রাষ্ট্রীয় খাতে জ্বালানি তেল আমদানি করে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন (বিপিসি)। এই তেল আমদানিতে বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই ব্যবহৃত হচ্ছে বিদেশি জাহাজ। নিজস্ব জাহাজে এই তেল পরিবহন করতে বিপিসিকে কয়েক দফায় চিঠি দিয়েছে বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের (বিএসসি)। তবে এতে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়নি।

সর্বশেষ ২৫ জানুয়ারি বিএসসি থেকে বিপিসিকে চিঠি দেওয়া হয়। এ বিষয়ে নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিবের (উন্নয়ন) নেতৃত্বে একটি কমিটিও করা হয়। এই কমিটির সিদ্ধান্তহীনতার কারণে সরকারি দুই সংস্থার মধ্যে জ্বালানি তেল পরিবহনে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে।

বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে আমদানি করা জ্বালানি তেল বিএসসির জাহাজে পরিবহনের নির্দেশনা দিয়ে গত বছরের ১৪ ডিসেম্বর বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন (বিপিসি) এবং শিপিং এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশনকে এক চিঠি দেয় নৌ বাণিজ্য দপ্তর।

বিপিসি সূত্র জানায়, বিএসসির জাহাজে তেল পরিবহন নিয়ে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিবকে (উন্নয়ন) আহ্বায়ক করে আট সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়। এই কমিটি বিএসসির জাহাজে জ্বালানি তেল পরিবহনের বিষয়ে পরবর্তী করণীয় নির্ধারণ করবে বলে জানা গেছে। পরিবহন সংক্রান্ত কমিটির সভা ২৩ ডিসেম্বর হওয়ার কথা ছিল। তবে আহ্বায়কের পদোন্নতি ও বদলিজনিত কারণে সভাটি হয়নি।

বিএসসির নির্বাহী পরিচালক (বাণিজ্য) ড. পিযুষ দত্ত বলেন, ‘আন্তর্জাতিক ভাড়ায় থাকা আমাদের বাল্ক ট্যাংকার তিনটি জাহাজ চলতি বছরের মে-জুনের মধ্যে ফ্রি হবে। দেশে আমদানি করা জ্বালানি তেল পরিবহনের বিষয়ে আলোচনা চলছে। বিষয়টি নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হলেই বিএসসির জাহাজ দিয়ে বিপিসির তেল পরিবহন শুরু হবে।’

কমিটির বিএসসির প্রতিনিধি ও উপমহাব্যবস্থাপক (চার্টারিং) মো. রেজাউল করিম বলেন, আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী দেশীয় জাহাজ থাকলে সে দেশের জাহাজে পণ্য বা জ্বালানি তেল পরিবহন করতে হয়।

বিপিসি বর্তমানে বছরে ৪৫ লাখ থেকে ৫০ লাখ মেট্রিক টন ডিজেল, অকটেন, পেট্রলসহ পরিশোধিত জ্বালানি আমদানি করে।