আবির হাকিম, ঢাকা
ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন, বিভিন্ন সংস্থা ও প্রতিষ্ঠানের অধীনে ঢাকায় যাত্রীছাউনি রয়েছে দেড় শতাধিক। এগুলোর মধ্যে সিটি করপোরেশনের রয়েছে প্রায় ১০০টি এবং বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কিংবা অন্য প্রতিষ্ঠানের তৈরি করা যাত্রীছাউনি রয়েছে ৫০টিরও বেশি।
যাত্রীদের বিশ্রাম এবং বাসে ওঠানামার জন্য এসব ছাউনি নির্মাণ করা হলেও কর্তৃপক্ষের অবহেলা, নজরদারির অভাব, হকার ও মাদকসেবীদের দখলে এগুলো এখন ব্যবহারের অযোগ্য। বেশির ভাগ যাত্রীছাউনির বিভিন্ন অংশ খুলে নিয়ে গেছে মাদকাসক্ত ও ভবঘুরেরা। অধিকাংশ ছাউনিতেই প্রভাবশালীদের সহযোগিতায় গড়ে উঠেছে চা দোকান। এমনকি এসব ছাউনির সামনে দাঁড়ায় না বাসও।
নির্মল বায়ু ও টেকসই পরিবেশ (কেইস) প্রকল্পের অধীনে রাজধানীতে যাত্রীসেবা বৃদ্ধি ও গণপরিবহনের নৈরাজ্য ঠেকাতে রাস্তার পাশে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় ও ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের নির্দেশিত স্থানে ঢাকা দক্ষিণে ৭০টি ও উত্তরে ৬০টি যাত্রীছাউনি নির্মাণ করার কথা। এর মধ্যে মেট্রোরেলের কাজ চলমান থাকায় মিরপুর থেকে মতিঝিল পর্যন্ত কোনো যাত্রীছাউনি তৈরি করা হয়নি। বাকিগুলোর মধ্যে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) ৪০টি এবং ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) ৯টি যাত্রীছাউনি তৈরি করেছে।
সরেজমিনে শাহবাগ, আজিমপুর, মহাখালী, বনানীসহ বেশ কিছু যাত্রীছাউনি ঘুরে দেখা গেছে, এসব যাত্রীছাউনির সামনে বাস স্টপেজ থাকলেও, সেখানে বাস থামে না। যাত্রীছাউনির আগে বা পরে বাস দাঁড়ায়। এ জন্য যাত্রীরাও ছাউনিতে না দাঁড়িয়ে অন্য জায়গাতেই অপেক্ষা করেন।
আজিমপুর বাসস্ট্যান্ড-সংলগ্ন যাত্রীছাউনিতে দেখা যায়, এক অংশে চা দোকান এবং অন্য অংশে ফাস্ট ফুডের দোকান। বাসের জন্য অপেক্ষমাণ যাত্রীরা রাস্তার ওপর দাঁড়াতে বাধ্য হচ্ছেন। মহাখালী মোড়ে যাত্রীছাউনির সামনে কোনো বাসই থামে না। এ ছাউনির এক পাশে পান-সিগারেটের দোকান এবং অন্য পাশে কয়েকজন ভবঘুরেকে ঘুমাতে দেখা যায়। শাহবাগে ঢাকা ক্লাবের পাশের ছাউনির অংশবিশেষ খুলে নিয়ে গেছে মাদকাসক্তেরা। এ ছাড়া গুলিস্তান এলাকার কিছু যাত্রীছাউনি শেডহীন অবস্থায় দেখা গেছে।
যাত্রীছাউনিগুলোর এমন অবস্থা সম্পর্কে জানতে চাইলে বাংলাদেশ যাত্রীকল্যাণ সমিতির মহাসচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, নির্মাণের পর ছাউনিগুলো যেভাবে ফেলে রাখা হয়, মনে হয় এগুলো দেখার কোনো লোক নেই। পর্যাপ্ত নজরদারির অভাবে ছাউনিগুলো দোকানে পরিণত হয়েছে।
এ বিষয়ে ডিএসসিসির প্রধান নগর পরিকল্পনাবিদ এবং কেইস প্রকল্পের পরিচালক সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘ট্রাফিক পুলিশ ও ডিএমপির চাহিদা অনুযায়ী তাদের ঠিক করা জায়গায় আমরা যাত্রীছাউনি করেছি। সড়কের শৃঙ্খলাসহ এগুলো রক্ষণাবেক্ষণ করার দায়িত্ব পুলিশের। এ ছাড়া রক্ষণাবেক্ষণের জন্য প্রয়োজনীয় জনবলও আমাদের নেই। বিভিন্ন জায়গায় মাদকাসক্তরা যাত্রীছাউনির সরঞ্জাম খুলে নিয়ে যায়। স্থানীয় জনসাধারণ সচেতন হলে এগুলো রোধ করা যেত।’
এদিকে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যাত্রীছাউনি অনুযায়ী বাস সার্ভিস নিশ্চিত করলেই এগুলোর সঠিক ব্যবহার হবে এবং দখলমুক্ত থাকবে। গণপরিবহন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক সামছুল হক বলেন, পর্যাপ্ত নজরদারির মাধ্যমে ছাউনি অনুযায়ী বাস সার্ভিস নিশ্চিত করলে এগুলো বেদখল হওয়ার আশঙ্কা কমে আসবে। এ জন্য যেসব বাস ছাউনি থেকে যাত্রী তুলবে না, তাদের শাস্তির আওতায় আনলে তারা এ অনিয়ম থেকে বের হয়ে আসবে।
ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন, বিভিন্ন সংস্থা ও প্রতিষ্ঠানের অধীনে ঢাকায় যাত্রীছাউনি রয়েছে দেড় শতাধিক। এগুলোর মধ্যে সিটি করপোরেশনের রয়েছে প্রায় ১০০টি এবং বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কিংবা অন্য প্রতিষ্ঠানের তৈরি করা যাত্রীছাউনি রয়েছে ৫০টিরও বেশি।
যাত্রীদের বিশ্রাম এবং বাসে ওঠানামার জন্য এসব ছাউনি নির্মাণ করা হলেও কর্তৃপক্ষের অবহেলা, নজরদারির অভাব, হকার ও মাদকসেবীদের দখলে এগুলো এখন ব্যবহারের অযোগ্য। বেশির ভাগ যাত্রীছাউনির বিভিন্ন অংশ খুলে নিয়ে গেছে মাদকাসক্ত ও ভবঘুরেরা। অধিকাংশ ছাউনিতেই প্রভাবশালীদের সহযোগিতায় গড়ে উঠেছে চা দোকান। এমনকি এসব ছাউনির সামনে দাঁড়ায় না বাসও।
নির্মল বায়ু ও টেকসই পরিবেশ (কেইস) প্রকল্পের অধীনে রাজধানীতে যাত্রীসেবা বৃদ্ধি ও গণপরিবহনের নৈরাজ্য ঠেকাতে রাস্তার পাশে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় ও ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের নির্দেশিত স্থানে ঢাকা দক্ষিণে ৭০টি ও উত্তরে ৬০টি যাত্রীছাউনি নির্মাণ করার কথা। এর মধ্যে মেট্রোরেলের কাজ চলমান থাকায় মিরপুর থেকে মতিঝিল পর্যন্ত কোনো যাত্রীছাউনি তৈরি করা হয়নি। বাকিগুলোর মধ্যে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) ৪০টি এবং ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) ৯টি যাত্রীছাউনি তৈরি করেছে।
সরেজমিনে শাহবাগ, আজিমপুর, মহাখালী, বনানীসহ বেশ কিছু যাত্রীছাউনি ঘুরে দেখা গেছে, এসব যাত্রীছাউনির সামনে বাস স্টপেজ থাকলেও, সেখানে বাস থামে না। যাত্রীছাউনির আগে বা পরে বাস দাঁড়ায়। এ জন্য যাত্রীরাও ছাউনিতে না দাঁড়িয়ে অন্য জায়গাতেই অপেক্ষা করেন।
আজিমপুর বাসস্ট্যান্ড-সংলগ্ন যাত্রীছাউনিতে দেখা যায়, এক অংশে চা দোকান এবং অন্য অংশে ফাস্ট ফুডের দোকান। বাসের জন্য অপেক্ষমাণ যাত্রীরা রাস্তার ওপর দাঁড়াতে বাধ্য হচ্ছেন। মহাখালী মোড়ে যাত্রীছাউনির সামনে কোনো বাসই থামে না। এ ছাউনির এক পাশে পান-সিগারেটের দোকান এবং অন্য পাশে কয়েকজন ভবঘুরেকে ঘুমাতে দেখা যায়। শাহবাগে ঢাকা ক্লাবের পাশের ছাউনির অংশবিশেষ খুলে নিয়ে গেছে মাদকাসক্তেরা। এ ছাড়া গুলিস্তান এলাকার কিছু যাত্রীছাউনি শেডহীন অবস্থায় দেখা গেছে।
যাত্রীছাউনিগুলোর এমন অবস্থা সম্পর্কে জানতে চাইলে বাংলাদেশ যাত্রীকল্যাণ সমিতির মহাসচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, নির্মাণের পর ছাউনিগুলো যেভাবে ফেলে রাখা হয়, মনে হয় এগুলো দেখার কোনো লোক নেই। পর্যাপ্ত নজরদারির অভাবে ছাউনিগুলো দোকানে পরিণত হয়েছে।
এ বিষয়ে ডিএসসিসির প্রধান নগর পরিকল্পনাবিদ এবং কেইস প্রকল্পের পরিচালক সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘ট্রাফিক পুলিশ ও ডিএমপির চাহিদা অনুযায়ী তাদের ঠিক করা জায়গায় আমরা যাত্রীছাউনি করেছি। সড়কের শৃঙ্খলাসহ এগুলো রক্ষণাবেক্ষণ করার দায়িত্ব পুলিশের। এ ছাড়া রক্ষণাবেক্ষণের জন্য প্রয়োজনীয় জনবলও আমাদের নেই। বিভিন্ন জায়গায় মাদকাসক্তরা যাত্রীছাউনির সরঞ্জাম খুলে নিয়ে যায়। স্থানীয় জনসাধারণ সচেতন হলে এগুলো রোধ করা যেত।’
এদিকে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যাত্রীছাউনি অনুযায়ী বাস সার্ভিস নিশ্চিত করলেই এগুলোর সঠিক ব্যবহার হবে এবং দখলমুক্ত থাকবে। গণপরিবহন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক সামছুল হক বলেন, পর্যাপ্ত নজরদারির মাধ্যমে ছাউনি অনুযায়ী বাস সার্ভিস নিশ্চিত করলে এগুলো বেদখল হওয়ার আশঙ্কা কমে আসবে। এ জন্য যেসব বাস ছাউনি থেকে যাত্রী তুলবে না, তাদের শাস্তির আওতায় আনলে তারা এ অনিয়ম থেকে বের হয়ে আসবে।
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
১ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৯ দিন আগে