আশরাফুল আলম আপন, বদরগঞ্জ
বদরগঞ্জে মরা তিস্তা নদী ঘেঁষে ইজারা নেওয়া সরকারি জমিতে বহুতল ভবন নির্মাণ করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। উপজেলা পরিষদের পাশে সেতুসংলগ্ন এলাকায় ৭৬ শতক জায়গা এভাবে বেহাত হয়ে আছে।
উপজেলা ভূমি কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, জায়গাটি সরকারি খতিয়ানভুক্ত। কিন্তু ১৯৬৫ সালের দিকে এটি বন্দোবস্ত নেন গোলাম হোসেন নামের এক ব্যক্তি। পরবর্তীতে তিনি জায়গাটি নিজের নামে রেকর্ড করে বিভিন্ন ব্যক্তির কাছে বিক্রি করে দেন। এরপর অন্যরা সেই জায়গায় বহুতল ভবন নির্মাণ করছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ৭৬ শতক জায়গার মধ্যে অধ্যাপক আমিনুল ইসলাম, পশু চিকিৎসক রহমান ভবন নির্মাণ করেছেন। আজম আলী নামে আরেক সম্প্রতি মারা যাওয়ায় তাঁর কাজ বন্ধ রয়েছে। তাঁদের দেখে নদী ঘেঁষে বহুতল ভবন নির্মাণের লক্ষ্যে পাইলিংয়ের কাজ শেষ করেছেন স্থানীয় প্রধান শিক্ষক শাহজাহান আলী। ইতিমধ্যে তিনি নদীর কিনারা পর্যন্ত সীমানা মেপে নিয়েছেন। এখন বৈধতা পেয়ে প্রায় ১০ শতক জায়গা টিনের বেড়া দিয়ে ঘিরে রেখেছেন।
সরেজমিনে দেখা গেছে, টিনের বেড়া দিয়ে ঘেরা জায়গায় বহুতল ভবনের জন্য পাইলিংয়ের কাজ করা হয়েছে। বেড়ার উদ্দেশ্য, যাতে কেউ বুঝতে না পারেন নদী ঘেঁষে সরকারি জায়গায় বহুতল ভবন নির্মাণ হচ্ছে।
উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক নেতা রুবেল আহম্মেদ বলেন, সেখানে এক শতক জায়গার দাম ১০ লাখ টাকার ঊর্ধ্বে। এক ব্যক্তি ৭৬ শতক জায়গা সরকারের কাছ থেকে ইজারা নিয়ে প্রভাবশালীদের কাছে বিক্রি করে দিয়েছেন। সেখানে চলছে বহুতল ভবন নির্মাণের প্রতিযোগিতা।
এ বিষয়ে পৌর যুবলীগের আহ্বায়ক আবু তালহা জানান, নয় মাস আগে ওই জায়গায় নির্মাণকাজ বন্ধ করে দিয়েছিলেন পৌর শহরের ভূমি কর্মকর্তা রতন কুমার। কিন্তু পরবর্তীতে রহস্যজনক কারণে তিনি ব্যবস্থা না নিয়ে উল্টো উপজেলা ভূমি কার্যালয়ের সার্ভেয়ার সাবিনা ইয়াছমিনকে সঙ্গে নিয়ে নদী ঘেঁষে ১০ শতক জায়গা মেপে দেন। এরপর শাহজাহান আলী ওই সীমানা টিনের বেড়া দিয়ে ঘিরে ভেতরে বহুতল ভবন নির্মাণের চেষ্টা চালাচ্ছেন।
তবে শাহজাহান বলেন, ‘জায়গাটি আগে সরকারের নামে ছিল। কিন্তু এখন ব্যক্তি মালিকানাধীন হয়েছে। আমি সম্প্রতি অনেক টাকা দিয়ে এই জায়গা কিনেছি এবং বহুতল ভবনের জন্য ইতিমধ্যে পাইলিংয়ের কাজও শেষ করেছি।’ বিষয়টি নিয়ে পত্রিকায় লেখালেখি না করার অনুরোধও জানান তিনি।
এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে ভূমি কর্মকর্তা রতন কুমার বলেন, ‘তৎকালীন ইউএনওর নির্দেশে সেখানে গিয়ে কাজ বন্ধ করে দিয়েছিলাম। পরে প্রশাসনকে কাগজপত্র দেখান শাহজাহান।
এক প্রশ্নের জবাবে ভূমি কর্মকর্তা বলেন, ‘রেকর্ড সরকারের নামে রয়েছে। কিন্তু পরবর্তীতে জমিটির মালিকানা হয়েছে। তাই কেউ সেখানে বহুতল ভবন নির্মাণ করলে আমাদের করার কিছুই থাকে না।’
অন্যদিকে সার্ভেয়ার সাবিনা ইয়াছমিন বলেন, ‘ওই জমির সীমানা মেপে দেওয়ার ঘটনায় কারও কাছ থেকে এক টাকাও নিইনি। খুশি হয়ে শাহজাহান তাঁর বাড়িতে দুপুরের দাওয়াত দিয়েছিলেন। অভিযোগ উঠবে ভেবে সেই দাওয়াতেও গ্রহণ করেনি। আমরা চাকরি করতে এসেছি। কারও সঙ্গে বিরোধ করতে আসিনি।’
আইন দিয়ে সব কাজ হয় না মন্তব্য করে সাবিনা আরও বলেন, ‘এখানকার কিছু জনপ্রতিনিধি শাহজাহানের পক্ষে কথা বলছেন। আমরা কোন পাশে যাব?’
এ বিষয়ে নদী বিশেষজ্ঞ ফজলুল হক বলেন, ‘নিজের জায়গা হলেও নদীর ৩০ ফুটের মধ্য বহুতল ভবন নির্মাণ করা যাবে না-এমন আইন আছে। কিন্তু বাস্তবায়ন না থাকায় শাহজাহান আলীর মতো প্রভাবশালীরা সেই আইন মানছেন না।’
জানতে চাইলে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) তাশপিয়া তাসরিন বলেন, ‘আমি সম্প্রতি এ উপজেলায় যোগদান করেছি। কাগজপত্র না দেখে কিছু বলতে পারছি না।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আবু সাঈদ বলেন, ‘ইতিমধ্যে বিষয়টি জেনেছি। বিধি মোতাবেক তদন্ত করে সিএস খতিয়ানভুক্ত জমি উদ্ধারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
বদরগঞ্জে মরা তিস্তা নদী ঘেঁষে ইজারা নেওয়া সরকারি জমিতে বহুতল ভবন নির্মাণ করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। উপজেলা পরিষদের পাশে সেতুসংলগ্ন এলাকায় ৭৬ শতক জায়গা এভাবে বেহাত হয়ে আছে।
উপজেলা ভূমি কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, জায়গাটি সরকারি খতিয়ানভুক্ত। কিন্তু ১৯৬৫ সালের দিকে এটি বন্দোবস্ত নেন গোলাম হোসেন নামের এক ব্যক্তি। পরবর্তীতে তিনি জায়গাটি নিজের নামে রেকর্ড করে বিভিন্ন ব্যক্তির কাছে বিক্রি করে দেন। এরপর অন্যরা সেই জায়গায় বহুতল ভবন নির্মাণ করছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ৭৬ শতক জায়গার মধ্যে অধ্যাপক আমিনুল ইসলাম, পশু চিকিৎসক রহমান ভবন নির্মাণ করেছেন। আজম আলী নামে আরেক সম্প্রতি মারা যাওয়ায় তাঁর কাজ বন্ধ রয়েছে। তাঁদের দেখে নদী ঘেঁষে বহুতল ভবন নির্মাণের লক্ষ্যে পাইলিংয়ের কাজ শেষ করেছেন স্থানীয় প্রধান শিক্ষক শাহজাহান আলী। ইতিমধ্যে তিনি নদীর কিনারা পর্যন্ত সীমানা মেপে নিয়েছেন। এখন বৈধতা পেয়ে প্রায় ১০ শতক জায়গা টিনের বেড়া দিয়ে ঘিরে রেখেছেন।
সরেজমিনে দেখা গেছে, টিনের বেড়া দিয়ে ঘেরা জায়গায় বহুতল ভবনের জন্য পাইলিংয়ের কাজ করা হয়েছে। বেড়ার উদ্দেশ্য, যাতে কেউ বুঝতে না পারেন নদী ঘেঁষে সরকারি জায়গায় বহুতল ভবন নির্মাণ হচ্ছে।
উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক নেতা রুবেল আহম্মেদ বলেন, সেখানে এক শতক জায়গার দাম ১০ লাখ টাকার ঊর্ধ্বে। এক ব্যক্তি ৭৬ শতক জায়গা সরকারের কাছ থেকে ইজারা নিয়ে প্রভাবশালীদের কাছে বিক্রি করে দিয়েছেন। সেখানে চলছে বহুতল ভবন নির্মাণের প্রতিযোগিতা।
এ বিষয়ে পৌর যুবলীগের আহ্বায়ক আবু তালহা জানান, নয় মাস আগে ওই জায়গায় নির্মাণকাজ বন্ধ করে দিয়েছিলেন পৌর শহরের ভূমি কর্মকর্তা রতন কুমার। কিন্তু পরবর্তীতে রহস্যজনক কারণে তিনি ব্যবস্থা না নিয়ে উল্টো উপজেলা ভূমি কার্যালয়ের সার্ভেয়ার সাবিনা ইয়াছমিনকে সঙ্গে নিয়ে নদী ঘেঁষে ১০ শতক জায়গা মেপে দেন। এরপর শাহজাহান আলী ওই সীমানা টিনের বেড়া দিয়ে ঘিরে ভেতরে বহুতল ভবন নির্মাণের চেষ্টা চালাচ্ছেন।
তবে শাহজাহান বলেন, ‘জায়গাটি আগে সরকারের নামে ছিল। কিন্তু এখন ব্যক্তি মালিকানাধীন হয়েছে। আমি সম্প্রতি অনেক টাকা দিয়ে এই জায়গা কিনেছি এবং বহুতল ভবনের জন্য ইতিমধ্যে পাইলিংয়ের কাজও শেষ করেছি।’ বিষয়টি নিয়ে পত্রিকায় লেখালেখি না করার অনুরোধও জানান তিনি।
এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে ভূমি কর্মকর্তা রতন কুমার বলেন, ‘তৎকালীন ইউএনওর নির্দেশে সেখানে গিয়ে কাজ বন্ধ করে দিয়েছিলাম। পরে প্রশাসনকে কাগজপত্র দেখান শাহজাহান।
এক প্রশ্নের জবাবে ভূমি কর্মকর্তা বলেন, ‘রেকর্ড সরকারের নামে রয়েছে। কিন্তু পরবর্তীতে জমিটির মালিকানা হয়েছে। তাই কেউ সেখানে বহুতল ভবন নির্মাণ করলে আমাদের করার কিছুই থাকে না।’
অন্যদিকে সার্ভেয়ার সাবিনা ইয়াছমিন বলেন, ‘ওই জমির সীমানা মেপে দেওয়ার ঘটনায় কারও কাছ থেকে এক টাকাও নিইনি। খুশি হয়ে শাহজাহান তাঁর বাড়িতে দুপুরের দাওয়াত দিয়েছিলেন। অভিযোগ উঠবে ভেবে সেই দাওয়াতেও গ্রহণ করেনি। আমরা চাকরি করতে এসেছি। কারও সঙ্গে বিরোধ করতে আসিনি।’
আইন দিয়ে সব কাজ হয় না মন্তব্য করে সাবিনা আরও বলেন, ‘এখানকার কিছু জনপ্রতিনিধি শাহজাহানের পক্ষে কথা বলছেন। আমরা কোন পাশে যাব?’
এ বিষয়ে নদী বিশেষজ্ঞ ফজলুল হক বলেন, ‘নিজের জায়গা হলেও নদীর ৩০ ফুটের মধ্য বহুতল ভবন নির্মাণ করা যাবে না-এমন আইন আছে। কিন্তু বাস্তবায়ন না থাকায় শাহজাহান আলীর মতো প্রভাবশালীরা সেই আইন মানছেন না।’
জানতে চাইলে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) তাশপিয়া তাসরিন বলেন, ‘আমি সম্প্রতি এ উপজেলায় যোগদান করেছি। কাগজপত্র না দেখে কিছু বলতে পারছি না।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আবু সাঈদ বলেন, ‘ইতিমধ্যে বিষয়টি জেনেছি। বিধি মোতাবেক তদন্ত করে সিএস খতিয়ানভুক্ত জমি উদ্ধারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
২ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৯ দিন আগে