের শাস্তির আওতায় আনা উচিত বলে মনে করেন ওয়াটার কিপার্স বাংলাদেশের সমন্বয়ক শরীফ জামিল। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘হাইক্কার খাল প্লাবন অঞ্চলের অংশ। বড় এই খালটি ধীরে ধীরে দখল হয়েছে। স্যাটেলাইট ইমেজে ১৫ বছর আগেও এর পানি প্রবাহের চিত্র পাবেন। ওয়াকওয়েসহ অপরিকল্পিত উন্নয়ন বন্ধ করে হাইক্কার খালকে আগের অবস্থায় ফিরিয়ে দিতে হবে।’
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
১ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৮ দিন আগে