হোমনা প্রতিনিধি
১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বরের পর জাতি যখন বিজয়ের আনন্দে উদ্বেল তখনো হোমনা উপজেলার ঘাগুটিয়া গ্রামের মানুষ মুক্তির প্রহর গুনছিলেন। ঘাগুটিয়া গ্রামের বড় মসজিদকে কেন্দ্র করে ক্যাম্প স্থাপন করে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের বিজয় উল্লাস ঠেকাতে লড়াই অব্যাহত রেখেছিল পাকিস্তানি বাহিনী। সপ্তাহব্যাপী রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পর অবশেষে ২৩ ডিসেম্বর পাকিস্তানি বাহিনী মিত্রবাহিনীর কাছে আত্মসমর্পণ করে।
ফোর বেঙ্গল রেজিমেন্টের নায়েক ও হোমনা থানার অপারেশন কমান্ডার মো. ইব্রাহীম খলিলের নেতৃত্বে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর হোমনা, দাউদকান্দি, মুরাদনগর বাঞ্ছারামপুর ও আড়াইহাজারের বীর মুক্তিযোদ্ধারা চারদিক থেকে পাকিস্তানি বাহিনীর ঘাগুটিয়া ক্যাম্প আক্রমণ করেন। ২২ ডিসেম্বর রাতে পাকিস্তানি বাহিনী মাইকে আত্মসমর্পণের ঘোষণা দেয় এবং পরদিন ২৩ ডিসেম্বর শুক্রবার হোমনা থানায় আনুষ্ঠানিকভাবে আত্মসমর্পণ করেন তাঁরা। এ যুদ্ধে দুই শতাধিক পাকিস্তানি সেনা নিহত ও একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হন। আহত হন ১৭ জন বীর মুক্তিযোদ্ধা।
উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার মো. মোশাররফ হোসেন জানান, দীর্ঘ ৯ মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পর ১৬ ডিসেম্বর চূড়ান্ত বিজয় অর্জনের মধ্য দিয়ে স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে পৃথিবীর মানচিত্রে বাংলাদেশের অভ্যুদয় ঘটে। সেদিনও হোমনা উপজেলার পরাধীনতার শিকল ভাঙতে বীর মুক্তিযোদ্ধারা পাকিস্তানি বাহিনীর বিরুদ্ধে প্রাণপণ লড়ে যাচ্ছিলেন।
একপর্যায়ে পুরো উপজেলা হানাদারমুক্ত হলেও নতুন করে উপজেলার ঘাগুটিয়া ইউনিয়নের ঘাগুটিয়া বড় মসজিদকে কেন্দ্র করে পাকিস্তানি বাহিনী ঘাঁটি গাড়ে। এরপর এই স্থানে যুদ্ধ চলে সপ্তাহব্যাপী।
সেই থেকে হোমনার সর্বশেষ যুদ্ধের স্থানটি স্মরণীয় করে রাখার উদ্দেশ্যে উপজেলার বীর মুক্তিযোদ্ধারা প্রতিবছর হোমনায় ঘাগুটিয়ামুক্ত দিবস পালন করছেন।
আজকের কর্মসূচি:
হোমনার সর্বশেষ যুদ্ধ জয়ের ঘটনা স্মরণীয় করে রাখার উদ্দেশ্যে উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ বিভিন্ন কর্মসূচির আয়োজন করেছে। এর অংশ হিসেবে আজ বৃহস্পতিবার দুলালপুর ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) কমপ্লেক্স থেকে বীর মুক্তিযোদ্ধারা বিজয় শোভাযাত্রা বের করবেন। শোভাযাত্রা শেষে ঘাগুটিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, আলোচনা সভা এবং এলাকার কৃতী শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা দেওয়া হবে।
প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে দিনের অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করবেন কুমিল্লা-২ (হোমনা ও তিতাস) আসনের সাংসদ সেলিমা আহমাদ। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রুমন দে সভাপতিত্ব করবেন। বিশেষ অতিথি থাকবেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রেহানা বেগম, ভাইস চেয়ারম্যান মুহসিন সরকার, নারী ভাইস চেয়ারম্যান নাছিমা আক্তার রিনা, পৌর মেয়র মো. নজরুল ইসলাম, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মিজানুর রহমান, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কায়েস আকন্দ।
অনুষ্ঠান পরিচালনার দায়িত্বে রয়েছেন উপজেলা ঘাদানি কমিটির সভাপতি খন্দকার মাহবুবুর রহমান। উপজেলার বীর মুক্তিযোদ্ধাদের এসব কর্মসূচিতে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বরের পর জাতি যখন বিজয়ের আনন্দে উদ্বেল তখনো হোমনা উপজেলার ঘাগুটিয়া গ্রামের মানুষ মুক্তির প্রহর গুনছিলেন। ঘাগুটিয়া গ্রামের বড় মসজিদকে কেন্দ্র করে ক্যাম্প স্থাপন করে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের বিজয় উল্লাস ঠেকাতে লড়াই অব্যাহত রেখেছিল পাকিস্তানি বাহিনী। সপ্তাহব্যাপী রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পর অবশেষে ২৩ ডিসেম্বর পাকিস্তানি বাহিনী মিত্রবাহিনীর কাছে আত্মসমর্পণ করে।
ফোর বেঙ্গল রেজিমেন্টের নায়েক ও হোমনা থানার অপারেশন কমান্ডার মো. ইব্রাহীম খলিলের নেতৃত্বে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর হোমনা, দাউদকান্দি, মুরাদনগর বাঞ্ছারামপুর ও আড়াইহাজারের বীর মুক্তিযোদ্ধারা চারদিক থেকে পাকিস্তানি বাহিনীর ঘাগুটিয়া ক্যাম্প আক্রমণ করেন। ২২ ডিসেম্বর রাতে পাকিস্তানি বাহিনী মাইকে আত্মসমর্পণের ঘোষণা দেয় এবং পরদিন ২৩ ডিসেম্বর শুক্রবার হোমনা থানায় আনুষ্ঠানিকভাবে আত্মসমর্পণ করেন তাঁরা। এ যুদ্ধে দুই শতাধিক পাকিস্তানি সেনা নিহত ও একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হন। আহত হন ১৭ জন বীর মুক্তিযোদ্ধা।
উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার মো. মোশাররফ হোসেন জানান, দীর্ঘ ৯ মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পর ১৬ ডিসেম্বর চূড়ান্ত বিজয় অর্জনের মধ্য দিয়ে স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে পৃথিবীর মানচিত্রে বাংলাদেশের অভ্যুদয় ঘটে। সেদিনও হোমনা উপজেলার পরাধীনতার শিকল ভাঙতে বীর মুক্তিযোদ্ধারা পাকিস্তানি বাহিনীর বিরুদ্ধে প্রাণপণ লড়ে যাচ্ছিলেন।
একপর্যায়ে পুরো উপজেলা হানাদারমুক্ত হলেও নতুন করে উপজেলার ঘাগুটিয়া ইউনিয়নের ঘাগুটিয়া বড় মসজিদকে কেন্দ্র করে পাকিস্তানি বাহিনী ঘাঁটি গাড়ে। এরপর এই স্থানে যুদ্ধ চলে সপ্তাহব্যাপী।
সেই থেকে হোমনার সর্বশেষ যুদ্ধের স্থানটি স্মরণীয় করে রাখার উদ্দেশ্যে উপজেলার বীর মুক্তিযোদ্ধারা প্রতিবছর হোমনায় ঘাগুটিয়ামুক্ত দিবস পালন করছেন।
আজকের কর্মসূচি:
হোমনার সর্বশেষ যুদ্ধ জয়ের ঘটনা স্মরণীয় করে রাখার উদ্দেশ্যে উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ বিভিন্ন কর্মসূচির আয়োজন করেছে। এর অংশ হিসেবে আজ বৃহস্পতিবার দুলালপুর ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) কমপ্লেক্স থেকে বীর মুক্তিযোদ্ধারা বিজয় শোভাযাত্রা বের করবেন। শোভাযাত্রা শেষে ঘাগুটিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, আলোচনা সভা এবং এলাকার কৃতী শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা দেওয়া হবে।
প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে দিনের অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করবেন কুমিল্লা-২ (হোমনা ও তিতাস) আসনের সাংসদ সেলিমা আহমাদ। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রুমন দে সভাপতিত্ব করবেন। বিশেষ অতিথি থাকবেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রেহানা বেগম, ভাইস চেয়ারম্যান মুহসিন সরকার, নারী ভাইস চেয়ারম্যান নাছিমা আক্তার রিনা, পৌর মেয়র মো. নজরুল ইসলাম, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মিজানুর রহমান, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কায়েস আকন্দ।
অনুষ্ঠান পরিচালনার দায়িত্বে রয়েছেন উপজেলা ঘাদানি কমিটির সভাপতি খন্দকার মাহবুবুর রহমান। উপজেলার বীর মুক্তিযোদ্ধাদের এসব কর্মসূচিতে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
১ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৯ দিন আগে