নড়াইল প্রতিনিধি
নড়াইল সদর উপজেলার হিজলডাঙ্গা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এস এম মমিনের বিরুদ্ধে বিদ্যালয়ে স্বেচ্ছাচারিতা, অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে।
এসব অনিয়ম ও দুর্নীতির প্রতিকার চেয়ে স্থানীয়রা জেলা প্রশাসক এবং জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগীরা ।
জানা গেছে, ১৯৯৫ সালে প্রতিষ্ঠিত সদরের মুলিয়া ইউনিয়নের হিজলডাঙ্গা মাধ্যমিক বিদ্যালয়টিতে শিক্ষার্থীর সংখ্যা ১৫০ জন। প্রতিষ্ঠাকালীন সময় থেকে এস এম মমিন এখানে প্রধান শিক্ষক হিসেবে কাজ করছেন। স্থানীয় হিজলডাঙ্গা, সিতারামপুর, বাশভিটা, ইচড়বাহা এবং দূর্বাজুড়ি গ্রামের ছেলেমেয়েরা এ স্কুলে লেখাপড়া করে।
গত ৪ বছর বিদ্যালয়ের ইংরেজি বিষয়ের শিক্ষক না থাকলেও শূন্যপদের তালিকা শিক্ষা অফিসে পাঠানো হয়নি। প্রধান শিক্ষক স্কুলে ইচ্ছামতো আসেন এবং চলে যান। গত ৫ মাস আগে প্রধান শিক্ষক ও ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি অর্থের বিনিময়ে পরিচ্ছন্ন কর্মী ও নৈশ প্রহরী নিয়োগের চেষ্টা করেন।
পরে গ্রামবাসী এ অন্যায়ের প্রতিবাদ করায় অবৈধ নিয়োগ প্রক্রিয়া বন্ধ হয়ে যায়। লাইব্রেরিয়ান পদে চাকরি দেওয়ার দেওয়ার কথা বলে একজনের কাছ থেকে ২ লাখ টাকা নিলেও তাঁকে চাকরি দেননি এবং টাকাও ফেরত দেয়নি। দীর্ঘ ৩ বছর ধরে স্কুলের টিউবওয়েল নষ্ট হলেও তা মেরামত করে দেওয়া হয় না।
বিদ্যালয়ের বর্তমান ম্যানেজিং কমিটির বিদ্যোৎসাহী সদস্য হিসেবে নাম রয়েছে নড়াইল পৌরসভার উজিরপুর এলাকার আমিন সর্দারের। সে প্রধান শিক্ষকের ভায়রা। তিন ২০১৯ সালের ১৯ মার্চ মারা গিয়েছেন। কিন্তু তাঁর নাম ম্যানেজিং কমিটিতে নাম বাদ দেওয়া হয়নি। সুজন গাঙ্গুলী নামে এক ব্যক্তি ম্যানেজিং কমিটির সদস্য এসব কথা জানান।
হিজলডাঙ্গা গ্রামের মনোরঞ্জন বিশ্বাস জানান, তাঁর কাছ থেকে ২০১০ সালে লাইব্রেরিয়ান পদে চাকরি দেওয়ার নাম করে প্রধান শিক্ষক ২ লাখ টাকা নিয়েও সে টাকা ফেরত দেয়নি। চাইলে তিনি সব সময় বলেছেন ‘দেব’। কিন্তু এভাবে ১২ বছর ধরে ঘোরাচ্ছেন।
হিজলডাঙ্গা গ্রামের প্রলব রায় জানান, গত মঙ্গলবার বর্তমান ম্যানেজিং কমিটির মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা। নতুন কমিটি গঠনের লক্ষ্যে গত দু’মাস আগে বিদ্যালয়ে অভিভাবকদের নিয়ে প্রধান শিক্ষকের উপস্থিতিতে এক সভা হয়। সভায় অংশ বিশ্বাস, অমিত বিশ্বাস, অনিমেষ রায়, দীপ্তি রানি রায়কে ম্যানেজিং কমিটির সদস্য মনোনীত করা হলেও প্রধান শিক্ষক এই ৫ জনের প্রত্যেকের কাছ থেকে নির্বাচনী খরচের কথা বলে ৩ হাজার করে ১৫ হাজার টাকা নিয়েছেন। তিনি জানান, প্রধান শিক্ষকের অনিয়ম-দুর্নীতির কোনো শেষ নেই।
বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সদস্য ও স্থানীয় ইউপি সদস্য অজিত কবিরাজ বলেন, ‘গত দু’বছর ম্যানেজিং কমিটির কোনো মিটিং হয়নি এবং আমাকে ডাকা হয়নি। মাঝে মধ্যে স্কুলের পিয়ন বাড়িতে এসে খাতায় সই করাতে আসে। গত ৫ মাস আগে স্কুলের নিয়োগ সংক্রান্ত একটি বিষয়ে সই করাতে আসলে আমি পিয়নকে ধমকও দিয়েছি।’
হিজলডাঙ্গা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এস এম মমিন বিভিন্ন অভিযোগের কথা অস্বীকার করে বলেন, ‘আমি দু’মাস ধরে অসুস্থ। প্রতিষ্ঠানে যেতে পারছি না। ভায়রা আমিন সর্দারের বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির বিদ্যোৎসাহী সদস্য হিসেবে নাম আছে কিনা এ প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘এখন সদস্য নেই, তিনিতো মারা গিয়েছেন।’ তাহলে বিদ্যোৎসাহী সদস্য হিসেবে কে আছেন এ প্রশ্নে তিনি জানান, স্বপন নামে একজন বিদ্যোৎসাহী সদস্য। স্বপনের বিস্তারিত জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমার ঠিক ভালো করে স্মরণ নেই, বিদ্যালয়ের ক্লার্ক বলতে পারবে।’
বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি যতীন্দ্রনাথ মহলদার বলেন, ‘বিদ্যালয়ে তেমন কোনো অনিয়ম দেখি না। করোনার কারণে প্রায় সময় স্কুল বন্ধ থাকে। ঠিকমতো পাঠদান হয় না। একটি নিয়োগ প্রক্রিয়া ছিল তা গ্রামবাসীর হট্টগোলের কারণে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। বিদ্যালয়ে বিভিন্ন সমস্যা থাকতে পারে তা মানিয়ে নিয়ে চলতে হয়।’
নড়াইল সদর উপজেলার হিজলডাঙ্গা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এস এম মমিনের বিরুদ্ধে বিদ্যালয়ে স্বেচ্ছাচারিতা, অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে।
এসব অনিয়ম ও দুর্নীতির প্রতিকার চেয়ে স্থানীয়রা জেলা প্রশাসক এবং জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগীরা ।
জানা গেছে, ১৯৯৫ সালে প্রতিষ্ঠিত সদরের মুলিয়া ইউনিয়নের হিজলডাঙ্গা মাধ্যমিক বিদ্যালয়টিতে শিক্ষার্থীর সংখ্যা ১৫০ জন। প্রতিষ্ঠাকালীন সময় থেকে এস এম মমিন এখানে প্রধান শিক্ষক হিসেবে কাজ করছেন। স্থানীয় হিজলডাঙ্গা, সিতারামপুর, বাশভিটা, ইচড়বাহা এবং দূর্বাজুড়ি গ্রামের ছেলেমেয়েরা এ স্কুলে লেখাপড়া করে।
গত ৪ বছর বিদ্যালয়ের ইংরেজি বিষয়ের শিক্ষক না থাকলেও শূন্যপদের তালিকা শিক্ষা অফিসে পাঠানো হয়নি। প্রধান শিক্ষক স্কুলে ইচ্ছামতো আসেন এবং চলে যান। গত ৫ মাস আগে প্রধান শিক্ষক ও ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি অর্থের বিনিময়ে পরিচ্ছন্ন কর্মী ও নৈশ প্রহরী নিয়োগের চেষ্টা করেন।
পরে গ্রামবাসী এ অন্যায়ের প্রতিবাদ করায় অবৈধ নিয়োগ প্রক্রিয়া বন্ধ হয়ে যায়। লাইব্রেরিয়ান পদে চাকরি দেওয়ার দেওয়ার কথা বলে একজনের কাছ থেকে ২ লাখ টাকা নিলেও তাঁকে চাকরি দেননি এবং টাকাও ফেরত দেয়নি। দীর্ঘ ৩ বছর ধরে স্কুলের টিউবওয়েল নষ্ট হলেও তা মেরামত করে দেওয়া হয় না।
বিদ্যালয়ের বর্তমান ম্যানেজিং কমিটির বিদ্যোৎসাহী সদস্য হিসেবে নাম রয়েছে নড়াইল পৌরসভার উজিরপুর এলাকার আমিন সর্দারের। সে প্রধান শিক্ষকের ভায়রা। তিন ২০১৯ সালের ১৯ মার্চ মারা গিয়েছেন। কিন্তু তাঁর নাম ম্যানেজিং কমিটিতে নাম বাদ দেওয়া হয়নি। সুজন গাঙ্গুলী নামে এক ব্যক্তি ম্যানেজিং কমিটির সদস্য এসব কথা জানান।
হিজলডাঙ্গা গ্রামের মনোরঞ্জন বিশ্বাস জানান, তাঁর কাছ থেকে ২০১০ সালে লাইব্রেরিয়ান পদে চাকরি দেওয়ার নাম করে প্রধান শিক্ষক ২ লাখ টাকা নিয়েও সে টাকা ফেরত দেয়নি। চাইলে তিনি সব সময় বলেছেন ‘দেব’। কিন্তু এভাবে ১২ বছর ধরে ঘোরাচ্ছেন।
হিজলডাঙ্গা গ্রামের প্রলব রায় জানান, গত মঙ্গলবার বর্তমান ম্যানেজিং কমিটির মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা। নতুন কমিটি গঠনের লক্ষ্যে গত দু’মাস আগে বিদ্যালয়ে অভিভাবকদের নিয়ে প্রধান শিক্ষকের উপস্থিতিতে এক সভা হয়। সভায় অংশ বিশ্বাস, অমিত বিশ্বাস, অনিমেষ রায়, দীপ্তি রানি রায়কে ম্যানেজিং কমিটির সদস্য মনোনীত করা হলেও প্রধান শিক্ষক এই ৫ জনের প্রত্যেকের কাছ থেকে নির্বাচনী খরচের কথা বলে ৩ হাজার করে ১৫ হাজার টাকা নিয়েছেন। তিনি জানান, প্রধান শিক্ষকের অনিয়ম-দুর্নীতির কোনো শেষ নেই।
বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সদস্য ও স্থানীয় ইউপি সদস্য অজিত কবিরাজ বলেন, ‘গত দু’বছর ম্যানেজিং কমিটির কোনো মিটিং হয়নি এবং আমাকে ডাকা হয়নি। মাঝে মধ্যে স্কুলের পিয়ন বাড়িতে এসে খাতায় সই করাতে আসে। গত ৫ মাস আগে স্কুলের নিয়োগ সংক্রান্ত একটি বিষয়ে সই করাতে আসলে আমি পিয়নকে ধমকও দিয়েছি।’
হিজলডাঙ্গা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এস এম মমিন বিভিন্ন অভিযোগের কথা অস্বীকার করে বলেন, ‘আমি দু’মাস ধরে অসুস্থ। প্রতিষ্ঠানে যেতে পারছি না। ভায়রা আমিন সর্দারের বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির বিদ্যোৎসাহী সদস্য হিসেবে নাম আছে কিনা এ প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘এখন সদস্য নেই, তিনিতো মারা গিয়েছেন।’ তাহলে বিদ্যোৎসাহী সদস্য হিসেবে কে আছেন এ প্রশ্নে তিনি জানান, স্বপন নামে একজন বিদ্যোৎসাহী সদস্য। স্বপনের বিস্তারিত জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমার ঠিক ভালো করে স্মরণ নেই, বিদ্যালয়ের ক্লার্ক বলতে পারবে।’
বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি যতীন্দ্রনাথ মহলদার বলেন, ‘বিদ্যালয়ে তেমন কোনো অনিয়ম দেখি না। করোনার কারণে প্রায় সময় স্কুল বন্ধ থাকে। ঠিকমতো পাঠদান হয় না। একটি নিয়োগ প্রক্রিয়া ছিল তা গ্রামবাসীর হট্টগোলের কারণে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। বিদ্যালয়ে বিভিন্ন সমস্যা থাকতে পারে তা মানিয়ে নিয়ে চলতে হয়।’
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
১ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৯ দিন আগে