নবীনগর (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে মেঘনা নদীভাঙনে ৩০টি বাড়িঘর বিলীন হয়ে গেছে। গত শনিবার থেকে উপজেলার পশ্চিম ইউনিয়নের চিত্রী গ্রামের কান্দাপাড়া ও দড়ি লাপাং গ্রামে নদীভাঙন শুরু হয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, জরুরি ভিত্তিতে ভাঙন রোধে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা না নেওয়া হলে আশপাশের কয়েকটি গ্রামের স্কুল, মসজিদ, মাদ্রাসাসহ বাড়িঘর নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন এলাকাবাসী। অন্যদিকে স্থানীয় সংসদ সদস্য এবাদুল করিম বুলবুল বলছেন, নবীনগর পশ্চিম ইউনিয়নের গ্রামগুলোকে বাঁচাতে পানি উন্নয়ন বোর্ডের মহাপরিচালক বরাবর চিঠি দেওয়া হয়েছিল জরুরি মেরামত ও ভাঙন রোধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য। এ ব্যাপারে উপজেলা প্রশাসন ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরাও তাঁদের সহযোগিতা করছে।
গত রোববার সরেজমিনে দেখা গেছে, নবীনগর উপজেলার মেঘনা তীরের গ্রামগুলোতে মানুষ ভাঙনের আতঙ্কে রয়েছেন।
প্রতি ঘণ্টায় ঘণ্টায় নদীর পাড় ভাঙছে। অনেকে মালামাল ও ঘর ভেঙে আত্মীয়স্বজনদের বাড়িতে চলে যাচ্ছেন। এ সময় কথা হয় স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে।
স্থানীয় বাসিন্দা খায়েস মিয়া মনির হোসেন বলেন, ‘গত শনিবার সকালে খাওয়া-দাওয়া শেষে কাজে যাচ্ছিলাম, এমন সময় গোলাপের ঘরটা নদীতে ভেঙে পড়ে যায়। তখন আমরা সবাই ঘর থেকে বেরিয়ে পড়ি। আমাদের ঘরে থাকা মালামাল উদ্ধারের চেষ্টা করি। কিন্তু কোনো কিছু উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। আধা ঘণ্টার ব্যবধানে এইখানে থাকা ২০ ঘর নদীগর্ভে চলে যায়। গায়ে থাকা কাপড় ছাড়া আমরা কোনো কিছু রক্ষা করতে পারিনি।’
হান্নান মিয়া বলেন, ‘আপনেরা নিজের চোখে দেখেন আমাদের কী অবস্থা। আমডার আর কোনো কিছু কওনের নাই। অহন আল্লার দিকে চাইয়া বাইচ্চা রইছি। ঘর, বাড়ি, গরু, ছাগল সব গাঙ্গে লইয়া গেছেগা।’
পশ্চিম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুজ্জামান বলেন, ‘প্রতিদিনই আমার এলাকায় ঘরবাড়ি ভাঙছে। মানুষ নদীভাঙনের আতঙ্কে আছে। কেউ শেষ সম্বলটুকু নিয়ে আত্মীয়স্বজনের বাড়িতে চলে যাচ্ছেন। আমাদের কোনো স্পেশাল বরাদ্দ নেই। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা স্যার এসেছিলেন। তিনি ১০০ পরিবারের জন্য ত্রাণ ও নগদ এক লাখ টাকা দিয়ে গেছেন। সরকারের কাছে জোর দাবি জানাচ্ছি এই এলাকাকে নদীভাঙনের হাত থেকে রক্ষা করতে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য।’
এ নিয়ে জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. একরামুল সিদ্দিক বলেন, ‘ইতিমধ্যে আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। উপজেলা পরিষদের পক্ষ থেকে শুকনো খাবার ও আর্থিক সাহায্য দেওয়া হয়েছে। আমি আমার ব্যক্তিগতভাবে এক লাখ টাকা দিয়েছি। দ্রুত অন্যান্য ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বর্তমানে বাড়িঘর রক্ষা করার জন্য স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে যতটুকু ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন, তা নেওয়া হয়েছে।’
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে স্থানীয় সংসদ সদস্য এবাদুল করিম বুলবুল বলেন, ‘নবীনগর পশ্চিম ইউনিয়নের গ্রামগুলোকে বাঁচাতে পানি উন্নয়ন বোর্ডের মহাপরিচালক বরাবর ডিউ লেটার দিয়েছি জরুরি মেরামত ও ভাঙন রোধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য। এ ব্যাপারে উপজেলা প্রশাসন ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরাও তাদের সহযোগিতা করে যাচ্ছে।’
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে মেঘনা নদীভাঙনে ৩০টি বাড়িঘর বিলীন হয়ে গেছে। গত শনিবার থেকে উপজেলার পশ্চিম ইউনিয়নের চিত্রী গ্রামের কান্দাপাড়া ও দড়ি লাপাং গ্রামে নদীভাঙন শুরু হয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, জরুরি ভিত্তিতে ভাঙন রোধে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা না নেওয়া হলে আশপাশের কয়েকটি গ্রামের স্কুল, মসজিদ, মাদ্রাসাসহ বাড়িঘর নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন এলাকাবাসী। অন্যদিকে স্থানীয় সংসদ সদস্য এবাদুল করিম বুলবুল বলছেন, নবীনগর পশ্চিম ইউনিয়নের গ্রামগুলোকে বাঁচাতে পানি উন্নয়ন বোর্ডের মহাপরিচালক বরাবর চিঠি দেওয়া হয়েছিল জরুরি মেরামত ও ভাঙন রোধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য। এ ব্যাপারে উপজেলা প্রশাসন ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরাও তাঁদের সহযোগিতা করছে।
গত রোববার সরেজমিনে দেখা গেছে, নবীনগর উপজেলার মেঘনা তীরের গ্রামগুলোতে মানুষ ভাঙনের আতঙ্কে রয়েছেন।
প্রতি ঘণ্টায় ঘণ্টায় নদীর পাড় ভাঙছে। অনেকে মালামাল ও ঘর ভেঙে আত্মীয়স্বজনদের বাড়িতে চলে যাচ্ছেন। এ সময় কথা হয় স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে।
স্থানীয় বাসিন্দা খায়েস মিয়া মনির হোসেন বলেন, ‘গত শনিবার সকালে খাওয়া-দাওয়া শেষে কাজে যাচ্ছিলাম, এমন সময় গোলাপের ঘরটা নদীতে ভেঙে পড়ে যায়। তখন আমরা সবাই ঘর থেকে বেরিয়ে পড়ি। আমাদের ঘরে থাকা মালামাল উদ্ধারের চেষ্টা করি। কিন্তু কোনো কিছু উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। আধা ঘণ্টার ব্যবধানে এইখানে থাকা ২০ ঘর নদীগর্ভে চলে যায়। গায়ে থাকা কাপড় ছাড়া আমরা কোনো কিছু রক্ষা করতে পারিনি।’
হান্নান মিয়া বলেন, ‘আপনেরা নিজের চোখে দেখেন আমাদের কী অবস্থা। আমডার আর কোনো কিছু কওনের নাই। অহন আল্লার দিকে চাইয়া বাইচ্চা রইছি। ঘর, বাড়ি, গরু, ছাগল সব গাঙ্গে লইয়া গেছেগা।’
পশ্চিম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুজ্জামান বলেন, ‘প্রতিদিনই আমার এলাকায় ঘরবাড়ি ভাঙছে। মানুষ নদীভাঙনের আতঙ্কে আছে। কেউ শেষ সম্বলটুকু নিয়ে আত্মীয়স্বজনের বাড়িতে চলে যাচ্ছেন। আমাদের কোনো স্পেশাল বরাদ্দ নেই। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা স্যার এসেছিলেন। তিনি ১০০ পরিবারের জন্য ত্রাণ ও নগদ এক লাখ টাকা দিয়ে গেছেন। সরকারের কাছে জোর দাবি জানাচ্ছি এই এলাকাকে নদীভাঙনের হাত থেকে রক্ষা করতে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য।’
এ নিয়ে জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. একরামুল সিদ্দিক বলেন, ‘ইতিমধ্যে আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। উপজেলা পরিষদের পক্ষ থেকে শুকনো খাবার ও আর্থিক সাহায্য দেওয়া হয়েছে। আমি আমার ব্যক্তিগতভাবে এক লাখ টাকা দিয়েছি। দ্রুত অন্যান্য ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বর্তমানে বাড়িঘর রক্ষা করার জন্য স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে যতটুকু ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন, তা নেওয়া হয়েছে।’
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে স্থানীয় সংসদ সদস্য এবাদুল করিম বুলবুল বলেন, ‘নবীনগর পশ্চিম ইউনিয়নের গ্রামগুলোকে বাঁচাতে পানি উন্নয়ন বোর্ডের মহাপরিচালক বরাবর ডিউ লেটার দিয়েছি জরুরি মেরামত ও ভাঙন রোধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য। এ ব্যাপারে উপজেলা প্রশাসন ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরাও তাদের সহযোগিতা করে যাচ্ছে।’
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
১ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৯ দিন আগে