সম্পাদকীয়
আট বছর আগে জামালপুর জেনারেল হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র (আইসিইউ) উদ্বোধন করা হয়। কিন্তু এ পর্যন্ত পরিচর্যা কেন্দ্রটি কোনো মানুষের পরিচর্যার সৌভাগ্য অর্জন করেনি। পাবে কী করে, কেন্দ্রটিকে রাখা হয়েছে জামাই-আদরে। বছরের পর বছর পড়ে থাকার কারণে ব্যবহারের আগেই এ কেন্দ্রে থাকা যন্ত্রগুলোর অনেকগুলোই নষ্ট হয়ে গেছে, বাকিগুলোও নষ্ট হবে। আইসিইউ চালু না হওয়ায় একদিকে চিকিৎসাসেবা ব্যাহত হচ্ছে, অন্যদিকে রাষ্ট্র তথা জনগণের অর্থের অপচয় হচ্ছে। এ নিয়ে মঙ্গলবারের আজকের পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে।
আইসিইউ চালু হয়নি, তাই আইসিইউর রোগী এলে তাদের চিকিৎসা জামালপুরে হয় না। শারীরিকভাবে নাজুক রোগীকে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ময়মনসিংহ বা ঢাকায় পাঠিয়ে দেয়। সামর্থ্যবানদের জন্য কোনো সমস্যা হয় না। কিন্তু চরম বিপদে পড়তে হয় দরিদ্র রোগীদের। কারণ, তাঁদের পক্ষে অর্থের অভাবে দূরে গিয়ে চিকিৎসা নেওয়া সম্ভব হয়ে ওঠে না।
দেশের সরকারি হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসাব্যবস্থা এমনিতেই নাজুক। একই সঙ্গে নির্দিষ্ট পদের তুলনায় অনেক কম চিকিৎসক, নার্স, লোকবল এবং প্রয়োজনীয় চিকিৎসাসামগ্রী না থাকা আমাদের দেশের সরকারি হাসপাতালগুলোর নিত্য সময়ের চিত্র। আবার চিকিৎসাসামগ্রী থাকলেও তা নষ্ট হয়ে পড়ে থাকারও বিস্তর অভিযোগ পাওয়া যায়।
আমাদের মাথায় আসছে না, একটা আইসিইউ থাকার পরও কেন তা রোগীদের কোনো কাজে আসবে না অথবা আইসিইউর যন্ত্রপাতি কেন নষ্ট হয়ে পড়ে থাকবে? সরকারের পক্ষ থেকে হাসপাতালে তো চিকিৎসাসামগ্রী দেওয়া হয়েছে। কিন্তু হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কেন সেগুলো বছরের পর বছর ধরে ফেলে রেখে নষ্ট করে ফেলল!
এমনিতেই আমাদের দেশের চিকিৎসাব্যবস্থার প্রতি আস্থা রাখতে না পেরে প্রতিবছর সচ্ছল ব্যক্তিরা চিকিৎসাসেবার জন্য চলে যায় পার্শ্ববর্তী দেশসহ অন্য দেশে। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) এক জরিপমতে, বাংলাদেশের ২৯ শতাংশ মানুষ বিভিন্ন দেশে চিকিৎসা নিতে যায়। সচ্ছলদের জন্য দেশের বাইরে গিয়ে চিকিৎসা নেওয়া কঠিন ব্যাপার নয়। কিন্তু অসচ্ছল বা দরিদ্র মানুষদের পক্ষে তা আকাশ-কুসুম ব্যাপার। সরকারি হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসাসেবার করুণ পরিস্থিতি নিয়ে প্রায় প্রতিদিনই খবর বের হয়। চিকিৎসা বিষয়টি অতি দ্রুত পরিণত হয়েছে বাণিজ্যে। যার প্রকৃষ্ট উদাহরণ দেশের জেলা, উপজেলা শহরসহ বিভাগীয় শহরে ব্যাঙের ছাতার মতো গজিয়ে উঠেছে বেসরকারি হাসপাতাল। আর ঢাকায় নামকরা অনেক হাসপাতালের কথা অনেকেরই অজানা নয়। তাহলে স্বাস্থ্যসেবা কি ক্রমেই স্বাস্থ্য ব্যবসায়ীদের হাতে চলে যাবে?
জামালপুর সদর হাসপাতালের আইসিইউরই এখন মরণদশা। সে হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রটি এখন রয়েছে লাইফ সাপোর্টে। কেনই-বা আইসিইউ উদ্বোধন করা হলো, কেনই-বা আট বছর তা ফেলে রাখা হলো, সে প্রশ্নের জবাব কি কেউ দেবে? বিশাল অঙ্কের টাকা খরচ হয়েছে এই আইসিইউর পেছনে, অথচ যাদের জন্য তা বানানো হয়েছে, তারাই সেবা পাচ্ছে না। এটাকে অরাজকতা বলা হলে কি খুব ভুল বলা হবে?
আট বছর আগে জামালপুর জেনারেল হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র (আইসিইউ) উদ্বোধন করা হয়। কিন্তু এ পর্যন্ত পরিচর্যা কেন্দ্রটি কোনো মানুষের পরিচর্যার সৌভাগ্য অর্জন করেনি। পাবে কী করে, কেন্দ্রটিকে রাখা হয়েছে জামাই-আদরে। বছরের পর বছর পড়ে থাকার কারণে ব্যবহারের আগেই এ কেন্দ্রে থাকা যন্ত্রগুলোর অনেকগুলোই নষ্ট হয়ে গেছে, বাকিগুলোও নষ্ট হবে। আইসিইউ চালু না হওয়ায় একদিকে চিকিৎসাসেবা ব্যাহত হচ্ছে, অন্যদিকে রাষ্ট্র তথা জনগণের অর্থের অপচয় হচ্ছে। এ নিয়ে মঙ্গলবারের আজকের পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে।
আইসিইউ চালু হয়নি, তাই আইসিইউর রোগী এলে তাদের চিকিৎসা জামালপুরে হয় না। শারীরিকভাবে নাজুক রোগীকে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ময়মনসিংহ বা ঢাকায় পাঠিয়ে দেয়। সামর্থ্যবানদের জন্য কোনো সমস্যা হয় না। কিন্তু চরম বিপদে পড়তে হয় দরিদ্র রোগীদের। কারণ, তাঁদের পক্ষে অর্থের অভাবে দূরে গিয়ে চিকিৎসা নেওয়া সম্ভব হয়ে ওঠে না।
দেশের সরকারি হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসাব্যবস্থা এমনিতেই নাজুক। একই সঙ্গে নির্দিষ্ট পদের তুলনায় অনেক কম চিকিৎসক, নার্স, লোকবল এবং প্রয়োজনীয় চিকিৎসাসামগ্রী না থাকা আমাদের দেশের সরকারি হাসপাতালগুলোর নিত্য সময়ের চিত্র। আবার চিকিৎসাসামগ্রী থাকলেও তা নষ্ট হয়ে পড়ে থাকারও বিস্তর অভিযোগ পাওয়া যায়।
আমাদের মাথায় আসছে না, একটা আইসিইউ থাকার পরও কেন তা রোগীদের কোনো কাজে আসবে না অথবা আইসিইউর যন্ত্রপাতি কেন নষ্ট হয়ে পড়ে থাকবে? সরকারের পক্ষ থেকে হাসপাতালে তো চিকিৎসাসামগ্রী দেওয়া হয়েছে। কিন্তু হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কেন সেগুলো বছরের পর বছর ধরে ফেলে রেখে নষ্ট করে ফেলল!
এমনিতেই আমাদের দেশের চিকিৎসাব্যবস্থার প্রতি আস্থা রাখতে না পেরে প্রতিবছর সচ্ছল ব্যক্তিরা চিকিৎসাসেবার জন্য চলে যায় পার্শ্ববর্তী দেশসহ অন্য দেশে। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) এক জরিপমতে, বাংলাদেশের ২৯ শতাংশ মানুষ বিভিন্ন দেশে চিকিৎসা নিতে যায়। সচ্ছলদের জন্য দেশের বাইরে গিয়ে চিকিৎসা নেওয়া কঠিন ব্যাপার নয়। কিন্তু অসচ্ছল বা দরিদ্র মানুষদের পক্ষে তা আকাশ-কুসুম ব্যাপার। সরকারি হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসাসেবার করুণ পরিস্থিতি নিয়ে প্রায় প্রতিদিনই খবর বের হয়। চিকিৎসা বিষয়টি অতি দ্রুত পরিণত হয়েছে বাণিজ্যে। যার প্রকৃষ্ট উদাহরণ দেশের জেলা, উপজেলা শহরসহ বিভাগীয় শহরে ব্যাঙের ছাতার মতো গজিয়ে উঠেছে বেসরকারি হাসপাতাল। আর ঢাকায় নামকরা অনেক হাসপাতালের কথা অনেকেরই অজানা নয়। তাহলে স্বাস্থ্যসেবা কি ক্রমেই স্বাস্থ্য ব্যবসায়ীদের হাতে চলে যাবে?
জামালপুর সদর হাসপাতালের আইসিইউরই এখন মরণদশা। সে হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রটি এখন রয়েছে লাইফ সাপোর্টে। কেনই-বা আইসিইউ উদ্বোধন করা হলো, কেনই-বা আট বছর তা ফেলে রাখা হলো, সে প্রশ্নের জবাব কি কেউ দেবে? বিশাল অঙ্কের টাকা খরচ হয়েছে এই আইসিইউর পেছনে, অথচ যাদের জন্য তা বানানো হয়েছে, তারাই সেবা পাচ্ছে না। এটাকে অরাজকতা বলা হলে কি খুব ভুল বলা হবে?
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
১ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৮ দিন আগে