শেখ আব্দুস সাকুর উল্লাস, নবাবগঞ্জ (ঢাকা)
তবে সব ভুলে এবার ঈদের আনন্দ যেন মুক্তবিহঙ্গের মতো ডানা মেলেছে মানুষের মনে। তারই ছাপ পড়েছে নবাবগঞ্জের বিপণিবিতানগুলোতে। ক্রেতা-বিক্রেতার উপচে পড়া ভিড় দেখা গেছে বেশির ভাগ মার্কেটে।
দুই বছর পর মার্কেটে এমন জনসমাগম দেখে বিক্রেতাদের মুখে হাসি ফুটে উঠেছে। বিক্রি বেড়েছে অনেক গুণ। তবে গত দুই বছরের ক্ষতি কতটা পুষিয়ে উঠতে পারবেন, সেই আশঙ্কা আছে অনেকের মনে। অনেক ব্যবসায়ী বলেন, বিগত যেকোনো সময়ের চেয়ে এবার বিক্রি অনেক বেশি। অনেকে বলছেন, গত দুই বছরের তুলনায় বিক্রি বেশি হলেও ২০১৯ সালের চেয়ে তত বেশি না।
তবে বেশির ভাগ বিক্রেতার প্রত্যাশা এবার ঈদে বিক্রির নতুন রেকর্ড সৃষ্টি হবে। আর ক্রেতারাও বলছেন, এবার তারা পরিবারের সবার জন্য ঈদের কেনাকাটা করছেন। ইতিমধ্যে অনেকেই কেনাকাটা শেষ করে ফেলেছেন। মার্কেটে মার্কেটে এখন চলছে শেষ মুহূর্তের কেনাকাটা।
দীর্ঘ লকডাউনে পুঁজি হারিয়ে অনেক ব্যবসায়ী নিঃস্ব হয়ে ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান বিক্রি করে দিয়েছেন। অনেকে আবার নতুন করে ঘুরে দাঁড়ানোর স্বপ্ন বুনছেন। এমনি অনেক আশা, প্রত্যাশা এবং হতাশা থেকে মুক্তির উৎসব বলে মনে করছেন এবারের ঈদকে।
বাগমারা বাজারের পোশাক বিক্রেতা মো. প্যারিস বলেন, বাজারের বেশির ভাগ ব্যবসায়ী ঈদকে কেন্দ্র করে তাঁদের ব্যবসার কৌশল ঠিক করে থাকেন। কারণ, সারা বছর যা বিক্রি হয়, তাতে অনেকের দোকান খরচ ওঠানোই দুষ্কর হয়ে পড়ে। তাঁদের দুই ঈদ, পূজা ও পয়লা বৈশাখের বিক্রির ওপর নির্ভর করতে হয়। দুই বছর ঠিকমতো ব্যবসা করতে না পেরে অনেকেই ঋণের জালে আটকা পড়ে গেছেন। সব মিলিয়ে এবার দোকানিরা তাঁদের ক্ষতি কতটা পুষিয়ে উঠতে পারবেন, সেটা সন্দেহ আছে। পাইকারি বাজারে পণ্য পাওয়া যাচ্ছে না।
হাজি আত্রাব ফ্যাশনের স্বত্বাধিকারী মো. আরিফ বলেন, ক্রেতারা বেশির ভাগ বিভিন্ন দিকে ছুটছেন। ঢাকা কাছে হওয়ায় অনেকে ঢাকা যাচ্ছেন। পার্শ্ববর্তী উপজেলা দোহারে যাচ্ছেন অনেকে। পাড়া-মহল্লার দোকানে ক্রেতার উপস্থিতি কম।
বাগমারা বাজারের মাসুম শু স্টোরের মালিক মো. মাসুম বলেন, ‘গত দুই বছর ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান আঁকড়ে ধরে বসেছিলাম, যা বিক্রি হতো, তাতে কোনোরকম খেয়ে-পরে ছিলাম।’
মো. মাসুম আরও বলেন, ‘খাতা-কলমে বিক্রি বেড়েছে, তবে বেশির ভাগ ব্যবসায়ী বুঝতে পারছেন না, পণ্যের মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে। গতবার যা বিক্রি করতাম ৫০০ টাকায়, এবার তা বিক্রি করতে হচ্ছে ৭০০-৮০০ টাকায়। টাকার পরিমাণ বাড়লেও ক্রেতা বাড়ছে না। এবার মধ্যবিত্ত ক্রেতাদের পণ্য কেনার পরিমাণ একটু কমেছে। অনেকেই একটু কম দামে জুতা চাচ্ছেন। অনেকে দেখে, দাম শুনে চলে যাচ্ছেন। বুঝতে পারছি তাদের অসংগতির বিষয়টি।’
কেনাকাটা করতে আসা মোহাম্মদ হোসেন বলেন, ‘বাচ্চাদের নিয়ে এবার নির্ভয়ে শপিং করতে পারছি, এটা ভালো লাগছে। গতবারও শপিং করেছি, কিন্তু করোনার ভয়ে সব সময় আতঙ্কে থাকতে হয়েছে।’
আরেক ক্রেতা দেলোয়ার হোসেন বলেন, ‘এবার জিনিসপত্রের দাম একটু বেশি। বাচ্চাদের পোশাক কিনে বাজেট শেষ। নিজেদের জন্য কিছু নিতে পারব কি না, এখনো নিশ্চিত না। সাধ আর সাধ্যের মধ্যে সমন্বয় করতে পারছি না।’
তবে দরজিপাড়ার ভিড় যেন একটু বেশি। কথা বলার সময়টুকু পাচ্ছেন না কাজের চাপে। বাগমারা বাজারের দরজি মিজানুর রহমান বলেন, ‘কাপড়ের দোকানদারেরা তৈরি পোশাক বিক্রি করেন, আর আমরা কাপড় থেকে নতুন পোশাক তৈরি করি। তার চেয়ে বেশি ঝামেলা হচ্ছে প্রোডাকশনের তুলনায় বেশি অর্ডার নিয়ে ফেলেছি। এখন দিনরাত কাজ করে ডেলিভারি দেওয়ার চেষ্টা করছি।’
বাগমারা বাজারের বণিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান সেন্টু বলেন, ‘অনেক দিন পর বাজারে ঈদের আমেজ বিরাজ করছে। ব্যবসায়ীরা ফিরেছেন তাঁদের নিজের ছন্দে। মূলত একটা বাজারের প্রাণ হচ্ছে ক্রেতা-বিক্রেতাদের উপস্থিতি। গত দুই বছর নানা নিয়মের জালে আটকা ছিল ব্যবসায়ের স্বাভাবিক কার্যক্রম। সবকিছুর পর আবার বাজার কর্মচঞ্চল হয়েছে, এতেই আমরা খুশি। আশা করছি, ব্যবসায়ীরা তাঁদের ক্ষতি পুষিয়ে উঠতে পারবেন।’
তবে সব ভুলে এবার ঈদের আনন্দ যেন মুক্তবিহঙ্গের মতো ডানা মেলেছে মানুষের মনে। তারই ছাপ পড়েছে নবাবগঞ্জের বিপণিবিতানগুলোতে। ক্রেতা-বিক্রেতার উপচে পড়া ভিড় দেখা গেছে বেশির ভাগ মার্কেটে।
দুই বছর পর মার্কেটে এমন জনসমাগম দেখে বিক্রেতাদের মুখে হাসি ফুটে উঠেছে। বিক্রি বেড়েছে অনেক গুণ। তবে গত দুই বছরের ক্ষতি কতটা পুষিয়ে উঠতে পারবেন, সেই আশঙ্কা আছে অনেকের মনে। অনেক ব্যবসায়ী বলেন, বিগত যেকোনো সময়ের চেয়ে এবার বিক্রি অনেক বেশি। অনেকে বলছেন, গত দুই বছরের তুলনায় বিক্রি বেশি হলেও ২০১৯ সালের চেয়ে তত বেশি না।
তবে বেশির ভাগ বিক্রেতার প্রত্যাশা এবার ঈদে বিক্রির নতুন রেকর্ড সৃষ্টি হবে। আর ক্রেতারাও বলছেন, এবার তারা পরিবারের সবার জন্য ঈদের কেনাকাটা করছেন। ইতিমধ্যে অনেকেই কেনাকাটা শেষ করে ফেলেছেন। মার্কেটে মার্কেটে এখন চলছে শেষ মুহূর্তের কেনাকাটা।
দীর্ঘ লকডাউনে পুঁজি হারিয়ে অনেক ব্যবসায়ী নিঃস্ব হয়ে ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান বিক্রি করে দিয়েছেন। অনেকে আবার নতুন করে ঘুরে দাঁড়ানোর স্বপ্ন বুনছেন। এমনি অনেক আশা, প্রত্যাশা এবং হতাশা থেকে মুক্তির উৎসব বলে মনে করছেন এবারের ঈদকে।
বাগমারা বাজারের পোশাক বিক্রেতা মো. প্যারিস বলেন, বাজারের বেশির ভাগ ব্যবসায়ী ঈদকে কেন্দ্র করে তাঁদের ব্যবসার কৌশল ঠিক করে থাকেন। কারণ, সারা বছর যা বিক্রি হয়, তাতে অনেকের দোকান খরচ ওঠানোই দুষ্কর হয়ে পড়ে। তাঁদের দুই ঈদ, পূজা ও পয়লা বৈশাখের বিক্রির ওপর নির্ভর করতে হয়। দুই বছর ঠিকমতো ব্যবসা করতে না পেরে অনেকেই ঋণের জালে আটকা পড়ে গেছেন। সব মিলিয়ে এবার দোকানিরা তাঁদের ক্ষতি কতটা পুষিয়ে উঠতে পারবেন, সেটা সন্দেহ আছে। পাইকারি বাজারে পণ্য পাওয়া যাচ্ছে না।
হাজি আত্রাব ফ্যাশনের স্বত্বাধিকারী মো. আরিফ বলেন, ক্রেতারা বেশির ভাগ বিভিন্ন দিকে ছুটছেন। ঢাকা কাছে হওয়ায় অনেকে ঢাকা যাচ্ছেন। পার্শ্ববর্তী উপজেলা দোহারে যাচ্ছেন অনেকে। পাড়া-মহল্লার দোকানে ক্রেতার উপস্থিতি কম।
বাগমারা বাজারের মাসুম শু স্টোরের মালিক মো. মাসুম বলেন, ‘গত দুই বছর ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান আঁকড়ে ধরে বসেছিলাম, যা বিক্রি হতো, তাতে কোনোরকম খেয়ে-পরে ছিলাম।’
মো. মাসুম আরও বলেন, ‘খাতা-কলমে বিক্রি বেড়েছে, তবে বেশির ভাগ ব্যবসায়ী বুঝতে পারছেন না, পণ্যের মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে। গতবার যা বিক্রি করতাম ৫০০ টাকায়, এবার তা বিক্রি করতে হচ্ছে ৭০০-৮০০ টাকায়। টাকার পরিমাণ বাড়লেও ক্রেতা বাড়ছে না। এবার মধ্যবিত্ত ক্রেতাদের পণ্য কেনার পরিমাণ একটু কমেছে। অনেকেই একটু কম দামে জুতা চাচ্ছেন। অনেকে দেখে, দাম শুনে চলে যাচ্ছেন। বুঝতে পারছি তাদের অসংগতির বিষয়টি।’
কেনাকাটা করতে আসা মোহাম্মদ হোসেন বলেন, ‘বাচ্চাদের নিয়ে এবার নির্ভয়ে শপিং করতে পারছি, এটা ভালো লাগছে। গতবারও শপিং করেছি, কিন্তু করোনার ভয়ে সব সময় আতঙ্কে থাকতে হয়েছে।’
আরেক ক্রেতা দেলোয়ার হোসেন বলেন, ‘এবার জিনিসপত্রের দাম একটু বেশি। বাচ্চাদের পোশাক কিনে বাজেট শেষ। নিজেদের জন্য কিছু নিতে পারব কি না, এখনো নিশ্চিত না। সাধ আর সাধ্যের মধ্যে সমন্বয় করতে পারছি না।’
তবে দরজিপাড়ার ভিড় যেন একটু বেশি। কথা বলার সময়টুকু পাচ্ছেন না কাজের চাপে। বাগমারা বাজারের দরজি মিজানুর রহমান বলেন, ‘কাপড়ের দোকানদারেরা তৈরি পোশাক বিক্রি করেন, আর আমরা কাপড় থেকে নতুন পোশাক তৈরি করি। তার চেয়ে বেশি ঝামেলা হচ্ছে প্রোডাকশনের তুলনায় বেশি অর্ডার নিয়ে ফেলেছি। এখন দিনরাত কাজ করে ডেলিভারি দেওয়ার চেষ্টা করছি।’
বাগমারা বাজারের বণিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান সেন্টু বলেন, ‘অনেক দিন পর বাজারে ঈদের আমেজ বিরাজ করছে। ব্যবসায়ীরা ফিরেছেন তাঁদের নিজের ছন্দে। মূলত একটা বাজারের প্রাণ হচ্ছে ক্রেতা-বিক্রেতাদের উপস্থিতি। গত দুই বছর নানা নিয়মের জালে আটকা ছিল ব্যবসায়ের স্বাভাবিক কার্যক্রম। সবকিছুর পর আবার বাজার কর্মচঞ্চল হয়েছে, এতেই আমরা খুশি। আশা করছি, ব্যবসায়ীরা তাঁদের ক্ষতি পুষিয়ে উঠতে পারবেন।’
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
১ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৯ দিন আগে