ফারুক হোসাইন রাজ, কলারোয়া (সাতক্ষীরা)
যাত্রীবাসের ট্রিপের সিরিয়াল সন্তোষজনকভাবে না পাওয়াকে কেন্দ্র করে যশোর-সাতক্ষীরার মধ্যে এক জেলার বাস অন্য জেলায় প্রবেশ বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এ নিয়ে জেলা দুটির প্রবেশদ্বারে পৃথক দুটি অস্থায়ী টার্মিনাল করা হয়েছে। সরাসরি যোগাযোগ ব্যবস্থা না থাকায় আগের তুলনায় অতিরিক্ত ভাড়া গুনতে হচ্ছে যাত্রীদের। একাধিকবার পরিবহন পাল্টাতে গিয়ে দুর্ভোগ বাড়ছে শিশু, বৃদ্ধ ও নারীদের। এসব কারণে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন দুই জেলায় যাতায়াতকারী সাধারণ যাত্রীরা।
বাস মালিক সিন্ডিকেটের দৌরাত্ম্যে গতকাল মঙ্গলবার সকালে যশোর-সাতক্ষীরা প্রবেশদ্বার বেলতলা সীমান্তে যাত্রীদের সীমাহীন জনদুর্ভোগ দেখা গেছে। সরেজমিনে দেখা যায়, সাতক্ষীরার ও যশোরের বাস মালিক সমিতির অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বে দুই জেলার বেলতলা নামক সীমান্ত স্থানে পৃথক দুটি অস্থায়ী টার্মিনাল বসেছে। এতে এক জেলার বাস অন্য জেলাতে প্রবেশ বন্ধ হয়েছে। এমনকি যশোর টার্মিনাল থেকে ছেড়ে আসা বাস বাগআঁচড়াতে এসে যাত্রী নামিয়ে দিচ্ছে। সেখান থেকে সাতক্ষীরা কালিগঞ্জের জন্য আসা যাত্রীরা সরাসরি যোগাযোগ ব্যবস্থা না পেয়ে সেখান থেকে ভ্যান, ইজিবাইকে করে বেলতলাতে এসে পৌঁছাচ্ছেন। এতে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে বয়োবৃদ্ধ, অসুস্থ নারী, শিশু ও স্কুল-কলেজের ছাত্রছাত্রীদের।
সাতক্ষীরা সিটি কলেজর ছাত্র ও বাগআঁচড়া এলাকার বাসিন্দা ইয়াসিন রাফি বলেন, গত এক সপ্তাহ ধরে যশোর থেকে বাসে যাতায়াত করতে গেলে এমন জনদুর্ভোগের শিকার হতে হচ্ছে দুই জেলাতে যাতায়াতকারী পথযাত্রীদের। তবে এ সমস্যাটা দেখার যেন কেউ নেই। বাস মালিক সমিতির সিন্ডিকেটের কারণে যশোর থেকে সরাসরি সাতক্ষীরা অথবা সাতক্ষীরা থেকে সরাসরি যশোরে যাওয়ার ব্যবস্থা এখন বন্ধ। যেতে চাইলে ভেঙে ভেঙে যেতে হচ্ছে। এতে করে পথচারীদের বাড়তি খরচ গুনতে হচ্ছে।
ইয়াসিন রাফি জানান, সাতক্ষীরায় যেতে হলে বাগআঁচড়াতে নামতে হচ্ছে। আবার সেখান থেকে আলাদা ভাড়া দিয়ে আসতে হয় বেলতলাতে। ওখান থেকে আবারও টিকিট কেটে উঠতে হচ্ছে সাতক্ষীরা কালিগঞ্জের বাসে। এর মাধ্যমে সৃষ্টি হওয়া জনদুর্ভোগ চরম আকার ধারণ করেছে।
সাতক্ষীরা বাস মালিক সমিতির নেতা সাইফুল করিম সাবু বলেন, যশোর-সাতক্ষীরার দুই মালিক সমিতির বাস একই মহাসড়কে চলে যাত্রী বহন করে। এতে যশোর বাস টার্মিনাল থেকে সাতক্ষীরার মালিক সমিতির বাসগুলো সন্তোষজনক ট্রিপ বা সিরিয়াল না পাওয়াতে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে যাতে জন দুর্ভোগের সমাধান হয় তার জন্য অতি দ্রুত যশোর বাস মালিক সমিতির কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনায় বসা হবে।
যশোর ইন্টার ডিস্ট্রিক্ট বাস সিন্ডিকেট মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আমির হোসেন বলেন, দীর্ঘদিন ধরে যশোর মালিক সমিতির বাস সরাসরি সাতক্ষীরা হয়ে কালিগঞ্জ পর্যন্ত যাত্রী নিয়ে যেতে দেওয়া হয় না। সাতক্ষীরা টার্মিনালেই সকল যাত্রীকে নামিয়ে বাস বাস বন্ধ করতে হয়। দীর্ঘদিনের এ সমস্যার সমাধান চেয়ে সাতক্ষীরা মালিক সমিতির নিকট আহ্বান জানিয়েছি। তারা কোনো ফলপ্রসূ সাড়া ও আলোচনা সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি। এ কারণে জেলাভিত্তিক বাসে যাত্রী বহন করা হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, যাতে সরাসরি যশোর থেকে কালিগঞ্জ পর্যন্ত বাস যেতে পারে এবং দীর্ঘদিনের সমস্যার সমাধান হয় সে জন্য জেলা প্রশাসক ও প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক বাস কন্ট্রাক্টর জানান, দুই জেলায় আগের মতো বাস যাতায়াত না করতে পারায় সাধারণ পথচারীদের পাশাপাশি বিপাকে পড়েছেন মোটরশ্রমিকেরাও। কমে গেছে শ্রমিকদের মজুরিও। সাতক্ষীরা থেকে বেলতলায় আসলে আগে যেখানে ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা রোজগার হতো, সেখানে এখন ১০০ থেকে ১৫০ টাকা দিনে রোজগার হচ্ছে। এ সমস্যার সমাধান না হলে পরিবার নিয়ে বিপাকে পড়তে হবে মোটরশ্রমিকদের।
সাতক্ষীরার প্রশাসক হুমায়ুন কবীর বলেন, দুই জেলার বাস মালিক সমিতির অন্তঃকোন্দল যশোর-সাতক্ষীরায় সরাসরি যাতায়াতের ক্ষেত্রে সাধারণ পথচারীদের সমস্যা হচ্ছে। অতি দ্রুত সমাধান করতে দুই জেলার মালিক সমিতির সঙ্গে আলোচনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
যাত্রীবাসের ট্রিপের সিরিয়াল সন্তোষজনকভাবে না পাওয়াকে কেন্দ্র করে যশোর-সাতক্ষীরার মধ্যে এক জেলার বাস অন্য জেলায় প্রবেশ বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এ নিয়ে জেলা দুটির প্রবেশদ্বারে পৃথক দুটি অস্থায়ী টার্মিনাল করা হয়েছে। সরাসরি যোগাযোগ ব্যবস্থা না থাকায় আগের তুলনায় অতিরিক্ত ভাড়া গুনতে হচ্ছে যাত্রীদের। একাধিকবার পরিবহন পাল্টাতে গিয়ে দুর্ভোগ বাড়ছে শিশু, বৃদ্ধ ও নারীদের। এসব কারণে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন দুই জেলায় যাতায়াতকারী সাধারণ যাত্রীরা।
বাস মালিক সিন্ডিকেটের দৌরাত্ম্যে গতকাল মঙ্গলবার সকালে যশোর-সাতক্ষীরা প্রবেশদ্বার বেলতলা সীমান্তে যাত্রীদের সীমাহীন জনদুর্ভোগ দেখা গেছে। সরেজমিনে দেখা যায়, সাতক্ষীরার ও যশোরের বাস মালিক সমিতির অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বে দুই জেলার বেলতলা নামক সীমান্ত স্থানে পৃথক দুটি অস্থায়ী টার্মিনাল বসেছে। এতে এক জেলার বাস অন্য জেলাতে প্রবেশ বন্ধ হয়েছে। এমনকি যশোর টার্মিনাল থেকে ছেড়ে আসা বাস বাগআঁচড়াতে এসে যাত্রী নামিয়ে দিচ্ছে। সেখান থেকে সাতক্ষীরা কালিগঞ্জের জন্য আসা যাত্রীরা সরাসরি যোগাযোগ ব্যবস্থা না পেয়ে সেখান থেকে ভ্যান, ইজিবাইকে করে বেলতলাতে এসে পৌঁছাচ্ছেন। এতে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে বয়োবৃদ্ধ, অসুস্থ নারী, শিশু ও স্কুল-কলেজের ছাত্রছাত্রীদের।
সাতক্ষীরা সিটি কলেজর ছাত্র ও বাগআঁচড়া এলাকার বাসিন্দা ইয়াসিন রাফি বলেন, গত এক সপ্তাহ ধরে যশোর থেকে বাসে যাতায়াত করতে গেলে এমন জনদুর্ভোগের শিকার হতে হচ্ছে দুই জেলাতে যাতায়াতকারী পথযাত্রীদের। তবে এ সমস্যাটা দেখার যেন কেউ নেই। বাস মালিক সমিতির সিন্ডিকেটের কারণে যশোর থেকে সরাসরি সাতক্ষীরা অথবা সাতক্ষীরা থেকে সরাসরি যশোরে যাওয়ার ব্যবস্থা এখন বন্ধ। যেতে চাইলে ভেঙে ভেঙে যেতে হচ্ছে। এতে করে পথচারীদের বাড়তি খরচ গুনতে হচ্ছে।
ইয়াসিন রাফি জানান, সাতক্ষীরায় যেতে হলে বাগআঁচড়াতে নামতে হচ্ছে। আবার সেখান থেকে আলাদা ভাড়া দিয়ে আসতে হয় বেলতলাতে। ওখান থেকে আবারও টিকিট কেটে উঠতে হচ্ছে সাতক্ষীরা কালিগঞ্জের বাসে। এর মাধ্যমে সৃষ্টি হওয়া জনদুর্ভোগ চরম আকার ধারণ করেছে।
সাতক্ষীরা বাস মালিক সমিতির নেতা সাইফুল করিম সাবু বলেন, যশোর-সাতক্ষীরার দুই মালিক সমিতির বাস একই মহাসড়কে চলে যাত্রী বহন করে। এতে যশোর বাস টার্মিনাল থেকে সাতক্ষীরার মালিক সমিতির বাসগুলো সন্তোষজনক ট্রিপ বা সিরিয়াল না পাওয়াতে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে যাতে জন দুর্ভোগের সমাধান হয় তার জন্য অতি দ্রুত যশোর বাস মালিক সমিতির কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনায় বসা হবে।
যশোর ইন্টার ডিস্ট্রিক্ট বাস সিন্ডিকেট মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আমির হোসেন বলেন, দীর্ঘদিন ধরে যশোর মালিক সমিতির বাস সরাসরি সাতক্ষীরা হয়ে কালিগঞ্জ পর্যন্ত যাত্রী নিয়ে যেতে দেওয়া হয় না। সাতক্ষীরা টার্মিনালেই সকল যাত্রীকে নামিয়ে বাস বাস বন্ধ করতে হয়। দীর্ঘদিনের এ সমস্যার সমাধান চেয়ে সাতক্ষীরা মালিক সমিতির নিকট আহ্বান জানিয়েছি। তারা কোনো ফলপ্রসূ সাড়া ও আলোচনা সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি। এ কারণে জেলাভিত্তিক বাসে যাত্রী বহন করা হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, যাতে সরাসরি যশোর থেকে কালিগঞ্জ পর্যন্ত বাস যেতে পারে এবং দীর্ঘদিনের সমস্যার সমাধান হয় সে জন্য জেলা প্রশাসক ও প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক বাস কন্ট্রাক্টর জানান, দুই জেলায় আগের মতো বাস যাতায়াত না করতে পারায় সাধারণ পথচারীদের পাশাপাশি বিপাকে পড়েছেন মোটরশ্রমিকেরাও। কমে গেছে শ্রমিকদের মজুরিও। সাতক্ষীরা থেকে বেলতলায় আসলে আগে যেখানে ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা রোজগার হতো, সেখানে এখন ১০০ থেকে ১৫০ টাকা দিনে রোজগার হচ্ছে। এ সমস্যার সমাধান না হলে পরিবার নিয়ে বিপাকে পড়তে হবে মোটরশ্রমিকদের।
সাতক্ষীরার প্রশাসক হুমায়ুন কবীর বলেন, দুই জেলার বাস মালিক সমিতির অন্তঃকোন্দল যশোর-সাতক্ষীরায় সরাসরি যাতায়াতের ক্ষেত্রে সাধারণ পথচারীদের সমস্যা হচ্ছে। অতি দ্রুত সমাধান করতে দুই জেলার মালিক সমিতির সঙ্গে আলোচনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
২ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৯ দিন আগে