রাহুল শর্মা, ঢাকা
দেওয়ান মোহাম্মদ হানজালা ও শাহ্ নইমুল কাদের। দুজনই শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের (ইইডি) সাবেক প্রধান প্রকৌশলী। প্রথমজন সরকারি চাকরি থেকে অবসর নিয়েছেন প্রায় তিন বছর আগে এবং দ্বিতীয়জন প্রায় দুই মাস আগে। অবসরে গেলেও দুজনই এখনো সরকারি গাড়ি ব্যবহার করছেন। এ গাড়ির জ্বালানি, চালকের বেতন ও রক্ষণাবেক্ষণ ব্যয়সহ সব খরচ দেওয়া হচ্ছে ইইডির হিসাব শাখা থেকে।
এ দুজন সাবেক হলেও নিজ দপ্তরের গাড়ি ব্যবহার করছেন। কিন্তু ইইডির আরও ১৬টি দামি ব্র্যান্ডের বিলাসবহুল গাড়ি অবৈধভাবে ব্যবহার করছেন অন্য বিভিন্ন দপ্তরের প্রভাবশালী ব্যক্তিরা। যাঁরা কেউই নিয়ম অনুযায়ী এসব গাড়ি ব্যবহার করতেই পারেন না। অথচ ইইডিতে এমন অন্তত ১৪ জন নির্বাহী প্রকৌশলী আছেন, যাঁরা গাড়ি পাওয়ার দাবিদার, কিন্তু এখন পর্যন্ত গাড়ি পাননি। ওইসব কর্মকর্তা বলছেন, গাড়ির অভাবে তাঁরা ঠিকমতো দায়িত্ব পালন করতে পারছেন না।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ইইডির প্রধান প্রকৌশলী মো. দেলোয়ার হোসেন মজুমদার গতকাল মঙ্গলবার আকজের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমি যোগদান করেছি অল্প কয়েক দিন হলো। বিষয়টি আমার জানা নেই। গাড়ি ব্যবহারে আইনের ব্যত্যয় হলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
জানতে চাইলে সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব আলী ইমাম মজুমদার আজকের পত্রিকাকে বলেন, এটা সম্পূর্ণ বেআইনি ও রাষ্ট্রীয় সম্পদের অপব্যবহার। এমন কাজের সঙ্গে যাঁরা জড়িত তাঁদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।
বঞ্চিত ১৪ নির্বাহী প্রকৌশলী
শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর সারা দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভৌত অবকাঠামো উন্নয়ন, নতুন ভবন নির্মাণ, বিদ্যমান ভবনগুলোর সম্প্রসারণ ও রক্ষণাবেক্ষণ, মেরামত ও সংস্কার এবং আসবাব সরবরাহের কাজ করে থাকে। এ ছাড়া মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম, আইসিটি ল্যাব স্থাপন, ইন্টারনেট সংযোগ, আইসিটি-সুবিধা সরবরাহের কাজও তারা করে থাকে।
ইইডির পরিবহন বিভাগের গাড়ির বিবরণ শীর্ষক একটি প্রতিবেদন পাওয়া গেছে। এর পাশাপাশি আজকের পত্রিকার অনুসন্ধান ও ইইডির পরিবহন পুলের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও গাড়িচালকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ইইডির প্রধান কার্যালয়ে গাড়ি আছে ৪১টি। এর মধ্যে ২৩টি গাড়ি ব্যবহার করেন এ দপ্তরের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা। আর বাকি ১৮ গাড়ি অবৈধভাবে ব্যবহার করছেন সাবেক দুই প্রধান প্রকৌশলী ও অন্য দপ্তরের প্রভাবশালীরা। এসব গাড়ির সব ধরনের খরচ (জ্বালানি, রক্ষণাবেক্ষণ, চালকের বেতন) দেওয়া হচ্ছে ইইডি থেকেই। এতে প্রতি মাসে সরকারের গচ্চা যাচ্ছে লাখ লাখ টাকা।
আবার প্রধান কার্যালয়ের যে ২৩ জন সরকারি গাড়ি ব্যবহার করছেন, তাঁদের মধ্যে তিনজন গাড়ির প্রাধিকারভুক্ত নন। অর্থাৎ তাঁরা সরকারি গাড়ি ব্যবহার করতে পারেন না।
কিন্তু দপ্তরে প্রভাবশালী হওয়ায় গাড়িগুলো নিজেদের দখলে রেখে ব্যবহার করছেন। এতে বঞ্চিত হচ্ছেন ঢাকার বাইরের ১৪ জন নির্বাহী প্রকৌশলী।
গাড়ি ব্যবহারের সুবিধা পাচ্ছেন না– এমন কয়েক জেলার নির্বাহী প্রকৌশলী নাম প্রকাশ না করা শর্তে জানান, গাড়ি না থাকায় তাঁরা সময়মতো প্রকল্প এলাকা পরিদর্শন করতে পারেন না। এ সুযোগে অসাধু ঠিকাদারেরা নিম্নমানের নির্মাণসামগ্রী দিয়ে যেনতেনভাবে কাজ করছেন। এতে রাষ্ট্রের অপচয় হচ্ছে কোটি কোটি টাকা।
দুই সাবেক গাড়ি ছাড়েননি
তিন বছর আগে সরকারি চাকরি থেকে অবসরে যাওয়া ইইডির সাবেক প্রধান প্রকৌশলী দেওয়ান মোহাম্মদ হানজালা। তিনি ব্যবহার করছেন ‘মিতসুবিশি পাজেরো স্পোর্ট’ ব্র্যান্ডের বিলাসবহুল গাড়ি। যার রেজিস্ট্রেশন নম্বর ঢাকা মেট্রো ঘ-১৫-০৮২৪।
এত দিন ধরে সরকারি গাড়ি নিজের দখলে রাখার বিষয়ে জানতে গতকাল সন্ধ্যায় দেওয়ান মোহাম্মদ হানজালাকে ফোন করলে প্রতিবেদকের প্রশ্ন শুনে ফোনের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন। এরপর একাধিকবার চেষ্টা করা হলেও তাঁকে ফোনে পাওয়া যায়নি।
আর সাবেক প্রধান প্রকৌশলী শাহ্ নইমুল কাদের চাকরি ছেড়েছেন গত অক্টোবরে। কিন্তু তিনি তাঁর ব্যবহার করা গাড়িটি এখনো ফেরত দেননি। মিতসুবিশি পাজেরো স্পোর্ট ব্র্যান্ডের এ গাড়িটির রেজিস্ট্রেশন নম্বর ঢাকা মেট্রো ঘ-১৫-০৮২৬।
জানতে চাইলে শাহ্ নইমুল কাদের আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এসব ফালতু বিষয় আপনাকে কে জানিয়েছে? আপনার সাহস তো কম না। আগে বলেন, এগুলো কে জানিয়েছে আপনাকে। আপনার আর কি কোনো কাজ নেই, আমার গাড়ির খোঁজ নিতে আসছেন।’
ইইডির ১৬ গাড়িতে চড়ছেন অন্যরা
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের তিনজন অতিরিক্ত সচিব ব্যবহার করছেন মিতসুবিশি পাজেরো স্পোর্টস ব্র্যান্ডের বিলাসবহুল গাড়ি। এগুলোর রেজিস্ট্রেশন নম্বর: ঢাকা মেট্রো ঘ-১৮-০৪৮৮, ঢাকা মেট্রো ঘ-১৫-০৮২৫ ও ঢাকা মেট্রো ঘ-১৮-০৪৮৬।
এর বাইরে পরিকল্পনা কমিশনের আর্থসামাজিক বিভাগের এক সদস্য ও শিক্ষাবিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন অফিসগুলোর বিল ছাড় করে যে দপ্তর অর্থাৎ প্রধান হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তাও ব্যবহার করছেন তিনটি গাড়ি। যার রেজিস্ট্রেশন নম্বর ঢাকা মেট্রো ঘ-১৮-০৪৮৯, ঢাকা মেট্রো ঘ-১৫-০৮২৮, ঢাকা মেট্রো ঘ-১৮-২৭৫৮। এসব গাড়ির দুটি মিতসুবিশি পাজেরো স্পোর্টস ব্র্যান্ডের আর একটি মিতসুবিশি আউটল্যান্ডার এসইউভি ব্র্যান্ডের।
এ ছাড়া একটি গাড়ি ব্যবহার করছেন শিক্ষা প্রশাসনের শীর্ষ এক ব্যক্তির আস্থাভাজন এক কর্মকর্তা। যদিও প্রাধিকার অনুযায়ী তিনি গাড়ি ব্যবহার করতে পারেন না।
মিতসুবিশি আউটল্যান্ডার এসইউভি ব্র্যান্ডের গাড়িটির রেজিস্ট্রেশন নম্বর ঢাকা মেট্রো ঘ-১৮-৩৫১৬।
আর বাকি ৯টি গাড়ি ব্যবহৃত হচ্ছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী-উপমন্ত্রী এবং তাঁদের সচিবদের দপ্তরে। এর মধ্যে পাঁচটি গাড়ি মিতসুবিশি পাজেরো স্পোর্টস ব্র্যান্ডের, একটি ক্যারিবয়, ২টি মিতসুবিশি আউটল্যান্ডার এসইউভি, ১টি মাইক্রোবাস।
অবৈধভাবে ব্যবহার করা গাড়ির বিষয়ে বক্তব্য জানতে অন্তত ছয়জনের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগ করে আজকের পত্রিকা। তবে তাঁরা এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি নন। প্রসঙ্গটি তুলতেই কেউ কেউ মোবাইল ফোন কেটে দেন, কিংবা পরে যোগাযোগ করতে বলেন। কিন্তু পরে যোগাযোগের চেষ্টা করলে কেউ সাড়া দেননি। এ ছাড়া দপ্তরে একাধিকবার গিয়েও তাঁদের সাক্ষাৎ পাওয়া সম্ভব হয়নি। ফলে তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
প্রাধিকারের বাইরে যাঁরা গাড়ি চড়ছেন
শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের উপপরিচালক (প্রশাসন) আসাদুজ্জামান অবৈধভাবে ব্যবহার করছেন নিশান এক্সট্রেল ব্র্যান্ডের গাড়ি। যার রেজিস্ট্রেশন নম্বর ঢাকা মেট্রো ঘ-১৮-৬০১৪। যদিও তিনি এ গাড়ি ব্যবহারের প্রাধিকারভুক্ত নন।
এ বিষয়ে একাধিকবার আসাদুজ্জামানকে ফোন ও এসএমএস দেওয়া হলেও তিনি সাড়া দেননি।
একইভাবে প্রাধিকারভুক্ত না হয়েও গাড়ি ব্যবহার করছেন শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের ডিপ্লোমা প্রকৌশলী সমিতির সভাপতি মো. সিরাজুল ইসলাম। তিনি ব্যবহার করছেন মিতসুবিশি পাজেরো ব্র্যান্ডের একটি গাড়ি। যার রেজিস্ট্রেশন নম্বর ঢাকা মেট্রো-ঘ-১৩-৭১৯৯।
জানতে চাইলে সিরাজুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা কয়েকজন মিলে একটি গাড়ি সরকারি কাজে ব্যবহার করি।’
এ ছাড়া ইইডির প্রোগ্রামার ইফতেখার উদ্দিন আহম্মদও প্রাধিকারভুক্ত না হয়েও একটি মিতসুবিশি পাজেরো ব্র্যান্ডের একটি গাড়ি ব্যবহার করছেন। যার রেজিস্ট্রেশন নম্বর ঢাকা মেট্রো-ঘ-১১-৮৬৯৯।
এ ছাড়া সরকারের দেওয়া বিনা সুদে ঋণ নিয়ে গাড়ি কিনেছেন ইইডির পরিচালক (অর্থ ও প্রশাসন) রাহেদ হোসেন। প্রাধিকার অনুযায়ী তিনি গাড়ি পাওয়ার যোগ্য। তাই অধিদপ্তরের মিতসুবিশি পাজেরো স্পোর্টস ব্র্যান্ডের একটি গাড়ি ব্যবহার করছেন, যার নম্বর ঢাকা মেট্রো ঘ-১৫-২০৬০। কিন্তু ঋণের টাকায় গাড়ি কিনলে দপ্তর থেকে বরাদ্দ গাড়ির জন্য চালক, জ্বালানি ও রক্ষণাবেক্ষণ বাবদ ২৫ হাজার টাকা নেওয়ার কথা। কিন্তু তিনি গাড়ির পেছনে বরাদ্দ ৫০ হাজার টাকার পুরোটা নিচ্ছেন। এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমি দপ্তরের গাড়িটি শুধু অফিসে যাওয়া-আসার জন্য ব্যবহার করি। তাই সরকারি কোষাগার থেকে পুরো টাকা (৫০ হাজার) নেওয়ায় আইনের কোনো ব্যত্যয় হচ্ছে না।’
সব অনিয়ম ‘ঘুষ’ আর ক্ষমতার দাপটে
এক দপ্তরের কর্মকর্তা অন্য দপ্তরের গাড়ি ব্যবহার করেন কীভাবে? খোঁজ নিতে গিয়ে জানা গেল, বিভিন্ন সময়ে অনৈতিক সুবিধা পেতেই ইইডির গাড়িগুলো অন্য দপ্তরের কর্মকর্তাদের ব্যবহারের সুযোগ দেওয়া হয়।
প্রধান প্রকৌশলীর দপ্তরের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘মন্ত্রণালয়ের ক্ষমতাধর কর্মকর্তাদের চাহিদা অনুযায়ী যখন-তখন গাড়ি না দিলে বিভিন্ন ফাইল আটকে দেওয়া হয়। এ ছাড়া শাস্তিমূলক বদলি, পদোন্নতি আটকে দেওয়ার হুমকি তো রয়েছেই। এ ছাড়া বিভিন্ন প্রকল্প পাস/বিল/ছুটি অনুমোদনে তাঁদের (মন্ত্রণালয়ের ক্ষমতাধর কর্মকর্তাদের) সহযোগিতার প্রয়োজন হয়। তাই বিধিবহির্ভূতভাবে অন্যদের গাড়ি ব্যবহারের সুবিধা দেওয়া হয়।
ইইডির কর্মকর্তারা জানান, নিয়ম না মেনে গাড়ি ব্যবহার করতে দেওয়া একধরনের ‘ঘুষ’। আর প্রাধিকারভুক্ত না হয়েও গাড়ি ব্যবহার ইইডিতে ওপেন সিক্রেট। সবাই জানে কিন্তু কেউ ভয়ে মুখ খোলে না। বলা যায়, মূলত ক্ষমতার দাপটের কাছে সবাই অসহায়।
শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের গাড়ি কারা কারা ব্যবহার করেন—এমন প্রশ্নে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি পরিবহন দেখভালের দায়িত্বে থাকা সহকারী প্রকৌশলী (যান্ত্রিক) মো. জরজিসুর রহমান। তিনি শুধু বলেন ‘গাড়ির বিষয়ে আপনার সঙ্গে আমি কোনো কথা বলব না। কিছু জানতে হলে আপনি চিফ ইঞ্জিনিয়ারের সঙ্গে কথা বলুন।’
তবে সরকারি যানবাহন অধিদপ্তরের পরিবহন কমিশনার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মো. আবুল হাছানাত হুমায়ুন কবীর আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এক দপ্তরের গাড়ি অন্য দপ্তরে ব্যবহার হওয়ার কথা নয়। যদি হয়ে থাকে তাহলে এটা আইনের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। আর কেউ অবসরে যাওয়ার পর সরকারি গাড়ি ব্যবহার করতে পারেন না। এটা আইনের ব্যত্যয় এবং বিভাগীয় শৃঙ্খলার পরিপন্থী।’
ক্ষমতার নগ্ন অপব্যবহার
ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘গাড়ি যেভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে তা অবশ্যই ক্ষমতার অপব্যবহার এবং অনিয়ম। একই সঙ্গে সংশ্লিষ্ট নীতিমালার গুরুতর লঙ্ঘন। যাঁরা ব্যবহার করছেন তাঁরা যেমন অনিয়মের জন্য দায়ী, একই সঙ্গে যাঁরা এ ধরনের সুযোগ করে দিয়েছেন, তাঁরাও সমানভাবে দায়ী। উভয় পক্ষকে জবাবদিহির আওতায় আনা উচিত। না হলে এ ধরনের কর্মকাণ্ড অবারিতভাবে চলতেই থাকবে এবং রাষ্ট্রীয় সম্পদের অপচয় হবে।’
দেওয়ান মোহাম্মদ হানজালা ও শাহ্ নইমুল কাদের। দুজনই শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের (ইইডি) সাবেক প্রধান প্রকৌশলী। প্রথমজন সরকারি চাকরি থেকে অবসর নিয়েছেন প্রায় তিন বছর আগে এবং দ্বিতীয়জন প্রায় দুই মাস আগে। অবসরে গেলেও দুজনই এখনো সরকারি গাড়ি ব্যবহার করছেন। এ গাড়ির জ্বালানি, চালকের বেতন ও রক্ষণাবেক্ষণ ব্যয়সহ সব খরচ দেওয়া হচ্ছে ইইডির হিসাব শাখা থেকে।
এ দুজন সাবেক হলেও নিজ দপ্তরের গাড়ি ব্যবহার করছেন। কিন্তু ইইডির আরও ১৬টি দামি ব্র্যান্ডের বিলাসবহুল গাড়ি অবৈধভাবে ব্যবহার করছেন অন্য বিভিন্ন দপ্তরের প্রভাবশালী ব্যক্তিরা। যাঁরা কেউই নিয়ম অনুযায়ী এসব গাড়ি ব্যবহার করতেই পারেন না। অথচ ইইডিতে এমন অন্তত ১৪ জন নির্বাহী প্রকৌশলী আছেন, যাঁরা গাড়ি পাওয়ার দাবিদার, কিন্তু এখন পর্যন্ত গাড়ি পাননি। ওইসব কর্মকর্তা বলছেন, গাড়ির অভাবে তাঁরা ঠিকমতো দায়িত্ব পালন করতে পারছেন না।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ইইডির প্রধান প্রকৌশলী মো. দেলোয়ার হোসেন মজুমদার গতকাল মঙ্গলবার আকজের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমি যোগদান করেছি অল্প কয়েক দিন হলো। বিষয়টি আমার জানা নেই। গাড়ি ব্যবহারে আইনের ব্যত্যয় হলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
জানতে চাইলে সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব আলী ইমাম মজুমদার আজকের পত্রিকাকে বলেন, এটা সম্পূর্ণ বেআইনি ও রাষ্ট্রীয় সম্পদের অপব্যবহার। এমন কাজের সঙ্গে যাঁরা জড়িত তাঁদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।
বঞ্চিত ১৪ নির্বাহী প্রকৌশলী
শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর সারা দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভৌত অবকাঠামো উন্নয়ন, নতুন ভবন নির্মাণ, বিদ্যমান ভবনগুলোর সম্প্রসারণ ও রক্ষণাবেক্ষণ, মেরামত ও সংস্কার এবং আসবাব সরবরাহের কাজ করে থাকে। এ ছাড়া মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম, আইসিটি ল্যাব স্থাপন, ইন্টারনেট সংযোগ, আইসিটি-সুবিধা সরবরাহের কাজও তারা করে থাকে।
ইইডির পরিবহন বিভাগের গাড়ির বিবরণ শীর্ষক একটি প্রতিবেদন পাওয়া গেছে। এর পাশাপাশি আজকের পত্রিকার অনুসন্ধান ও ইইডির পরিবহন পুলের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও গাড়িচালকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ইইডির প্রধান কার্যালয়ে গাড়ি আছে ৪১টি। এর মধ্যে ২৩টি গাড়ি ব্যবহার করেন এ দপ্তরের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা। আর বাকি ১৮ গাড়ি অবৈধভাবে ব্যবহার করছেন সাবেক দুই প্রধান প্রকৌশলী ও অন্য দপ্তরের প্রভাবশালীরা। এসব গাড়ির সব ধরনের খরচ (জ্বালানি, রক্ষণাবেক্ষণ, চালকের বেতন) দেওয়া হচ্ছে ইইডি থেকেই। এতে প্রতি মাসে সরকারের গচ্চা যাচ্ছে লাখ লাখ টাকা।
আবার প্রধান কার্যালয়ের যে ২৩ জন সরকারি গাড়ি ব্যবহার করছেন, তাঁদের মধ্যে তিনজন গাড়ির প্রাধিকারভুক্ত নন। অর্থাৎ তাঁরা সরকারি গাড়ি ব্যবহার করতে পারেন না।
কিন্তু দপ্তরে প্রভাবশালী হওয়ায় গাড়িগুলো নিজেদের দখলে রেখে ব্যবহার করছেন। এতে বঞ্চিত হচ্ছেন ঢাকার বাইরের ১৪ জন নির্বাহী প্রকৌশলী।
গাড়ি ব্যবহারের সুবিধা পাচ্ছেন না– এমন কয়েক জেলার নির্বাহী প্রকৌশলী নাম প্রকাশ না করা শর্তে জানান, গাড়ি না থাকায় তাঁরা সময়মতো প্রকল্প এলাকা পরিদর্শন করতে পারেন না। এ সুযোগে অসাধু ঠিকাদারেরা নিম্নমানের নির্মাণসামগ্রী দিয়ে যেনতেনভাবে কাজ করছেন। এতে রাষ্ট্রের অপচয় হচ্ছে কোটি কোটি টাকা।
দুই সাবেক গাড়ি ছাড়েননি
তিন বছর আগে সরকারি চাকরি থেকে অবসরে যাওয়া ইইডির সাবেক প্রধান প্রকৌশলী দেওয়ান মোহাম্মদ হানজালা। তিনি ব্যবহার করছেন ‘মিতসুবিশি পাজেরো স্পোর্ট’ ব্র্যান্ডের বিলাসবহুল গাড়ি। যার রেজিস্ট্রেশন নম্বর ঢাকা মেট্রো ঘ-১৫-০৮২৪।
এত দিন ধরে সরকারি গাড়ি নিজের দখলে রাখার বিষয়ে জানতে গতকাল সন্ধ্যায় দেওয়ান মোহাম্মদ হানজালাকে ফোন করলে প্রতিবেদকের প্রশ্ন শুনে ফোনের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন। এরপর একাধিকবার চেষ্টা করা হলেও তাঁকে ফোনে পাওয়া যায়নি।
আর সাবেক প্রধান প্রকৌশলী শাহ্ নইমুল কাদের চাকরি ছেড়েছেন গত অক্টোবরে। কিন্তু তিনি তাঁর ব্যবহার করা গাড়িটি এখনো ফেরত দেননি। মিতসুবিশি পাজেরো স্পোর্ট ব্র্যান্ডের এ গাড়িটির রেজিস্ট্রেশন নম্বর ঢাকা মেট্রো ঘ-১৫-০৮২৬।
জানতে চাইলে শাহ্ নইমুল কাদের আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এসব ফালতু বিষয় আপনাকে কে জানিয়েছে? আপনার সাহস তো কম না। আগে বলেন, এগুলো কে জানিয়েছে আপনাকে। আপনার আর কি কোনো কাজ নেই, আমার গাড়ির খোঁজ নিতে আসছেন।’
ইইডির ১৬ গাড়িতে চড়ছেন অন্যরা
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের তিনজন অতিরিক্ত সচিব ব্যবহার করছেন মিতসুবিশি পাজেরো স্পোর্টস ব্র্যান্ডের বিলাসবহুল গাড়ি। এগুলোর রেজিস্ট্রেশন নম্বর: ঢাকা মেট্রো ঘ-১৮-০৪৮৮, ঢাকা মেট্রো ঘ-১৫-০৮২৫ ও ঢাকা মেট্রো ঘ-১৮-০৪৮৬।
এর বাইরে পরিকল্পনা কমিশনের আর্থসামাজিক বিভাগের এক সদস্য ও শিক্ষাবিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন অফিসগুলোর বিল ছাড় করে যে দপ্তর অর্থাৎ প্রধান হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তাও ব্যবহার করছেন তিনটি গাড়ি। যার রেজিস্ট্রেশন নম্বর ঢাকা মেট্রো ঘ-১৮-০৪৮৯, ঢাকা মেট্রো ঘ-১৫-০৮২৮, ঢাকা মেট্রো ঘ-১৮-২৭৫৮। এসব গাড়ির দুটি মিতসুবিশি পাজেরো স্পোর্টস ব্র্যান্ডের আর একটি মিতসুবিশি আউটল্যান্ডার এসইউভি ব্র্যান্ডের।
এ ছাড়া একটি গাড়ি ব্যবহার করছেন শিক্ষা প্রশাসনের শীর্ষ এক ব্যক্তির আস্থাভাজন এক কর্মকর্তা। যদিও প্রাধিকার অনুযায়ী তিনি গাড়ি ব্যবহার করতে পারেন না।
মিতসুবিশি আউটল্যান্ডার এসইউভি ব্র্যান্ডের গাড়িটির রেজিস্ট্রেশন নম্বর ঢাকা মেট্রো ঘ-১৮-৩৫১৬।
আর বাকি ৯টি গাড়ি ব্যবহৃত হচ্ছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী-উপমন্ত্রী এবং তাঁদের সচিবদের দপ্তরে। এর মধ্যে পাঁচটি গাড়ি মিতসুবিশি পাজেরো স্পোর্টস ব্র্যান্ডের, একটি ক্যারিবয়, ২টি মিতসুবিশি আউটল্যান্ডার এসইউভি, ১টি মাইক্রোবাস।
অবৈধভাবে ব্যবহার করা গাড়ির বিষয়ে বক্তব্য জানতে অন্তত ছয়জনের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগ করে আজকের পত্রিকা। তবে তাঁরা এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি নন। প্রসঙ্গটি তুলতেই কেউ কেউ মোবাইল ফোন কেটে দেন, কিংবা পরে যোগাযোগ করতে বলেন। কিন্তু পরে যোগাযোগের চেষ্টা করলে কেউ সাড়া দেননি। এ ছাড়া দপ্তরে একাধিকবার গিয়েও তাঁদের সাক্ষাৎ পাওয়া সম্ভব হয়নি। ফলে তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
প্রাধিকারের বাইরে যাঁরা গাড়ি চড়ছেন
শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের উপপরিচালক (প্রশাসন) আসাদুজ্জামান অবৈধভাবে ব্যবহার করছেন নিশান এক্সট্রেল ব্র্যান্ডের গাড়ি। যার রেজিস্ট্রেশন নম্বর ঢাকা মেট্রো ঘ-১৮-৬০১৪। যদিও তিনি এ গাড়ি ব্যবহারের প্রাধিকারভুক্ত নন।
এ বিষয়ে একাধিকবার আসাদুজ্জামানকে ফোন ও এসএমএস দেওয়া হলেও তিনি সাড়া দেননি।
একইভাবে প্রাধিকারভুক্ত না হয়েও গাড়ি ব্যবহার করছেন শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের ডিপ্লোমা প্রকৌশলী সমিতির সভাপতি মো. সিরাজুল ইসলাম। তিনি ব্যবহার করছেন মিতসুবিশি পাজেরো ব্র্যান্ডের একটি গাড়ি। যার রেজিস্ট্রেশন নম্বর ঢাকা মেট্রো-ঘ-১৩-৭১৯৯।
জানতে চাইলে সিরাজুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা কয়েকজন মিলে একটি গাড়ি সরকারি কাজে ব্যবহার করি।’
এ ছাড়া ইইডির প্রোগ্রামার ইফতেখার উদ্দিন আহম্মদও প্রাধিকারভুক্ত না হয়েও একটি মিতসুবিশি পাজেরো ব্র্যান্ডের একটি গাড়ি ব্যবহার করছেন। যার রেজিস্ট্রেশন নম্বর ঢাকা মেট্রো-ঘ-১১-৮৬৯৯।
এ ছাড়া সরকারের দেওয়া বিনা সুদে ঋণ নিয়ে গাড়ি কিনেছেন ইইডির পরিচালক (অর্থ ও প্রশাসন) রাহেদ হোসেন। প্রাধিকার অনুযায়ী তিনি গাড়ি পাওয়ার যোগ্য। তাই অধিদপ্তরের মিতসুবিশি পাজেরো স্পোর্টস ব্র্যান্ডের একটি গাড়ি ব্যবহার করছেন, যার নম্বর ঢাকা মেট্রো ঘ-১৫-২০৬০। কিন্তু ঋণের টাকায় গাড়ি কিনলে দপ্তর থেকে বরাদ্দ গাড়ির জন্য চালক, জ্বালানি ও রক্ষণাবেক্ষণ বাবদ ২৫ হাজার টাকা নেওয়ার কথা। কিন্তু তিনি গাড়ির পেছনে বরাদ্দ ৫০ হাজার টাকার পুরোটা নিচ্ছেন। এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমি দপ্তরের গাড়িটি শুধু অফিসে যাওয়া-আসার জন্য ব্যবহার করি। তাই সরকারি কোষাগার থেকে পুরো টাকা (৫০ হাজার) নেওয়ায় আইনের কোনো ব্যত্যয় হচ্ছে না।’
সব অনিয়ম ‘ঘুষ’ আর ক্ষমতার দাপটে
এক দপ্তরের কর্মকর্তা অন্য দপ্তরের গাড়ি ব্যবহার করেন কীভাবে? খোঁজ নিতে গিয়ে জানা গেল, বিভিন্ন সময়ে অনৈতিক সুবিধা পেতেই ইইডির গাড়িগুলো অন্য দপ্তরের কর্মকর্তাদের ব্যবহারের সুযোগ দেওয়া হয়।
প্রধান প্রকৌশলীর দপ্তরের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘মন্ত্রণালয়ের ক্ষমতাধর কর্মকর্তাদের চাহিদা অনুযায়ী যখন-তখন গাড়ি না দিলে বিভিন্ন ফাইল আটকে দেওয়া হয়। এ ছাড়া শাস্তিমূলক বদলি, পদোন্নতি আটকে দেওয়ার হুমকি তো রয়েছেই। এ ছাড়া বিভিন্ন প্রকল্প পাস/বিল/ছুটি অনুমোদনে তাঁদের (মন্ত্রণালয়ের ক্ষমতাধর কর্মকর্তাদের) সহযোগিতার প্রয়োজন হয়। তাই বিধিবহির্ভূতভাবে অন্যদের গাড়ি ব্যবহারের সুবিধা দেওয়া হয়।
ইইডির কর্মকর্তারা জানান, নিয়ম না মেনে গাড়ি ব্যবহার করতে দেওয়া একধরনের ‘ঘুষ’। আর প্রাধিকারভুক্ত না হয়েও গাড়ি ব্যবহার ইইডিতে ওপেন সিক্রেট। সবাই জানে কিন্তু কেউ ভয়ে মুখ খোলে না। বলা যায়, মূলত ক্ষমতার দাপটের কাছে সবাই অসহায়।
শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের গাড়ি কারা কারা ব্যবহার করেন—এমন প্রশ্নে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি পরিবহন দেখভালের দায়িত্বে থাকা সহকারী প্রকৌশলী (যান্ত্রিক) মো. জরজিসুর রহমান। তিনি শুধু বলেন ‘গাড়ির বিষয়ে আপনার সঙ্গে আমি কোনো কথা বলব না। কিছু জানতে হলে আপনি চিফ ইঞ্জিনিয়ারের সঙ্গে কথা বলুন।’
তবে সরকারি যানবাহন অধিদপ্তরের পরিবহন কমিশনার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মো. আবুল হাছানাত হুমায়ুন কবীর আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এক দপ্তরের গাড়ি অন্য দপ্তরে ব্যবহার হওয়ার কথা নয়। যদি হয়ে থাকে তাহলে এটা আইনের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। আর কেউ অবসরে যাওয়ার পর সরকারি গাড়ি ব্যবহার করতে পারেন না। এটা আইনের ব্যত্যয় এবং বিভাগীয় শৃঙ্খলার পরিপন্থী।’
ক্ষমতার নগ্ন অপব্যবহার
ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘গাড়ি যেভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে তা অবশ্যই ক্ষমতার অপব্যবহার এবং অনিয়ম। একই সঙ্গে সংশ্লিষ্ট নীতিমালার গুরুতর লঙ্ঘন। যাঁরা ব্যবহার করছেন তাঁরা যেমন অনিয়মের জন্য দায়ী, একই সঙ্গে যাঁরা এ ধরনের সুযোগ করে দিয়েছেন, তাঁরাও সমানভাবে দায়ী। উভয় পক্ষকে জবাবদিহির আওতায় আনা উচিত। না হলে এ ধরনের কর্মকাণ্ড অবারিতভাবে চলতেই থাকবে এবং রাষ্ট্রীয় সম্পদের অপচয় হবে।’
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
১ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৯ দিন আগে