ভোলা সদর উপজেলার ভেদুরিয়া ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচন নিয়ে দুই সদস্য প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে নারীসহ অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছেন। গুরুতর আহত ২২ জনকে ভোলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। গত বুধবার রাত ৯টার দিকে সদর উপজেলার ভেদুরিয়া ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের লাল স্কুল এলাকায় এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় সূত্র জানায়, ভেদুরিয়া ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের লাল স্কুল এলাকায় টিউবওয়েল প্রতীকের প্রার্থী নুরুল ইসলামের নির্বাচনী কার্যালয়ের সামনে দিয়ে তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী বৈদ্যুতিক ফ্যান প্রতীকের প্রার্থী সিরাজ গোলদারের সমর্থকেরা নির্বাচনী মিছিল নিয়ে যাচ্ছিল। এ সময় সিরাজ গোলদারের সমর্থকেরা নুরুল ইসলামের নির্বাচনী কার্যালয়ের পাশে বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন। একপর্যায়ে দুই পক্ষের সমর্থকদের মধ্যে কথা-কাটাকাটি হয় এবং সংঘর্ষ শুরু হয়।

এতে টিউবওয়েল প্রতীকের মো. আলমগীর, জসিম উদ্দিন, সাদ্দাম, মাইনুউদ্দিন, কহিনু, বজলুর আলম, আশিক, রুবেল, সাকিব, সালমাসহ ২০ জন সমর্থক এবং বৈদ্যুতিক ফ্যান প্রতীকের অহিদুর রহমান, মো. রাকিব, হানিফ, আবু তাহের, আমির হোসেন, সালাউদ্দিন, মিরাজসহ ৭ জন সমর্থক গুরুতর আহত হয়েছেন। তাদের ভোলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

নুরুল ইসলাম বলেন, ‘আমার প্রতিদ্বন্দ্বী বৈদ্যুতিক ফ্যান প্রতীকের প্রার্থী গত নির্বাচনেও আমার কর্মী-সমর্থকদের ওপর হামলা চালিয়েছিলেন। তিনি আমার কর্মীদের নানাভাবে হুমকি দিয়ে আসছেন।’ তিনি আগামী ৫ জানুয়ারি অবাধ ও শান্তিপূর্ণ একটি নির্বাচনের দাবি করেন।

এদিকে, বৈদ্যুতিক ফ্যান প্রতীকের প্রার্থী সিরাজ গোলদারের সঙ্গে মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করলে তাঁর ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। তাই তাঁর বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

ভোলা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এনায়েত হোসেন জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন হয়েছে। দুই পক্ষ থেকেই মোবাইল ফোনে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ করা হয়েছে। লিখিত অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।