তৃতীয় ধাপে কুলাউড়া উপজেলার ১৩টি ইউনিয়ন পরিষদে (ইউপি) নির্বাচন হবে ২৮ নভেম্বর। এসব ইউপিতে চেয়ারম্যান পদে ৫৬, সংরক্ষিত নারী ও সাধারণ ইউপি সদস্য পদে মোট ৭০০ জন প্রার্থী রয়েছেন। তাঁদের প্রচার-প্রচারণায় হাটবাজারে উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে। তবে ভোটারদের মধ্যে নির্বাচন নিয়ে শঙ্কাও আছে। এদিকে ভোটারদের বিভ্রান্তি করার অভিযোগও করেছেন কয়েকজন প্রার্থী।

উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ের তথ্যমতে, উপজেলার ১৩টি ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে ৫৬ জন, নারী ইউপি সদস্য পদে ১৬১ এবং সাধারণ ইউপি সদস্য পদে ৪৮৩ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

ভাটেরা ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী (স্বতন্ত্র) প্রার্থী সৈয়দ এ কে এম নজরুল ইসলাম বলেন, ‘আমার নির্বাচনী এলাকায় দলীয় প্রার্থী এবং তাঁদের সমর্থকেরা ভোটারদের মনে আতঙ্ক তৈরি করছেন। ভোটকেন্দ্র দখলসহ নানা বিভ্রান্তিমূলক প্রচার চালাচ্ছেন। বিষয়টি আমি নির্বাচনী আচরণবিধি অবহিতকরণ সভায় উপস্থিত মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসকসহ নির্বাচন-সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানিয়েছি।’

জয়চণ্ডী ইউপির স্বতন্ত্র প্রার্থী কমর উদ্দিন আহমদ, কাদিপুর ইউপির স্বতন্ত্র প্রার্থী হাবিবুর রহমান বলেন, ‘প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা প্রচারে নেমে উসকানিমূলক বক্তব্য দিচ্ছেন। এটি ভোটার ও প্রার্থীদের জন্য বিভ্রান্তিকর। আমাদের ইউনিয়নের সবক’টি কেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণ। এসব কেন্দ্রে অতিরিক্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য ও ম্যাজিস্ট্রেট রাখার জন্য বিষয়টি নির্বাচন রিটার্নিং কর্মকর্তাসহ ঊর্ধ্বতনদের কাছে দাবি জানিয়েছি।’

ব্রাহ্মণবাজার ইউপির আওয়ামী লীগের প্রার্থী মমদুদ হোসেন, কাদিপুর ইউপির আওয়ামী লীগের প্রার্থী জাফর আহমদ গিলমান, জয়চতে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আব্দুর রব মাহবুব, জানান, ভোটারদের বিভ্রান্তি ও নির্বাচনের পরিবেশ নষ্ট করাসহ সরকারদলীয় প্রার্থীর ভাবমূর্তি নষ্ট করতে স্বতন্ত্র প্রার্থী ও তাঁদের অনুসারীরা গুজব ছড়াচ্ছেন।

উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. আহসান ইকবাল বলেন, ‘সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের পরিবেশ বজায় রাখতে আমরা সব ধরনের ব্যবস্থা নিয়েছি।’

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এ টি এম ফরহাদ চৌধুরী বলেন, ‘আমরা আমাদের দায়িত্ব নিরপেক্ষভাবে পালন করছি। প্রার্থীরাও নির্বাচনকে সুষ্ঠু করতে প্রশাসনকে সহযোগিতা করতে হবে।