নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
দেশে যেভাবে লোডশেডিং বাড়ছে তাতে যেকোনো সময় জনরোষ সৃষ্টি হতে পারে—গতকাল জাতীয় সংসদে এমন আশঙ্কার কথাই জানিয়েছেন সংসদ সদস্যরা। এই পরিস্থিতিতে সবাইকে ধৈর্য ধরতে বলেছেন বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। সেই সঙ্গে আগামী ১৫ দিনের মধ্যে বিদ্যুৎ পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে যাবে বলেও আশ্বাস দেন তিনি।
গতকাল জাতীয় সংসদে ২০২২-২৩ অর্থবছরের সম্পূরক বাজেটে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের মঞ্জুরি দাবির ওপর ছাঁটাই প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা হয়। একপর্যায়ে আলোচনা বিদ্যুৎ-সংকটের দিকে মোড় নেয়।
চলমান লোডশেডিং নিয়ে সরকারের সমালোচনায় মেতে ওঠেন বিরোধীদলীয় সংসদ সদস্যরা।
জাতীয় পার্টির (জাপা) সংসদ সদস্য শামীম হায়দার পাটোয়ারী বলেন, ‘এখন কমবেশি ১ হাজার ৫০০ মেগাওয়াট লোডশেডিং হচ্ছে। এই লোডশেডিং আরও বাড়বে। বিল পরিশোধের কারণে পায়রা বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ করে দিয়েছেন। বিদ্যুৎ বিল তো মানুষের বাকি নেই। গ্রাহকেরা তো সবাই বিল দিচ্ছেন। তাহলে এই বিল কেন বাকি থাকছে? একটা হতে পারে ক্যাপাসিটি চার্জ। গণমাধ্যমে দেখেছি, ৯০ হাজার কোটি টাকা ক্যাপাসিটি চার্জ এসেছে। ২০ হাজার কোটি টাকা নাকি এখনো বাকি আছে। কেন এত ক্যাপাসিটি চার্জ হয়? কেন চুক্তিটা এভাবে করা হলো যে ক্যাপাসিটি চার্জ দিতেই হবে। কেন বিদ্যুৎ উৎপাদনের সঙ্গে খাম্বা ও সঞ্চালন লাইন করা হলো না?’
বিএনপির আমলে বিদ্যুৎ ছিল না, খাম্বা ছিল দাবি করে শামীম হায়দার পাটোয়ারী বলেন, ‘এখন বিদ্যুৎ আছে খাম্বা নেই। ক্যাপাসিটি চার্জ দিতে হচ্ছে। টাকা শর্টেজ। মানুষ গরমে কষ্ট পাচ্ছে। মোগল আমলে মানুষ যে কষ্টে ছিল, এখন তার থেকে বেশি কষ্টে আছে। ১৫৩টি কেন্দ্রের সবগুলোতে কম উৎপাদন হচ্ছে। সরকারের ধারাবাহিক সাফল্যের একটি জায়গা ছিল বিদ্যুৎ। সেটি একেবারেই নষ্ট হয়ে গেল। এর থেকে তো আমি মনে করি জনরোষের সৃষ্টি হবে।’
জাপার আরেক সংসদ সদস্য ফখরুল ইমাম বলেন, ‘আমাদের ১৪ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ দরকার, কিন্তু করে ফেলেছি ২৬ হাজার মেগাওয়াট। আর আজকে উৎপাদন হচ্ছে ৭ হাজার মেগাওয়াট।’
দেশের জ্বালানি নিরাপত্তা ও বিদ্যুৎ বিভাগ হুমকির মধ্যে পড়েছে দাবি করে বিরোধীদলীয় সংসদ সদস্য রওশন আরা মান্নান বলেন, ‘কবে যে আবার লোডশেডিং কমবে। এখন যেভাবে বিদ্যুৎ সমস্যা দেখা দিচ্ছে, ১০ বছর পরে আমাদের গ্যাসও শেষ হয়ে যাবে।’
সংসদ সদস্য কাজী ফিরোজ রশীদ ত্বরিত গতিতে কয়লা আমদানি করে বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো চালুর দাবি জানান। তিনি বলেন, ‘বিদ্যুৎ না থাকলে দেশের অগ্রগতি থেমে যাবে। কৃষি উৎপাদন কমে যাবে। সমস্ত জায়গায় স্থবিরতা তৈরি হবে। আগেই যদি কয়লা বা ডিজেল আমদানি করা যেত আজকের এই সমস্যা হতো না। আমাদের মন্ত্রণালয়গুলোর মধ্যে কোনো সমন্বয় নেই।’
রুস্তম আলী ফরাজী বলেন, শতভাগ বিদ্যুৎ দিয়েছে সরকার। বিদ্যুৎ চলে যাচ্ছে কিন্তু মন্ত্রীর কোনো কথা নেই। কেন? জনগণকে কনভিন্স করতে হবে। গণশুনানি করে বিষয়টি জানাতে হবে। লোডশেডিংয়ের বিষয়ে কেউ বলতে পারেন না। লোডশেডিংয়ের তথ্য জানাতে হবে। কোথায় অব্যবস্থাপনা রয়েছে, সেটা দেখতে হবে।
সংসদের চলতি অধিবেশনে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ চলতি অর্থবছরে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের জন্য ৩২ কোটি ৪৬ লাখ ৪ হাজার টাকা মঞ্জুরি দাবি করেন। তাঁর এই দাবিতে ছাঁটাই প্রস্তাব দেন জাতীয় পার্টির নয়জন এবং গণফোরামের একজন সংসদ সদস্য।
ছাঁটাই প্রস্তাবের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে প্রতিমন্ত্রী সংসদ সদস্যদের বক্তব্যের জবাব দেন। বর্তমান বিদ্যুৎ-সংকট আকস্মিক উল্লেখ করে নসরুল হামিদ বলেন, ‘আমরা যেকোনো মুহূর্তে ২০ থেকে ২২ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ দিতে পারি। তার জন্য দরকার জ্বালানি।’
বর্তমান সংকটের প্রেক্ষাপট তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘আমরা সময়মতো কয়লার জন্য এলসি করতে পারিনি। বৈশ্বিক ব্যবস্থা ও বর্তমানে অর্থনৈতিক ব্যবস্থা সবকিছুর ওপর চিন্তা করে আমরা সময়মতো কয়লাটা আনতে পারি নাই। যার কারণে পায়রার এ অবস্থা হয়েছে। আগামী ১৫ দিনের মধ্যে প্ল্যান্ট চালু করে দেব।’
জ্বালানি আমদানিতে অর্থসংকটের কথা তুলে ধরে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘কিছু কিছু জায়গা আমাদের সমস্যা হচ্ছে। জ্বালানির বৈশ্বিক দাম বেড়ে যাওয়ায় আমাদের অর্থের জোগানটা সমস্যা হয়ে গেছে। এটা বেশি দিনের জন্য না। আমরা মনে করি, ১৫-১৬ দিনের মধ্যে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে। আপনারা সকলেই একটু ধৈর্য ধরেন।’
দেশে যেভাবে লোডশেডিং বাড়ছে তাতে যেকোনো সময় জনরোষ সৃষ্টি হতে পারে—গতকাল জাতীয় সংসদে এমন আশঙ্কার কথাই জানিয়েছেন সংসদ সদস্যরা। এই পরিস্থিতিতে সবাইকে ধৈর্য ধরতে বলেছেন বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। সেই সঙ্গে আগামী ১৫ দিনের মধ্যে বিদ্যুৎ পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে যাবে বলেও আশ্বাস দেন তিনি।
গতকাল জাতীয় সংসদে ২০২২-২৩ অর্থবছরের সম্পূরক বাজেটে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের মঞ্জুরি দাবির ওপর ছাঁটাই প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা হয়। একপর্যায়ে আলোচনা বিদ্যুৎ-সংকটের দিকে মোড় নেয়।
চলমান লোডশেডিং নিয়ে সরকারের সমালোচনায় মেতে ওঠেন বিরোধীদলীয় সংসদ সদস্যরা।
জাতীয় পার্টির (জাপা) সংসদ সদস্য শামীম হায়দার পাটোয়ারী বলেন, ‘এখন কমবেশি ১ হাজার ৫০০ মেগাওয়াট লোডশেডিং হচ্ছে। এই লোডশেডিং আরও বাড়বে। বিল পরিশোধের কারণে পায়রা বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ করে দিয়েছেন। বিদ্যুৎ বিল তো মানুষের বাকি নেই। গ্রাহকেরা তো সবাই বিল দিচ্ছেন। তাহলে এই বিল কেন বাকি থাকছে? একটা হতে পারে ক্যাপাসিটি চার্জ। গণমাধ্যমে দেখেছি, ৯০ হাজার কোটি টাকা ক্যাপাসিটি চার্জ এসেছে। ২০ হাজার কোটি টাকা নাকি এখনো বাকি আছে। কেন এত ক্যাপাসিটি চার্জ হয়? কেন চুক্তিটা এভাবে করা হলো যে ক্যাপাসিটি চার্জ দিতেই হবে। কেন বিদ্যুৎ উৎপাদনের সঙ্গে খাম্বা ও সঞ্চালন লাইন করা হলো না?’
বিএনপির আমলে বিদ্যুৎ ছিল না, খাম্বা ছিল দাবি করে শামীম হায়দার পাটোয়ারী বলেন, ‘এখন বিদ্যুৎ আছে খাম্বা নেই। ক্যাপাসিটি চার্জ দিতে হচ্ছে। টাকা শর্টেজ। মানুষ গরমে কষ্ট পাচ্ছে। মোগল আমলে মানুষ যে কষ্টে ছিল, এখন তার থেকে বেশি কষ্টে আছে। ১৫৩টি কেন্দ্রের সবগুলোতে কম উৎপাদন হচ্ছে। সরকারের ধারাবাহিক সাফল্যের একটি জায়গা ছিল বিদ্যুৎ। সেটি একেবারেই নষ্ট হয়ে গেল। এর থেকে তো আমি মনে করি জনরোষের সৃষ্টি হবে।’
জাপার আরেক সংসদ সদস্য ফখরুল ইমাম বলেন, ‘আমাদের ১৪ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ দরকার, কিন্তু করে ফেলেছি ২৬ হাজার মেগাওয়াট। আর আজকে উৎপাদন হচ্ছে ৭ হাজার মেগাওয়াট।’
দেশের জ্বালানি নিরাপত্তা ও বিদ্যুৎ বিভাগ হুমকির মধ্যে পড়েছে দাবি করে বিরোধীদলীয় সংসদ সদস্য রওশন আরা মান্নান বলেন, ‘কবে যে আবার লোডশেডিং কমবে। এখন যেভাবে বিদ্যুৎ সমস্যা দেখা দিচ্ছে, ১০ বছর পরে আমাদের গ্যাসও শেষ হয়ে যাবে।’
সংসদ সদস্য কাজী ফিরোজ রশীদ ত্বরিত গতিতে কয়লা আমদানি করে বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো চালুর দাবি জানান। তিনি বলেন, ‘বিদ্যুৎ না থাকলে দেশের অগ্রগতি থেমে যাবে। কৃষি উৎপাদন কমে যাবে। সমস্ত জায়গায় স্থবিরতা তৈরি হবে। আগেই যদি কয়লা বা ডিজেল আমদানি করা যেত আজকের এই সমস্যা হতো না। আমাদের মন্ত্রণালয়গুলোর মধ্যে কোনো সমন্বয় নেই।’
রুস্তম আলী ফরাজী বলেন, শতভাগ বিদ্যুৎ দিয়েছে সরকার। বিদ্যুৎ চলে যাচ্ছে কিন্তু মন্ত্রীর কোনো কথা নেই। কেন? জনগণকে কনভিন্স করতে হবে। গণশুনানি করে বিষয়টি জানাতে হবে। লোডশেডিংয়ের বিষয়ে কেউ বলতে পারেন না। লোডশেডিংয়ের তথ্য জানাতে হবে। কোথায় অব্যবস্থাপনা রয়েছে, সেটা দেখতে হবে।
সংসদের চলতি অধিবেশনে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ চলতি অর্থবছরে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের জন্য ৩২ কোটি ৪৬ লাখ ৪ হাজার টাকা মঞ্জুরি দাবি করেন। তাঁর এই দাবিতে ছাঁটাই প্রস্তাব দেন জাতীয় পার্টির নয়জন এবং গণফোরামের একজন সংসদ সদস্য।
ছাঁটাই প্রস্তাবের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে প্রতিমন্ত্রী সংসদ সদস্যদের বক্তব্যের জবাব দেন। বর্তমান বিদ্যুৎ-সংকট আকস্মিক উল্লেখ করে নসরুল হামিদ বলেন, ‘আমরা যেকোনো মুহূর্তে ২০ থেকে ২২ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ দিতে পারি। তার জন্য দরকার জ্বালানি।’
বর্তমান সংকটের প্রেক্ষাপট তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘আমরা সময়মতো কয়লার জন্য এলসি করতে পারিনি। বৈশ্বিক ব্যবস্থা ও বর্তমানে অর্থনৈতিক ব্যবস্থা সবকিছুর ওপর চিন্তা করে আমরা সময়মতো কয়লাটা আনতে পারি নাই। যার কারণে পায়রার এ অবস্থা হয়েছে। আগামী ১৫ দিনের মধ্যে প্ল্যান্ট চালু করে দেব।’
জ্বালানি আমদানিতে অর্থসংকটের কথা তুলে ধরে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘কিছু কিছু জায়গা আমাদের সমস্যা হচ্ছে। জ্বালানির বৈশ্বিক দাম বেড়ে যাওয়ায় আমাদের অর্থের জোগানটা সমস্যা হয়ে গেছে। এটা বেশি দিনের জন্য না। আমরা মনে করি, ১৫-১৬ দিনের মধ্যে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে। আপনারা সকলেই একটু ধৈর্য ধরেন।’
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
১ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৮ দিন আগে