তানিম আহমেদ, ঢাকা
আজ ৪ জানুয়ারি। বাংলাদেশের ইতিহাসের বাঁক সৃষ্টিকারী ছাত্রসংগঠন ছাত্রলীগের ৭৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। প্রতিষ্ঠার পর থেকে দেশের মানুষের অধিকার আদায়ে বিভিন্ন আন্দোলন-সংগ্রামে নেতৃত্ব দিয়েছে সংগঠনটি। মহান মুক্তিযুদ্ধে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছিল। তবে নানা নেতিবাচক কর্মকাণ্ডে ম্লান হওয়ার পথে ছাত্রলীগের সেই ঐতিহ্য।
২০১৮ সালের ১১-১২ মে ছাত্রলীগের ২৯তম সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। তার প্রায় দেড় মাস পর রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভনকে সভাপতি ও গোলাম রাব্বানীকে সাধারণ সম্পাদক করে কমিটি দেওয়া হয়। দুজনের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ ওঠায় ২০১৯ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর তাঁদের পদ থেকে অব্যাহতি দিয়ে জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি আল নাহিয়ান খান জয়কে ভারপ্রাপ্ত সভাপতি, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্যকে ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়। সর্বশেষ ২০২০ সালের ৪ জানুয়ারি প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে তাঁদের ভারমুক্ত ঘোষণা করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।
ভারমুক্ত হয়েই জয়-লেখক পদচ্যুত দুই নেতার পথেই হাঁটছেন। ক্ষমতা কুক্ষিগত করে রাখা, নেতা-কর্মী-সমর্থকদের সময় না দেওয়া, নিয়মিত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যানটিনে না আসা, মোবাইল ফোনে না পাওয়া, ঐক্যবদ্ধভাবে সংগঠন পরিচালনা না করা, নিয়মিত কেন্দ্রীয় কমিটির সভা না করা, কমিটির অন্য নেতাদের সঙ্গে আলোচনা না করে সাংগঠনিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও কমিটি ঘোষণা করা, সংগঠনের নেতাদের দায়িত্ব অনুযায়ী কাজ করার সুযোগ না দেওয়াসহ নানা অভিযোগ রয়েছে। নিজেদের স্বার্থহানি ঘটলেই কমিটি ভেঙে দেওয়ার অভিযোগও উঠেছে জয়-লেখকের বিরুদ্ধে। বর্তমান নেতৃত্ব অনৈতিক সুবিধা নিয়ে প্রেস রিলিজের মাধ্যমেই কমিটিতে আগ্রহী বলে অভিযোগ।
ছাত্রলীগের প্রেস রিলিজের কমিটি নিয়ে বিভিন্ন সময় আওয়ামী লীগের নেতারাও সমালোচনা করেছেন। গত সেপ্টেম্বরে অনুষ্ঠিত কার্যনির্বাহী সংসদের সভায় প্রধানমন্ত্রীর সামনে এক সাংগঠনিক সম্পাদক বলেন, ছাত্রলীগ টাকার বিনিময়ে ঢাকায় বসে কমিটি দেয়। বিএনপি-জামায়াত বাছবিচার না করে, খোঁজখবর না নিয়ে ছাত্রলীগে পদ দেওয়া হচ্ছে।
ছাত্রলীগের সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয়ের ব্যক্তিগত নম্বরে বারবার কল দিলেও তিনি রিসিভ করেননি। মেসেজ পাঠানো হলেও জবাব দেননি।
ছাত্রলীগের সহসভাপতি সোহান খান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমি ছাত্রলীগের বিগত তিন কমিটির কেন্দ্রীয় নেতা। তবে এ রকম বিশৃঙ্খল কমিটি (জয়-লেখক) আর দেখি নাই। সম্মেলনের আওয়াজ উঠবে, তাই এবার প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আগে কোনো প্রস্তুতি সভাও করেনি। আর সাধারণ সভাও তারা করেনি। আর প্রেস রিলিজ কমিটি দেয়। এগুলো নিয়ে কথা উঠবে দেখে কেন্দ্রীয় নেতাদের এড়িয়ে চলে।’
গত ১২ অক্টোবর ছাত্রলীগের সভাপতি জয় ও সাধারণ সম্পাদক লেখক স্বাক্ষরিত প্রেস রিলিজে সিলেট জেলা ও মহানগরের কমিটি দেওয়া হয়। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কমিটি প্রকাশিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে মহানগরজুড়ে বিক্ষোভ করেন নেতা-কর্মীরা। নগরীর চৌহাট্টা মোড়ে প্রতীকী অবস্থান নিয়ে তাঁরা বিভিন্ন প্ল্যাকার্ড প্রদর্শন করেন। এর মধ্যে অধিকাংশ প্ল্যাকার্ডে লেখা ছিল: ‘১ কোটি ২০ লাখ টাকার বিনিময়ে সিলেটের ছাত্রলীগ নিহত’।
শুধু সিলেট নয়, জয়-লেখক দায়িত্ব পাওয়ার পর প্রায় ২০টির বেশি সাংগঠনিক শাখার কমিটি ঘোষণা করা হয়। টাঙ্গাইল ছাড়া আর সব কমিটি প্রেস রিলিজের মাধ্যমে ঘোষণা করা হয়। প্রেস রিলিজে নির্ধারিত এসব কমিটির নেতাদের বিরুদ্ধে আওয়ামীবিরোধী পরিবার, বিভিন্ন অপরাধমূলক মামলার আসামি এবং অছাত্র, বিবাহিত ও মাদক ব্যবসায়ী, ছাত্রশিবির-ছাত্রদলের সঙ্গে সম্পৃক্ততার অভিযোগ রয়েছে।
সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা তো সব পক্ষের কমিটি দিতে সক্ষম নই। তাই যাঁদের পক্ষে যায়নি, তাঁরা অভিযোগ করতে পারেন। তবে সেটা ঠিক নয়।’
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, চুয়াডাঙ্গা, হবিগঞ্জ, ঝিনাইদহসহ ১০টির বেশি সাংগঠনিক শাখার কমিটি বিলুপ্ত করা হয় জয়-লেখক স্বাক্ষরিত প্রেস রিলিজের মাধ্যমে। সেখানে সম্মেলনের তারিখ না দিয়ে নেতৃত্বে আগ্রহীদের জীবনবৃত্তান্ত কেন্দ্রীয় দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতাদের কাছে জমার নির্দেশ দেওয়া হয়। তবে বিলুপ্ত হওয়া জামালপুর জেলার সম্মেলন ১৫ জানুয়ারি হবে বলে সংগঠন থেকে জানানো হয়েছে।
ছাত্রলীগের সহসভাপতি ইয়াজ আল রিয়াদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘প্রেস রিলিজে কমিটি দেওয়া খুবই দুঃখজনক। কারণ, এ প্রক্রিয়ায় আর্থিক লেনদেনের অভিযোগও উঠেছে। আমরা বলছি না যে টাকার বিনিময়ে কমিটি হচ্ছে। কিন্তু আমাদের কাছে অনেকে প্রশ্ন করছেন, অনৈতিক সুবিধার বিষয়ে।’
আজ ৪ জানুয়ারি। বাংলাদেশের ইতিহাসের বাঁক সৃষ্টিকারী ছাত্রসংগঠন ছাত্রলীগের ৭৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। প্রতিষ্ঠার পর থেকে দেশের মানুষের অধিকার আদায়ে বিভিন্ন আন্দোলন-সংগ্রামে নেতৃত্ব দিয়েছে সংগঠনটি। মহান মুক্তিযুদ্ধে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছিল। তবে নানা নেতিবাচক কর্মকাণ্ডে ম্লান হওয়ার পথে ছাত্রলীগের সেই ঐতিহ্য।
২০১৮ সালের ১১-১২ মে ছাত্রলীগের ২৯তম সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। তার প্রায় দেড় মাস পর রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভনকে সভাপতি ও গোলাম রাব্বানীকে সাধারণ সম্পাদক করে কমিটি দেওয়া হয়। দুজনের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ ওঠায় ২০১৯ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর তাঁদের পদ থেকে অব্যাহতি দিয়ে জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি আল নাহিয়ান খান জয়কে ভারপ্রাপ্ত সভাপতি, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্যকে ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়। সর্বশেষ ২০২০ সালের ৪ জানুয়ারি প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে তাঁদের ভারমুক্ত ঘোষণা করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।
ভারমুক্ত হয়েই জয়-লেখক পদচ্যুত দুই নেতার পথেই হাঁটছেন। ক্ষমতা কুক্ষিগত করে রাখা, নেতা-কর্মী-সমর্থকদের সময় না দেওয়া, নিয়মিত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যানটিনে না আসা, মোবাইল ফোনে না পাওয়া, ঐক্যবদ্ধভাবে সংগঠন পরিচালনা না করা, নিয়মিত কেন্দ্রীয় কমিটির সভা না করা, কমিটির অন্য নেতাদের সঙ্গে আলোচনা না করে সাংগঠনিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও কমিটি ঘোষণা করা, সংগঠনের নেতাদের দায়িত্ব অনুযায়ী কাজ করার সুযোগ না দেওয়াসহ নানা অভিযোগ রয়েছে। নিজেদের স্বার্থহানি ঘটলেই কমিটি ভেঙে দেওয়ার অভিযোগও উঠেছে জয়-লেখকের বিরুদ্ধে। বর্তমান নেতৃত্ব অনৈতিক সুবিধা নিয়ে প্রেস রিলিজের মাধ্যমেই কমিটিতে আগ্রহী বলে অভিযোগ।
ছাত্রলীগের প্রেস রিলিজের কমিটি নিয়ে বিভিন্ন সময় আওয়ামী লীগের নেতারাও সমালোচনা করেছেন। গত সেপ্টেম্বরে অনুষ্ঠিত কার্যনির্বাহী সংসদের সভায় প্রধানমন্ত্রীর সামনে এক সাংগঠনিক সম্পাদক বলেন, ছাত্রলীগ টাকার বিনিময়ে ঢাকায় বসে কমিটি দেয়। বিএনপি-জামায়াত বাছবিচার না করে, খোঁজখবর না নিয়ে ছাত্রলীগে পদ দেওয়া হচ্ছে।
ছাত্রলীগের সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয়ের ব্যক্তিগত নম্বরে বারবার কল দিলেও তিনি রিসিভ করেননি। মেসেজ পাঠানো হলেও জবাব দেননি।
ছাত্রলীগের সহসভাপতি সোহান খান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমি ছাত্রলীগের বিগত তিন কমিটির কেন্দ্রীয় নেতা। তবে এ রকম বিশৃঙ্খল কমিটি (জয়-লেখক) আর দেখি নাই। সম্মেলনের আওয়াজ উঠবে, তাই এবার প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আগে কোনো প্রস্তুতি সভাও করেনি। আর সাধারণ সভাও তারা করেনি। আর প্রেস রিলিজ কমিটি দেয়। এগুলো নিয়ে কথা উঠবে দেখে কেন্দ্রীয় নেতাদের এড়িয়ে চলে।’
গত ১২ অক্টোবর ছাত্রলীগের সভাপতি জয় ও সাধারণ সম্পাদক লেখক স্বাক্ষরিত প্রেস রিলিজে সিলেট জেলা ও মহানগরের কমিটি দেওয়া হয়। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কমিটি প্রকাশিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে মহানগরজুড়ে বিক্ষোভ করেন নেতা-কর্মীরা। নগরীর চৌহাট্টা মোড়ে প্রতীকী অবস্থান নিয়ে তাঁরা বিভিন্ন প্ল্যাকার্ড প্রদর্শন করেন। এর মধ্যে অধিকাংশ প্ল্যাকার্ডে লেখা ছিল: ‘১ কোটি ২০ লাখ টাকার বিনিময়ে সিলেটের ছাত্রলীগ নিহত’।
শুধু সিলেট নয়, জয়-লেখক দায়িত্ব পাওয়ার পর প্রায় ২০টির বেশি সাংগঠনিক শাখার কমিটি ঘোষণা করা হয়। টাঙ্গাইল ছাড়া আর সব কমিটি প্রেস রিলিজের মাধ্যমে ঘোষণা করা হয়। প্রেস রিলিজে নির্ধারিত এসব কমিটির নেতাদের বিরুদ্ধে আওয়ামীবিরোধী পরিবার, বিভিন্ন অপরাধমূলক মামলার আসামি এবং অছাত্র, বিবাহিত ও মাদক ব্যবসায়ী, ছাত্রশিবির-ছাত্রদলের সঙ্গে সম্পৃক্ততার অভিযোগ রয়েছে।
সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা তো সব পক্ষের কমিটি দিতে সক্ষম নই। তাই যাঁদের পক্ষে যায়নি, তাঁরা অভিযোগ করতে পারেন। তবে সেটা ঠিক নয়।’
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, চুয়াডাঙ্গা, হবিগঞ্জ, ঝিনাইদহসহ ১০টির বেশি সাংগঠনিক শাখার কমিটি বিলুপ্ত করা হয় জয়-লেখক স্বাক্ষরিত প্রেস রিলিজের মাধ্যমে। সেখানে সম্মেলনের তারিখ না দিয়ে নেতৃত্বে আগ্রহীদের জীবনবৃত্তান্ত কেন্দ্রীয় দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতাদের কাছে জমার নির্দেশ দেওয়া হয়। তবে বিলুপ্ত হওয়া জামালপুর জেলার সম্মেলন ১৫ জানুয়ারি হবে বলে সংগঠন থেকে জানানো হয়েছে।
ছাত্রলীগের সহসভাপতি ইয়াজ আল রিয়াদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘প্রেস রিলিজে কমিটি দেওয়া খুবই দুঃখজনক। কারণ, এ প্রক্রিয়ায় আর্থিক লেনদেনের অভিযোগও উঠেছে। আমরা বলছি না যে টাকার বিনিময়ে কমিটি হচ্ছে। কিন্তু আমাদের কাছে অনেকে প্রশ্ন করছেন, অনৈতিক সুবিধার বিষয়ে।’
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
২ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৯ দিন আগে