মৌলভীবাজার প্রতিনিধি
ন্যূনতম ৩০০ টাকা মজুরির দাবিতে গতকাল বুধবার দ্বিতীয় দিনের মতো কর্মবিরতি পালন করেন মৌলভীবাজারের ৯২টি চা-বাগানের চা-শ্রমিকেরা। একই সঙ্গে কর্মসূচি পালন করেছেন দেশের ১৬৭টি চা-বাগানসহ ফাঁড়ি বাগানগুলোর শ্রমিকেরা। সারা দেশে একযোগে প্রতিবাদ সভা, মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিলের মধ্য দিয়ে তিন দিনের এ কর্মসূচি পালন করছেন তাঁরা।
বর্তমানে ১২০ টাকা মজুরির সঙ্গে ১৪ টাকা বাড়িয়ে ১৩৪ টাকা প্রস্তাব করলে এর বিরোধিতা করে আন্দোলন শুরু করেন চা-শ্রমিকেরা।
এ সময় শ্রমিকেরা বলেন, ‘আমাদের শ্রম আর ঘামে চা-শিল্পের উন্নয়ন। অথচ আমাদের খাওয়া, চিকিৎসা, কাপড়, লেখাপড়া সর্বোপরি জীবনযাপন করা অনেক কষ্টের। এ সময়ের মধ্যে মজুরি বাড়ানোর বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত না এলে পরবর্তীতে পূর্ণদিবসসহ সড়ক অবরোধ করার পরিকল্পনা রয়েছে। যদি এর মধ্যে বেতন বাড়ানোর বিষয় কর্তৃপক্ষ মেনে নেয়, তবে আন্দোলন প্রত্যাহার করা হবে।
জুড়ী উপজেলার সোনারুপা চা-বাগানের বাগান পঞ্চায়েত সভাপতি মতি রুদ্রপাল বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে ৩০০ টাকা মজুরির জন্য আমরা আন্দোলন করে আসছি। মজুরি বোর্ডে তা বাস্তবায়ন হচ্ছে না। মানুষ হিসেবে বেঁচে থাকার জন্য আমাদের এ আন্দোলন। ১২০ থেকে ১৪ টাকা আমাদের হাজিরি বাড়ানোর প্রস্তাব আনা হয়েছিল; যা দিয়ে কোনো শ্রমিকের দৈনন্দিন চাহিদা মেটানো অসম্ভব।’
সোনারুপা চা-বাগানের ব্যবস্থাপক নাহিদ ফেরদৌস চৌধুরী বলেন, ‘চা-শ্রমিকের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে চা-সংসদের প্রতিনিধিরা চা-বোর্ডের সঙ্গে আলোচনা করেন। বাগানে কর্মবিরতি করতে হলে বোর্ড লিখিতভাবে আমাদের জানায়। এ বাগানে লিখিত কোনো কাগজ পাইনি। চা-শ্রমিকেরা শান্তিপূর্ণভাবে এ কর্মসূচি পালনের জন্য মৌখিকভাবে আমাকে জানান।’
মজুরি বাড়ানোর দাবিতে গত মঙ্গলবার থেকে শুরু হওয়া কেন্দ্রীয় কর্মসূচিতে বাংলাদেশ চা-শ্রমিক ইউনিয়নের নেতারা বিভিন্ন বাগানে গিয়ে অংশ নেন।
এ ছাড়া শমশেরনগর চা-বাগান কারখানার সামনে মনু-দলই ভ্যালির সাধারণ সম্পাদক নির্মল পাইনকার নেতৃত্বে বাগান পঞ্চায়েত কমিটির সভাপতি-সম্পাদকসহ নেতারা কর্মবিরতিতে অংশ নেন। নির্মল পাইকার বলেন, ‘সারা দেশের চা-শ্রমিক ও নেতারা ঐক্যবদ্ধ। আমাদের দাবি মালিকপক্ষকে মানতে হবে।’
চা-শ্রমিক ইউনিয়নের বালিশিরা ভ্যালির সভাপতি বিজয় হাজরা বলেন, ‘প্রতিবছর মজুরি বাড়ানোর কথা থাকলেও তিন বছর ধরে বাড়ানো হচ্ছে না। তিন দিনের মধ্যে দাবি না মানা হলে দেশের সব বাগান একসঙ্গে বন্ধ করে দেওয়া হবে।’
সিলেট বিভাগীয় শ্রম দপ্তরের উপপরিচালক মোহাম্মদ নাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘চা-শ্রমিকদের মজুরি বাড়ানোর বিষয়টি মালিকপক্ষ ও চা-শ্রমিক ইউনিয়নের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় চুক্তির মাধ্যমে হয়। সেখানে আমাদের হস্তক্ষেপের সুযোগ কম। তাঁরা আসলে সেক্ষেত্রে দুপক্ষকে নিয়ে আলোচনার মাধ্যমে মীমাংসা করতে পারি।’
ন্যূনতম ৩০০ টাকা মজুরির দাবিতে গতকাল বুধবার দ্বিতীয় দিনের মতো কর্মবিরতি পালন করেন মৌলভীবাজারের ৯২টি চা-বাগানের চা-শ্রমিকেরা। একই সঙ্গে কর্মসূচি পালন করেছেন দেশের ১৬৭টি চা-বাগানসহ ফাঁড়ি বাগানগুলোর শ্রমিকেরা। সারা দেশে একযোগে প্রতিবাদ সভা, মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিলের মধ্য দিয়ে তিন দিনের এ কর্মসূচি পালন করছেন তাঁরা।
বর্তমানে ১২০ টাকা মজুরির সঙ্গে ১৪ টাকা বাড়িয়ে ১৩৪ টাকা প্রস্তাব করলে এর বিরোধিতা করে আন্দোলন শুরু করেন চা-শ্রমিকেরা।
এ সময় শ্রমিকেরা বলেন, ‘আমাদের শ্রম আর ঘামে চা-শিল্পের উন্নয়ন। অথচ আমাদের খাওয়া, চিকিৎসা, কাপড়, লেখাপড়া সর্বোপরি জীবনযাপন করা অনেক কষ্টের। এ সময়ের মধ্যে মজুরি বাড়ানোর বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত না এলে পরবর্তীতে পূর্ণদিবসসহ সড়ক অবরোধ করার পরিকল্পনা রয়েছে। যদি এর মধ্যে বেতন বাড়ানোর বিষয় কর্তৃপক্ষ মেনে নেয়, তবে আন্দোলন প্রত্যাহার করা হবে।
জুড়ী উপজেলার সোনারুপা চা-বাগানের বাগান পঞ্চায়েত সভাপতি মতি রুদ্রপাল বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে ৩০০ টাকা মজুরির জন্য আমরা আন্দোলন করে আসছি। মজুরি বোর্ডে তা বাস্তবায়ন হচ্ছে না। মানুষ হিসেবে বেঁচে থাকার জন্য আমাদের এ আন্দোলন। ১২০ থেকে ১৪ টাকা আমাদের হাজিরি বাড়ানোর প্রস্তাব আনা হয়েছিল; যা দিয়ে কোনো শ্রমিকের দৈনন্দিন চাহিদা মেটানো অসম্ভব।’
সোনারুপা চা-বাগানের ব্যবস্থাপক নাহিদ ফেরদৌস চৌধুরী বলেন, ‘চা-শ্রমিকের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে চা-সংসদের প্রতিনিধিরা চা-বোর্ডের সঙ্গে আলোচনা করেন। বাগানে কর্মবিরতি করতে হলে বোর্ড লিখিতভাবে আমাদের জানায়। এ বাগানে লিখিত কোনো কাগজ পাইনি। চা-শ্রমিকেরা শান্তিপূর্ণভাবে এ কর্মসূচি পালনের জন্য মৌখিকভাবে আমাকে জানান।’
মজুরি বাড়ানোর দাবিতে গত মঙ্গলবার থেকে শুরু হওয়া কেন্দ্রীয় কর্মসূচিতে বাংলাদেশ চা-শ্রমিক ইউনিয়নের নেতারা বিভিন্ন বাগানে গিয়ে অংশ নেন।
এ ছাড়া শমশেরনগর চা-বাগান কারখানার সামনে মনু-দলই ভ্যালির সাধারণ সম্পাদক নির্মল পাইনকার নেতৃত্বে বাগান পঞ্চায়েত কমিটির সভাপতি-সম্পাদকসহ নেতারা কর্মবিরতিতে অংশ নেন। নির্মল পাইকার বলেন, ‘সারা দেশের চা-শ্রমিক ও নেতারা ঐক্যবদ্ধ। আমাদের দাবি মালিকপক্ষকে মানতে হবে।’
চা-শ্রমিক ইউনিয়নের বালিশিরা ভ্যালির সভাপতি বিজয় হাজরা বলেন, ‘প্রতিবছর মজুরি বাড়ানোর কথা থাকলেও তিন বছর ধরে বাড়ানো হচ্ছে না। তিন দিনের মধ্যে দাবি না মানা হলে দেশের সব বাগান একসঙ্গে বন্ধ করে দেওয়া হবে।’
সিলেট বিভাগীয় শ্রম দপ্তরের উপপরিচালক মোহাম্মদ নাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘চা-শ্রমিকদের মজুরি বাড়ানোর বিষয়টি মালিকপক্ষ ও চা-শ্রমিক ইউনিয়নের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় চুক্তির মাধ্যমে হয়। সেখানে আমাদের হস্তক্ষেপের সুযোগ কম। তাঁরা আসলে সেক্ষেত্রে দুপক্ষকে নিয়ে আলোচনার মাধ্যমে মীমাংসা করতে পারি।’
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
১ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৮ দিন আগে