তারাগঞ্জে ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে যাঁরা পক্ষে ভোট দেননি, তাঁদের বঞ্চিত না করতে নির্বাচিত চেয়ারম্যান ও সদস্যদের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে। গতকাল শনিবার উপজেলা পরিষদ হলরুমে নবনির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে পরিচিতি ও মতবিনিময় সভায় এ আহ্বান জানানো হয়।

উপজেলা প্রশাসন আয়োজিত অনুষ্ঠানে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রাসেল মিয়া সভাপতিত্ব করেন। এতে রংপুর-২ (তারাগঞ্জ-বদরগঞ্জ) আসনের সাংসদ আবুল কালাম মো. আহসানুল হক চৌধুরী ডিউক প্রধান অতিথি ছিলেন।

সভায় ইউপি চেয়ারম্যান ও সদস্যদের উদ্দেশে সাংসদ ডিউক বলেন, ‘শেখ হাসিনা উন্নয়ন করছেন, মানুষের জন্য কাজ করছেন। তা গ্রামের মানুষের কাছে প্রচার করতে হবে। পরাজিতদের নিয়ে একসঙ্গে কাজ করবেন। যাঁরা ভোট দেন নাই তাঁদের বঞ্চিত করবেন না। মনে রাখবেন, আমরা প্রতিহিংসার রাজনীতি বিশ্বাস করি না।’

বাংলাদেশ অপ্রতিরোধ্যভাবে এগিয়ে যাচ্ছে জানিয়ে সাংসদ বলেন, আজকে বাংলাদেশ উন্নতির চরম শিখরে পৌঁছাতে যাচ্ছে। অনেক দেশেই বাংলাদেশকে হিংসা করছে। ১৫ থেকে ২০ বছর আগে বাংলাদেশের ১০০ টাকায় ভারতের মাত্র ৬০ থেকে ৬৫ টাকা পাওয়া যেত। এখন সেখানে মাত্র ২৫ পয়সার ব্যবধান। শেখ হাসিনার দূরদর্শিতা, সততা, নিষ্ঠা ও পরিশ্রমের কারণে বাংলাদেশ যে এগিয়ে যাচ্ছে এটি হলো তাঁর দৃশ্যমান প্রমাণ।

ডিউক দাবি করেন, যখন সারা পৃথিবী করোনায় আক্রান্ত, বিশ্বের অনেক উন্নত দেশ যখন টিকা কিনতে পারেনি, তখন সর্বপ্রথম যে কয়েকটি দেশ টিকা কিনেছে, তার মধ্যে বাংলাদেশ একটি। আজকে দেশের ১২ কোটি মানুষ টিকা নিয়েছে। বিশ্বের অনেক ধনী দেশ এখনো তাদের নাগরিককে এ রকম টিকা দিতে পারেনি। এই সফলতার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ‘ভ্যাকসিন নেত্রী’ হয়েছেন।

নিজ এলাকার উন্নয়ন তুলে ধরে সাংসদ বলেন, ‘স্বাধীনতার পর থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত যে উন্নয়ন হয়নি, ২০১৪ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত তার ১০ গুণ উন্নয়ন করেছি। প্রত্যেকটি আসনের একটি নির্ধারিত টাকা থাকে, আমি তার চেয়ে দ্বিগুণ উন্নয়ন করেছি। রাস্তাঘাট, স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসা, সেতু, হাসপাতাল, ত্রাণ, পল্লী উন্নয়ন একাডেমি, ফায়ার সার্ভিস, বিদ্যুৎ, থানাসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে ব্যাপক উন্নয়ন সাধিত হয়েছে।’

সভায় আরও বক্তব্য দেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আনিছুর রহমান লিটন, আওয়ামী লীগের সভাপতি আতিয়ার রহমান, সাধারণ সম্পাদক হারুন অর রশিদ বাবুল, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান বায়েজিদ বোস্তামী, সাবিনা ইয়াছমিনসহ ইকরচালী, কুর্শা, আলমপুর ও সয়ার ইউপি চেয়ারম্যান। এ সময় তারাগঞ্জের বিভিন্ন সমস্যা সাংসদের কাছে তুলে ধরা হয়।

অনুষ্ঠানে পাঁচ ইউনিয়নের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যানের মধ্যে চারজন ও ৬০ ইউপি সদস্য অংশ নেন। অনুষ্ঠানের শুরুতে সাংসদ নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান ও সদস্যদের ফুল দিয়ে বরণ করেন। এরপর সাংসদকে শুভেচ্ছা জানানো হয়। সভা শেষে অতিথিদের শুভেচ্ছা স্মারক দেওয়া হয়।