নওগাঁ প্রতিনিধি
নওগাঁর বিভিন্ন এলাকায় আমের বাজার জমে উঠতে শুরু করেছে। প্রশাসনের বেঁধে দেওয়া সময় অনুযায়ী গুটি ও গোপালভোগ আম নামানো শুরু করেছেন চাষিরা। তবে উন্নত জাতের আমগুলো বাজারে পেতে আরও কিছুদিন অপেক্ষা করতে হবে। এবার জেলায় প্রায় ১ হাজার ৯০০ কোটি টাকার আম বিক্রির সম্ভাবনার কথা জানিয়েছে কৃষি বিভাগ।
সংশ্লিষ্টরা জানান, আম উৎপাদন লাভজনক হওয়ায় এই অঞ্চলে দিন দিন বাড়ছে বাগানের সংখ্যা। গত বছরের তুলনায় এবার জেলায় ৩ হাজার ৬২৫ হেক্টর জমিতে আমের চাষ বেড়েছে। গত বছর জেলায় ২৫ হাজার ৮৫০ হেক্টর জমিতে আম চাষ হয়েছিল।
কৃষি বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, চলতি মৌসুমে জেলায় ২৯ হাজার ৪৭৫ হেক্টর জমিতে আম চাষ হয়েছে। হেক্টরপ্রতি ফলন ধরা হয়েছে ১২ দশমিক ৫০ মেট্রিক টন। উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ৩ লাখ ৬৮ হাজার ৪৩৫ মেট্রিক টন। এবার প্রতি কেজি আমের গড় মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ৫০ টাকা। সে হিসাবে এবার ১ হাজার ৮৪২ কোটি ১৭ লাখ ৫০ হাজার টাকার আমের বাণিজ্যের আশা কৃষি বিভাগের।
সরেজমিনে জেলার বিভিন্ন আমবাগান ঘুরে দেখা যায়, সাপাহার, পত্নীতলা, মধইলসহ জেলার বিভিন্ন এলাকায় গুটি ও গোপালভোগ গাছ থেকে নামাচ্ছেন বাগানিরা। উন্নত জাতের আমের বাগানে চলছে শেষ সময়ের পরিচর্যা। কেউ ভিটামিন স্প্রে করছেন, কেউ পোকা দমনে কীটনাশক দিচ্ছেন। যদিও ঝড়-বৃষ্টিতে আমের বেশ ক্ষতি হয়েছে, তবু গাছে যেসব আম আছে, সেগুলো নিয়েই স্বপ্ন দেখছেন বাগানিরা।
সাপাহার সদরের আমচাষি কামরুজ্জামান বলেন, ‘বৈরী আবহাওয়ার কারণে ফলন কিছুটা কম হয়েছে। তবে বাজারে আমের ভালো দাম থাকলে লাভবান হব।’
আইহাই গ্রামের বাগানি নাজমুল হাসান জানান, তিন বিঘা জমিতে আমের বাগান আছে। গত বছর ফলন ভালো হলেও করোনার কারণে আমের দাম ভালো পাননি। এবার ফলন কম হলেও আমের ভালো দাম পাবেন বলে আশা তাঁর।
এদিকে, প্রশাসনের বেঁধে দেওয়া সময় অনুযায়ী, গত ২৫ মে থেকে গুটি ও ৩০ মে থেকে গোপালভোগ নামানো শুরু করেছেন চাষিরা। এ ছাড়া ক্ষীরশাপাতি বা হিমসাগর ৫ জুন, নাগ ফজলি ৮ জুন, ল্যাংড়া ও হাঁড়িভাঙা ১২ জুন, ফজলি ২২ জুন ও আম্রপালি ২৫ জুন থেকে পাড়া যাবে। সর্বশেষ আগামী ১০ জুলাই থেকে পাড়া যাবে আশ্বিনা, বারি-৪ ও গৌরমতি জাতের আম।
কৃষি বিভাগ জানায়, জেলার ১১টি উপজেলার মধ্যে সবচেয়ে বেশি আম উৎপাদিত হয় সাপাহার ও পোরশায়। সাপাহারে ১০ হাজার হেক্টর জমিতে আমের চাষ হয়েছে। প্রতি হেক্টরে গড় ফলন ধরা হয়েছে ১২ দশমিক ৬৫ মেট্রিক টন। পোরশা উপজেলায় ১০ হাজার ৫২০ হেক্টর জমিতে আমের চাষ হয়েছে। প্রতি হেক্টরে গড় ফলন ধরা হয়েছে ১২ দশমিক ৫০ মেট্রিক টন।
এ ছাড়া সদর উপজেলায় ৪৪৫ হেক্টর, রানীনগরে ১১০ হেক্টর, আত্রাইয়ে ১২০ হেক্টর, বদলগাছীতে ৫২৫ হেক্টর, মহাদেবপুরে ৬৮০ হেক্টর, পত্নীতলায় ৪ হাজার ৮৬৫ হেক্টর, ধামইরহাটে ৬৭৫ হেক্টর, মান্দায় ৪০০ হেক্টর এবং নিয়ামতপুরে ১ হাজার ১৩৫ হেক্টর জমিতে আমের আবাদ হয়েছে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক কৃষিবিদ শামছুল ওয়াদুদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এ বছর আমের অবস্থা খুবই ভালো। তবে কিছুদিন আগে ঝড়ে কিছু আম পড়ে গেছে। তারপরও আমের ফলনের কমতি হবে না। গাছে আম কম থাকলে আকারে বড় ও পুষ্টিগুণসমৃদ্ধ হবে। ধারণা করা হচ্ছে, এ বছর প্রায় ৩ লাখ ৬৮ হাজার ৪৩৫ মেট্রিক টন আম উৎপাদিত হবে, যা লক্ষ্যমাত্রার অনেক বেশি।’
নওগাঁর বিভিন্ন এলাকায় আমের বাজার জমে উঠতে শুরু করেছে। প্রশাসনের বেঁধে দেওয়া সময় অনুযায়ী গুটি ও গোপালভোগ আম নামানো শুরু করেছেন চাষিরা। তবে উন্নত জাতের আমগুলো বাজারে পেতে আরও কিছুদিন অপেক্ষা করতে হবে। এবার জেলায় প্রায় ১ হাজার ৯০০ কোটি টাকার আম বিক্রির সম্ভাবনার কথা জানিয়েছে কৃষি বিভাগ।
সংশ্লিষ্টরা জানান, আম উৎপাদন লাভজনক হওয়ায় এই অঞ্চলে দিন দিন বাড়ছে বাগানের সংখ্যা। গত বছরের তুলনায় এবার জেলায় ৩ হাজার ৬২৫ হেক্টর জমিতে আমের চাষ বেড়েছে। গত বছর জেলায় ২৫ হাজার ৮৫০ হেক্টর জমিতে আম চাষ হয়েছিল।
কৃষি বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, চলতি মৌসুমে জেলায় ২৯ হাজার ৪৭৫ হেক্টর জমিতে আম চাষ হয়েছে। হেক্টরপ্রতি ফলন ধরা হয়েছে ১২ দশমিক ৫০ মেট্রিক টন। উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ৩ লাখ ৬৮ হাজার ৪৩৫ মেট্রিক টন। এবার প্রতি কেজি আমের গড় মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ৫০ টাকা। সে হিসাবে এবার ১ হাজার ৮৪২ কোটি ১৭ লাখ ৫০ হাজার টাকার আমের বাণিজ্যের আশা কৃষি বিভাগের।
সরেজমিনে জেলার বিভিন্ন আমবাগান ঘুরে দেখা যায়, সাপাহার, পত্নীতলা, মধইলসহ জেলার বিভিন্ন এলাকায় গুটি ও গোপালভোগ গাছ থেকে নামাচ্ছেন বাগানিরা। উন্নত জাতের আমের বাগানে চলছে শেষ সময়ের পরিচর্যা। কেউ ভিটামিন স্প্রে করছেন, কেউ পোকা দমনে কীটনাশক দিচ্ছেন। যদিও ঝড়-বৃষ্টিতে আমের বেশ ক্ষতি হয়েছে, তবু গাছে যেসব আম আছে, সেগুলো নিয়েই স্বপ্ন দেখছেন বাগানিরা।
সাপাহার সদরের আমচাষি কামরুজ্জামান বলেন, ‘বৈরী আবহাওয়ার কারণে ফলন কিছুটা কম হয়েছে। তবে বাজারে আমের ভালো দাম থাকলে লাভবান হব।’
আইহাই গ্রামের বাগানি নাজমুল হাসান জানান, তিন বিঘা জমিতে আমের বাগান আছে। গত বছর ফলন ভালো হলেও করোনার কারণে আমের দাম ভালো পাননি। এবার ফলন কম হলেও আমের ভালো দাম পাবেন বলে আশা তাঁর।
এদিকে, প্রশাসনের বেঁধে দেওয়া সময় অনুযায়ী, গত ২৫ মে থেকে গুটি ও ৩০ মে থেকে গোপালভোগ নামানো শুরু করেছেন চাষিরা। এ ছাড়া ক্ষীরশাপাতি বা হিমসাগর ৫ জুন, নাগ ফজলি ৮ জুন, ল্যাংড়া ও হাঁড়িভাঙা ১২ জুন, ফজলি ২২ জুন ও আম্রপালি ২৫ জুন থেকে পাড়া যাবে। সর্বশেষ আগামী ১০ জুলাই থেকে পাড়া যাবে আশ্বিনা, বারি-৪ ও গৌরমতি জাতের আম।
কৃষি বিভাগ জানায়, জেলার ১১টি উপজেলার মধ্যে সবচেয়ে বেশি আম উৎপাদিত হয় সাপাহার ও পোরশায়। সাপাহারে ১০ হাজার হেক্টর জমিতে আমের চাষ হয়েছে। প্রতি হেক্টরে গড় ফলন ধরা হয়েছে ১২ দশমিক ৬৫ মেট্রিক টন। পোরশা উপজেলায় ১০ হাজার ৫২০ হেক্টর জমিতে আমের চাষ হয়েছে। প্রতি হেক্টরে গড় ফলন ধরা হয়েছে ১২ দশমিক ৫০ মেট্রিক টন।
এ ছাড়া সদর উপজেলায় ৪৪৫ হেক্টর, রানীনগরে ১১০ হেক্টর, আত্রাইয়ে ১২০ হেক্টর, বদলগাছীতে ৫২৫ হেক্টর, মহাদেবপুরে ৬৮০ হেক্টর, পত্নীতলায় ৪ হাজার ৮৬৫ হেক্টর, ধামইরহাটে ৬৭৫ হেক্টর, মান্দায় ৪০০ হেক্টর এবং নিয়ামতপুরে ১ হাজার ১৩৫ হেক্টর জমিতে আমের আবাদ হয়েছে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক কৃষিবিদ শামছুল ওয়াদুদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এ বছর আমের অবস্থা খুবই ভালো। তবে কিছুদিন আগে ঝড়ে কিছু আম পড়ে গেছে। তারপরও আমের ফলনের কমতি হবে না। গাছে আম কম থাকলে আকারে বড় ও পুষ্টিগুণসমৃদ্ধ হবে। ধারণা করা হচ্ছে, এ বছর প্রায় ৩ লাখ ৬৮ হাজার ৪৩৫ মেট্রিক টন আম উৎপাদিত হবে, যা লক্ষ্যমাত্রার অনেক বেশি।’
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
১ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৯ দিন আগে