শাইখ সিরাজ(পরিচালক ও বার্তাপ্রধান চ্যানেল আই)
আজ দেশের প্রায় সব সংবাদমাধ্যম কৃষি সংবাদকে গুরুত্বের সঙ্গে প্রচার করছে। আমাদের আজকের যে কৃষি সাফল্য এর পেছনে সরকারের নীতিনির্ধারণী পর্যায় থেকে নেওয়া পদক্ষেপ, গবেষণার সাফল্য, কৃষি শিক্ষার প্রসার এবং গণমাধ্যমের প্রত্যক্ষ ভূমিকা আছে।
কৃষি একমাত্র একক খাত, যার সঙ্গে প্রত্যেক মানুষই কোনো না কোনোভাবে জড়িত—কখনো কৃষক, কখনো ভোক্তা, আবার কখনো বাজার ও সরবরাহব্যবস্থার পক্ষ হিসেবে। বাংলাদেশের মতো জনবহুল কৃষিপ্রধান দেশে কৃষি যতটুকু গুরুত্ব পাওয়া দরকার, অনেক সময়ই তা লক্ষ করা যায় না। অথচ বিশাল জনগোষ্ঠীর খাদ্যনিরাপত্তার বলয়টি সুসংহত রাখতে বিশাল ভূমিকা রাখছে আমাদের কৃষি।
গণমাধ্যমে কৃষির বিষয়বস্তুর আঙ্গিকের দিকে খেয়াল করলে দেখা যায়, বিশেষ অনুষ্ঠানের পাশাপাশি কৃষিসংবাদও এখন মূলধারার সংবাদ হিসেবে স্থান পাচ্ছে। এটি বেশ আশার কথা। তবে বিশাল সম্ভাবনা থাকলেও বিশেষায়িত বিষয় হিসেবে কৃষি নিয়ে সংবাদ প্রাধান্য এখনো অনেক কম।
কৃষির মতো একটি বহুমুখী বিষয়ে সংবাদপ্রবাহ বাড়ানোর জন্য প্রয়োজন কিছু প্রাতিষ্ঠানিক আয়োজন। সবার আগে প্রয়োজন কৃষি বিষয়ে সাংবাদিক এবং সাংবাদিকতার শিক্ষার্থীদের তৈরি করা। সাংবাদিকতা শিক্ষার কারিকুলামে কৃষি সাংবাদিকতার বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে অন্তর্ভুক্ত করা জরুরি।
কৃষিকে জীবনোপায়, সংস্কৃতি, বিজ্ঞান, প্রাকৃতিক সম্পদ ব্যবস্থাপনা, শিল্প, ব্যবসা, অর্থনীতি, শিক্ষা, নীতি, দর্শন ইত্যাদি যেকোনো দৃষ্টিকোণ থেকে বিচার করা হোক না কেন, এটি সব সময়ই একটি অপরিহার্য বিষয় হিসেবেই স্থান পাবে। বাংলাদেশের সিংহভাগ কৃষির সঙ্গে সম্পৃক্ত—এ সত্যটি যেমন চিরন্তন, তেমনি অন্য যেকোনো বিশেষায়িত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের তুলনায় বাংলাদেশে কৃষি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সংখ্যাও কম নয়। এসব উদাহরণ স্পষ্ট ধারণা দেয়, কৃষি সত্যিই কতটা গুরুত্বপূর্ণ। তাই কৃষি সাংবাদিকতাও সমান গুরুত্বপূর্ণ।
টেলিভিশনই আমার কৃষি সাংবাদিকতার প্রধানতম মাধ্যম হলেও রেডিও কিংবা সংবাদপত্রসহ আমি সব মাধ্যমেই কাজ করেছি। চেয়েছি কৃষির গুরুত্বপূর্ণ খবরটি কৃষকের কাছে পৌঁছে দিতে। কিংবা কৃষকের কথাটি গুরুত্বের সঙ্গে রাষ্ট্রযন্ত্রের মাথায় তুলে দিতে। টেলিভিশনকে আমি মনে করেছি একটি শক্তিশালী মাধ্যম।
বাংলাদেশ টেলিভিশনে তখন ‘মাটি ও মানুষ’ অনুষ্ঠানটি দর্শকপ্রিয়তার তুঙ্গে। প্রচার হয় প্রতি শনিবার রাত সাড়ে ৮টায়, ঠিক বাংলা সংবাদের পর। এই অনুষ্ঠানের কল্যাণে তরুণদের মাঝে হাঁস-মুরগি পালন, খাঁচায় মুরগির চাষ, মাছের খামার খুব ব্যাপক প্রসার ঘটে। সে সময় অপরিহার্য হয়ে পড়ে কৃষি জ্ঞানটাকে আরও নিবিড়ভাবে পৌঁছে দেওয়া, অর্থাৎ কৃষি প্রশিক্ষণ। তরুণেরা খামার গড়তে আগ্রহী, কিন্তু খামার গড়ার প্রায়োগিক কারিগরি কোনো জ্ঞান নেই। মুরগির খামার, মাছের খামার, গরু মোটাতাজাকরণ কিংবা নার্সারি যা-ই হোক, সবখানেই কারিগরি জ্ঞান প্রয়োজন।
তখন দেশের যুব প্রশিক্ষণ কেন্দ্রগুলো উপলব্ধি করল, আগ্রহী তরুণদের প্রশিক্ষণ দরকার। প্রশিক্ষণ কেন্দ্রগুলোয় হাঁস-মুরগি পালন, মাছ চাষ ও বনায়নের নতুন কিছু কোর্স শুরু হলো। তরুণেরা তুমুল আগ্রহ নিয়ে প্রশিক্ষণ কেন্দ্রগুলোয় যাওয়া শুরু করলেন। এই প্রশিক্ষণের প্রসারও দেশব্যাপী ছড়িয়ে পড়ল। বাংলাদেশ টেলিভিশনে তখন প্রতিদিন বিকেলে প্রচারিত হতো উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় প্রযোজিত ‘দূরশিক্ষণ’ নামে একটি কার্যক্রম। কোনো দিন ইংরেজি, কোনো দিন গণিত, কোনো দিন ইতিহাস, কোনো দিন বিজ্ঞান, কোনো দিন ভূগোল, কোনো দিন কৃষি সম্পর্কে অনুষ্ঠান।
খুব সম্ভবত ১৯৯৩-৯৪ সালের কথা। তখন উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিসটা ছিল ঢাকা কলেজ চত্বরের টিচার্স ট্রেনিং কলেজ ভবনে। উপাচার্য ছিলেন ড. শমসের আলী। তিনি একদিন আমাকে ডেকে পাঠালেন। বললেন, যেসব বিষয় আমি বিটিভির ‘মাটি ও মানুষ’-এ দেখাই, সেগুলোকে আরও পুঙ্খানুপুঙ্খ প্রশিক্ষণের মতো করে দেখানো যায় কি না। যেমন মাছ কীভাবে চাষ করতে হয়, গরু লালন-পালনের পদ্ধতিটা কী। এই প্রয়োজনীয় বিষয়গুলো একেবারে নিবিড়ভাবে বোধগম্য উপায়ে প্রশিক্ষণ সিরিজ করা যায় কি না। এটি উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের কোর্স কারিকুলামে অন্তর্ভুক্ত করা হলে তরুণ প্রজন্মের অনেক উপকার হবে। আমি বেশ আগ্রহী হলাম। কারণ, এর উপযোগিতা সম্পর্কে আমি নিশ্চিত ছিলাম। শুধু তরুণ প্রজন্মই নয়, সব শ্রেণির দর্শকের কাছে কৃষির এই শিক্ষা জরুরি।
অনুষ্ঠানটির নাম ঠিক করলাম ‘কৃষি কৌশল’। উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি কোর্সের সঙ্গে যুক্ত করা হলো ‘কৃষি কৌশল’। এই অনুষ্ঠান প্রযোজনার জন্য বহিরাগত হলেও আমাকে ‘গেস্ট প্রডিউসার’ হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হলো। ড. শমসের আলী সরকারি গেজেট নোটিফিকেশনের মাধ্যমে প্রথম গেস্ট প্রডিউসার হিসেবে আমাকে নিয়োগ দিলেন। আমার মহল্লার আরেক বন্ধু মোসাদ্দেক হাসান (বর্তমানে চ্যানেল আইয়ের নির্বাহী পরিচালক, কারিগরি) তখন উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাসিস্ট্যান্ট ডিরেক্টর। তিনি বাংলাদেশ টেলিভিশনের ভিডিও এডিটর ছিলেন। বাংলাদেশ টেলিভিশনের এডিটরের চাকরি ছেড়ে উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগ দেন। মোসাদ্দেক, আমি আর ক্যামেরাম্যান মোয়াজ্জেম হোসেন মিলে উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষিবিষয়ক কোর্স কারিকুলাম শুরু করলাম ভিডিওতে।
‘মাটি ও মানুষ’-এর প্রতিটি অনুষ্ঠানের বিষয়কে নিবিড় ও পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে তুলে ধরার কাজ শুরু হলো। পদ্ধতিগত বিষয়গুলো ভিডিও এবং বর্ণনায় তুলে আনা হলো। মাছ চাষের কথা যদি বলি, পুকুরের আকার কেমন হবে, কীভাবে খনন করতে হবে, কখন চুন দিতে হবে, কখন পানি ছাড়তে হবে, মাছের পোনা কখন ছাড়তে হবে, পোনার বয়স কত হবে, কী খাবার দিতে হবে—এসব কারিগরি বিষয় সবিস্তারে উঠে আসতে থাকল। আমি ব্যক্তিগতভাবে টেলিভিশনকে সব সময়ই একটি শিক্ষার জায়গা হিসেবে বিবেচনা করে আসছি।
আমাদের মতো দেশের টেলিভিশন বিনোদনের পাশাপাশি মানুষকে বিভিন্ন বিষয়ে প্রশিক্ষিত করবে, এটিই স্বাভাবিক। কাজ করতে গিয়ে বারবারই মনে হয়েছে ক্যামেরার চোখে টেলিভিশনের পর্দায় যা দেখাব এর সঙ্গে মিলিয়ে শব্দ বা ধারাবর্ণনা দিয়ে কানে শোনাব। একজন মানুষ খুব সহজেই তা বুঝতে পারবে।
টেলিভিশনে ‘কৃষি কৌশল’ শুরুর সময় একই সঙ্গে বাংলাদেশ বেতারে শুরু করলাম ‘মাটির কাছে মানুষের কাছে’। এর আগে রেডিওতে স্থানীয় সংবাদ ও কৃষি খবর পড়ার অভিজ্ঞতা ছিল। আর মনে ছিল রেডিওর ‘দেশ আমার মাটি আমার’ কার্যক্রমটির কথা। যেখানে ‘মজিদের মা’ নামে একটি জনপ্রিয় চরিত্র ছিল। টেলিভিশনের কৃষি কৌশলের চেয়ে চ্যালেঞ্জিং ছিল রেডিওর অনুষ্ঠান। তার মানে শ্রোতা এখানে দেখতে পাচ্ছে না, তাকে শব্দ দিয়ে পরিবেশ-পরিস্থিতি সবই বোঝাতে হচ্ছে। আমি অনুষ্ঠানের প্রয়োজনীয়তা বুঝেই মাইক্রোফোন ও রেকর্ডার নিয়ে গ্রামে গেলাম।
পোলট্রির এক দিনের বাচ্চার অনুষ্ঠান ধারণের সময় মনে হলো এখানে বাচ্চার কিচিরমিচির আওয়াজটা যদি শ্রোতার কানে না পৌঁছায় তাহলে অনুষ্ঠান প্রাণ পাবে না। একইভাবে গ্রামে সেচনালার পাশে দাঁড়িয়ে যখন কথা বলছি, তখন কলকল ধ্বনিটা যদি না শোনানো যায়, তাহলে মানুষের মনে দৃশ্যপট তৈরি হয় না। একই সঙ্গে সীমাবদ্ধতাটাও বুঝেছি। নিজের কাছেই স্পষ্ট হয়েছে কেন রেডিওতে কৃষিবিষয়ক অনুষ্ঠান সফল হয়নি।
এই কাজগুলো করতে করতেই প্রতিনিয়ত পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার সুযোগ পেয়েছি। উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের এই ‘কৃষি কৌশল’ করতে গিয়ে নতুন একটি মডেল তৈরির সুযোগ পেলাম। বাংলাদেশ টেলিভিশনের ‘মাটি ও মানুষ’ ছিল মূলত উদ্বুদ্ধকরণ অনুষ্ঠান। কৃষির ব্যাপারে উদ্বুদ্ধ করতাম। নতুন চাষব্যবস্থা, নতুন কৌশল, নতুন ফসল, নতুন বীজ—এসব বিষয় দেখে কৃষক দারুণ উদ্বুদ্ধ হতেন। দর্শক হিসেবে আরেকজন কৃষকও চাইতেন সেটা করতে। কিন্তু তাঁর কাছে কৌশলটা ছিল না। কীভাবে করবেন তা তিনি জানতেন না। বাউবি দূরশিক্ষণের কৃষি কৌশলটা ছিল সে রকম একটা বিষয়।
‘মাটি ও মানুষ’ প্রচার হতো শনিবার। মাটি ও মানুষের শেষে দর্শকদের আমি বলতাম, এ বিষয়ের বিস্তারিত যদি হাতে-কলমে পেতে চান, আগামী বৃহস্পতিবারের উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘কৃষি কৌশল’ দেখুন। একই টেলিভিশনে ঠিক চার দিন পর দর্শক অপেক্ষা করে অনুষ্ঠানটি দেখে কৌশলটা শিখতেন। টেলিভিশনে দেখে যখন তিনি হাতে-কলমে করতে যেতেন অনেক সময় হিসাব বা তথ্য ভুলে যেতেন। তখন সেই দর্শককে আমি টেনে নিয়ে এলাম পত্রিকায়। দৈনিক জনকণ্ঠে ‘চাষবাস’ নামে একটা কলাম লিখতাম আমি। ‘চাষবাস’ কলামে উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে আমি যা দেখালাম, সেই তথ্যগুলো সুনির্দিষ্টভাবে তুলে ধরতাম।
এতে প্রথম ‘মাটি ও মানুষ’ অনুষ্ঠান দেখে কৃষক উদ্বুদ্ধ হতেন, তিনি হাতে-কলমে কৌশল জানার জন্য দেখতেন উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘কৃষি কৌশল’। আর তথ্যগুলো কাগজে নিশ্চিতভাবে পাওয়ার জন্য তাঁরা পড়তে শুরু করলেন জনকণ্ঠের চাষবাস কলাম। এটি হয়ে উঠল তথ্য পৌঁছে দেওয়ার জন্য একটা ত্রিমুখী মডেল। তখনকার কৃষির উত্তরণে এই ত্রিমুখী কার্যক্রমের বড় একটি অবদান ছিল।
আমরা যখন চ্যানেল আই প্রতিষ্ঠা করলাম, কাজগুলো নিজেদের মতো করার সুযোগ তৈরি হলো। কৃষিতে দেশ-বিদেশের কৌশল তুলে ধরতে শুরু করলাম; যা দেশের আপামর কৃষক তো বটেই, নীতিনির্ধারকদের মাঝেও চিন্তার পরিবর্তন ঘটাতে সহায়ক হয়েছে।
কৃষককে সাধারণ মানুষ হিসেবে গণমাধ্যমে সরাসরি অংশ নেওয়ার যে বৃত্ত, তার বাইরে রেখে দেওয়া হয়েছে বছরের পর বছর। আমরা চেষ্টা করেছি সে বৃত্ত ভেঙে কৃষককে মূল ধারায় যুক্ত করতে। এরই ধারাবাহিকতায় আমরা শুরু করি ‘কৃষকের ঈদ আনন্দ’ নামে অনুষ্ঠান। কৃষকের কণ্ঠ সরাসরি নীতিনির্ধারকদের কাছে পৌঁছে দিতে শুরু করি ‘কৃষি বাজেট কৃষকের বাজেট’। কৃষকের কাছে তথ্য পৌঁছে দেওয়ার জন্য আমরা প্রতিদিন কৃষি সংবাদ প্রচার শুরু করি।
আজ দেশের প্রায় সব সংবাদমাধ্যম কৃষি সংবাদকে গুরুত্বের সঙ্গে প্রচার করছে। আমাদের আজকের যে কৃষি সাফল্য এর পেছনে সরকারের নীতিনির্ধারণী পর্যায় থেকে নেওয়া পদক্ষেপ, গবেষণার সাফল্য, কৃষি শিক্ষার প্রসার এবং গণমাধ্যমের প্রত্যক্ষ ভূমিকা আছে।
সময় পাল্টেছে, পাল্টেছে যোগাযোগের ধরন-ধারণ। গণমাধ্যমের প্রচার প্রসারের একটা বড় মাধ্যম হয়ে দাঁড়িয়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম। তাই প্রথম থেকেই আমি দেশ-বিদেশের কৃষিতথ্য নিয়ে সরব থাকছি ফেসবুক, ইউটিউবেও। দেশের লাখো মানুষ, তরুণদের সঙ্গে আমি শেয়ার করতে পারছি আমার অভিজ্ঞতা, তাৎক্ষণিক জানতে পারছি তাঁদের মতামত।
আজ দেশের প্রায় সব সংবাদমাধ্যম কৃষি সংবাদকে গুরুত্বের সঙ্গে প্রচার করছে। আমাদের আজকের যে কৃষি সাফল্য এর পেছনে সরকারের নীতিনির্ধারণী পর্যায় থেকে নেওয়া পদক্ষেপ, গবেষণার সাফল্য, কৃষি শিক্ষার প্রসার এবং গণমাধ্যমের প্রত্যক্ষ ভূমিকা আছে।
কৃষি একমাত্র একক খাত, যার সঙ্গে প্রত্যেক মানুষই কোনো না কোনোভাবে জড়িত—কখনো কৃষক, কখনো ভোক্তা, আবার কখনো বাজার ও সরবরাহব্যবস্থার পক্ষ হিসেবে। বাংলাদেশের মতো জনবহুল কৃষিপ্রধান দেশে কৃষি যতটুকু গুরুত্ব পাওয়া দরকার, অনেক সময়ই তা লক্ষ করা যায় না। অথচ বিশাল জনগোষ্ঠীর খাদ্যনিরাপত্তার বলয়টি সুসংহত রাখতে বিশাল ভূমিকা রাখছে আমাদের কৃষি।
গণমাধ্যমে কৃষির বিষয়বস্তুর আঙ্গিকের দিকে খেয়াল করলে দেখা যায়, বিশেষ অনুষ্ঠানের পাশাপাশি কৃষিসংবাদও এখন মূলধারার সংবাদ হিসেবে স্থান পাচ্ছে। এটি বেশ আশার কথা। তবে বিশাল সম্ভাবনা থাকলেও বিশেষায়িত বিষয় হিসেবে কৃষি নিয়ে সংবাদ প্রাধান্য এখনো অনেক কম।
কৃষির মতো একটি বহুমুখী বিষয়ে সংবাদপ্রবাহ বাড়ানোর জন্য প্রয়োজন কিছু প্রাতিষ্ঠানিক আয়োজন। সবার আগে প্রয়োজন কৃষি বিষয়ে সাংবাদিক এবং সাংবাদিকতার শিক্ষার্থীদের তৈরি করা। সাংবাদিকতা শিক্ষার কারিকুলামে কৃষি সাংবাদিকতার বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে অন্তর্ভুক্ত করা জরুরি।
কৃষিকে জীবনোপায়, সংস্কৃতি, বিজ্ঞান, প্রাকৃতিক সম্পদ ব্যবস্থাপনা, শিল্প, ব্যবসা, অর্থনীতি, শিক্ষা, নীতি, দর্শন ইত্যাদি যেকোনো দৃষ্টিকোণ থেকে বিচার করা হোক না কেন, এটি সব সময়ই একটি অপরিহার্য বিষয় হিসেবেই স্থান পাবে। বাংলাদেশের সিংহভাগ কৃষির সঙ্গে সম্পৃক্ত—এ সত্যটি যেমন চিরন্তন, তেমনি অন্য যেকোনো বিশেষায়িত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের তুলনায় বাংলাদেশে কৃষি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সংখ্যাও কম নয়। এসব উদাহরণ স্পষ্ট ধারণা দেয়, কৃষি সত্যিই কতটা গুরুত্বপূর্ণ। তাই কৃষি সাংবাদিকতাও সমান গুরুত্বপূর্ণ।
টেলিভিশনই আমার কৃষি সাংবাদিকতার প্রধানতম মাধ্যম হলেও রেডিও কিংবা সংবাদপত্রসহ আমি সব মাধ্যমেই কাজ করেছি। চেয়েছি কৃষির গুরুত্বপূর্ণ খবরটি কৃষকের কাছে পৌঁছে দিতে। কিংবা কৃষকের কথাটি গুরুত্বের সঙ্গে রাষ্ট্রযন্ত্রের মাথায় তুলে দিতে। টেলিভিশনকে আমি মনে করেছি একটি শক্তিশালী মাধ্যম।
বাংলাদেশ টেলিভিশনে তখন ‘মাটি ও মানুষ’ অনুষ্ঠানটি দর্শকপ্রিয়তার তুঙ্গে। প্রচার হয় প্রতি শনিবার রাত সাড়ে ৮টায়, ঠিক বাংলা সংবাদের পর। এই অনুষ্ঠানের কল্যাণে তরুণদের মাঝে হাঁস-মুরগি পালন, খাঁচায় মুরগির চাষ, মাছের খামার খুব ব্যাপক প্রসার ঘটে। সে সময় অপরিহার্য হয়ে পড়ে কৃষি জ্ঞানটাকে আরও নিবিড়ভাবে পৌঁছে দেওয়া, অর্থাৎ কৃষি প্রশিক্ষণ। তরুণেরা খামার গড়তে আগ্রহী, কিন্তু খামার গড়ার প্রায়োগিক কারিগরি কোনো জ্ঞান নেই। মুরগির খামার, মাছের খামার, গরু মোটাতাজাকরণ কিংবা নার্সারি যা-ই হোক, সবখানেই কারিগরি জ্ঞান প্রয়োজন।
তখন দেশের যুব প্রশিক্ষণ কেন্দ্রগুলো উপলব্ধি করল, আগ্রহী তরুণদের প্রশিক্ষণ দরকার। প্রশিক্ষণ কেন্দ্রগুলোয় হাঁস-মুরগি পালন, মাছ চাষ ও বনায়নের নতুন কিছু কোর্স শুরু হলো। তরুণেরা তুমুল আগ্রহ নিয়ে প্রশিক্ষণ কেন্দ্রগুলোয় যাওয়া শুরু করলেন। এই প্রশিক্ষণের প্রসারও দেশব্যাপী ছড়িয়ে পড়ল। বাংলাদেশ টেলিভিশনে তখন প্রতিদিন বিকেলে প্রচারিত হতো উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় প্রযোজিত ‘দূরশিক্ষণ’ নামে একটি কার্যক্রম। কোনো দিন ইংরেজি, কোনো দিন গণিত, কোনো দিন ইতিহাস, কোনো দিন বিজ্ঞান, কোনো দিন ভূগোল, কোনো দিন কৃষি সম্পর্কে অনুষ্ঠান।
খুব সম্ভবত ১৯৯৩-৯৪ সালের কথা। তখন উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিসটা ছিল ঢাকা কলেজ চত্বরের টিচার্স ট্রেনিং কলেজ ভবনে। উপাচার্য ছিলেন ড. শমসের আলী। তিনি একদিন আমাকে ডেকে পাঠালেন। বললেন, যেসব বিষয় আমি বিটিভির ‘মাটি ও মানুষ’-এ দেখাই, সেগুলোকে আরও পুঙ্খানুপুঙ্খ প্রশিক্ষণের মতো করে দেখানো যায় কি না। যেমন মাছ কীভাবে চাষ করতে হয়, গরু লালন-পালনের পদ্ধতিটা কী। এই প্রয়োজনীয় বিষয়গুলো একেবারে নিবিড়ভাবে বোধগম্য উপায়ে প্রশিক্ষণ সিরিজ করা যায় কি না। এটি উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের কোর্স কারিকুলামে অন্তর্ভুক্ত করা হলে তরুণ প্রজন্মের অনেক উপকার হবে। আমি বেশ আগ্রহী হলাম। কারণ, এর উপযোগিতা সম্পর্কে আমি নিশ্চিত ছিলাম। শুধু তরুণ প্রজন্মই নয়, সব শ্রেণির দর্শকের কাছে কৃষির এই শিক্ষা জরুরি।
অনুষ্ঠানটির নাম ঠিক করলাম ‘কৃষি কৌশল’। উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি কোর্সের সঙ্গে যুক্ত করা হলো ‘কৃষি কৌশল’। এই অনুষ্ঠান প্রযোজনার জন্য বহিরাগত হলেও আমাকে ‘গেস্ট প্রডিউসার’ হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হলো। ড. শমসের আলী সরকারি গেজেট নোটিফিকেশনের মাধ্যমে প্রথম গেস্ট প্রডিউসার হিসেবে আমাকে নিয়োগ দিলেন। আমার মহল্লার আরেক বন্ধু মোসাদ্দেক হাসান (বর্তমানে চ্যানেল আইয়ের নির্বাহী পরিচালক, কারিগরি) তখন উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাসিস্ট্যান্ট ডিরেক্টর। তিনি বাংলাদেশ টেলিভিশনের ভিডিও এডিটর ছিলেন। বাংলাদেশ টেলিভিশনের এডিটরের চাকরি ছেড়ে উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগ দেন। মোসাদ্দেক, আমি আর ক্যামেরাম্যান মোয়াজ্জেম হোসেন মিলে উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষিবিষয়ক কোর্স কারিকুলাম শুরু করলাম ভিডিওতে।
‘মাটি ও মানুষ’-এর প্রতিটি অনুষ্ঠানের বিষয়কে নিবিড় ও পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে তুলে ধরার কাজ শুরু হলো। পদ্ধতিগত বিষয়গুলো ভিডিও এবং বর্ণনায় তুলে আনা হলো। মাছ চাষের কথা যদি বলি, পুকুরের আকার কেমন হবে, কীভাবে খনন করতে হবে, কখন চুন দিতে হবে, কখন পানি ছাড়তে হবে, মাছের পোনা কখন ছাড়তে হবে, পোনার বয়স কত হবে, কী খাবার দিতে হবে—এসব কারিগরি বিষয় সবিস্তারে উঠে আসতে থাকল। আমি ব্যক্তিগতভাবে টেলিভিশনকে সব সময়ই একটি শিক্ষার জায়গা হিসেবে বিবেচনা করে আসছি।
আমাদের মতো দেশের টেলিভিশন বিনোদনের পাশাপাশি মানুষকে বিভিন্ন বিষয়ে প্রশিক্ষিত করবে, এটিই স্বাভাবিক। কাজ করতে গিয়ে বারবারই মনে হয়েছে ক্যামেরার চোখে টেলিভিশনের পর্দায় যা দেখাব এর সঙ্গে মিলিয়ে শব্দ বা ধারাবর্ণনা দিয়ে কানে শোনাব। একজন মানুষ খুব সহজেই তা বুঝতে পারবে।
টেলিভিশনে ‘কৃষি কৌশল’ শুরুর সময় একই সঙ্গে বাংলাদেশ বেতারে শুরু করলাম ‘মাটির কাছে মানুষের কাছে’। এর আগে রেডিওতে স্থানীয় সংবাদ ও কৃষি খবর পড়ার অভিজ্ঞতা ছিল। আর মনে ছিল রেডিওর ‘দেশ আমার মাটি আমার’ কার্যক্রমটির কথা। যেখানে ‘মজিদের মা’ নামে একটি জনপ্রিয় চরিত্র ছিল। টেলিভিশনের কৃষি কৌশলের চেয়ে চ্যালেঞ্জিং ছিল রেডিওর অনুষ্ঠান। তার মানে শ্রোতা এখানে দেখতে পাচ্ছে না, তাকে শব্দ দিয়ে পরিবেশ-পরিস্থিতি সবই বোঝাতে হচ্ছে। আমি অনুষ্ঠানের প্রয়োজনীয়তা বুঝেই মাইক্রোফোন ও রেকর্ডার নিয়ে গ্রামে গেলাম।
পোলট্রির এক দিনের বাচ্চার অনুষ্ঠান ধারণের সময় মনে হলো এখানে বাচ্চার কিচিরমিচির আওয়াজটা যদি শ্রোতার কানে না পৌঁছায় তাহলে অনুষ্ঠান প্রাণ পাবে না। একইভাবে গ্রামে সেচনালার পাশে দাঁড়িয়ে যখন কথা বলছি, তখন কলকল ধ্বনিটা যদি না শোনানো যায়, তাহলে মানুষের মনে দৃশ্যপট তৈরি হয় না। একই সঙ্গে সীমাবদ্ধতাটাও বুঝেছি। নিজের কাছেই স্পষ্ট হয়েছে কেন রেডিওতে কৃষিবিষয়ক অনুষ্ঠান সফল হয়নি।
এই কাজগুলো করতে করতেই প্রতিনিয়ত পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার সুযোগ পেয়েছি। উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের এই ‘কৃষি কৌশল’ করতে গিয়ে নতুন একটি মডেল তৈরির সুযোগ পেলাম। বাংলাদেশ টেলিভিশনের ‘মাটি ও মানুষ’ ছিল মূলত উদ্বুদ্ধকরণ অনুষ্ঠান। কৃষির ব্যাপারে উদ্বুদ্ধ করতাম। নতুন চাষব্যবস্থা, নতুন কৌশল, নতুন ফসল, নতুন বীজ—এসব বিষয় দেখে কৃষক দারুণ উদ্বুদ্ধ হতেন। দর্শক হিসেবে আরেকজন কৃষকও চাইতেন সেটা করতে। কিন্তু তাঁর কাছে কৌশলটা ছিল না। কীভাবে করবেন তা তিনি জানতেন না। বাউবি দূরশিক্ষণের কৃষি কৌশলটা ছিল সে রকম একটা বিষয়।
‘মাটি ও মানুষ’ প্রচার হতো শনিবার। মাটি ও মানুষের শেষে দর্শকদের আমি বলতাম, এ বিষয়ের বিস্তারিত যদি হাতে-কলমে পেতে চান, আগামী বৃহস্পতিবারের উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘কৃষি কৌশল’ দেখুন। একই টেলিভিশনে ঠিক চার দিন পর দর্শক অপেক্ষা করে অনুষ্ঠানটি দেখে কৌশলটা শিখতেন। টেলিভিশনে দেখে যখন তিনি হাতে-কলমে করতে যেতেন অনেক সময় হিসাব বা তথ্য ভুলে যেতেন। তখন সেই দর্শককে আমি টেনে নিয়ে এলাম পত্রিকায়। দৈনিক জনকণ্ঠে ‘চাষবাস’ নামে একটা কলাম লিখতাম আমি। ‘চাষবাস’ কলামে উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে আমি যা দেখালাম, সেই তথ্যগুলো সুনির্দিষ্টভাবে তুলে ধরতাম।
এতে প্রথম ‘মাটি ও মানুষ’ অনুষ্ঠান দেখে কৃষক উদ্বুদ্ধ হতেন, তিনি হাতে-কলমে কৌশল জানার জন্য দেখতেন উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘কৃষি কৌশল’। আর তথ্যগুলো কাগজে নিশ্চিতভাবে পাওয়ার জন্য তাঁরা পড়তে শুরু করলেন জনকণ্ঠের চাষবাস কলাম। এটি হয়ে উঠল তথ্য পৌঁছে দেওয়ার জন্য একটা ত্রিমুখী মডেল। তখনকার কৃষির উত্তরণে এই ত্রিমুখী কার্যক্রমের বড় একটি অবদান ছিল।
আমরা যখন চ্যানেল আই প্রতিষ্ঠা করলাম, কাজগুলো নিজেদের মতো করার সুযোগ তৈরি হলো। কৃষিতে দেশ-বিদেশের কৌশল তুলে ধরতে শুরু করলাম; যা দেশের আপামর কৃষক তো বটেই, নীতিনির্ধারকদের মাঝেও চিন্তার পরিবর্তন ঘটাতে সহায়ক হয়েছে।
কৃষককে সাধারণ মানুষ হিসেবে গণমাধ্যমে সরাসরি অংশ নেওয়ার যে বৃত্ত, তার বাইরে রেখে দেওয়া হয়েছে বছরের পর বছর। আমরা চেষ্টা করেছি সে বৃত্ত ভেঙে কৃষককে মূল ধারায় যুক্ত করতে। এরই ধারাবাহিকতায় আমরা শুরু করি ‘কৃষকের ঈদ আনন্দ’ নামে অনুষ্ঠান। কৃষকের কণ্ঠ সরাসরি নীতিনির্ধারকদের কাছে পৌঁছে দিতে শুরু করি ‘কৃষি বাজেট কৃষকের বাজেট’। কৃষকের কাছে তথ্য পৌঁছে দেওয়ার জন্য আমরা প্রতিদিন কৃষি সংবাদ প্রচার শুরু করি।
আজ দেশের প্রায় সব সংবাদমাধ্যম কৃষি সংবাদকে গুরুত্বের সঙ্গে প্রচার করছে। আমাদের আজকের যে কৃষি সাফল্য এর পেছনে সরকারের নীতিনির্ধারণী পর্যায় থেকে নেওয়া পদক্ষেপ, গবেষণার সাফল্য, কৃষি শিক্ষার প্রসার এবং গণমাধ্যমের প্রত্যক্ষ ভূমিকা আছে।
সময় পাল্টেছে, পাল্টেছে যোগাযোগের ধরন-ধারণ। গণমাধ্যমের প্রচার প্রসারের একটা বড় মাধ্যম হয়ে দাঁড়িয়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম। তাই প্রথম থেকেই আমি দেশ-বিদেশের কৃষিতথ্য নিয়ে সরব থাকছি ফেসবুক, ইউটিউবেও। দেশের লাখো মানুষ, তরুণদের সঙ্গে আমি শেয়ার করতে পারছি আমার অভিজ্ঞতা, তাৎক্ষণিক জানতে পারছি তাঁদের মতামত।
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২ ঘণ্টা আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২ ঘণ্টা আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৩ ঘণ্টা আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
৩ ঘণ্টা আগে