পিরোজপুরের কাউখালীতে কাউখালী-ভিটাবাড়িয়া সংযোগ সড়কের ৫ কিলোমিটারে ১০টি ঝুঁকিপূর্ণ সেতু। দীর্ঘদিন সংস্কার না করায় সেগুলো চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ সেতুতে চলাচল করছে এলাকাবাসী।

সেতুগুলো হলো চিরাপাড়া জেএম বিদ্যালয়ের সামনের সেতু, ফরাজী বাড়ির সেতু, হাওলাদার বাড়ির সেতু, পারসাতুরিয়া মিঞা বাড়ির সামনের সেতু, শিয়ালকাঠী বান্নাকান্দা সেতু, বেলতলা সেতু, ইউনিয়ন পরিষদের সামনের সড়কের সেতু, তালুকদার হাট সেতু, তালুকদার হাট দক্ষিণ শিয়ালকাঠী সংযোগ সেতু। এসব সেতু দিয়ে কোনো ভারী যান চলাচল করতে না পারায় ব্যবসা-বাণিজ্য ও চলাচলে দুর্ভোগে পড়েছে মানুষ।

সড়ক ও সেতু বিভাগ কর্তৃপক্ষ কিছুদিন আগে ‘ঝুঁকিপূর্ণ সেতু’ লিখে ছোট ছোট সাইনবোর্ড লাগিয়ে দিয়েছে। যার ফলে পণ্যবাহী ও ভারী যানবাহনকে প্রায় ১০ কিলোমিটার ঘুরে নৈকাঠী হয়ে পিরোজপুর সদর ও আন্ত-উপজেলা এবং আন্তজেলায় অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে। এতে অনেক সময় পণ্য নষ্ট হয়ে যায় বলে জানিয়েছেন স্থানীয় কৃষকেরা।

এলাকার কৃষক, ব্যবসায়ী ও চালকেরা অভিযোগ করে বলেন, দীর্ঘদিন এভাবে সড়কের ওপর সেতুগুলো পুনর্নির্মাণ ও সংস্কার না করার ফলে শুধু ঝুঁকিপূর্ণ কথাটি লিখে সাইনবোর্ড দিয়ে যান চলাচল প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেছে। ফলে এলাকার শত শত মানুষের এখন অতিরিক্ত অর্থ ব্যয় করে জেলা ও আন্ত-উপজেলার সঙ্গে পণ্য কেনাবেচা ও ব্যবসা-বাণিজ্য করতে হচ্ছে। এতে ব্যবসা-বাণিজ্যে আয়ের চেয়ে ব্যয় বেশি হচ্ছে।

বেলতলা এলাকার বাসিন্দা মো. মহিউদ্দিন সিকদার বলেন, বেলতলা সেতুটি খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। অনেক দিন ধরে কোনো সংস্কার নেই; সেতুটির রডগুলো আঁকাবাঁকা হয়ে বেরিয়ে গেছে। কয়েক দিন আগে পিরোজপুর সড়ক বিভাগ স্টিলের প্লেট দিয়ে ভাঙা অংশ ঢেকে দিয়েছে।

এ ব্যাপারে চিরাপাড়া-পারসাতুরিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান লাইক উজ্জামান মিন্টু বলেন, ‘আমি দায়িত্ব নিয়েছি নতুন। তবে আগামী সমন্বয় মিটিংয়ে সেতুর বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব।’

স্থানীয় জোলাগাতি ফাজিল মাদ্রাসার সভাপতি রাজু তালুকদার বলেন, ঝুঁকিপূর্ণ সব সেতু ও রাস্তা বর্ধিতকরণ কাজ দ্রুত শুরু করা হবে। ইতিমধ্যে অর্থ বরাদ্দ হয়েছে। স্থানীয় সাংসদ আনোয়ার হোসেন মঞ্জুর বরাত দিয়ে তিনি এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

এ ব্যাপারে পিরোজপুরের কাউখালী সেতু ও সড়ক বিভাগের উপসহকারী প্রকৌশলী মো. ইখতিয়ার হোসেন বলেন, কাউখালী ভিটাবাড়িয়া সড়কটি আধুনিক সড়কে পরিণত করার প্রকল্প এখন ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমোদনের অপেক্ষায়। অনুমোদন হলেই সব সেতু ও সড়ক দ্রুত সময়ের মধ্যে আধুনিক সড়কে পরিণত করা হবে।